Tuesday, February 28, 2023

কার কবিতা লিখি

কার কবিতা লিখি
.. ঋষি 

তুমি কার কথা বলছো বলোতো ?
কোন মানুষের কথা বলছো ?
একই বয়স্ক একটা শৈশব যখন চকোলেটে দাঁত লাগিয়ে ভালো লাগছে না বলে সাততলার ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে সেটাকে ছুঁড়ে ফেলে
ঠিক সেই সময় অন্য একজন পাউরুটির চুরির অপরাধে জনতার ধোলাই খায়,
একজন বিবাহিত মহিলা যে সময় ধুম শরীর খারাপেও লক্ষীকান্তপুর লোকালে কলকাতায় আসে লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতে
ঠিক সেই সময় অন্য একজন মহিলা লেটনাইট পার্টির থেকে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে।
একজন বিবাহিত যুবক যে সময় ভাড়ার মেয়ে মানুষ নিয়ে  হোটেলে ঘরে ফুর্তি করে
তখন অন্য একজন তার অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পথে পথে ভিক্ষা করে। 
.
তুমি কার কথা বলছো বলোতো? 
কোন প্রেমের কথা বলছো? 
সেই প্রেম যেখানে একজন যুবতী একজন যুবককে দেখিয়ে  বলে
ইয়েস উই আর লিভড টুগ্যাডার বাট নট ফর লাভ, উই আর ফাক গাই ওনলি। 
কিংবা সেই যুবককে যে সকালে একটা মেয়েকে চুমু খেয়ে বলে ভালোবাসি 
বিকেলের অন্যএকটা মেয়েকে নিয়ে সিনেমায় যায়, 
কিংবা সেই  বিবাহিত মহিলাকে যার স্বামী অফিস চলে গেলে 
সে তার প্রেমিকের হাত ধরে মার্কেটিংএ যায়। 
.
তুমি কার কথা বলছো বলোতো?
কোন শিক্ষার কথা বলছো? 
যে শিক্ষায় শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে পাওয়া যায় পরিত্যক্ত  কনডোম,
যে শিক্ষায় শিক্ষিত হতে গেলে মানুষকে হতে হয় তেল মালিশ ওয়ালা,
যে শিক্ষায় একজন শিক্ষিত ছেলে ফাস্টস্ট্রেসনে আত্মহত্যা করে
অন্য একজন আটের নামতা না জানা মানুষ অংকের টিচার হয়ে যায়,
যে শিক্ষায়  একজন মাষ্টারস করা ছেলে ডোমের চাকরী করে
আর অন্য একজন বাবা ব্যাংকে চাকরী করতো বলে সে ব্যাংকে জব করে ।
.
তুমি কার কথা বলছো বলোতো?
কোন সিস্টেমের কথা বলছো? 
যে সিস্টেমে একজন সত্যিকারে কবি,সাহিত্যিক কিংবা আর্টিস্ট মান পায় না,
মান পায় আর্টিফিসিয়াল নিয়মের পতাকায় আটকানো রংটা,
কিংবা যে সিস্টেমে রোজ ধর্ষিত হওয়া মেয়েটা বলতে পারে না তার কষ্টের কথা
অথচ টিভি, খবরের কাগজ, বিজ্ঞাপনে একজন পর্নআর্টিস্ট অনবরত কথা বলে যায়,
যে সিস্টেমে মিথ্যে বলতে গেলে মানুষের বুকের পাটার দরকার হয়
আর সত্যি বলার জন্য দরকার হয় ভয়ের। 
.
তুমি কার কথা বলছো বলোতো?
কোন দেশের কথা বলছো? 
সেই লেনিনের দেশ, যে নিজের ভাইয়ের মাথায় বন্দুক রেখে বলে এটাও আমার, 
কিংবা সেই দেশ যে তার অন্ধকার হিসেব লুকোতে 
বেশ কয়েকটা অন্ধকারের ব্যবসা করে,
সেই দেশ যেখানে মানুষগুলো সব মুখ বাঁধা গনতন্ত্র 
আর দেশের প্রধানরাই সব গনতান্ত্রিক। 
.
তুমি কার কথা বলছো বলোতো?
কোন কবিতার কথা বলছো?
তুমি জোর করে চুপ করিয়ে দিলে 
বললে কবি তোমার সাহস খুব প্রানে, একটুও ভয় নেই, 
কবিতা লিখে পেটের ভাত তো আসেই না
তুমি তো দেখছি পুলিশ আসার ব্যবস্থা করছো,
তুমি কি জানো না এ সভ্যতায় সত্যি বলতে নেই 
এসভ্যতায় বলতে নেই খিদে পায়,রাগ হয়, হিংসে হয়
মানুষের মতো বাঁচতে ইচ্ছে করে,
শুধু, শুধু এ সময় বাতাসের মত বইতে হয় 
না হলে পিছিয়ে পড়তে। 
.
আমি বললাম
তবে,তুমি যে বলো কবিতা লিখতে 
আমি কার কথা লিখি বলোতো?
কোন সময়ের কবিতা লিখি? 
সেই সময় যে সময় কবিতা লেখার জন্য বিদ্রোহ নয়
আগুন নয় 
মানুষ নয় 
স্বাধীনতা নয় 
শুধু খাতা কলমে জ্যালজ্যালে সঙ্গম আর 
আর প্রোডাকসনগুলো কেঁচোর মতো হোক । 




Monday, February 27, 2023

শেষ শব্দের সন্ধানে

শেষ শব্দের সন্ধানে
.. ঋষি 
.
হয়তো একটা শেষ শব্দের সন্ধানে আছি 
হয়তো অপেক্ষায়, 
মুল্যবান অনেক কিছু ভাঙছে রোজ 
ভরে উঠছে প্রাপ্তির খাতায় জোনাকি
তবুও তো অন্ধকারে আলো 
তবুও তো বাড়িফেরা আবারও একটা আশায়।
.
আসা আর আশা উচ্চারণগুলো মিলে যায় ভাবনায়
ভানুময়রার দোকানে মিষ্টির সাইজগুলো ক্রমশ ছোট 
তবু কথার থেকে বড় কিছু কি হয়? 
কথারা থাকে,কথারা ঘুনপোকা 
কথারা বাসা বাধে,কথারা উইপোকা
কথারা হিংস্র, কথারা মিষ্টি, কথারা ঝগড়া
কথারা আফসোস
কিন্তু কথার কথা হলেও, সত্যি যেটা
কথাদের মৃত্যু নেই, আছে দহন। 
.
ফিরে আসি পরের কথায়
শব্দনাশী একটা ভাবনা ঘুরে মরে, কেঁদে ফেরে 
শুধুমাত্র বুদ্ধ হয়ে,
তবুও কপিলাবস্তু দুরাস্ত এই শহরে ভাবনায় 
কিংবা যীশুর ধর্মে এ শহরে প্রেম বড় মিথ্যে। 
সবকিছুর পিছনে রাখা একটা কালোপাথরের 
নেমপ্লেট সম্পর্কের গায়ে 
কারণ? 
তুমি চুমু খেতে চাও, কারণ? 
তুমি জড়াতে চাও, কারণ? 
তুমি বাঁচতে চাও, কারণ? 
তুমি ফিরতে চাও কিংবা এগোতে, কারণ? 
তুমি ভালো আছো, কারণ? 
অথচ  দশটা দিকের বাইরে একটা দিক আছে 
কিন্তু মনটাকে কেউ মানতেই চায় না। 


