Tuesday, September 23, 2025

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম
তবুও কই জীবন পেলাম না
সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম
শরীর, মাংস সব পেলাম
 তবুও সেই মানুষ পেলাম না। 
.
অথর্ব হাহাকার
এক সন্ধ্যায় কবিতার পাতায় চলন্তিকাকে লিখেছিলাম
হয়তো স্বপ্ন হয়তো আশায় 
চলন্তিকায় বেঁচেছিলাম,
তারপর সে এলো, রৌদ্র এলো বুকে
অথচ গত রাতের বৃষ্টির জমা জলে সব ভেসে গেলো 
তারপর আজ সন্ধ্যায় আবার ষোলোকলা পুর্ণ
বুঝেছিলাম অনেকদিন 
আজ আবার নতুন করে জানলাম
বৃষ্টির ঝাঁপটায় চলন্তিকা ঝাপসা হলো। 
.
ও জীবন রে
ছাড়িয়া জাস নে মোরে,
এ কি কথা ? 
তথাপি সব কথা সবাইকে বলতে নেই
তথাপি সব সব কথা আমাকেও বলতে নেই
তথাপি একলা বৃষ্টিতে সবাইকে ভিজতে হয়
তথাপি বিশ্বাস করতেই হয় জীবন। 





Wednesday, September 17, 2025

কাটাকুটি

নিমেষে ভাবনার রং ক্রমশ সাদা ফ্যাকাসে 
কোনটা নির্মুল কোনটাই বা মূল 
ভাবতে ভাবতে চল্লিশের চশমায় চালশে,
যোগ সংকেত,মায়া,ফ্রেম সহ মালা ঝোলানো ছবি
সম্পর্কের দাগে অজস্র কাটাকুটি,ভুলের গল্প
বদলানো কবিতায় রাস্তার পার্কিং-এ ভালোবাসা ঘুমিয়ে
সামনের জেব্রা ক্রসিং ওপারে গন্তব্য। 
.
ভালোবাসা কারণ হলে সম্পর্ক সংংবিধান
ভালোবাসা ভালো রাখা হলে সম্পর্ক আকাশের পাখি
অথচ অমুকের কবিতা তমুকের বিশ্লেষণে
লাল কলমের নিবে শরীর এসেই পরে,
তারপর শহরের মরশুমে কেমন জানি একলা সেই গল্প
একলা হারাবার গল্প
পকেট থেকে ঝরতে থাকা প্রতিদিন। 
.
ঋতু গড়িয়ে, বছর গড়ায় 
চামড়ার কোলাজে কেমন জানি একলা সম্পর্করা
আসলেই সকলেই জোকার নিজেদের সার্কাসে
শুধু জায়গা বদলায়, বদলায় তাঁবু। 
ভালোবাসা একলা হলে নখ দিয়ে খুঁতখুঁত করে হৃদয়
আকাশের দরজায় একলা দাঁড়িয়ে সেই মানুষ
খুঁজে নেয় বোঝাপড়া 
তারপর মিসিং লিংক আর  সেই পুরাতন ইতিহাস
মানুষ হওয়ার গল্প
সম্পর্ক আসলে ইনফ্যাচুয়েশন
আর ভালোবাসা হলো বারংবার কমবেশি প্রাক্তন। 
.
কাটাকুটি 
....ঋষি 

