Tuesday, November 25, 2025

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন
চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত
এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি
ফেরা আর না ফেরা
ফিরতে চাওয়া কিংবা ছায়াপথ
তারপর সব শূন্য । 
.
চমকে উঠলে চলবে না 
নিজেকে নিজের ছায়া ভাবলেই বেশ একটা চরিত্র মনে হয় 
তোমার বাড়িতে বারান্দা নেই 
তবে কেন যেন দেখি বারান্দার রেলিং পেরিয়ে এক হুলো বেড়াল দুধ চাটছে,
এক সময় তাকে তুমি ওয়াল্টার বেঞ্জামিন পড়ে শোনাতে 
তার পর তোমার বাড়িরই কার্নিশ বেয়ে সে বেপাত্তা
থিওরেটিকালি এলিয়েনেশন
এনার্জেটিক ফর্মে তুমি ছায়া ছায়া কবিতা । 
.
চলন্তিকা তুমি কি পেলে?
চলন্তিকা আমার ছায়া শরীরের ডাকনাম
শূন্যতা , ট্রেনের শব্দ ছাপিয়ে মোলায়েম ভোর।
আসলে চলন্তিকা হলো ভয়ানক নির্বিকল্প সমস্যা
ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তার অবয়ব ,
গোয়া সমুদ্রের টুরিস্ট বাঙলোতে একটা অবয়ব পৃথিবী হয়ে গেলো
তারপর কখন যেন প্রশান্ত সাগরের পাশের দ্বীপ 
তারপর শহর ,নগর ,গ্রাম 
আমি পাগল হয়ে যাবো।  
নোটেশনের চিহ্ন পেরিয়ে অ-কাতর যৌন গন্ধ 
বিছানার অক্ষ থেকে ঢলে পড়ছে কারুকাজ 
একটা রাত্রি মেলে ধরে সময় সাঁতার কাটছে 
স্ববিরোধিতা
ঘুম পাড়ানীর গান
আমার ছায়ায় .....চলন্তিকা।  
.
এলিয়েনেশন
... ঋষি

Sunday, November 23, 2025

ঝগড়া

মুখের পাশে মেলে ধরছি চুইংগামটুকু
মেঘ বলে ভাবি
কিংবা ভাবি বিশাল এক আকাশ ,
রুমালে হাত মোছার অভ্যাস চলে গেছে বহুকাল 
তাই  লং ড্রাইভে যাওয়া  
অভ্যেসের গান  পল পল দিলকেএএএ পাসসস
বড্ড সাবলীল হয়ে উঠছে উইক এন্ড। 

বিশাল আকাশ  থেকে ফুটকি হয়ে যাচ্ছে কিছু দৃশ্য
কি যেন দর্শন ছিল
দৃষ্টি বা দর্শনের বাইরেও তো আমাদের থাকা,  
ঘুমোতে  গেলেই  যেখানে তুই তুই ভাব 
না ডিপ্রেশন। 
যারা চুইংগাম চিবিয়ে জীবন কাটাতে পারে 
তারাই মানুষ 
আর ঈশ্বর বোধহয় শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে বোধ খোঁজে 
আর সেই বোধ  পরীক্ষনে আমাদের ঝগড়া । 
.
ঝগড়া  
... ঋষি

ধূসর মানুষ

দ্রুত রং বদলালে নিঝুম হয়ে আসে কাছাকাছি আসা 
মুখোশটা খুলে দিলে মুখগুলো যেমন সাপ হয়ে যায় 
পোশাক খুলে যেমন মানুষ পোশাক বদলায়
সবটাই জানা,    
অথচ জানা নয় পুরোনো রেডিওতে গান বাজলে 
মন কেন ভালো হয় 
জানা নয়  
একলা বৃষ্টিতে মানুষ কেন কাঁদতে চায়।   
.
তোমার শাড়িতে কোথাও যেন লুকোনো থাকে ন্যাপথলিনের গন্ধ
কোথায় যেন সময়সময় রোদ লাগে তোমার মুখে 
আমিও  বড্ড স- র- ল রেখায় চিরকাল 
আর ছায়ায় ঢুকে পরে দ্রাঘিমা যার ঘাড়ে এলার্ম ক্লক ,
 অপেক্ষার প্রবনতা চাপ বাড়ায় 
অতিরিক্ত আলো ঐকিক নিয়ম মানেনা
ছায়া নেমে আসলে আবছা বা ধূসর রং জীবনের 
কিংবা ধূসর মানুষ। 
.
ধূসর মানুষ 
... ঋষি

Saturday, November 22, 2025

শরীরের শব্দ

নেশার সাথে ঘুমগুলো জুড়ে জুড়ে তৈরী হয়ে যায় 
এক অক্লান্ত নিবেদন 
আবেদনের রিদমে উঠে আসে রংমিলান্তে ,
বিছনার উপর পরে থাকে আমার উলঙ্গ নীরব ঘুমোতে চাওয়া 
১০ নম্বরের তোমারের কাছে পৌঁছনোটা ভীষণ জরুরী মনে হলেও 
নিয়ম ভাঙতে পারি না। 
.
অনেকগুলো ...অনেকগুলো...আলো ছায়ার উপর সত্যিগুলো 
বিরক্তিতে একঘেয়ে চলতে থাকা ইরোটিক মুভির শব্দ বাড়ায় 
এক টানা আওয়াজ 
এক টানা ঘর্ষণ ,এক টানা নিস্তব্ধতা চ্যানেল বদলাই । 
আউলে বাউলে ফিল্ম পেরোলেই বিরতি
দীর্ঘ
বি র তি
মোরামের রাস্তার টানেল পথে এগিযে চলো আমি গুহা মানুষ 
আদিস্বর আদিরস, বাথরুমের ফ্লাশটা টানি। 
.
সময়ে ভিজছে দায়বদ্ধতা...পুরোনো সারমর্ম
...আমাকে নাভির ভিতর টেনে রাখতে চাই আমার জন্মস্থল 
সম্পর্কের সব ফিকে রং...
জলবসন্ত= জল+ বসন্ত। 
কাঁথাস্টিচে হৃদয়ে লাগানো প্রাণের ঠাকুর রবি 
ধূ...ধূ... উড়ানের গ্রাফ
রাফ এন্ড টাফ ,
সত্যি কি সব সাবওয়ে জুড়ে কি কমে আসছে আঁচ
একটা অশ্লীল চুমুর গায়ে হলোগ্রাম
হলদেটে
কেন নয় ? ভালোবাসলে শরীর আসবেই 
 নিউরনে প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে আসছে ওয়াচগ্লাসে বিপন্নতা 
মাথা ভার ,ঘুম আসছে 
আট পেগের শরীরটা টেনে নিয়ে ফেলতে চাই তোমার বুকে 
ঘুম আসছে কিন্তু তুমি নও। 
.
শরীরের শব্দ 
... ঋষি

তৃতীয় চোখ

চালশের এক নিরুপায় দৃশ্য 
এক পা বাড়ালে এগিয়ে সেতু পেরিয়ে ভালবাসা
অথচ  নুনে নুন বালিয়াড়ী...ভিন্ন এর স্বাদ
সমুদ্রের সাথে,সমুদ্রের কাছে ক্লান্তি মাপি। 
একলাই দাঁড়ায় ভাবনার ওপারের তোমার ছায়াকে বুকে নিয়ে 
সমদ্রের বিশাল ঢেউতে আতশ কাঁচে ধরা পরে যায় ঠিক সুক্ষ চিড়গুলো 
যাকে তুমি ব্যস্ততা বলো। 
.
মা বলে সময় নিয়ে লিখতে ,লিখতে দেশ নিয়ে 
অথচ মাস্টারবেশনের পরে পরে থাকে নিস্তেজ শরীরটা তোমাকে খোঁজে 
ধমনীর অদৃশ্য লঙশটে ডিম-ডিম আলোয়
আমি দেখতে পাই দেশের মানচিত্র আর সীমান্ত। 
অবাক যাই  মিস্টিক তরংগদৈর্ঘ্যর উল্লাস বাহুতে
আকাশী নাভিমুলে
তারপর লাল-হলুদ-সবুজের তেরছা মিশ্রন
জানি দিগভুল হচ্ছে ক্রমশ। 
.
জানি এই রং আমার নয় 
জানি বাঁকা উপত্যকা ২-বি পেন্সিলের গা বেয়ে ঐশ্বরিক সৌন্দর্য 
আমার নয় এ ছবি ,আমার অধিকার নেই এই আঁকার খাতায় 
শুধু আঁকার পাতার কান্নার  সল্টেড বিকেল
প্রতিটা  পোয়াতি সকাল তুমি আসবে হয়তো 
প্রতিটা অসামাজিক রাত্রি তুমি ডাকবে হয়তো 
কিছুই ঘটে না। 
...........শুধুই  তেতো
ক্যানভাসে রং জল...জল রং... ডুব জল
নিরন্তর 
তবু ছবির মাঝে আমি থাকি না কোথাও
শুধু পেন্সিল স্কেচের ভাঙা অন্ধকারে আমি জাগি 
যেন প্রেত কোনো।  
.
তৃতীয় চোখ 
.... ঋষি