Friday, February 24, 2023

জীবন থেকে নেওয়া

 জীবন থেকে নেওয়া 

... ঋষি 


শৈশব থেকে যৌবন,তার পর বার্ধক্য 

তুমি দাঁড়িয়ে থাকবে

একটা ভরসা এগিয়ে চলে সময়ের পরে নির্ভীক বাতায়নে ,

হাত দুটো ছুঁয়ে থাকুক 

মানুষটা থাকুক মানুষটার হাতের পাশে 

সেখানে উপস্থিতি সম্পর্ক হয়ে যায়। 

.

আমি প্রশ্ন বুঝি না 

প্রাকঐতিহাসিক সভ্যতার মাটিতে শুধু সত্যটুকু জানি 

মানুষ বাঁচতে চায় , 

তাই পরিবর্তন সময়ের বিশ্বাসী ঘড়ির কাঁটায় 

বুঝি কেউ স্থায়ী নয় 

কেউ অনবদ্য কমপ্লিট মানুষ কিংবা উপন্যাসের চরিত্র নয়। 

.

চরিত্র লিখতে গেলে 

ঢাল ,তলোয়ার নিধিরাম সর্দার সকলে বাস্তবের পটভূমিতে ,

কজন ব্লেডের উপর দাঁড়িয়ে 

কাটাতে পারে জীবন ,

মানুষ মাংসাশী তাই বোধহয় জীবনটাকে তন্দুরি টেবিলে পরিবেশন করে 

নিজেই খায় চিবিয়ে সুস্বাদু নিজের জীবন।

চোখের ওপাশে সরতে থাকা সময় কোলাহল করে 

চামড়ার ভাঁজ 

আজকে যে যুবক ,সে হয়তো কাল একটা জীবন 

আজ যে যুবতী ,সে হয়তো কাল একটা অভিজ্ঞতা 

আজ যে ভ্রুন ,সে হয়তো আগামীর ভবিষ্যৎ 

সব সত্যি

কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্যি হলো  মানুষ একা থাকার অভিনয় করে

অথচ ঘুমের ওষুধ ছাড়া ঘুমোতে পারে না। 

সেই নীল পাখি

 সেই নীল পাখি 

... ঋষি 


ইদানিং একটা নীল পাখি ক্রমশ চক্কর কাটে বৃত্তাকারে তোমার ঘরের উপর 

কখনও  সে নেমে আসে তোমার ছশো স্কয়ারফিট একান্ত বুকের বারান্দায় , 

বিশাল ডানা ছায়া ফেলে ,ক্লান্ত তুমি ওমের  ঘুমে ,

তুমি হাসো ,খুব হাসো ,আজ তোমার জন্মদিন 

ছায়ায় ,মায়ায় ক্রমাগত অনন্ততায় 

এক মুহূর্তের কবিতায় 

আজ আমার চলন্তিকার জন্মদিন।

..

সব সত্যি মিথ্যা হয়ে যায় 

সব মিথ্যা গায়ে মেখে উঠে দাঁড়ায় সময় আমার মতো  ,

তোমার চোখের কাজলে অপেক্ষারা  আপসোস 

একটু বিষন্নতা 

আমি সত্যিটা জানি 

ভালোবাসা বিপন্ন হলে কবিতা হয়ে যায়।  

.

আমি ভাবতে পারি কোনো এক উৎসবের বারান্দায় সেই নীল পাখি 

আমি দেখতে পারি এক রৌদ্র কবিতা মাখা তোমার দৃপ্ত উচ্চারণ 

সবকিছু কেমন সত্যি লাগে ,

হঠাৎ সত্যি হয়ে যায় তোমার ছশো স্কয়ারফীটের স্বপ্ন 

হঠাৎ সত্যি হয়ে যায় আমার বুকের বারান্দায় ঝোলানো ফটোফ্রেম। 

তুমি খুব ভালো থেকো চলন্তিকা 

আমার কবিতার পাতায় তোমার না হওয়া সংসার 

আমার কবিতার শব্দে তোমার ব্যস্ততার বর্তমান 

আমার বুকের ওমে ভেজানো তোমার নারীত্বের স্বপ্ন 

আমার রোজকার কবিতায় তোমার অপমানের বদলা 

সবকিছু আমি লিখে যাবো 

তবে  আজ লিখবো শুভ  জন্মদিন,ভালো থেকো  

আমার নায়িকা ,আমার চলন্তিকা 

আর ভালো রেখো আমায় 

সেই নীল পাখিটাকে।   




মাটি

মাটি 

... ঋষি 

.

না। আমি ঠিক মাটির উপর বিন্দুটা খুঁজে পাচ্ছি না

মাথার দুপাশে হাত, রগ চেপে বসে আছি আজ অনেকদিন 

বিন্দুর আরেক নাম ঘর,

ঠিক যেভাবে, ঘরের আরেক নাম চাওয়া।

চারটে দেওয়াল মানে এই শহরে অঞ্জন দত্তের অপেক্ষা 

না। আমি ঠিক মাথা রাখার বালিশটা খুঁজে পাচ্ছি না।  


আমি স্বপ্ন চাই নি 

চেয়েছি মাটি ,মাটি কখনো মিথ্যে লাগে না ,মাটি কখনো অপেক্ষা করে না 

সহজেই মাটির  অতল নাভির তল ছুঁয়ে ফেলে কৃষকের সহজ আঙ্গুল

ফসলের ক্ষেত, জ্যোৎস্না আলোকে, কোনদিন মিথ্যে বলেনা মাটি ।

চাই চাই চাই চাই …

চাওয়া তবে ফুরোয় কিভাবে ?

অপেক্ষা তবে ফুরোয় কিভাবে ?

আমি জানি শুধু শ্বাসের উপরে বিশ্বাস উঠে আসে। 

.

