Thursday, December 17, 2020

মুখাগ্নির মন্ত্র

  


মুখাগ্নির মন্ত্র

... ঋষি 

.

এক শতাব্দী নিজস্ব অন্ধকারে লুকিয়ে থেকেছি 

এক শতাব্দী লাট খেয়ে পরে থাকা মৃতদেহ কুড়িয়েছি 

কুড়িয়েছি ভনভন পচে যাওয়া মৃত দেহ আগলে নিজের স্বজন ,

দুর্ভাগ্যবশত আমার মৃত্যুও ঐশ্বরিক 

ভারতবর্ষের কোনো সীমানায় দাঁড়ানো সৈনিকের মতো 

অজস্র বুলেটের বারুদ আমার শরীরে। 

.

সব শোক মৃত হয়ে যায় 

সব মৃত স্মৃতি হয়ে যায় 

অথচ ভিতর থেকে গুমরে খায় নিজের শিরদাঁড়ায় ভয়ার্ত জীবন ,

অথচ চোখ রাঙায় জীবনের দরজায় 

মনের খিদে 

বেঁচে থাকা 

আর দুর্বলতা। 

.

সব পাখি আকাশ খুঁজতে চায় 

সব খাঁচা কখনো না কখনো না মুক্তি চায় 

মুক্তি চায় জীবনের ফেরিওয়ালা ভূমকা বদলে

কিংবা আমার শহরে একলা সেই গ্যাসবেলুন ওয়ালা 

বিলিয়ে দেয় জীবন খিদের বাহানায়।   

ফিরে আসা প্রেমিকের লোভ একলা দাঁড়ানো স্তম্ভের মতো 

একা থাকা প্রেমিকার কান্না কর্তব্যরত জীবন যাপন  

সময় ব্রাম্হণের বেশে মূর্তি পুজো করে 

পুজো জীবন 

নিয়ম 

সমাজ 

তবুও চিতার আগুনে শ্মশানের মন্ত্রে মৃতদেহের মুখাগ্নির মন্ত্র

ওঁ কৃত্বা তু দুষ্কৃতং কর্ম জানতা বাপ্যজানতা।

মৃত্যুকালবশং প্রাপ্য নরং পঞ্চত্বমাগতম্।।

ধর্মাধর্মসমাযুক্তং লোভমোসমাবৃতম্।

দহেয়ং সর্বগাত্রাণি দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু।।' 

.

সত্যি মুখ পোড়ে জীবনের। 


No comments:

Post a Comment

পাগলামী

ঘোলাটে মাথার ভিতর দিনরাত যেন পাগলামি  আমি স্পষ্ট টের পাই নিয়ম করে ছুরির উপর সূর্যাস্ত  আমি কবিতা লিখতে থাকি ঠিক শুনতে পাই শীত যেন টোকা দিচ্ছ...