Saturday, September 6, 2025

হ্যালো টেস্টিং

হ্যালো টেস্টিং, হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো
শুনতে পাচ্ছিস, সরি শুনতে পাচ্ছেন
আপনাকে, তোমাকে, তোকে দূর থেকে ভালোবেসেছি
ভেবেছি ভেতরের ঘরটা শুধু আমার
ধুর এ কবিতা প্রেমের নয়
এ তো সময়ের মতো জালি,
এখনও বুঝতে চাইছি অমরতা না মৃত্যু কোনটা কাম্য
তুমি ভালো কথা বলতে পারো
তবু তুমি সাধারণ কারণ আমাদের কথা ফুরিয়েছে। 
.
হাততালি, হাততালি,হাততালি
ছায়া মানুষ কিংবা মানুষের পাশে ছায়া 
দু চারটে লারেলাপ্পা গান 
একই সুর, একই তান 
আমরা তো ভালোবাসার চিৎকার শুনি না। 
কারণ ভালোবাসলে চীৎকার করতে নেই
বলতে নেই
শুধু অপেক্ষার কড়ি জমাতে জমাতে মরতে হয়
মরে যেতে হয়।
.
ডাক্তার বলেছেন নিয়মিত কুলেখাড়া খেতে
শরীরে নাকি রক্তাল্পতার প্রথম সূচনা, অধিক নয়
ডাক্তারকে ঈশ্বর ভাবার দেশে
আমার ঈশ্বর তুমি,
একটা মৃত্যুমুখী সম্পর্কের সাথে শুয়ে
ভাবতে ইচ্ছে করে না কুলেখাড়া নিরাময় আনে
বরং বলতে ইচ্ছে করে
বদলানো তুমিটা কবে আমার সাথে ভালো থাকবে ? 
আর আমি কবিতায় আবারও লিখবো
চলন্তিকা আমার প্রেমিকা।
.
হ্যালো টেস্টিং 
ঋষি 

Friday, August 22, 2025

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না
মাঝরাস্তায় ইদানীং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি
ভুলে যায় নিজের ঠিকানা
তারপর হঠাৎ ভুলে যাওয়া থেকে একলা দাঁড়িয়ে বুঝি
ভুল আর ঠিকের মাঝখানে ভালোবাসা দাঁড়িয়ে
সে যেন নিশ্চল পাথরের প্রতিমা। 
.
রাত তিনটের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঠাই আমি বৃষ্টি গুনি
আমাদের হিমেল সময়গুলো মুছে যায় 
বড্ড ভ্যাপসা লাগে,
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ইদানীং নিজেকে বেমানান লাগে
মনে হয় তোমাকে ভীষন অচেনা। 
চেনা আর অচেনার গল্পের মাঝে সময় চিৎকার করে
দাঁত নখ নিয়ে মৃত মুহুর্তরা ছোঁক ছোঁক করে
রাধে বাড়ে,
আমার মুখে দুমুঠো খিস্তি তুলে দেয়। 
.
আসলে খিদেরা বড় অদ্ভুত
বড় অদ্ভুত তোমার প্রফাইলে বদলানো চরিত্ররা
তুমি অস্থির, 
তাই ইদানীং তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না।
.
যে বীজে ঝপ করে অসুখ চেপে ধরে
যে বীজে আঁতুড়  থেকে মৃত্যু  খেলা করে
সেখানে তোমার পাশ বদলায়, মাস বদলায়, বদলায় সময়,
চিনে জোঁকের মতো আমার স্বভাব 
পরিণত অভাব 
দাঁড়িয়ে তোমার রাস্তায়
সম্পর্ক আর যন্ত্রনা সেখানে অসহ্য অথচ অসহায়
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না ইদানীং। 
.
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
... ঋষি 