ফুরোয় সময় প্রতিদিন 

নিয়মিত জীবনের লেনদেন ,যেন এক বাণিজ্য সভা 

যেখানে গৃহস্থ দ্রৌপদীকেও হতে হয় লজ্জিত, 

কাটা ফসলের মাঠে দম চাপা একলা হাওয়া 

মাটির নিবিড় চাওয়া 

কৃষকের ছেঁড়াফাটা হাত, তার কাছে অবৈধ অসুখ।

রাত বড় দীর্ঘ 

মাটি কাঁদে হয়তো 

হয়তোবা বা এক শর্তসাপেক্ষে বেঁচে থাকে,

একটা দিনের শেষে ক্লান্ত কৃষক ঘরে ফেরে সারা গায়ে তার মাটি 

আবারও অপেক্ষা সকালের সূর্য 

ঘুম আসে তার  মাটিকে জড়িয়ে 

যেন খিদে 

কৃষকের স্বপ্নে তখন মাটির শরীরের গন্ধ ,

         লজ্জাহীন। 

 

Thursday, February 23, 2023

মন ভালো নেই

মন ভালো নেই 
..ঋষি 
.
মন ভালো নেই। আমার নারী আছে
সময়ের আয়নায় দাঁড়িয়ে আমার উল্টোমুখে। 
.
আর যে সংসার সংসার খেলে
আদিখ্যেতার বিবাহবাসরে প্রজাপতি এঁকেছিল 
সে আজ আয়নার কাঁচ ভেঙে হিসাব লিখেছে আমার হৃদয়ে
মানুষ নয় এ টি এম
মুখোমুখি কথা নয় শুধু কুকথা। 
.
আর তুমি প্রিয়তমা এই সর্বনাশা বসন্তের দিনে
সংসার পেতেছো কাঁকড়ার বালিতে
সময়ের হাঁড়িতে 
তোমার চিতার ছাই একত্রিত করে।
.
মন ভালো নেই 
পাতার পোশাক পরে বিষাক্ত সময় চলে যাচ্ছে জেরুজালেমে
উৎসব গড়াচ্ছে 
তুমি আমাকে জানান দিচ্ছো আমার ব্যস্ততায় অন্য কেউ
অথচ আমার, গৃহস্থালী ছেটানো যিশুখ্রিষ্টের শোক। 

পরিত্যক্ত

পরিত্যক্ত
..ঋষি 

চিরকাল পরিত্যক্ত আমি
অভ্যেস আর পরিত্যক্ত কুঁড়িয়ে দিনআনি জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমি,
সময়ের লাস্টবেঞ্চ আমার ধুলোমাখা সিংহাসন 
তুমি অভ্যস্ত রানী, তোমার ঘুমে তুমি ঢেলে দাও দু:স্বপ্ন 
আর আমার ঘুমই আসে না। 
.
আমার সামনে হিসাবনিকাশ
সমস্ত জ্যামিতিক প্রতিনিধি, রাশি রাশি প্রতিভা আর সম্ভাব্যময় কাঁটাতার পেরিয়ে
হয়তো তুমি লক্ষ্য করো
ম্যাক্স প্লাংকের কোয়ান্টাম থিয়োরি কিংবা পীথাগোরাস আমার মাথায় ঢোকে না
তাই বোধহয় তোমার লক্ষ্যে আমি পরিত্যক্ত 
অথচ তোমার হৃদয়ের দরজার ঘুনপোকা আমি। 
.
যারা সারাজীবন মাথাউঁচু করে বিনিময় করে বোঝাপড়া 
যারা পুরনো কাগজের ভীড়ে হারিয়ে ফেলে দৈনন্দিন 
যারা মিথ্যে বলে ছুঁয়ে ফেলে তোমার ২৬,৩৬,৩৭.৫
তারাই পুরুষ,
আর আমি আলিঙ্গনে ভোলাতে চাই আমার গতজন্মের পাপ
আমি স্পষ্ট অভাব দেখি তোমার একলা ফুসফুসে 
দেখি গতজন্মের হরিণ শিকারের দাগ তোমার বুকের খাঁজে 
কিন্তু আমি বাঘ হতে পারি 
কিন্তু আমি শিকারী হতে পারি না
পরিত্যক্ত সামাজিক দায়ে আমি তোমার হতে পারি না 
আমি হতে পারি না পুরুষ 
আমি হয়ে থাকি পরিত্যক্ত পোশাক রাত্রির বিছানায়।

Wednesday, February 22, 2023

শূন্যতা ,আবোলতাবোল `

 


শূন্যতার ,আবোলতাবোল 

... ঋষি 


এত দেয়া নেয়ার পরেও

মনে রাখার মতন কিছুই নেই আমার 

তাই দীর্ঘ কবিতার বদলে রেখে যাচ্ছি শূন্যতা। 

গোটা একটা স্টেশন আমার কাছ থেকে হারিয়ে যায় 

ট্রেন যায় ,ট্রেন চলে যায় 

যে যায় সে আর ফেরে না, ফিরে আসে অন্য কেউ,

অন্য  পারফিউম 

অন্য বৃষ্টি ,যার মেঘে বোধহয় একই সোঁদা গন্ধ। 

.

আবাৱও বোধহয় সেখানেই  দাঁড়িয়ে 

একটা সাইন ম্যাথমেটিক্যাল ইজুকাল্টু (=)

দুটো মন শুধু অনুবাদ করে চলে কিছু শব্দ

নিজের বয়ানে,

অথচ আমাদের শরীর ছুঁলেই ভাষা পেতে চায় গৌরব , 

প্রেমের পোশাকে যৌবন আসে বারংবার 

কিন্তু সে আসেনি, সে আসে না

ভালোবাসা আসলে সেইসব কবিতা যার ডাকনাম আমি তোমাকে দিয়েছি। 

.

পুরনো মদ আর বান্ধবী

চট করে নেশাটা আর ধরে না আমার 

সময়ের যোনিপথে সবটাই পিছলে যায় ,এটাই স্বভাব ,

সময়ের ঘড়ির কাঁটা  থামতে চায় না 

শুধু বুঝতে পারছি, সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হল অ্যাশট্রে।

জানি দূরত্ব অনেকটা পথ, দূরত্ব ঘোচবার নয়

জানি দূরত্বতেই  ভালো আছি

এও জানি দূরত্বে আছি বলে তুমি আছো, আমি আছি । 

.

প্রত্যেক পুরুষের একজন পোষা মেয়েমানুষ থাকে 

মেয়েমানুষের গল্প যেমন হয় আরকি,

পুরুষ নিজের মতো করে তাকে সাজায় প্রচন্ড নেশা করে 

সমাজকে পরিচয় দেয় " নাম নেই" 

তবুও সম্পর্ক ।

আমার আবার পুরুষ মানুষ হতে ভীষণ ঘৃণা হয় 

প্রেমিক আর পুরুষের মাঝে এক সুক্ষ্ম তফাৎ আছে 

পুরুষ শুধু পেতে চায় ,আর প্রেমিক বোধহয় হারাতে।  

অপারক

 অপারক 

... ঋষি 


জানি আমি জীবনের শেষ মুহূর্তে আর কেউ থাকে না 

শুধু এক বোধ সাথ ছাড়ে না 

অকৃতজ্ঞ ,

তুমি একটা জীবন নিয়ে কতদূর যেতে পারো 

যেখানে স্মৃতি থাকবে না ,মুখ থাকবে না ,ভাবনা থাকবে না 

কি অদ্ভুত সব কেমন অকৃতজ্ঞ তাই না !

.