সেলুলয়েড

রাত মুছে গেলে জোয়ারের জলে হাপুস কার্নিভাল
ঝাউবনের কাছে লেন্স... চিবুক...কথোপকথন...সেলুলয়েড
মুহূর্তটা কিছুক্ষনের 
আলোর হিসাবে ঐকিকরাশি প্রগতির প্রতি ,
পিছলে পড়ে ঘুম পাতা- ঘুম পাতা খেলা ... জানি ঘুম আসে না 
সবুজ ক্লোরোফিলে মুখ
 – অবয়ব যেন রূপকথা। 
.
হালকা হয়ে আসছে চুমুর গন্ধ ,লবঙ্গের স্বাদ 
ক্রমশ বিস্বাদ 
ধোঁয়া উঠছে বাতিকগ্রস্ত,ব্যস্ততা মোড়া শরীর থেকে
তোমার শহর থেকে চিমনির কালো ধোঁয়া 
অথচ গঙ্গা জল শুদ্ধ 
অথচ এ সময়ে শুদ্ধতা নিজেই একটা পরিহাস। 
.
আয়নার পিঠ থেকে পারা –পারা পিছলে পড়ছে সময়ের ছায়া
স্যালাড আর সময় নিজেরাই শুধু সুস্বাদু 
অবশেষে ঈশ্বর শব্দটাও বিক্রি হয়ে যায় 
বিক্রি করে এই খিদের শহর 
আমি তুমি হেড না মেপে টেল খুঁজি 
কিংবা টেল না খুঁজে বাঁচার গান। 
মুসাফির দুপুরগুলো ইদানিং তোমার ভিড়ের কাছে হারায় 
আর রাত্রিগুলো তোমাকে বলে 
জাগতে রহও ......
.
সেলুলয়েড
... ঋষি

Wednesday, November 19, 2025

ঘুনপোকা

(১)
আমি নিঃশব্দ হয়ে উঠতে চাইছি বারংবার 
কিন্তু কাঁচ ভাঙার তীক্ষ্ণ শব্দ কিছুতেই  রুখতে পারছিনা
যন্ত্রনা আসলে ভীষণ একা সাদা কাপড়ে ঢাকা। 
(২)
সময় সময় মুখটা ওয়াশ বেসিনের মতো বারংবার 
ভাঙা কাঁচের আয়নায় নিজের ফ্যাকাশে মুখ 
মুখ ধুয়েও আত্মার প্রতি সন্দেহ বাড়ছে ক্রমশ। 
(৩)
জানা ছিল না সময়ের  অনুমোদন ছাড়া প্রেম হয় না
কাছে থাকা হয় না 
পান পাত্র নেশা হয় না ,শেষ রুটি হয় না।
(৪)
ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে যায় বারংবার তোমার নগ্নতা
 তুমি জাহাজ হারিয়েছ, মাস্তলে ঝুলে আছে কয়েকটা মরা মাছ
আত্মাগুলো কাঁচ ভাঙার শব্দে আশ্রয় হারাচ্ছে অবিরল।
(৫)
দেখো পানপাত্রে মৃতরা হাততালি দিচ্ছে
তোমার প্রগাড় একাকীত্ব দেখছে, ছুড়ে দিচ্ছে দু একটু রুটি
নীচু স্বরে তারা কথা বলছে ভাবছে  প্রতিবাদ হলো ঘুন পোকার ডাক। 
.
ঘুনপোকা 
... ঋষি

Monday, November 17, 2025

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন

এই শহর ঘুমায় না, কেবল চোখ পাল্টায়,চোখ টাটায় 
এই শহরে প্রতিটা ইট ,কাঠ পাথরের একটা গল্প আছে 
গল্পগুলো দেয়ালের ভিতরে আলোআঁধারিতে  ফিসফিস করে
মনে হয়, সময় নিজের ছায়াকে গিলতে থাকে  ধীরে ধীরে।
অদ্ভুত এক রহস্য 
এ শহরের প্রতিটা মানুষ হাঁটে তার প্রতিচ্ছবির সঙ্গে
হাত মেলায় নিজেরই ক্লোনে,হাসে যেন প্রোগ্রাম করা ইমেজের মতো,
সকলেই এখানে  অনুভূতির ব্যবসায়ী
সকলেই  রক্ত বিক্রি করে সময়ের জোগাড়ে থাকে বাঁচার ।
.
আমি সাধু নই, আমিও  সেই সুবিধাবাদী মাঝপথের যাত্রী 
যে জপে না, যে লড়তে ভুলেছে কিন্তু বিশ্বাস করে নীরবতায়
যে জানে, ন্যায়ের পাল্লা ভরলেও 
অন্য পাশে ঝুলে থাকে একটা অনুচ্চারিত পাপ।
কিন্তু অদ্ভুত কেউ জানে আদোও আসলে  পাপ কি ?
সত্যি পবিত্রতা কি ?
এই যে তোমার ঠোঁটের উষ্ণতায় লেখা এক নক্ষত্রের আদিমতা 
এই যে তোমার ভাবনায় একটা অসমাপ্ত কবিতা,
বিশ্বাস করো কথা না বললেও এখানেও শব্দ জন্ম নেয়। 
.
সত্যি হলো এ শহরে  মৃত্যুও আসে ই-মেইল করে
বিষন্নতা চিরকাল  লগইন নেয় অন্য অ্যাকাউন্টে
তবে সত্যি কি দুঃখ বলে কিছু আছে এ শহরে ?
না কি সুখ হলো  এক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন  ?
কি তবে সত্যি বেঁচে থাকা ?
ভালোবাসা তবে কি  সত্যি ?
এই শহর এসবের হিসেবে বোঝে না ,শুধু বোঝে
ভাঙা স্যিগনালের ওপারে এবার গল্প লিখতে হবে। 
.
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন
... ঋষি