Friday, August 15, 2025

ইনকমপ্লিট



এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন, 
যেমন তোমার শরীরের তিলগুলো এক একটা পাখি 
যেমন স্বাধীনতার মানে ইদানীং শ্বাপদের অধীনতা
যেমন বৃষ্টিবহুল কফি কাপে উল্টো চেয়ারে স্বপ্ন
যেমন বহুবার তোমার শরীরে কলকাতা আঁকা
যেমন কলকাতার রাস্তায় রক্তাক্ত তিলোত্তমা। 
.
আসলে আমাদের কোনও দরজা ছিল না কোনদিন
আসলে আমদের মাঝে খুব কম মিল,
তবু মেক মাই ট্রিপে আমাদের আগামীর অভিযান
আসলে আমার দানা দানা চিনির মতো মুহূর্তগুলো
সব দূরে এঁকেবেঁকে চলা ইনকমপ্লিট এজেন্ডা
সব জমিয়ে রেখেছি
এইমুহুর্তে তোমার আবৃত্তির কন্ঠে
" দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে!
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার॥ "
.
এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন 
যেমন আমার দেওয়ালে টাঙানো ফাঁকা ফটোফ্রেম,
যেমন এই শহরের রাস্তায় জমতে থাকা জল
যেমন কবিতার কলমে উপছে পড়া প্রতিবাদ
যেমন বোকার সাজে তোমার দিকে তাকানো।
এ যেন হারানো, সাজানো বিপ্লব 
এ যেন তোমার দুই স্তনের মাঝে একলা এই দেশ
এ যেন কনডোমে মোড়া সমাজের সতীত্ব
এ যেন তেরঙ্গা মোড়া সত্যির মৃতদেহ
রেডরোডের মৃতদেহের শাসন।
নিরাপত্তার অধিকার
আশ্র‍য়
খাঁচা
সব ইনকমপ্লিট
ইনকমপ্লিট সব।
.
ইনকমপ্লিট
... ঋষি 

Sunday, August 10, 2025

নিস্তব্ধতা

নিস্তব্ধতা ভীষণ স্পষ্ট হলে 
ঝড়তে থাকা রক্তবিন্দুগুলো তুমি হয়ে যাও
একের পর এক প্রহসন 
ক্লাইমেক্সে সেই জোকারটা হাসতে থাকে
শুধু হাসতে
কিন্তু কেউ জানে না তার কান্নাগুলো তুমি হয়ে যাও
তুমি হয়ে থাকো তোমার সংসারে। 
.
বুঝতে পারি না কিছুতেই বিষাদের গল্পগুলো
শুধু মনে হয় তলিয়ে ভাবি নি,
তোমার বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে মেরুদন্ড নিষ্ক্রিয় 
ঘরের সিলিংএর দিকে তাকিয়ে দেখি বন্ধ আকাশ
আর আমি অন্ধ
তোমার ব্যস্ততায় আমি জোকার সেজে থাকি
তবু মানি আত্মহত্যা মহাপাপ। 
.
সাজানোগোছানো এই কিংবদন্তী জানি
কিন্তু জানি না তুমি সংসারী না ক্লিওপেট্রা
হাজারো কবিতা যেখানে ভালোবাসার গান গায়
সেখানে দানা দানা আশ্চর্য শীতল শরীর।
এই তো কিছুক্ষন, তারপর তুমি ভুলে যাও 
আমি হাসতে থাকি তোমার দিকে তাকিয়ে
আর তুমি ব্যস্ততায় রেঁনেসা। 
এইসব কথা কতবার লেখা যায়
কতবার নিস্তব্ধতা ভোলাতে চীৎকার করা যায়
বদলানো যায় নিজেকে সার্কাসের তাঁবুতে,
একের পর এক রঙের প্রলেপ
একের পর এক মুহুর্তগুলো
অসহ্য
অসহ্য এই নিস্তব্ধতা। 
.
নিস্তব্ধতা
... ঋষি 