তোমাকে ভুলতে আমি যতবার নতুন শহর খুঁজেছি 

ততবারই আমি ঠকেছি ,

সান্তনা ছিল ,কিছু নেশার দ্রব্য ,কিছু ধোঁয়া ,কিছু যন্ত্রনা 

আর নিজেকে আরও নষ্ট করা ,

তবু থামে নি জীবন এগিয়ে গেছে যেন একটা রোডট্রিপ 

একটা বাইক ছুটছে

যে চালাচ্ছে ক্লান্ত হচ্ছে ,থামছে ,অক্সিজেন নিচ্ছে 

কিন্তু আবার ছুটছে।  

.

অরণ্য ভুলতে পারে না তার অরণি ,তার আগুন শোক 

চোখে জল এলে দুর্বল হয় পুরুষ ?

কিন্তু জানতে ইচ্ছে করে নারী তোমার চোখের জলের দামে 

কত গভীর সমুদ্র, 

যেখানে কোনো পুরুষ ,

কোনো নারীর চোখে চোখ রেখে বলতে পারে 

ভালোবাসতো আমায়। 

জানি আমি জীবনের শেষ মুহূর্তে আর কেউ থাকে না 

থাকে না স্মৃতি ,থাকে না মুখ ,থাকে না সম্পর্ক 

শুধু একটা বোধ কাছ ছাড়ে না 

অপারক। 


আগুন

 আগুন 

... ঋষি 

.

আগুন চেয়েছি 

তোমার সমস্ত আগুনের পাশে একটা মোমবাতি 

গলছে ,

আর  আমি ভুল করছি 

                তুমি ভালোবাসো আমি জানি 

অথচ হৃদয়ের ধর্মগ্রন্থে জাতি বিদ্বেষ ।

.

আমার ছেলে খেলার ছলে ভাঙতে থাকে সমস্ত নিঃশব্দতার প্রতিধ্বনি 

তুমি একলা হয়ে হঠাৎ মনে করো আমায় 

কিন্তু সত্যিটা বোঝো নি কোনোদিন 

যারা মনেতে থাকে 

তাদেরকে আলাদা করে আকাশে খুঁজতে হয় না

তুমি ঠিক বুঝেছ আমি কবি না অভাবী নায়ক । 

.

একটা রেলিঙে ভর দিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে গালে হাত দিয়ে 

আমি অপর্ণা সেনের সাথে ভালো লাগা গুলিয়ে ফেলি 

অথচ সিনেমার মতো জীবন 

            কখন যেন মাটি মেখে মুখ ভেংচায় 

আমি তোমাকে সবার মাঝে খুঁজে পাই।  

আগুন চেয়েছি 

      তাই আগুন খেয়েছি ,

হকিংসের মহাপ্রস্থানের থিওরি আজকাল বড্ড মিথ্যে লাগে 

সত্যি মনে হয় দানবীয় জীবন একটা প্রস্থান শুধু 

সেখানে ঈশ্বর নেই। 

অনিয়মিত অথচ নিয়ম

 অনিয়মিত অথচ নিয়ম  

... ঋষি 


মানুষ হেরে যাওয়াটাকে খুব  ভয় পায়

তাই সময় থেকে শুরু করে  সম্ভাবনা অবধি শুধু দৌড় আর দৌড়, 

মানুষ অন্ধকার কেও বড্ড ভয় পায়

তাই আলো খোঁজে , আর আলো খুঁজতে গিয়ে খুঁজে পায়

আগের থেকে বেশি অন্ধকার। 

মানুষ হাসতে ভালো বাসে তাই অন্যের মুখের হাসি কেড়ে নেয় 

মানুষ কান্নাকে ভয় পেয়েও বোঝে না কিছুতেই কেউ তার জন্য কাঁদলেও । 

.


মানুষ বাঁধন ভয় পায়, মানুষ পাখি হতে চেয়ে আকাশ খোঁজে 

কিন্তু একটা সময়ের পর হঠাৎ অনুভূব করে 

সম্পর্ক একটা কারণ ছাড়া ভেঁপু যার শব্দটা কানের কাছে অবিরত বাজে  ,          

মানুষ ব্র্যান্ডেড ঘড়ি ,ব্র্যান্ডেড পোশাক পরেও 

হঠাৎ একদিন আয়নার সামনে কান্নায় ভেঙে পরে 

তার ভীষণ একা লাগে। 

.

আসলে মানুষ জীবনে সবটাই পায় 

কি হা হুতাশ করে কারণ মানুষ সময়ে বুঝতে পারে না,কেন ?

কিন্তু যখন বোঝে তখন দেরি হয়ে যায় ,

সত্যি হলো মানুষের পৃথিবীতে কোনো নীলকণ্ঠ নেই 

তাই জীবনে বিষটুকু থেকে যায় ,জীবনের বোঝাপড়ায়। 

কথায় বলে যার শেষ ভালো তার সব ভালো 

সত্যি হলো ব্যাপারটা উল্টো 

যার শুরু ভালো না,

তার ই শেষ টা পচাই হয় 

আর পচা গন্ধটা হাজারো পাউডারে ,পারফিউমে ঢাকা যায় না 

অন্য আশেপাশে যারা ,তারা পায় 

হাত তালি দেয়, হাসে 

সেই হাত তালি হাসির আওয়াজ  

বহু মাইল পথ অতিক্রম করে রোজ রাতে সেই মানুষগুলোর বেডরুমে আসে, আসবেই ।

Sunday, February 19, 2023

দেবদাস

দেবদাস 
.. ঋষি 
আমার কবিতা ছেড়ে বহুদিন চলে গেছ তুমি
একাকিত্বর মতো দু:সপ্নরা এখন আমার না লেখা কবিতা 
ছোটবেলার পাগলা চঞ্চলদার মতো কবিতা এখন সর্বক্ষন ভয় দেখায় 
চলে যেতে চায় কিংবা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে বলে 
পাগলামি ছাড় না হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরতে হবে। 
.
যে কোন দিন আমি দেবদাস হয়ে যেতে পারি 
কিন্তু তোমাকে প্রশ্ন করা হয় নি ছেলেরাই কেন দেবদাস হয়? 
কিংবা শরৎবাবুর কলমের নিবে দেবদাসের মৃতদেহ কেন আজও অপেক্ষায়?
জানি তুমি সংংবাদপত্র পড়, খবর শোন, মুঠোফোনে ধরে রাখো চরিত্রদের
কিন্তু তুমি কখনও বুঝতে চাও নি 
আমার থ্যাঁতলানো কলম আজও কেন শব কাটা ঘরে শুয়ে। 
তুমি বোধহয় জানো না
কতিপয় সমাজ আজও জল খেতে আসে গ্রীষ্মের দুপুরে আমার কবিতায়
তাদের ব্যাস্ত পৃথিবীতে থাকে না কোন একরিয়াম কিংবা কালমার্কস 
শুধু থাকে স্বার্থপরতা,
মানুষের কবিতাগুলো আজকাল নর্দমার পাশে মাছি হয়ে ওড়ে
আর ভালোবাসার কবিতারা মেনোপজ রাজনীতি আর ধুরন্ধর বেশ্যার দালাল হয়ে ভরে থাকে সকালসন্ধ্যা। 
আর রাত্রি হলে কবিতারা ছেড়ে যেতে চায় আমাকে তোমার মত,
এখন আমার আগুনের মুখোমুখি বারুদের ঘর বাঁধতে প্রশ্ন জাগে
আদৌ কি এগুলো কবিতা? 
নাকি মৃতশরীরে শুয়ে থাকা শব্দগুলো আসলে দেবদাসের মৃত্যুর কারণ। 
.
আসলে শরৎবাবুর উপন্যাস লেখা স্বার্থক হলেও
আমি এখনও বুঝতে পারি নি আমার কবিতা লেখার স্বার্থটা কি। 