Sunday, November 9, 2025

জাগো তোমরা

কেন লিখছি  আদিম যাপিত জীবনের দিনলিপি
লিখতে হয় ? 
না কি আমি সত্যি লিখতে  পারিনা তাই ।
আসলে ইদানিং সত্যি না লিখে লিখে নিজেকে মনে হয় চরম অপরাধী
এই শহরের এই গ্রামের প্রান্তিক মানুষের ঘেমে ওঠা শরীরের যন্ত্রণা
অপুষ্টি শিশুর রাতে বাড়ি না ফেরা রাস্তায় দাঁড়ানো মায়েদের  কথা
ওদের কথা যাদের শরীরে কিলবিল করছে  লক্ষ ক্রিমি।
.
ওদের প্রকাশ করা হয় নি বহুদিন 
এও এক অবশ্যম্ভাবী প্রসব বেদনা 
আঁধার পেরিয়ে সকালের কবিতায় মানুষগুলো  একলা দাঁড়িয়ে ,
মোরগ যেমন ডেকে ওঠে সুন্দর সকালের কথা বলে 
শিশু যেমন চিৎকার করে  জানানা দেয়  এ পৃথিবী আমার
ফুল ফল পাতা নীরবে  বলে আমায় চেনো কি ?
ঠিক তেমন আমার এই কবিতা আজ চিৎকারে 
একবিংশ শতাব্দীর একলা সেই মানুষগুলোর যুদ্ধ লিখতে চায়।
কেন যে লিখতে চাই গলার কাছে আটকানো কথাগুলো 
কেন যে অন্যায় কিছু  পরজীবী অন্যের খেয়ে নিজের ঢাক বাজায় 
কেন যে তারা প্রতিশ্রুতি দেয় তারপর বেমালুম ভুলে যায়,
প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে মিথ্যাচার করে
ভিক্ষার ঝুলি হাতে তারা বেসাতি করে ফেরে
শুধু নিজের ঘরে সিঁদ কেটে স্বার্থের প্রাসাদ গড়ে।
ওদের চিহ্নিতকরণ করতেই
আজ আমার  এই কবিতা 
যা চাপা পড়ে ছিল  হলদে হয়ে যাওয়া ঘাসের নিচে 
যা লুকোনো ছিল ভয়ের প্রাসাদে মিথ্যের অহংকারে 
আজ চিৎকার করছে 
জীবন হারানো সেই সব সবুজ ঘাসেদের জন্য 
সেই সব ধর্ষিত হারানো কবিতার জন্য 
শুধু বাঁচার স্বপ্নের জন্য 
ঝকঝকে রৌদ্রে ডানা মেলে মুক্তির আনন্দের জন্য
একবার 
একবার 
জাগো তোমরা ,সত্যি বলো প্লিস ............
.
জাগো তোমরা 
... ঋষি

হারানো কবিতা

তুমি কি হারিয়েছ পথ ?
যে প্রবল ভাইরাল এক অফবিট স্বপ্নের খোঁজ ছিল 
তাও  কি হারিয়েছো আজ ? 
আজও কি তুমি ধ্বংস করছো নিজেকে ?
আজো কি খুঁজছো তুমি কারুর পাতায়
অনবরত কবিতা ,অনবরত মুক্তি ,অনবরত জীবন। 
.
হেরে যাওয়া আর নিজে থেকে হারার মাঝে এক অজুহাত 
জানো তো “অনর্গল লিখে গেলে কবিতাও স্প্যাম হতে পারে”
জানো তো জীবনের ভূমিকায় বেঁচে থাকাগুলো মিথ্যে হতে পারে 
তবে কি পথিক তুমি পথ হারিয়েছো ?
হারিয়েছো নিজেকে ক্রমশ  আবেগের ভরে ন্যুব্জ, শ্লথ
হারানো কবিতার মতো। 
.
ম্যানকিপিং কাকে বলে জানো ?তবে?
তবে শুধুই কি প্রমোদ? আলিঙ্গন আল্লাদ আশ্লেষ?
আর নিয়ন্ত্রণ ? 
সুখী গৃহকোণ অবশিষ্ট অঙ্গীকার সাজানো বিজ্ঞাপন 
এখানে তবে সত্যি কই ?
শুধুই বিজ্ঞাপন সর্বস্ব অনলাইনের পাতায় জীবন 
তোমার আমি কিংবা আমার তুমি। 
তবে তাই হোক, তথাস্তু 
আমার ক্ষতবিক্ষত মনের পট হোলে জমে থাকা তরল
গরল না অমৃত, না হয় নাই জানলে তুমি।
নাই জানলে আমার নির্ঘুম রাত্রির কারণ
নাই জানলে কোনো এক প্রসন্ন সকালে
কেন আমি মিলিয়ে যেতে চাই 
অসফল ,বিচ্ছিন্ন ,অসামাজিক ,বর্বর ,উপেক্ষিত কবিতার মতো। 
.
হারানো কবিতা 
... ঋষি

নির্ভেজাল

নির্ভেজাল 
... ঋষি 
.
কথাগুলো মনে থাকে যেন 
এক বিকেলে তোকে জড়িয়ে ধরে একটা নির্ভেজাল চুমু খাবো 
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম নিপাট একটা চুমু 
শুধু একটা অন্য অনুভূতিতে লেখার জন্য ,
এই ভাবে ঠিক একদিন দেখা হয়ে যাবে ভেবেছি 
তারপর ,তারপর আর তুই আসিস নি । 
.
কেউ যখন কিছু চায়
সেটা না দেওয়ার মধ্যে একটা রিক্ততা আছে
আমি আমার রিক্ততা গায়ে দিয়ে রাখি
বাটিকের ছাপ দেওয়া জামার মতো,
নামাবলির মতো তোর নামের উচ্চারণে 
আমি আমার উচ্চারণে ইঙ্গিত দিতে চাই ভালো থাকিস ।
.
কথাগুলো মনে থাকে জানি 
সর্বত্র ছড়ানো এক উলঙ্গ অধিকারের বর্বরতা আর আহুতি 
আমার উলঙ্গ পিঠে যে চাবুকের দাগ,
যেগুলো স্পেস স্টেশান থেকে স্পষ্ট দেখা যায়
নাজকা লাইনের মতো। 
আমি ঠিক এমন চাই নি 
চেয়েছি এক মুক্তির আকাশ তারপর নির্ভেজাল পবিত্রতা 
তবু তুই , অন্যমনস্ক তুই , ক্ষুরধার তুই ,
কলকাতায় ইদানিং উবের ট্যাক্সির রমরমা 
তোর চলে যাওয়া 
আর কেউ যখন কিছু দেয় না,
সেটা না পাওয়ার মধ্যে একটা প্রাপ্তি আছে।

Monday, November 3, 2025

রাক্ষস জন্ম

একদিন কবিতারও বার্ধক্য আসে 
কবিতাও সময় পেরিয়ে ক্রমশ অগ্রসর হয় নতুনের কলমে 
একদিন ধমনীতে সময়ের  রক্ত ধীর হয়
গতি শ্লথ হয় সম্পর্কে শুয়ে থাকা অধিকারের। 
তারপর একদিন আমি কখন কবিতা থেকে বেরিয়ে পড়ি বনেবাদাড়ে 
তারপর কেন যেন  ঘন ঘন প্রেমে পড়ি অবেলায় 
তোমার কথা বলতে গিয়ে দূর নদীতে স্মৃতিরা মাঝি নৌকোয় 
টিমটিমে আলো  হয়ে দুলতে থাকে। 
.
তারপর কবিতা আসে 
তুমি  শান্ত, ক্লান্ত চোখে চেয়ে থাকো এ শহরের মানুষগুলোর প্রতি 
তারপর কখন যেন  গলার একদা টান টান চামড়ায়
লাভ বাইটের  ফিকে দাগ আরও ফ্যাকাশে হয়ে আসে।
বয়েস হলে, গনগনে কবিতারা ঠান্ডা হয়ে আসে
বিপ্লবী শব্দগুলো মিনিবাসে করে রোজ আপিসে যায়,
ক্যান্টিনে চা খায় একা একা
ইদানীং কবিতারাও মানুষ খোঁজে এ শহরে মানুষের মাঝে। 
.
তারপর কবিতারাও একা  হয়ে যায় 
আমার মতো রোজ অফিস থেকে  ফিরে চাল ধুয়ে ভাত বসায়   
আসলে একলা মানুষের  ছকভাঙা ছন্দগুলো
ঘাড় গুঁজে এ শহরে কবিতা হয়ে হিসেবে কষে অপেক্ষার। 
সত্যি হলো বার্ধক্য এলে, কবিতারা সাইকেল চড়তে ভয় পায়
অথচ একলা ঘরে, একলা অন্ধকারে ,একলা বিছানায় ভয় পায় না 
আমার মা বলে কবিতা বাঁচে রাজার মতো আর মরে কুত্তার মতো 
অথচ আমার রাক্ষস জন্ম মানে না এ কথা ,
কারম বার্ধক্য এলে কবিতার মৃত্যু ভয় কমে আসে
অমরত্বের ভয় চেপে ধরে তাকে
কিছু সহবাস ক্রমশ মুক্তি থেকেও তবু  মুক্তি খোঁজে 
কলমের নিবে কবিতার শব্দরাও ক্লান্ত হয় 
ক্লান্ত হয় মিথ্যে কথা। 
.
 রাক্ষস জন্ম 
.... ঋষি