Friday, August 1, 2025

আর্তনাদ

একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
ভীষণ অপ্রাপ্তি
দুয়ারে মেঘ এসে হানা দেয় কারণ অকারণ
অনবরত লোভ,
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদ্যুৎ চমকায়
মেঘ তুমি কার?  আমার?না  দুর্বলতার? 
না সময়ের? 
নাকি যে প্রশ্নগুলো তুমি এড়াতে চাও? 
.
সাক্ষী জীবন সবুজ পাতার মতো বৃষ্টির জলে
অনিবার্য বৃষ্টি জানি অকারণ চোখের জলে
জল তুমি কার? 
আমার?  মেঘেদের?  না দুর্বলতার? 
গা হিম করা ছুটির দিনগূলো তুমি ব্যস্ততায় নিয়মিত
আর আমার ব্যস্ততায় কতগুলো প্রশ্ন ঘোরে ফেরে
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদুৎ চমকায়
চমকায় তোমার ঠোঁটের আস্পর্ধা ।
.
একটা আর্তনাদ সময়ের পাতায়
নিউক্লিয়ার ওয়েপনের মতো তোমার চোখের দৃষ্টি
ব্যঙ্গাত্মক কিছু আলাপন,
ঝড় ওঠে, বুকের ভিতর আবহদপ্তর জানান দেয়
আগাম সতর্কতা সমুদ্র উপকূল এলাকায়
গভীর সমুদ্রে যাওয়া মানা। 
প্রশ্ন করি, সমুদ্র তুমি কার? 
গভীরতার?  নোনতা জলের? না দুর্বলতার? 
প্রশ্নগুলো অমীমাংসিত থেকে যায়, উত্তর আসে না
শুধু  একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
কারণ তুমি বৃষ্টির জলের দিকে তাকালে
ইদানীং বৃষ্টির জলও রক্ত হয়ে যায়। 
তবুও আমি সমুদ্রকে ভালোবাসি, বারংবার ছুটি
সমুদ্রের গলা জলে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি
স্রোতেরা আসে, আবার দূরে  চলে যায়
আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে 
আর কি চাও তুমি? 
এবারতো একটু হাসো। 
.
আর্তনাদ
.... ঋষি 




Thursday, July 31, 2025

বড় একলা লাগে

বড় একলা লাগে
... ঋষি 
.
হাসছি আমি কারণ হাসতেই হবে
যেমন  করেই হোক ভালো থাকতেই হবেই
ক্রমশ ফুরিয়ে চলা বর্ণসুখ, ক্রমশ বিরক্তির বৃষ্টি 
কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, কোথায় বা চলেছি
কিছুই জানি না
শুধু দিন কেটে চলে নিয়মিত,
তবে নিয়মিত আর তোমার রিংটোন আর বাজে না
বাজে না আর সময়ের মুহুর্তের সাথে থাকাটুকু। 
.
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যস্ত পৃথিবীতে আমিই বেকার
তোমাকে একথা বললেই
ইদানীং থলের বেড়ালটা রাগে বেড়িয়ে গোঁফ ফোলায়,
সমস্ত সময় জুড়ে  যখন সকলেই মাংস গিলতে ব্যস্ত 
তখন  মৈথুন হলো হায়না আর হায়নারাই বিপ্লব। 
সেখানে একফালি আমার নিরামিষ বিপ্লবে
বৃষ্টি আসে, আমায় ভেজায় নিয়মিত
কিন্তু ব্যস্ত তোমাকে আর ভেজাতে পারে না । 
.
আমার শব্দরা কখন যখন তখন  কবিতায় ভাসে
ভাসে বিছানার চাদরে আমার চলন্তিকা একলা বুকে
সেখানে জামা কাপড় খুলে চরিত্ররা প্রকাশ্যে ইদানীং 
সেখানে গীটারের স্ট্রিং ছিঁড়ে যায় বারংবার
জানি সত্যি বলতে নেই 
তবু বলি, বড় একলা লাগে ।
সমস্ত খুন, সমস্ত প্রতিশ্রুতি, সমস্ত মানুষ, তুমি
যখন আরও ক্রমশ আরও দুরে সরে যাচ্ছে
যখন পৃথিবীর রঙের রঙিন দূরবীনের কাঁচটা
আরও অসচ্ছ
তখন ভীষণ ভাবে ভাবতে ইচ্ছে করে 
ভালোবাসা আসলে রঙিন পোশাকেই সুন্দর।
.
 