Saturday, February 18, 2023

ঈশ্বর ,শুধু এতটুকু

 


ঈশ্বর ,শুধু এতটুকু 

... ঋষি 


জানি মানুষের শিক্ষা মানুষকে উন্নত করে 

কিন্তু প্রশ্নচিন্হ থাকে ,

জানি মানুষের পরিবেশ মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করে 

কিন্তু প্রশ্নচিন্হ থাকে ,

                 প্রশ্নচিন্হ একটা ঈশ্বরের বোধ 

একটা তৃতীয় পকেট যেখানে সকলে ভরসা রাখে,সঞ্চয় করে । 

.

ভরসার কথা যখন হলোই 

আপনি হাওয়ার গায়ে ছুঁড়ে দিলেন আপনার শৈশব 

অথচ আপনি নিরাপদ 

               কারণ উপস্থিত আপনার অভিভাবক ,

অথচ এই বয়সেও আপনার ছাদের পাঁচিলে দাঁড়াতে ভয় করে 

              কারণ সত্যিটা হলো আপনি নিরাপত্তাহীন। 

.

মানুষ ঈশ্বর তৈরী করে 

      আসলে মানুষ ঈশ্বরের আঁচলে নিজেকে নিরাপত্তায় রাখতে চায় 

কিন্তু প্রশ্নচিন্হ থাকে,

আপনি বিশ্বাস করেন আপনার  জীবন  সঙ্গীকে ,আপনার আত্নীয়দের 

কি

ন্তু  

প্রশ্ন 

      চিন্হ থেকেই যায় । 

নিরাপত্তাহীন মানুষ কিংবা  মানুষগুলো  দরজার বাইরে এই  শহরে চিরকাল একা 

              এটা একটা বোধ 

অথচ অদ্ভুত হলো সকল বোধের কোনো বয়স হয় না 

                         একটা গুপ্তহত্যা ঘটতেই পারে

তবুও ,তাই 

মানুষ বিশ্বাস করে  

                 ঈ শ্ব র ,,,,,শুধু এতটুকু। 

Tuesday, February 14, 2023

ভালোবাসা (৩)

 ভালোবাসা (৩)

.... ঋষি 


তুমি আমার ঝগড়া করো কিংবা একলা 

তাতে কি ?

তুমি আমাকে বলো ভালোবাসি কিংবা বলো মন্দ বাসি 

তাতে কি ?

সব প্রশ্নোত্তরের পরে তুমি লেগে থাকো আমার প্রতি মুহূর্তে 

কারণ তুমি আমাকে ভালো রাখতে জানো। 

.

তুমি আমার সাথে থাকো  কিংবা না থাকো 

তাতে কি ?

তুমি আমাকে ভাত বেড়ে দেও কি না দেও 

তাতে কি ?

সব অজুহাতের পরেও একটা হাত থাকে আমার কাছে সারাক্ষন 

যা আমাকে আশ্বস্ত করে যে আমি বেঁচে। 

.

তুমি আমাকে গোলাপ দেও কি না দেও 

তুমি আমার দিকে তাকাও কি না তাকাও 

আমার  প্রিয় কবিতার বইয়ের পাতায় একটা শুকনো গোলাপ আছে 

যা আমাকে মনে করায় 

তুমি আছো কোথাও একমাত্র আমার জন্য ,

তুমি আছো তার সাক্ষী দেয় আমার নির্ঘুম রাতে বাইরে একলা শহর 

তুমি আছো তা বলে দেয় আমার গাড়ির স্পিডমিটারের কাঁটা। 

সমস্ত অন্ধকারের পরে তুমি এসে দাঁড়াও আমার সামনে 

আমার চোখের থেকে আচমকা ঝরতে থাকে সবুজ বসন্ত 

একলা শীত তখন আমাকে কাবু করতে পারে না 

কাবু করতে পারে না কুঁড়িয়ে পাওয়া আমার  বাসি জীবন 

আমার শব্দরা জাগ্রত হয় 

তোমার কথা বলে ,

তুমি আছো তাই ভালোবাসা আজও ঋণমুক্ত আকাশে 

পাখির মতো আমাকে বিশ্বাস যোগায়। 


নষ্ট কবিতা

নষ্ট কবিতা
.. ঋষি 
আমি ধানসিঁড়ির সেই কবি নই যার কবিতায় শুধুই প্রেম আর প্রকৃতি, 
বিশ্বাস করুন আমার কবিতারা ইট, কাঠ আর শহরের কালো ধুলোয় মোড়া
যার শরীর জুড়ে ফ্র‍য়েড ঘুনপোকা 
কুঁড়ে খাওয়া জীবন, খুড়ে পাওয়া জীবন 
আর আমার কবিতারা প্রত্নতাত্ত্বিক ফসিল। 
.
আমার চলন্তিকা কখনো রাণী ছিল না
সে হলো রাস্তায় কাপড় তুলে দাঁড়ানো সেই মেয়েটা
যার নখেও বাসা বেঁধেছে সিফিলিস, 
আমার চলন্তিকা প্রতিদিন নিপাট দক্ষতায় সন্তান মানুষ করে
অথচ রাত্রে তার বুকের উপর হামলে পরে সমাজ 
তার বুকটা খাখা করে চিরকাল এই শহরের অন্ধকার ফাঁকা রাস্তার মতো। 
.
আমার কবিতার এই শহরের মতো কোন শৈশব নেই
আছে অপক্ক যৌবন যেখানে স্কুল ফেরত মেয়েটা মিথ্যে প্রেমিকের সাথে সহবাস করে,
শরীরকে প্রেম ভাবে
ফ্র‍য়েড কে ভাবে ঈশ্বর। 
আমার কবিতাদের কোন শিক্ষা নেই, নেই সংস্কৃতি
আছে এক বেজন্মা মুখ
যে তার পিতাকে খুন করে ফুটপাথে অশ্লীল গালাগাল করে
জীবনকে ভাবে রুটি 
আর পার্কের সেই বেঞ্চটাকে ভাবে ঘুম। 
আমার কবিতাদের কোন রাষ্ট্র নেই, নেই তারকাঁটা ঘোরটোপ
আছে বিতৃষ্ণা এই সমাজের প্রতি, সময়ের প্রতি
আমার কবিতার চরিত্ররা ম্যাকবেথ
আমার কবিতার বিশ্বাসরা মেহেনতি মানুষ
আমার কবিতার নারীরা একধারে মা 
অন্যদিকে সন্তান খসানো এই শহর 
আমার কবিতারা নর্দমায় চান করে
হাজারো গুমুত ঘেটে অসময়ের যোনিতে জন্মায়
আমার প্রতিটা কবিতা তাই বেজন্মা
আর আমি 
না হে আমি কবি নই, 
আমি নষ্ট ভ্রুনে জন্মানো সময়ের রক্তাক্ত প্রশ্ন। 