Monday, October 27, 2025

দিওয়ানা

যেন কোনো অসহায় বিকেলে
সমস্ত দুঃখের  শব ব্যবচ্ছেদ হয় প্রকৃতির আকর্ষণে 
কিছু শিহরণ ছুটে যায় স্নায়ু বেয়ে ট্রাফিকস্যিগনাল ভেঙে ,
জমাট বাঁধতে চায় নিঃশ্বাসে অমোঘ ঘোর। 
কাল যদি খবরের কাগজের হেডলাইনে এক মৃত্যু লেখা হয় 
যদি লেখা হয় কবি তুমি প্রকৃতির প্রেমে পাগল দিওয়ানা 
তবে অবাক হবার বিশেষ কিছু নেই। 

যেন কোনো অসহায় বিকেলে
ঈশ্বরকে আজ  মনে হয় এক অপটু ইন্টার্ন
সদ্য ঘুম ভাঙা স্বাধীনতা আজ চলন্তিকার ঠোঁটে 
সমস্ত রাজপথ ,শহরের কোলাহল  হঠাৎ যেন এ শহরে নিস্তব্ধতায় 
শত সহস্র হুডিনি শেকল খুলে আজ যেন আমার শব্দরা 
আরেকবার জীবিত 
আরেকবার চলন্তিকায়। 
.
যেন কোনো অসহায় বিকেলে
মন ভালো নেই 
মন ভালো থাকে না লিখতে লিখতে যখন সকল কবিরা হাঁপাচ্ছে 
তাদের জন্য মোক্ষম দাওয়াই ছবির ভিতর ঈশ্বর 
আর এই  ঈশ্বরের ঘরে তোমার  কবিতা। 
খুশি-বিষাদ-হিংসা-দ্বেষ সব ছাড়িয়ে যাচ্ছে যে অনুভূতি  
মনে হচ্ছে হঠাৎ এক ট্রান্সপারেন্ট মুহূর্ত  জাপটে ধরছে সময়কে  
আমার হাতে কলম 
আজ  প্রানপণে বলছে আমি ভালো আছি 
চলন্তিকা ভালো আছে 
এক মুহূর্তের তার  হাসির  ঝলকে  আমি দিওয়ানা 
আর এই শহর আর ক্লান্ত নয়  যেন হাসিখুশি ভেনিস। 
...
দিওয়ানা 
ঋষি

Sunday, October 19, 2025

তাহাদের কথা

কারা ? 

.

কারা হাসে রোজ মোগলাই আর চাউমিনে? 

কারা আরও ভিখিরি দিন প্রতিদিনে। 

.

কারা কাজ করে?  কারা দেখায় কাজ করে

কারা সময় গড়ে?  কারা দেখে সময় গড়ায়

আমি তাদের কথা লিখি, আমি তাহাদের কথা লিখি। 


আমার শহরে কারা কাঁদে?

আলোকমন্ডিত প্যান্ডেলের গ্ল্যামারে  কারা ভাসে? 

বছর বছর সুখের অসুখ

শুধু স্বপ্নের দিন গোনা ক্যালেন্ডারে প্রতি মাসে । 

.

কারা ঘুমের বালিশে হারায় পথ মিনিবাসের ভিড়ে?

ভগ্নপ্রায় শহরের জানলায় চরা মেকআপে

কারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বপ্ন বাঁচাতে সংসার ঘিরে? 

কাদের দৃষ্টিতে দীর্ঘশ্বাস আর বিশ্বাস সুদিনের

এ শহর বাঁচে কিন্তু মরে হাজারোবার প্রতিদিনে ?

.

আমাদের প্রবল উদযাপন,

একাকিত্ব মধ্যবিত্তের, আনুগত্য গোপনীয়তার

আমাদের সুখের অসুখ আর দিনযাপন। 

এক শহর উষ্ণতা ছুঁয়ে কারা হাতে  হাত দিয়ে বসে

কারা দেখে ?কারা হাসে? ভালোবাসে কারা?

কারা মনমিলান্তি খেলা করে ময়দানের ঘাসে।

.

কারা উদাসীন আমাদের সশব্যস্ত শহরে?

সম্পর্কের ফুটপাথে কারা দাগ টানে বাঘবন্দি খেলা?

কারা পোশাক পরেও উলঙ্গ শহরের পথে 

কারা পোশাক ছাড়াও রাজা এ শহরে সারা বেলা ? 

কারা কবিতা লেখে?  কারা কবিতা রক্ত দিয়ে লেখে

আমি তাদের কথা লিখি,আমি তাহাদের কথা লিখি

যাদের না লিখলে এ শহরে দিনবদলায় না।


তাহাদের কথা

ঋষি 


Wednesday, October 15, 2025

অ নি শ্চ য় তা



কি অনায়েসে ভাগ হয়ে যায় মানুষগুলো
ভাগ হয় দেশ, ভাগ হয় সম্পর্ক,ভাগ হয় ইতিহাস
হিস্যা বয়ান করার জন্য ভাগ হয় মা, বাবা 
অনায়েসে ভাগ হয়ে যায় উপাসনালয়,
ফুটবল মাঠ থেকে পুরনো জমিদারি,সময়ের হাঁড়িকুঁড়ি 
সবার মাঝে ভাগ হয়ে যায় ঈশ্বর 
ইদানীং তো প্রেমাংশু আর প্রিয়ংবদারও ভাগের সংসার।
..
ভাগাভাগি হয়ে যায় সরিকি বাড়ির হেঁসেল,
ফুটপাথে হকারির টেবিল, নেতাদের হিস্যা
উঁচুতলার কুর্সি থেকে নিচুতলার রুটি
আম থেকে আমসত্ত্ব,  
অনায়াসে দেওয়াল ওঠে জীবনে
ভাগ হয়ে যায় সম্পর্কের পুকুর আর বাঁশবন
ভাগ হয় মি-টু,  উই-টু আর লাল নীল আকাশ।
.
সমস্ত ভাগ হয়
তবু ভাগ করা যায় না মনের মানুষ
তবু ভাগ করা যায় না স্বপ্নের মুহুর্তের গন্ধগুলো।
ছেলে বেলায় রামদিন ফকির বলতো 
হামলোগ খুদাকে বন্দে হ্যা
লেকিন খুদাকে হিস্যেমে ভি লকিড় খিচতে হ্যা। 
আসলে অনায়াস এই ভাগাভাগিতেই আমরা জীবন্ত
কবিতার ভাগে তো ইদানীং বেবুশ্যা লেখা হয়
সময়ের কালিমায় শব্দরা সীমানার ভাগাভাগিতে।
সত্যি হলো,  জানি না আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে
তবু তোমাদের মুখে আমার শোনা
হ্যাম সাথ সাথ হ্যা,
তবু  কোন গোপন মুহুর্তে তোমার ঠোঁটে শোনা
আমি তোকে কাউকে দেবো না
না ভাগ,না যোগ, না বিয়োগ
সবটাই আমার। 
.
তবে আমি জানি ভাগের পৃথিবীতে জীবন ভগ্নাংশের
আর তার প্রতিটি অংশে লুকিয়ে অনিশ্চয়তা। 
.
অ নি শ্চ য় তা
...ঋষি 