Friday, July 25, 2025

কেন৷? কবিতা

কেন ?  কবিতা
..ঋষি 

যারা মাথার উপর কবিতার বই নিয়ে ঘুমোয়
লোকে বলে তারা আসলে বোকা,
কবিতা লিখে কি হয় ? 
দুমুঠো ভাত রোজগার করতে যখন পায়ের ঘাম মাথায়
তখন কবিতা লেখাটা নিতান্ত একটা অপরাধ
আর সেখানে কবিতার বই কেনা টাকা নষ্ট
শুনলেই মনে হয় এ যেন নষ্ট কবিতা।
.
লোকে বলে মানুষ হেরে গেলে কবি হয়ে যায়
কিন্তু আমি জানি কবিরা হারে না,
লোকে বলে কবিতা নাকি মানুষের এক মতিভ্রম
কিন্তু আমি জানি কবিতা হলো জীবন,
যখন দূরে কোন গাঁয়ের রাতে কোনো শিশু না ঘুমোলে
মারাতো কবিতাই বলে 
মনে নেই 
আয় ঘুম আয়,দত্ত পাড়া দিয়ে। 
.
এবার আমি সোজা কথায় আসি
হ্যা আমি কবিতা খাই,কবিতায় ঘুমোয়, কবিতায় বাঁচি
হ্যা হয়তো আমি পাগল
আমি পয়সা বাঁচিয়ে কবিতার বই কিনি
আমি নবারুন,সুনীল, শক্তির কলম গিলে খাই
কারণ আমি জানি কবিতা সময় লিখতে পারে
কবিতাই পারে সময় কে জীবন্ত রাখতে এই এটলাসে।
ঠিক কথা কবিতা লিখে পয়সা নেই, সন্মান নেই
কারণ কবিরা কখন ব্যাবসায়ী হতে পারে না
হতে পারে না কবিরা কখন ধান্দাবাজ।
কখন কোন কবি কোন নামের জন্য কবিতা লেখেন না
কখন কোন সত্যি কবি মঞ্চের জন্য কবিতা লেখেন না
কবিরা কবিতা লেখেন নিজের রক্ত দিয়ে আকাশের গায়ে,
কবিরা কবিতা লেখেন নিরন্তর সময়ে দায়ে
শুধুমাত্র সময়ে জন্য 
শুধুমাত্র মানুষের প্রতিবাদের জন্য
শুধুমাত্র সময়ের ক্ষতের উপশমে
প্রতিটা মানুষের জন্য আগামীর কল্যানে,
সে যদি কেউ বলে কবিতা নষ্ট
তবেও আমিও.......  







Tuesday, July 22, 2025

বারুদ

একটা দেশলাই
অসংখ্য খুন, জখম, আর ডি এক্স, বন্দুকের নল
একটা আজব দুনিয়ায় আমরা 
নো সিকুউরিটি, নো রেসিস্টেন্ট 
শুধু দিন কাটানো, ঘুমন্ত বারুদের উপর বাস 
কে কখন কিভাবে ? ইন্সিডেন্ট না কোইন্সিডেন্ট? 
আসলে মানুষগুলো ভুলতে ভুলতে আগুন জ্বালাতে ভুলে গেছে। 
.
বুকের ভিতর বারুদের স্থুপ
ইচ্ছে করে সিগারেটের সাথের দেশলাইটা হারাই বারংবার
যদি কেউ কুড়িয়ে পায় 
যদি কোন নাম না জানা বিদ্রোহ দপ করে জ্বলে ওঠে
যদি খবরের কাগজের জ্বলন্ত পাতাগুলো আগুন জ্বালায় সাধারণ মানুষের  শরীরে
যদি, যদি যদি....... 
.
এমনিই জেল,হাসপাতাল, সরকারী স্কুল
সব নির্মিত মহান আয়তন দেখা হয়ে গেছে
এই তো গতকালই দেখে ফেললাম ধর্মতলার অধর্ম
পাগলাগারদও দেখা হলো, 
দেখা হলো মৃত বিপ্লব  নামের বইটা ধান্দাবাজ দালালের হাতে।
সত্যি হলো ভীতু মানুষের দুনিয়ায় এই সভ্য শহরের ঠিক মাঝখানে
চিৎকার করছে সেই সব ধর্ষিত বিচারহীন মেয়েগুলো
যাকে আমরা ভুলে আছি
অসংখ্য গাছে, গাছে সভ্যতা নিপীড়িত মানুষগুলো
হ্যা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে 
আসলে আমরা তাদের ভুলতে চাইছি, 
অথচ তাদের মাঝখানদিয়ে কে একজন জানি আমাকে বারংবার  বলছে
জোনাকি মেখে ভালো থাকতে এলে তুমি মানুষ
কবিতা লিখে তুমি আদিখ্যেতা করছো
দেশলাইটা দেও না একবার জ্বালিয়ে
আর একটু পেট্রোল
তোমায় দিয়ে আর কিছু হবে না হে.... 
.
বারুদ
... ঋষি 