ভালোবাসা (২)

ভালোবাসা (২)
.. ঋষি 

যেকটা পাথর তুমি ছুঁড়েছ আমায় 
তার প্রতিটা লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে আমি জানতাম
কিন্তু এক অতলান্তিক তোমার অভিমান আমাকে ছুঁলেও
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভালোবাসা,
মিথ্যা বলেনি সময় দরজার বাইরে দাঁড়ানো মানুষ 
ভালোবাসি খুব সহজেই বলে। 
.
ভেবে দেখো চলন্তিকা
আমার, তোমার বাইরে আজকাল কবিতারও
একটা শরীর থাকে,
আর কবির থাকে একটা অভ্যাস, অভাব।
এমন কোন কবি কি সত্যি আছে
যে তোমাকে ভালোবাসে নি কষ্টে কিংবা তোমাকে ছোঁয় নি অভাবে
কারণ জানো চলন্তিকা
কবিরা সকলেই স্বার্থপর। 
.
আমি ভালোবাসা বলি না আর
আমি বলি মানুষের দরজার বাইরে একটা আকাশ থাকে,
প্রতিদিনকার দারিদ্রতার পরে সকলেই রাজা কোথাও
সেই আকাশে সাম্রাজ্য সাজায় নিজের মত করে।
তাই বলে যে স্বপ্নের রানীরা সব অভিমানী এমন তো নয় 
কারোর কারোর ভালোবাসায় পাথর বৃষ্টি থাকে
কারোর বা ভালোবাসা শব্দে অনীহা
সত্যিটা হলো
ভালোবাসা হলো রাস্তায় পরে থাকা সেই অহল্যা
যা বুকে ঘষলে বুকের চামড়া ওঠে ঠিক 
কিন্তু পাথরের বুকে দাঁড়ানোর যোগ্যতা বা সাহস মানুষের কই। 


ভালোবাসা (১)



 ভালোবাসা (১)

... ঋষি 


Love, relationship, rights, demands

                       I understand everything

But I don't understand the meaning of love......

.

ভালোবাসা একটা ড্রয়ার খোলে 

ভালোবাসা দরজা খোলে ,জানলা খোলে ,পোশাক খোলে 

খুলে ফেলে বুকের ধুকপুকের শেষ মাইলস্টোন ,

আপনি প্রেমিক ,আপনি স্বামী ,আপনি অধিকার

আপনি সমাজ ,আপনি সময় ,আপনি এটিএম  

আপনাকেও নিশ্চয় খুলতে হয় জানি ,আবার পরতেও হয় 

কিন্তু পোশাকের ভিতরও আপনার মুখোশটা ভীষণ কষ্টের,তাই না । 

..

প্লিজ উত্তরে তাকাবেন না হিমালয় আছে 

প্লিজ দক্ষিণে তাকাবেন না ভারতমহাসাগর আছে 

পর্বে তাকাবেন না বঙ্গোপসাগর আর পচ্ছিমেও না আরবসাগর 

আরে বুঝতে পারছেন না ,আপনার প্রেমিকা রাগ করবে ,

আপনি নিচেও তাকাতে পারবেন না 

ছিছি নিচে তাকাতে হয় 

আর উপরে প্লিজ একদম না অন্য মেয়ের বুকটুক 

সুতরাং চোখবন্ধ করুন 

দীর্ঘ নিশ্বাস নিন 

আপনি না যোগী। 

..

আরে ভালোবাসা হলো ঘোড়ার চোখের সেই সাপোর্টটা (ঠুলি ) 

শুধু সোজা তাকাতে হবে 

সে মনেই হোক ,বেঁচে থাকাতে  হোক ,সামাজিক হোক ,লজ্জা হোক ,

আপনি ভালোবেসে সমাজ জড়াতে পারবেন 

কিন্তু সময় না ,আকাশ না ,ভাবনা না 

কারণ দেওয়ালের ভিতরে আরেকটা পৃথিবী আছে সময়ের সংবিধানে লেখা। 

আপনি জীবনসঙ্গী নির্ধারণ করছেন 

আপনি সিঁদুর নির্বাচন করছেন 

আপনি পুরুষ নির্বাচন করছেন ,কিংবা নারী 

শুধু একটাই চান্স 

তারপর বাকিটা অসামাজিক। 

বুঝলেন মশাই ভালোবাসার ডিকশনারিতে বোধহয় কাদম্বরী শব্দটা নেই 

তাই বোধহয় কর্ণ সারাজীবন উপেক্ষিত 

সেই কারণেই বোধহয় কবি লেখেন 

"বেণীমাধব ,বেণীমাধব আগুন জ্বলে কই 

কেমন হবে, আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?"

Wednesday, February 8, 2023

প্রেমিকা শহর

 প্রেমিকা শহর 

... ঋষি 


কলকাতা আমার প্রেমিকা শহর 

এর রাজপথে হাঁটলে আকাশ দেখা যায় না ,

শুধু কুমন্ত্রণায় শুনতে পাই 

এই শহরের মানুষের কারণ বাড়ার লোভ আর আকাশ কমার । 

সামনের ফুটপাথে রোজ নিয়ম করে  বিক্রি হয় নকল কিছু  আয়না 

সে আয়নায় নারী ,পুরুষ নির্বিশেষে এক একটা কারণ

আর সেকারণে বাড়তে থাকে আমার প্রেমিকার নষ্ট হবার গল্প । 

.

এই শহর মানুষকে একলা হওয়ার পরামর্শ দেয় 

কানের  কাছে ফিসফিস করে সকলকে বলতে থাকে আমি তোমার নারী ,

অথচ এই শহরের  গভীরে একটা চোখ আছে 

আছে ভাষা ,

এই শহরের রিক্সাওয়ালারাও জানে 

আরোহীর গন্তব্য বড় অস্থির এখানে। 

.