Thursday, October 2, 2025

শেষ শব্দটা

শেষ শব্দটা 
... ঋষি 
.
শেষ শব্দটা লিখতে লিখতে ইদানিং এক  বিষন্নতা 
একে একে শেষ হওয়া প্রতিবাদ ,প্রতিফলন ,অভিমান 
কিছুই স্থির হয় না এক জীবনে ,
বাড়তে থাকা দূরত্ব ,ক্রমশ এগিয়ে আসা নৈকট্য 
মৃত্যু ,জন্ম ,ভয় কিছুই ফুরোয় না। 
.
বছরান্তে সেই কাশফুল,মায়ের মুখ ,ধূসর হতে থাকা স্মৃতি 
হাজারো ভুলের মাঝে একলা দাঁড়িয়ে দেখি 
পৃথিবীটা চলছে চলন্তিকা  ,
শুধু থেমে যাওয়া মুহূর্তে নিরন্তর কিছু আকুলতা 
কাঁচের গা বেঁয়ে গড়িয়ে নামা বদলানো কেউ 
ভালো লাগে না কিছুই ,
তবুও বলা ভালো থাকতে হবে কোনো কবিতার মতো 
চিরদিন তো আমি শুধু সত্যি হতে চেয়েছিলাম। 
.
বড্ড ব্যস্ততা মোড়া এই পৃথিবীতে কেউ দাঁড়ায় না 
সকলেই শুধু এগিয়ে যাওয়ার জন্য হাত বাড়ায় 
সাদা কালো দিনের মতো কিছু মুহূর্তরা স্থির 
কিছু অস্থির 
হাজারো মুখের মিছিলে ,কিছু মুখে শুধু অপ্রাপ্তি 
কিছুতে অশান্তি। 
এইবার একলা পরে থাকা সব পুজোমন্ডপ  
রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড ,মায়ের সিঁদুর মাখানো মুখ 
সব হারাবে ,আবার হয়তো বদলাবে মুখগুলো 
কিছুই দাঁড়াবে না 
থামবে না 
শেষ শব্দটা লিখতেই হবে ,
তবুও তো চলন্তিকা তোমাকে বলতেই হবে শুভ বিজয়া 
বলতেই হবে তোমাদের ভালো থেকো সকলে 
শুধু মানুষের অপেক্ষেরা বদলাবে না।

Tuesday, September 23, 2025

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম
তবুও কই জীবন পেলাম না
সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম
শরীর, মাংস সব পেলাম
 তবুও সেই মানুষ পেলাম না। 
.
অথর্ব হাহাকার
এক সন্ধ্যায় কবিতার পাতায় চলন্তিকাকে লিখেছিলাম
হয়তো স্বপ্ন হয়তো আশায় 
চলন্তিকায় বেঁচেছিলাম,
তারপর সে এলো, রৌদ্র এলো বুকে
অথচ গত রাতের বৃষ্টির জমা জলে সব ভেসে গেলো 
তারপর আজ সন্ধ্যায় আবার ষোলোকলা পুর্ণ
বুঝেছিলাম অনেকদিন 
আজ আবার নতুন করে জানলাম
বৃষ্টির ঝাঁপটায় চলন্তিকা ঝাপসা হলো। 
.
ও জীবন রে
ছাড়িয়া জাস নে মোরে,
এ কি কথা ? 
তথাপি সব কথা সবাইকে বলতে নেই
তথাপি সব সব কথা আমাকেও বলতে নেই
তথাপি একলা বৃষ্টিতে সবাইকে ভিজতে হয়
তথাপি বিশ্বাস করতেই হয় জীবন। 





Wednesday, September 17, 2025

কাটাকুটি

নিমেষে ভাবনার রং ক্রমশ সাদা ফ্যাকাসে 
কোনটা নির্মুল কোনটাই বা মূল 
ভাবতে ভাবতে চল্লিশের চশমায় চালশে,
যোগ সংকেত,মায়া,ফ্রেম সহ মালা ঝোলানো ছবি
সম্পর্কের দাগে অজস্র কাটাকুটি,ভুলের গল্প
বদলানো কবিতায় রাস্তার পার্কিং-এ ভালোবাসা ঘুমিয়ে
সামনের জেব্রা ক্রসিং ওপারে গন্তব্য। 
.
ভালোবাসা কারণ হলে সম্পর্ক সংংবিধান
ভালোবাসা ভালো রাখা হলে সম্পর্ক আকাশের পাখি
অথচ অমুকের কবিতা তমুকের বিশ্লেষণে
লাল কলমের নিবে শরীর এসেই পরে,
তারপর শহরের মরশুমে কেমন জানি একলা সেই গল্প
একলা হারাবার গল্প
পকেট থেকে ঝরতে থাকা প্রতিদিন। 
.
ঋতু গড়িয়ে, বছর গড়ায় 
চামড়ার কোলাজে কেমন জানি একলা সম্পর্করা
আসলেই সকলেই জোকার নিজেদের সার্কাসে
শুধু জায়গা বদলায়, বদলায় তাঁবু। 
ভালোবাসা একলা হলে নখ দিয়ে খুঁতখুঁত করে হৃদয়
আকাশের দরজায় একলা দাঁড়িয়ে সেই মানুষ
খুঁজে নেয় বোঝাপড়া 
তারপর মিসিং লিংক আর  সেই পুরাতন ইতিহাস
মানুষ হওয়ার গল্প
সম্পর্ক আসলে ইনফ্যাচুয়েশন
আর ভালোবাসা হলো বারংবার কমবেশি প্রাক্তন। 
.
কাটাকুটি 
....ঋষি 

Saturday, September 6, 2025

হ্যালো টেস্টিং

হ্যালো টেস্টিং, হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো
শুনতে পাচ্ছিস, সরি শুনতে পাচ্ছেন
আপনাকে, তোমাকে, তোকে দূর থেকে ভালোবেসেছি
ভেবেছি ভেতরের ঘরটা শুধু আমার
ধুর এ কবিতা প্রেমের নয়
এ তো সময়ের মতো জালি,
এখনও বুঝতে চাইছি অমরতা না মৃত্যু কোনটা কাম্য
তুমি ভালো কথা বলতে পারো
তবু তুমি সাধারণ কারণ আমাদের কথা ফুরিয়েছে। 
.
হাততালি, হাততালি,হাততালি
ছায়া মানুষ কিংবা মানুষের পাশে ছায়া 
দু চারটে লারেলাপ্পা গান 
একই সুর, একই তান 
আমরা তো ভালোবাসার চিৎকার শুনি না। 
কারণ ভালোবাসলে চীৎকার করতে নেই
বলতে নেই
শুধু অপেক্ষার কড়ি জমাতে জমাতে মরতে হয়
মরে যেতে হয়।
.
ডাক্তার বলেছেন নিয়মিত কুলেখাড়া খেতে
শরীরে নাকি রক্তাল্পতার প্রথম সূচনা, অধিক নয়
ডাক্তারকে ঈশ্বর ভাবার দেশে
আমার ঈশ্বর তুমি,
একটা মৃত্যুমুখী সম্পর্কের সাথে শুয়ে
ভাবতে ইচ্ছে করে না কুলেখাড়া নিরাময় আনে
বরং বলতে ইচ্ছে করে
বদলানো তুমিটা কবে আমার সাথে ভালো থাকবে ? 
আর আমি কবিতায় আবারও লিখবো
চলন্তিকা আমার প্রেমিকা।
.
হ্যালো টেস্টিং 
ঋষি 

Friday, August 22, 2025

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না
মাঝরাস্তায় ইদানীং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি
ভুলে যায় নিজের ঠিকানা
তারপর হঠাৎ ভুলে যাওয়া থেকে একলা দাঁড়িয়ে বুঝি
ভুল আর ঠিকের মাঝখানে ভালোবাসা দাঁড়িয়ে
সে যেন নিশ্চল পাথরের প্রতিমা। 
.
রাত তিনটের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঠাই আমি বৃষ্টি গুনি
আমাদের হিমেল সময়গুলো মুছে যায় 
বড্ড ভ্যাপসা লাগে,
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ইদানীং নিজেকে বেমানান লাগে
মনে হয় তোমাকে ভীষন অচেনা। 
চেনা আর অচেনার গল্পের মাঝে সময় চিৎকার করে
দাঁত নখ নিয়ে মৃত মুহুর্তরা ছোঁক ছোঁক করে
রাধে বাড়ে,
আমার মুখে দুমুঠো খিস্তি তুলে দেয়। 
.
আসলে খিদেরা বড় অদ্ভুত
বড় অদ্ভুত তোমার প্রফাইলে বদলানো চরিত্ররা
তুমি অস্থির, 
তাই ইদানীং তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না।
.
যে বীজে ঝপ করে অসুখ চেপে ধরে
যে বীজে আঁতুড়  থেকে মৃত্যু  খেলা করে
সেখানে তোমার পাশ বদলায়, মাস বদলায়, বদলায় সময়,
চিনে জোঁকের মতো আমার স্বভাব 
পরিণত অভাব 
দাঁড়িয়ে তোমার রাস্তায়
সম্পর্ক আর যন্ত্রনা সেখানে অসহ্য অথচ অসহায়
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না ইদানীং। 
.
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
... ঋষি 