Friday, July 18, 2025

দুজনে

সংসার একটা রঙিন ক্যানভাস
রঙ ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে চরিত্ররা মেঘেদের ভাষা
এক অজানা পূর্বাভাস কিংবা অথৈ প্রবাহ
এক বেহিসাবি বিজ্ঞাপন মিশতে থাকা থিতু অন্ধকার। সময় বিভাজনের গতিসূত্রে  আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা বশীকরণ 
এক অধিকারের মন্ত্রে তারা দুজন 
তারপর দু:খ, সে তো প্রবাহমান। 
.
সভ্যতা আগুন খুলে দাঁড়িয়েছে এই মুহুর্তে
আমি অফুরন্ত ভয় মেখে মেঘেদের আব্বুলিশ বলেছি বলেছি, অপেক্ষা ফিরিয়ে দিতে নেই
ঠিক যেমন মেঘ ভাঙলে বৃষ্টি। 
টেপজামা গলিয়ে,  পাউডার মেখে সেই মেয়েটা
তার গায়ের গন্ধে ইদানীং ভীষণ বিরক্তি
তবু সেই মেয়েটা আজ, তারা দুজনে
আবার সেই সংসার। 
.
'দিগন্তরেখা আরও ম্লান হচ্ছে তখন
ক্রমশ মেঘেরা ফিরিয়ে দিচ্ছে মিথ্যে দুজনকে,
বাইরে সেদিন বৃষ্টি হবে
শুকিয়ে যাওয়া গোলাপ গাছটাও মাথা উঁচু করে বলবে
বাঁচতে চাই
ভালো থাকতে চাই। 
এক আশ্চর্য মুহুর্তে তাদের সংসারগুলো মিলিয়ে যাবে
খল, কপট, পাশা, দিনবদল
বিশ্বাস কমবে, বৃষ্টি বাড়বে,ঝড়ের তেজে কালো মেঘ
ব্যালকনির দরজাটা একবার খুলবে আবার বন্ধ হবে
সংসার পালাবে।
 তখন তাদের সারা শরীরে তখন নোনতা আকাশ 
বোধহয় সেদিন খুব বৃষ্টি
তারপর আবার তারা নতুন আর সংসার
দু 
জ 
নে।
.
দুজনে
... ঋষি 

Saturday, July 12, 2025

শব্দদ্রোহ

স্বপ্নের গভীরে বারান্দায় কাঁচের একলা অ্যাকুরিয়াম
মাছেদের জ্বর 
আমি তার মাথায় হাত বুলিয়ে দেবো পরম যত্নে ,
অন্ধকার রাতের কুকুরগুলো অযথা চিৎকার করে উঠছে এই সময় 
সদ্য প্রাকটিস করা আবৃত্তির শব্দরা ভিক্ষা চাইছে  
ভিক্ষাং  দেহি 
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো অনেক চেষ্টার পরেও 
আমি কুকুর হতে পারি নি । 
.
অদ্ভুত এই মরুভূমির রাতে দূর থেকে শোনা যায় আছি তো 
ফিসফিস কর উষ্ণতারা আর কথা বাড়ায় না 
ইদানিং শোনা যায় এ আই নাকি কবিতা লিখবে 
কিন্তু চলন্তিকা  ? 
এক বহুতল বাড়ির কাঁচের বয়ামে একলা সেই প্রজাপতি 
আমি কাঁচ ভাঙবো কিনা জানি ,নিজেকে পারবো। 
রোবট নয় কোনো আদিম আবৃত্তির মতো  
তবু তোমার মতো কিছুতেই হবে না জানি। 
.
কেউ জানে না এমন নয় ,আবার সকলেই জানি তাও না 
অসংখ্য দুঃখী ,হতাশ ,বাতিল মানুষ 
তাদের শতজীর্ণ কাপড় ,বিছনা ,তুলোর  বালিশ ,মাদুর 
কি করবো  ?
তোমার পাশে দাঁড়াবো ,না তুমি আমার পাশে 
তুমি শুয়ে থাকবে বুকে ,না আমি ? 
এইসব শুধু  সময়ের  নিঃশ্বাসে একসঙ্গে কথা বলে 
অথচ যা আমি লিখি তা উচ্চারণে শব্দদ্রোহ আমার জিহ্বায়। 
.
শব্দদ্রোহ 
... ঋষি