কলকাতা শহর জানে এখানে কবিতারা জন্মায় 

কারণ এখানে সমস্ত জন্মরা নিরাপত্তাহীন  

কবিরা ঠিকানাহীন ,

কলকাতা শহর জানে এই শহরের ভিতরে অন্য এক অন্ধকার নারী আছে 

যার সারা শরীর জুড়ে শুধুমাত্র অসংখ্য কালসিটে ,

এখানকার মানুষ বোঝে তার প্রেমিকার যন্ত্রনা 

তাই তো এখানে মোমবাতি মিছিল ,অবাঞ্চিত সমাবেশ 

কারণ নারী পাপিষ্ঠ হলে সমাজ উলঙ্গ হয়।   

কলকাতার আমার প্রেমিকা শহর 

অথচ এই শহরের যন্ত্রনা কোন বিচ্ছেদের থেকে কম না 

কলকাতার সারা শরীর জুড়ে রুজিরোজগারের দৌড় ,হাজারো মেহফিল 

তবে সবকিছুর কারণ ফুরিয়ে যায় 

যখন অন্ধকার রাত্রে একলা ভালোবাসা তার প্রেমিকের হাত ধরে

Saturday, February 4, 2023

সরলরেখায় আছি

 সরলরেখায় আছি 

... ঋষি 


রাস্তাগুলো সরলরেখার মত ঋজু হয়

সরলরেখার দুপাশে পা দিয়ে বসে আমি অন্যমনস্ক হয়ে যাই 

সকালগুলো রোদের মত বা ঠান্ডার মত নরম হয়

আমি বৃষ্টির একপাশ থেকে অন্যপাশে হেঁটে চলে বেড়াই। 


সময়ের শরীরে লেগে থাকা জ্বরের মতো 

তুমি আমার সারা গায়ে আর সময়ে জড়িয়ে থাকো

সকল থেকে সন্ধ্যে বয়ে চলা শীতল হওয়ার মতো 

আমি কবি আমাকে না হয় সময়ের কবিতায়  রাখো। 

.

বিকেলে কলাগাছ থেকে শুঁয়োপোকা আসে

আমি চা হাতে গ্রিলের ধারে বসে শালিখ খুঁজতে থাকি 

পাশে খেলার মাঠে কোলাহল শৈশব 

সময়ের বালিতে ঝিনুক কুড়োতে থাকি। 

.

ছবিরা দ্রুতগামী হলে এই পৃথিবীতে বালিঘর 

সম্পর্করা ভিড় করে আসে 

মেঘের ঝুলে পড়া দেখে পা ঝুলিয়ে বসি বারান্দায়

মুহূর্তরা শুধু তোমাকেই ভালোবাসে। 


মঞ্চ

 মঞ্চ 

... ঋষি 


মঞ্চের সামনের সারিটা খালি ছিল 

একে একে আসনগ্রহণ করলেন  লেখক লেখিকা, কণ্ঠশিল্পী 

মঞ্চের উপর ডায়াসে দাঁড়িয়ে তখন সভাপতির ভাষণ 

আর কিছুক্ষন 

শুরু হবে কবিতা পাঠ 

সমস্ত কলাকুশলীরা ব্যস্ত ,উসখুস করছেন তখন পারফর্মেন্সের কবিতায়

নিজেকে প্রমান করার জন্য । 

.

একে একে কবিদের  নাম ডাকা শুরু হলো 

বড় কবি ,ছোট কবি ,মাঝারি কবি 

কবিতা পাঠ চলছে প্রকৃতির কবিতা ,শহরের কবিতা 

আকাশের কবিতা ,মানুষের কবিতা ,সময়ের কবিতা 

কেউ শুনছে ,বেশিরভাগ ভাগ করছেন আপোসে নিজেদের কবিত্ব। 

.

ঠিক তখনি কবিতার ঈশ্বর মঞ্চে আবির্ভূত হলেন

সকল দর্শক কবিদের প্রশ্ন করলেন আচ্ছা বড়ো কবি আর ছোট কবির তফাৎ কি ? 

তিনি প্রশ্ন করলেন 

সভ্যগন এমন কি হয় না যিনি প্রকৃতি নিয়ে লিখেছেন

তিনি পড়বেন খোলা মাঠে আকাশের নীচে

যিনি শহর নিয়ে লিখেছেন তিনি পড়বেন শহরের উপকণ্ঠে

যিনি মানুষ নিয়ে লিখেছেন তিনি পড়বেন মানুষের এর সামনে 

যিনি সময় নিয়ে লিখেছেন তিনি পড়বেন মহাকালের দরজায় 

তবে কেন এই রুদ্ধ বাতানুকূল মঞ্চ ?

কেন উদ্দাম কণ্ঠে কবিতা নয় ?

কেন কোন স্বার্থের,বিজ্ঞাপনের  মঞ্চ ?

সভাঘর নিস্তব্ধ তখন ,

আকাশ তখন নেমে আসে সভাঘরের মাঝে ,শহর থমকে যায় 

সমযের গাছ, পাতা ,নদী পাখিরা  জমায়েত করে সভাঘরের  দরজায় 

তবু মানুষ কোথাও থাকে না 

কবিরা ফিরে যান যে যার বাড়িতে 

আবার শুরু হয় নীরব কবিতা পাঠ সময়ের কবিতায় ।

তুমি আর তুমি

 তুমি আর তুমি 

... ঋষি 

.

জানো কেন আমি তোমায় ভালোবাসি 

কারণ একমাত্র তুমি 

একমাত্র তুমিই। ...

           যে আমাকে মানুষ ভেবে চুমু  খায় 

যে আমাকে সঙ্গমের আঁচে জড়িয়ে ধরে বলে 

তুই। ..তোকে আমি কাউকে দেব না। 

.

জানো কেন তুমি আমাকে ভালোবাসতে পারো নি 

কারণ একমাত্র আমি না   

           একমাত্র আমি ছিলাম না কোনোদিন ,

একটা নিয়ম যখন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে সাপের মতো 

তখন ভালোবাসা অভ্যেস হয়ে যায় 

কিন্তু মানুষের বেঁচে থাকায় অভ্যেস বদলায় কিংবা বদলানো যায় 

কিন্তু বেঁচে থাকা বদলাবে কি করে। 

.

কোনটা ঠিক ,আর কোনটা ভুল 

না আমি সেদিকে যাবো না 

আজ বরং একচল্লিশের রাস্তাটা ধরে আমি শান্ত ভাবে হেঁটে যাবো  

তোমার দিকে দিকে না 

বরং পাশের দুটো গলি পেরিয়ে আমার তুমিটার দিকে 

শুনেছি সেখানেও নাকি নিয়ম করে সকাল ,বিকেল হয় 

কিন্তু কি এসে যায় বলো 

কে কার স্ত্রী ,কে কার সন্তান ,কে কার সম্পর্ক 

না আমি ওদিকে যাবো না 

আমি সোজা হেঁটে যাবো তোমার কাছে 

তোমাকে বলবো আমাকে অনেক্ষন চুমু খাচ্ছ না 

আমি মানুষ তো। 


Friday, February 3, 2023

সাঁইত্রিশমিনিট

 সাঁইত্রিশমিনিট 

... ঋষি 


গুনে গেঁথে সাঁইত্রিশ মিনিট 

আমি ২৪ ঘন্টার বাসে চেপে গন্তব্যে পৌঁছতে চাই 

সারাটা দিন কেটে যায় 

        রাত কাটে ,

অথচ ভোরের লালচে আলোতেও গন্তব্য অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকে 

তার মাথায় সময়ের টুপি আর গায়ের গেঞ্জির রংটা সূর্যের। 

.