Friday, August 15, 2025

ইনকমপ্লিট



এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন, 
যেমন তোমার শরীরের তিলগুলো এক একটা পাখি 
যেমন স্বাধীনতার মানে ইদানীং শ্বাপদের অধীনতা
যেমন বৃষ্টিবহুল কফি কাপে উল্টো চেয়ারে স্বপ্ন
যেমন বহুবার তোমার শরীরে কলকাতা আঁকা
যেমন কলকাতার রাস্তায় রক্তাক্ত তিলোত্তমা। 
.
আসলে আমাদের কোনও দরজা ছিল না কোনদিন
আসলে আমদের মাঝে খুব কম মিল,
তবু মেক মাই ট্রিপে আমাদের আগামীর অভিযান
আসলে আমার দানা দানা চিনির মতো মুহূর্তগুলো
সব দূরে এঁকেবেঁকে চলা ইনকমপ্লিট এজেন্ডা
সব জমিয়ে রেখেছি
এইমুহুর্তে তোমার আবৃত্তির কন্ঠে
" দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে!
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার॥ "
.
এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন 
যেমন আমার দেওয়ালে টাঙানো ফাঁকা ফটোফ্রেম,
যেমন এই শহরের রাস্তায় জমতে থাকা জল
যেমন কবিতার কলমে উপছে পড়া প্রতিবাদ
যেমন বোকার সাজে তোমার দিকে তাকানো।
এ যেন হারানো, সাজানো বিপ্লব 
এ যেন তোমার দুই স্তনের মাঝে একলা এই দেশ
এ যেন কনডোমে মোড়া সমাজের সতীত্ব
এ যেন তেরঙ্গা মোড়া সত্যির মৃতদেহ
রেডরোডের মৃতদেহের শাসন।
নিরাপত্তার অধিকার
আশ্র‍য়
খাঁচা
সব ইনকমপ্লিট
ইনকমপ্লিট সব।
.
ইনকমপ্লিট
... ঋষি 

Sunday, August 10, 2025

নিস্তব্ধতা

নিস্তব্ধতা ভীষণ স্পষ্ট হলে 
ঝড়তে থাকা রক্তবিন্দুগুলো তুমি হয়ে যাও
একের পর এক প্রহসন 
ক্লাইমেক্সে সেই জোকারটা হাসতে থাকে
শুধু হাসতে
কিন্তু কেউ জানে না তার কান্নাগুলো তুমি হয়ে যাও
তুমি হয়ে থাকো তোমার সংসারে। 
.
বুঝতে পারি না কিছুতেই বিষাদের গল্পগুলো
শুধু মনে হয় তলিয়ে ভাবি নি,
তোমার বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে মেরুদন্ড নিষ্ক্রিয় 
ঘরের সিলিংএর দিকে তাকিয়ে দেখি বন্ধ আকাশ
আর আমি অন্ধ
তোমার ব্যস্ততায় আমি জোকার সেজে থাকি
তবু মানি আত্মহত্যা মহাপাপ। 
.
সাজানোগোছানো এই কিংবদন্তী জানি
কিন্তু জানি না তুমি সংসারী না ক্লিওপেট্রা
হাজারো কবিতা যেখানে ভালোবাসার গান গায়
সেখানে দানা দানা আশ্চর্য শীতল শরীর।
এই তো কিছুক্ষন, তারপর তুমি ভুলে যাও 
আমি হাসতে থাকি তোমার দিকে তাকিয়ে
আর তুমি ব্যস্ততায় রেঁনেসা। 
এইসব কথা কতবার লেখা যায়
কতবার নিস্তব্ধতা ভোলাতে চীৎকার করা যায়
বদলানো যায় নিজেকে সার্কাসের তাঁবুতে,
একের পর এক রঙের প্রলেপ
একের পর এক মুহুর্তগুলো
অসহ্য
অসহ্য এই নিস্তব্ধতা। 
.
নিস্তব্ধতা
... ঋষি 

Friday, August 1, 2025

আর্তনাদ

একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
ভীষণ অপ্রাপ্তি
দুয়ারে মেঘ এসে হানা দেয় কারণ অকারণ
অনবরত লোভ,
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদ্যুৎ চমকায়
মেঘ তুমি কার?  আমার?না  দুর্বলতার? 
না সময়ের? 
নাকি যে প্রশ্নগুলো তুমি এড়াতে চাও? 
.
সাক্ষী জীবন সবুজ পাতার মতো বৃষ্টির জলে
অনিবার্য বৃষ্টি জানি অকারণ চোখের জলে
জল তুমি কার? 
আমার?  মেঘেদের?  না দুর্বলতার? 
গা হিম করা ছুটির দিনগূলো তুমি ব্যস্ততায় নিয়মিত
আর আমার ব্যস্ততায় কতগুলো প্রশ্ন ঘোরে ফেরে
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদুৎ চমকায়
চমকায় তোমার ঠোঁটের আস্পর্ধা ।
.
একটা আর্তনাদ সময়ের পাতায়
নিউক্লিয়ার ওয়েপনের মতো তোমার চোখের দৃষ্টি
ব্যঙ্গাত্মক কিছু আলাপন,
ঝড় ওঠে, বুকের ভিতর আবহদপ্তর জানান দেয়
আগাম সতর্কতা সমুদ্র উপকূল এলাকায়
গভীর সমুদ্রে যাওয়া মানা। 
প্রশ্ন করি, সমুদ্র তুমি কার? 
গভীরতার?  নোনতা জলের? না দুর্বলতার? 
প্রশ্নগুলো অমীমাংসিত থেকে যায়, উত্তর আসে না
শুধু  একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
কারণ তুমি বৃষ্টির জলের দিকে তাকালে
ইদানীং বৃষ্টির জলও রক্ত হয়ে যায়। 
তবুও আমি সমুদ্রকে ভালোবাসি, বারংবার ছুটি
সমুদ্রের গলা জলে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি
স্রোতেরা আসে, আবার দূরে  চলে যায়
আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে 
আর কি চাও তুমি? 
এবারতো একটু হাসো। 
.
আর্তনাদ
.... ঋষি 




Thursday, July 31, 2025

বড় একলা লাগে

বড় একলা লাগে
... ঋষি 
.
হাসছি আমি কারণ হাসতেই হবে
যেমন  করেই হোক ভালো থাকতেই হবেই
ক্রমশ ফুরিয়ে চলা বর্ণসুখ, ক্রমশ বিরক্তির বৃষ্টি 
কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, কোথায় বা চলেছি
কিছুই জানি না
শুধু দিন কেটে চলে নিয়মিত,
তবে নিয়মিত আর তোমার রিংটোন আর বাজে না
বাজে না আর সময়ের মুহুর্তের সাথে থাকাটুকু। 
.
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যস্ত পৃথিবীতে আমিই বেকার
তোমাকে একথা বললেই
ইদানীং থলের বেড়ালটা রাগে বেড়িয়ে গোঁফ ফোলায়,
সমস্ত সময় জুড়ে  যখন সকলেই মাংস গিলতে ব্যস্ত 
তখন  মৈথুন হলো হায়না আর হায়নারাই বিপ্লব। 
সেখানে একফালি আমার নিরামিষ বিপ্লবে
বৃষ্টি আসে, আমায় ভেজায় নিয়মিত
কিন্তু ব্যস্ত তোমাকে আর ভেজাতে পারে না । 
.
আমার শব্দরা কখন যখন তখন  কবিতায় ভাসে
ভাসে বিছানার চাদরে আমার চলন্তিকা একলা বুকে
সেখানে জামা কাপড় খুলে চরিত্ররা প্রকাশ্যে ইদানীং 
সেখানে গীটারের স্ট্রিং ছিঁড়ে যায় বারংবার
জানি সত্যি বলতে নেই 
তবু বলি, বড় একলা লাগে ।
সমস্ত খুন, সমস্ত প্রতিশ্রুতি, সমস্ত মানুষ, তুমি
যখন আরও ক্রমশ আরও দুরে সরে যাচ্ছে
যখন পৃথিবীর রঙের রঙিন দূরবীনের কাঁচটা
আরও অসচ্ছ
তখন ভীষণ ভাবে ভাবতে ইচ্ছে করে 
ভালোবাসা আসলে রঙিন পোশাকেই সুন্দর।
.
 