Sunday, July 6, 2025

ন হন্যতে

আমরা অনেকদিন গল্প করিনি
উঠোন-রোদে-বৃষ্টিতে ভিজে পাশাপাশি দাঁড়ায় নি আমাদের কথা ছিলো, নন্দন ,গড়ের মাঠ, কবিতার মঞ্চ
সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে, 
এক পর এক পাটিগণিতে ভুল, এক একটা বিপ্লব 
কে যেন বলেছিল একবার, প্রকৃতির কাছে সব উত্তর
কিন্তু আটপৌরে আকাশ জুড়ে আজ শুধুই রোববার, অথচ আমি ঘড়ির কাঁটার অপেক্ষায়
একটা রোববার, পেট ভরে মাংস ভাত আর তুমি। 
.
স্কুলের দেওয়ালে চুপিচুপি লিখেছিলাম প্রথম প্রেম
লুকিয়ে প্রথম সিগারেট প্রথম টিউসনের পয়সায়
আসলে উদযাপন আর দিনযাপনের তফাৎ
একটা গোটা জীবন কেটে যায় একটা মানুষকে বুঝতে
সেখানে প্রেম? 
কোনো এক আষাঢ় দিনের ভিজে চলা চুপকথা
না চাপা থাক বুকে,
আজ না হয় বেমানানের লিস্টে স্তব্ধটা বাড়ুক
আর বাড়ুক প্রসেস আর সিস্টেমের ডিপ্রেশন।
.
আমরা অনেকদিন গল্প করিনি
ঝালমুড়ি-আইসক্রিম আর স্মৃতির অভিযোজনে
বদলাতে বদলাতে সময়ের খবরগুলো সব একইরকম
বারংবার ধর্ষন, হিংসা, ধর্ম, রাজনিতী
যোনি লিখতে লিখতে আমরা সময়ের তলপেটে
প্রতিবাদ ইদানীং লজ্জা পায় এই সময়
যা হচ্ছে, যা ঘটছে কিংবা ঘটবে সবটাই আঁশবটি
ঘচাং ফু
সুতরাং দেশ, সময় ভালোবাসার গল্পের নাম ন- হন্যতে।
.
ন হন্যতে
... ঋষি 

Friday, June 27, 2025

নিরুপায়

আগুনের থেকে ধিকি ধিকি জল্লাদ বুক 
ক্রমশ পরিধি পেড়িয়ে নিজেকে বোঝানো
নীরবতা একলা শব্দের প্রতিধ্বনি 
আর আগুন সে চিরকাল গোপন নারী। 
.
মৃতদেহ পোস্টমার্টনে কিছু জানা যায় নি
জানা গেছে আগুনের থেকে আত্মার গতিতে
আমরা সকলেই নিরপরাধ ক্রোমোজম 
জট খুলছে মাথার ভিতর, খিল্লি করছে একান্নবাহান্ন
সম্পর্কের সত্যি মানেটা চিরকাল স্তৈন্য। 
.
ক্লিভেজ থেকে হঠাৎ খবর আসছে কবিতা
আগুন যেদিন পুড়িয়ে দেবে আমায় সেদিন জানিও
ভালোবাসা সত্যি একলা আগুনের নাম 
আর ভালোবাসার ঝলসানো মুখটা নিরুপায় মৃত্যুর। 
.
নিরুপায়
... ঋষি 