Friday, July 25, 2025

কেন৷? কবিতা

কেন ?  কবিতা
..ঋষি 

যারা মাথার উপর কবিতার বই নিয়ে ঘুমোয়
লোকে বলে তারা আসলে বোকা,
কবিতা লিখে কি হয় ? 
দুমুঠো ভাত রোজগার করতে যখন পায়ের ঘাম মাথায়
তখন কবিতা লেখাটা নিতান্ত একটা অপরাধ
আর সেখানে কবিতার বই কেনা টাকা নষ্ট
শুনলেই মনে হয় এ যেন নষ্ট কবিতা।
.
লোকে বলে মানুষ হেরে গেলে কবি হয়ে যায়
কিন্তু আমি জানি কবিরা হারে না,
লোকে বলে কবিতা নাকি মানুষের এক মতিভ্রম
কিন্তু আমি জানি কবিতা হলো জীবন,
যখন দূরে কোন গাঁয়ের রাতে কোনো শিশু না ঘুমোলে
মারাতো কবিতাই বলে 
মনে নেই 
আয় ঘুম আয়,দত্ত পাড়া দিয়ে। 
.
এবার আমি সোজা কথায় আসি
হ্যা আমি কবিতা খাই,কবিতায় ঘুমোয়, কবিতায় বাঁচি
হ্যা হয়তো আমি পাগল
আমি পয়সা বাঁচিয়ে কবিতার বই কিনি
আমি নবারুন,সুনীল, শক্তির কলম গিলে খাই
কারণ আমি জানি কবিতা সময় লিখতে পারে
কবিতাই পারে সময় কে জীবন্ত রাখতে এই এটলাসে।
ঠিক কথা কবিতা লিখে পয়সা নেই, সন্মান নেই
কারণ কবিরা কখন ব্যাবসায়ী হতে পারে না
হতে পারে না কবিরা কখন ধান্দাবাজ।
কখন কোন কবি কোন নামের জন্য কবিতা লেখেন না
কখন কোন সত্যি কবি মঞ্চের জন্য কবিতা লেখেন না
কবিরা কবিতা লেখেন নিজের রক্ত দিয়ে আকাশের গায়ে,
কবিরা কবিতা লেখেন নিরন্তর সময়ে দায়ে
শুধুমাত্র সময়ে জন্য 
শুধুমাত্র মানুষের প্রতিবাদের জন্য
শুধুমাত্র সময়ের ক্ষতের উপশমে
প্রতিটা মানুষের জন্য আগামীর কল্যানে,
সে যদি কেউ বলে কবিতা নষ্ট
তবেও আমিও.......  







Tuesday, July 22, 2025

বারুদ

একটা দেশলাই
অসংখ্য খুন, জখম, আর ডি এক্স, বন্দুকের নল
একটা আজব দুনিয়ায় আমরা 
নো সিকুউরিটি, নো রেসিস্টেন্ট 
শুধু দিন কাটানো, ঘুমন্ত বারুদের উপর বাস 
কে কখন কিভাবে ? ইন্সিডেন্ট না কোইন্সিডেন্ট? 
আসলে মানুষগুলো ভুলতে ভুলতে আগুন জ্বালাতে ভুলে গেছে। 
.
বুকের ভিতর বারুদের স্থুপ
ইচ্ছে করে সিগারেটের সাথের দেশলাইটা হারাই বারংবার
যদি কেউ কুড়িয়ে পায় 
যদি কোন নাম না জানা বিদ্রোহ দপ করে জ্বলে ওঠে
যদি খবরের কাগজের জ্বলন্ত পাতাগুলো আগুন জ্বালায় সাধারণ মানুষের  শরীরে
যদি, যদি যদি....... 
.
এমনিই জেল,হাসপাতাল, সরকারী স্কুল
সব নির্মিত মহান আয়তন দেখা হয়ে গেছে
এই তো গতকালই দেখে ফেললাম ধর্মতলার অধর্ম
পাগলাগারদও দেখা হলো, 
দেখা হলো মৃত বিপ্লব  নামের বইটা ধান্দাবাজ দালালের হাতে।
সত্যি হলো ভীতু মানুষের দুনিয়ায় এই সভ্য শহরের ঠিক মাঝখানে
চিৎকার করছে সেই সব ধর্ষিত বিচারহীন মেয়েগুলো
যাকে আমরা ভুলে আছি
অসংখ্য গাছে, গাছে সভ্যতা নিপীড়িত মানুষগুলো
হ্যা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে 
আসলে আমরা তাদের ভুলতে চাইছি, 
অথচ তাদের মাঝখানদিয়ে কে একজন জানি আমাকে বারংবার  বলছে
জোনাকি মেখে ভালো থাকতে এলে তুমি মানুষ
কবিতা লিখে তুমি আদিখ্যেতা করছো
দেশলাইটা দেও না একবার জ্বালিয়ে
আর একটু পেট্রোল
তোমায় দিয়ে আর কিছু হবে না হে.... 
.
বারুদ
... ঋষি 



Friday, July 18, 2025

দুজনে

সংসার একটা রঙিন ক্যানভাস
রঙ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে চরিত্ররা মেঘেদের ভাষা
এক অজানা পূর্বাভাস কিংবা অথৈ প্রবাহ
এক বেহিসাবি বিজ্ঞাপন মিশতে থাকা থিতু অন্ধকার। সময় বিভাজনের গতিসূত্রে  আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা বশীকরণ 
এক অধিকারের মন্ত্রে তারা দুজন 
তারপর দু:খ, সে তো প্রবাহমান। 
.
সভ্যতা আগুন খুলে দাঁড়িয়েছে এই মুহুর্তে
আমি অফুরন্ত ভয় মেখে মেঘেদের আব্বুলিশ বলেছি বলেছি, অপেক্ষা ফিরিয়ে দিতে নেই
ঠিক যেমন মেঘ ভাঙলে বৃষ্টি। 
টেপজামা গলিয়ে,  পাউডার মেখে সেই মেয়েটা
তার গায়ের গন্ধে ইদানীং ভীষণ বিরক্তি
তবু সেই মেয়েটা আজ, তারা দুজনে
আবার সেই সংসার। 
.
'দিগন্তরেখা আরও ম্লান হচ্ছে তখন
ক্রমশ মেঘেরা ফিরিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে দুজনকে,
বাইরে সেদিন বৃষ্টি হবে
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ গাছটাও মাথা উঁচু করে বলবে
বাঁচতে চাই
ভালো থাকতে চাই। 
এক আশ্চর্য মুহুর্তে তাদের সংসারগুলো মিলিয়ে যাবে
খল, কপট, পাশা, দিনবদল
বিশ্বাস কমবে, বৃষ্টি বাড়বে,ঝড়ের তেজে কালো মেঘ
ব্যালকনির দরজাটা একবার খুলবে আবার বন্ধ হবে
সংসার পালাবে।
 তখন তাদের সারা শরীরে তখন নোনতা আকাশ 
বোধহয় সেদিন খুব বৃষ্টি
তারপর আবার তারা নতুন আর সংসার
দু 
জ 
নে।
.
দুজনে
... ঋষি 