কিছু বলার নেই


খবরের কাগজের এক ফালি রোদ্দুর এসে পড়ে সময়ে
পাশের গলিতে সদ্য বৃষ্টিতে জমতে থাকে জল 
সে মানুষের ঘাম নাকি কান্না 
বুঝতে বুঝতে বেলা ফুরিয়ে যায় ,
ফেলে আসা সময়ে আধো আঁধারি ঘুমের ভিতর 
বারান্দা দিয়ে দেখা উল্টোনো পৃথিবীর ভিতর 
বয়স্ক সময়ের অম্বল আর হেঁচকি বলে দেয় 
আমার আর কিছু বলার নেই। 
.
জোর করে লেখা কবিতার মতো ছত্রভঙ্গ বিরক্তিতে 
ইদানিং শুয়ে থাকে তোমার যোগাযোগ বিহীন বর্ণমালারা 
তারা সবাই জুড়তে থাকা ম্যাজিক ক্রমশ কতগুলো শব্দ পাশাপাশি 
কখন যেন লেখা হয় অবিকল  " ভালো লাগছে না কিছুই"। 
সময়ের পুরোনো টায়ার আর বর্ষার বৃষ্টিতে জল-জমা বিষন্নতা 
হঠাৎ আমাকে উপলব্ধি করায় আজ আর কোথাও যাওয়ার নেই,
উপলব্ধি  বলে যায় নীরব অভিমান 
আবার কিছুটা উত্তাপ শুষে নিতে হবে পরিচিত শরীরের থেকে
শুধু ঘোলাটে আকাশের দিকে চেয়ে
বোগনভিলিয়া ফুল মাথা দুলিয়ে চলে
কখনো লাল, কখনো সাদা
আজ কেন এত নিস্তব্ধ জনকলরববিহীন  চারিধার ?
.
কিছু বলার নেই 
ঋষি

Tuesday, June 24, 2025

এই শহর


.
কেউ খুঁজছে না ,কেউ খুঁজবে না 
কেন পুরোনো সরকারী স্কুলের দালানে ইদানিং জ্বলে বিষণ্ণ বাল্ব 
কেন  কোনো বিখ্যাত কবিকে  
না খেতে পেয়ে মরতে হয় ,
কেনই বা বাবা মায়ের আদরের পুতুলকে আজ নিজেকে বাঁচাতে 
রাস্তায় দাঁড়াতে হয়,
কেনই বা বাড়তে থাকা সম্পর্কের দূরত্বেরা একাকিত্বে একলা ডিমলাইট 
এ সব কেউ ভাবছে না ,এসব কেউ ভাববে না 
এ সব অবাধ্য প্রশ্ন গঙ্গায় ছোঁড়া কয়েনের মতো তলিয়ে যাবে রোজ 
তবু শহর দৌড়োবে ,শহর মরে যাবে । 
.
কেউ খুঁজছে না,কেউ খুঁজবে না 
কেন অন্ধ বাবাকে নিয়ে একলা মেয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নীরব বাসস্ট্যান্ডে 
বাসের আশায় 
কেন কারখানায় কাজ করতে করতে হঠাৎ কোনো শ্রমিকের মৃত্যু হলে 
তার পরিবার না খেয়ে মরে ,
কেন একটা প্রজন্ম বুড়ো হয়ে গিয়েও চাকরীর খোঁজ করে 
কেন কোনো ইউনিয়নের নেতা কোনো পরিশ্রম ছাড়া ঘুমোয় 
কেন কবিতার তাজমহজলে আজ কবি নয় শকুনের বাস 
কেন বা দরিদ্র ,ক্ষুদার্থ মানুষের সাধের দেশ হঠাৎ ভেঙে পড়ে 
এ সব অবাধ্য প্রশ্নগুলো মানুষের বুকে মানুষই পিষে মারে 
তবু এই শহর  বাঁচে রোজ আবার মরে বাঁচার আশায়।
.
এই শহর
........ঋষি 

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম তবুও কই জীবন পেলাম না সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম শরীর, মাংস সব পেলাম  তবুও সেই ম...