Saturday, July 12, 2025

শব্দদ্রোহ

স্বপ্নের গভীরে বারান্দায় কাঁচের একলা অ্যাকুরিয়াম
মাছেদের জ্বর 
আমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো পরম যত্নে ,
অন্ধকার রাতের কুকুরগুলো অযথা চিৎকার করে উঠছে এই সময় 
সদ্য প্রাকটিস করা আবৃত্তির শব্দরা ভিক্ষা চাইছে  
ভিক্ষাং  দেহি 
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো অনেক চেষ্টার পরেও 
আমি কুকুর হতে পারি নি । 
.
অদ্ভুত এই মরুভূমির রাতে দূর থেকে শোনা যায় আছি তো 
ফিসফিস কর উষ্ণতারা আর কথা বাড়ায় না 
ইদানিং শোনা যায় এ আই নাকি কবিতা লিখবে 
কিন্তু চলন্তিকা  ? 
এক বহুতল বাড়ির কাঁচের বয়ামে একলা সেই প্রজাপতি 
আমি কাঁচ ভাঙবো কিনা জানি ,নিজেকে পারবো। 
রোবট নয় কোনো আদিম আবৃত্তির মতো  
তবু তোমার মতো কিছুতেই হবে না জানি। 
.
কেউ জানে না এমন নয় ,আবার সকলেই জানি তাও না 
অসংখ্য দুঃখী ,হতাশ ,বাতিল মানুষ 
তাদের শতজীর্ণ কাপড় ,বিছনা ,তুলোর  বালিশ ,মাদুর 
কি করবো  ?
তোমার পাশে দাঁড়াবো ,না তুমি আমার পাশে 
তুমি শুয়ে থাকবে বুকে ,না আমি ? 
এইসব শুধু  সময়ের  নিঃশ্বাসে একসঙ্গে কথা বলে 
অথচ যা আমি লিখি তা উচ্চারণে শব্দদ্রোহ আমার জিহ্বায়। 
.
শব্দদ্রোহ 
... ঋষি

Sunday, July 6, 2025

ন হন্যতে

আমরা অনেকদিন গল্প করিনি
উঠোন-রোদে-বৃষ্টিতে ভিজে পাশাপাশি দাঁড়ায় নি আমাদের কথা ছিলো, নন্দন ,গড়ের মাঠ, কবিতার মঞ্চ
সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে, 
এক পর এক পাটিগণিতে ভুল, এক একটা বিপ্লব 
কে যেন বলেছিল একবার, প্রকৃতির কাছে সব উত্তর
কিন্তু আটপৌরে আকাশ জুড়ে আজ শুধুই রোববার, অথচ আমি ঘড়ির কাঁটার অপেক্ষায়
একটা রোববার, পেট ভরে মাংস ভাত আর তুমি। 
.
স্কুলের দেওয়ালে চুপিচুপি লিখেছিলাম প্রথম প্রেম
লুকিয়ে প্রথম সিগারেট প্রথম টিউসনের পয়সায়
আসলে উদযাপন আর দিনযাপনের তফাৎ
একটা গোটা জীবন কেটে যায় একটা মানুষকে বুঝতে
সেখানে প্রেম? 
কোনো এক আষাঢ় দিনের ভিজে চলা চুপকথা
না চাপা থাক বুকে,
আজ না হয় বেমানানের লিস্টে স্তব্ধটা বাড়ুক
আর বাড়ুক প্রসেস আর সিস্টেমের ডিপ্রেশন।
.
আমরা অনেকদিন গল্প করিনি
ঝালমুড়ি-আইসক্রিম আর স্মৃতির অভিযোজনে
বদলাতে বদলাতে সময়ের খবরগুলো সব একইরকম
বারংবার ধর্ষন, হিংসা, ধর্ম, রাজনিতী
যোনি লিখতে লিখতে আমরা সময়ের তলপেটে
প্রতিবাদ ইদানীং লজ্জা পায় এই সময়
যা হচ্ছে, যা ঘটছে কিংবা ঘটবে সবটাই আঁশবটি
ঘচাং ফু
সুতরাং দেশ, সময় ভালোবাসার গল্পের নাম ন- হন্যতে।
.
ন হন্যতে
... ঋষি 

Friday, June 27, 2025

নিরুপায়

আগুনের থেকে ধিকি ধিকি জল্লাদ বুক 
ক্রমশ পরিধি পেড়িয়ে নিজেকে বোঝানো
নীরবতা একলা শব্দের প্রতিধ্বনি 
আর আগুন সে চিরকাল গোপন নারী। 
.
মৃতদেহ পোস্টমার্টনে কিছু জানা যায় নি
জানা গেছে আগুনের থেকে আত্মার গতিতে
আমরা সকলেই নিরপরাধ ক্রোমোজম 
জট খুলছে মাথার ভিতর, খিল্লি করছে একান্নবাহান্ন
সম্পর্কের সত্যি মানেটা চিরকাল স্তৈন্য। 
.
ক্লিভেজ থেকে হঠাৎ খবর আসছে কবিতা
আগুন যেদিন পুড়িয়ে দেবে আমায় সেদিন জানিও
ভালোবাসা সত্যি একলা আগুনের নাম 
আর ভালোবাসার ঝলসানো মুখটা নিরুপায় মৃত্যুর। 
.
নিরুপায়
... ঋষি 

কিছু বলার নেই


খবরের কাগজের এক ফালি রোদ্দুর এসে পড়ে সময়ে
পাশের গলিতে সদ্য বৃষ্টিতে জমতে থাকে জল 
সে মানুষের ঘাম নাকি কান্না 
বুঝতে বুঝতে বেলা ফুরিয়ে যায় ,
ফেলে আসা সময়ে আধো আঁধারি ঘুমের ভিতর 
বারান্দা দিয়ে দেখা উল্টোনো পৃথিবীর ভিতর 
বয়স্ক সময়ের অম্বল আর হেঁচকি বলে দেয় 
আমার আর কিছু বলার নেই। 
.
জোর করে লেখা কবিতার মতো ছত্রভঙ্গ বিরক্তিতে 
ইদানিং শুয়ে থাকে তোমার যোগাযোগ বিহীন বর্ণমালারা 
তারা সবাই জুড়তে থাকা ম্যাজিক ক্রমশ কতগুলো শব্দ পাশাপাশি 
কখন যেন লেখা হয় অবিকল  " ভালো লাগছে না কিছুই"। 
সময়ের পুরোনো টায়ার আর বর্ষার বৃষ্টিতে জল-জমা বিষন্নতা 
হঠাৎ আমাকে উপলব্ধি করায় আজ আর কোথাও যাওয়ার নেই,
উপলব্ধি  বলে যায় নীরব অভিমান 
আবার কিছুটা উত্তাপ শুষে নিতে হবে পরিচিত শরীরের থেকে
শুধু ঘোলাটে আকাশের দিকে চেয়ে
বোগনভিলিয়া ফুল মাথা দুলিয়ে চলে
কখনো লাল, কখনো সাদা
আজ কেন এত নিস্তব্ধ জনকলরববিহীন  চারিধার ?
.
কিছু বলার নেই 
ঋষি

Tuesday, June 24, 2025

এই শহর


.
কেউ খুঁজছে না ,কেউ খুঁজবে না 
কেন পুরোনো সরকারী স্কুলের দালানে ইদানিং জ্বলে বিষণ্ণ বাল্ব 
কেন  কোনো বিখ্যাত কবিকে  
না খেতে পেয়ে মরতে হয় ,
কেনই বা বাবা মায়ের আদরের পুতুলকে আজ নিজেকে বাঁচাতে 
রাস্তায় দাঁড়াতে হয়,
কেনই বা বাড়তে থাকা সম্পর্কের দূরত্বেরা একাকিত্বে একলা ডিমলাইট 
এ সব কেউ ভাবছে না ,এসব কেউ ভাববে না 
এ সব অবাধ্য প্রশ্ন গঙ্গায় ছোঁড়া কয়েনের মতো তলিয়ে যাবে রোজ 
তবু শহর দৌড়োবে ,শহর মরে যাবে । 
.
কেউ খুঁজছে না,কেউ খুঁজবে না 
কেন অন্ধ বাবাকে নিয়ে একলা মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নীরব বাসস্ট্যান্ডে 
বাসের আশায় 
কেন কারখানায় কাজ করতে করতে হঠাৎ কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে 
তার পরিবার না খেয়ে মরে ,
কেন একটা প্রজন্ম বুড়ো হয়ে গিয়েও চাকরীর খোঁজ করে 
কেন কোনো ইউনিয়নের নেতা কোনো পরিশ্রম ছাড়া ঘুমোয় 
কেন কবিতার তাজমহজলে আজ কবি নয় শকুনের বাস 
কেন বা দরিদ্র ,ক্ষুদার্থ মানুষের সাধের দেশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে 
এ সব অবাধ্য প্রশ্নগুলো মানুষের বুকে মানুষই পিষে মারে 
তবু এই শহর  বাঁচে রোজ আবার মরে বাঁচার আশায়।
.
এই শহর
........ঋষি 

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি ফেরা আর না ফেরা...