গুনে গেঁথে সাঁত্রিশে মিনিট 

সকালের চায়ের কাপে আজকাল খবরটা  শুনতে পাই 

ভালোবাসার মৃত্যু ঘটেছে  কাল রাতে ,

বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ভালোবাসাকে   পিষে চলে গেছে  ২৪ ঘন্টার বাসটা 

অথচ ভালোবাসার মৃত মুখে আজও একটা নিলজ্জ  হাসি লেগে 

কারণ তার  ভালোবাসা  আজও ভালোবাসার  মৃত্যুর খবরটা পাই নি

পাই নি ভালোবাসার কারণখুঁজে সূর্যের রং । 

.

গুনে গেঁথে সাঁত্রিশে মিনিট 

লোকটা চুপ করে শুনতে পায় একটাদিনের চলে যাওয়ার পায়ের  শব্দ ,

শুধু এতটুকু 

তার টিনের ঘরের  ছাদে দুটো শালিখ খেলা করে রোজ নিয়ম করে

     তবুও দিন কাটে    

     তারপর অন্য একটা দিনে নিয়মকরে।  

লোকটা আবার সারা রাতের পরে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে 

জানলা দিয়ে বাইরে তাকায় 

তার চোখের মনিতে ছায়া পরে আবারও একটা নষ্ট দিন

তখন কেন যেন দিন শব্দটা মিথ্যে হয়ে যায় 

মিথ্যে হয়ে যায় গন্তব্য 

যতটুকু থাকে সেটা  

            সেটা  যন্ত্রনা 

তবুও সাইত্রিশমিনিট কিংবা ২৪ ঘন্টা কোনোটাই ভালোবাসা নয় । 

 


মাতৃত্ব

 মাতৃত্ব 

... ঋষি 


অনির্বাচিত পৃথিবীর অধিকারিণী 

সেদিন প্রধানমন্ত্রীর দেশউত্থানের আগুনে চিৎকার করে মাইকে বললেন 

আমার কাছে প্রতিটা মেয়ে আসলে গর্ভধারিনী 

সবুজ শস্যের মাঠ ,

ঠিক সেদিন রাতে লুঠ হয়ে গেলো কোলোয়ারী কয়লার মাইনে মেয়েটার ইজ্জত 

সেদিন সেই সোনার শস্যের ক্ষেতে বোনা হলো 

কিছু  হায়নার নিলজ্জ ভ্রুন 

মেয়েটা রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হতে হতে বললো 

মা..............। 

.

মেয়েটার জ্ঞান ফিরলো সাত দিন পরে কোলোয়ারী হাসপাতালের বেডে 

তখন তার শরীরে রেখে যাওয়া শ্বাপদের দাঁতের দাগ 

তলপেটে তার  মারাত্নক যন্ত্রনা ,

কোলোয়ারী মালিক এলেন একমুখ পানের পিক দেওয়ালে ছিটিয়ে বললেন বুঝলি ফুলি 

এই সব কেসকাছারিতে,পুলিশ করে  লাভ নাই 

বরং আমি কিছু টেকা  দিচ্ছি ,তুই শহরে চলে যা  ,

ফুলি ক্ষুদার্থ  আহত বাঘিনীর মতো বলে উঠলো 

শয়তানগুলোকে ছাড়ুম না বাবু। 

.

অনির্বাচিত পৃথিবীর অধিকারিণী 

এর কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর দেশউত্থানের আগুনে চিৎকার করে মাইকে বলেছিলেন 

আমার কাছে প্রতিটা মেয়ে আসলে গর্ভধারিনী 

সবুজ শস্যের মাঠ ,

আর তার কিছুদিন পরে   কোলোয়ারী মাইনের ভিতর পাওয়া গেলো ফুলির উলঙ্গ রক্তাক্ত  লাশটা 

তার শরীরের নরম মানুষগুলোকে খুবলে নিয়ে গেছে এই নারকীয় ,জান্তব পৃথিবীর দখলদারি ,

সেদিন কোলোয়ারী মালিক কাঠি দিয়ে সুপুরির টুকরো পরিষ্কার করতে করতে থানার বড় বাবুকে বললেন

ব্যাপারটা জানাজানি যাতে না হয় ,

থানার বড়বাবু তার আর্দালিকে বললেন লাশটা পোস্টমর্টেমে চালান কর। 

.

ফুলির শরীরটা এখন পরে আছে লাশ কাটা ঘরের টেবিলে 

তার ডানদিকের স্তনের একটা অংশ বিচ্ছিরি ভাবে খুবলোনো 

তার একটা চোখের মনি উবড়োনো 

কোলোয়ারী ডাক্তার ছুরি ,কাঁচি পাশে রেখে তার সহকারীকে বললেন 

আরে মেয়েটা তো প্রেগনেন্ট ছিল,,,,,এরা মানুষ  ,

ঠিক তখনি এই গনতন্ত্র হুমড়ি খেয়ে পড়লো ফুলির মৃত রক্তাক্ত যোনিতে

ঠিক তখনি দৃশ্যগুলো অদৃশ্য হচ্ছিল ফুলির উবড়োনো চোখের মনিতে 

ঠিক তখনি এই নষ্ট পুরুষতন্ত্র  অট্টহাসি দিয়ে হুংকার দিয়ে উঠলো 

শুধু যোনি ,শুধু শরীর 

মিথ্যে মাতৃত্ব 

আর তখনি ফুলির ভিতর দিয়ে না জন্মানো সন্তানের  ভ্রূনটা ডেকে উঠলো 

মা.............।  


   


তোমাকে ভালোবাসবোই

 তোমাকে ভালোবাসবোই

......... ঋষি 


তুমি আমার হাতদুটো ধরো 

তুমি আমার চোখে চোখ রাখো 

তুমি আমার ঠোঁটের উপর ঠোঁট রাখো 

তুমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারো 

বলতেই পারো তবে........... এখানেই তবে শেষ হোক 

তবু জেনো আমি তোমাকেই ভালোবাসবো। 

.

তুমি জানো আমি খুব সাধারণ 

তুমি জানো আমার ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় 

তুমি জানো আমার ঘরের সিলিঙের তারা আর অন্ধকার রাত চাঁদের 

তুমি জানো তুমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারো 

ভাবতেই পারো। ............ছিনে জোকের মতো আমি 

 

.

জানি একদিন ঠিক তুমি ছিঁড়ে ফেলবে এই অনির্বাচিত আদর 

জানি একদিন ঠিক তুমি হয়ে উঠবে মহান কোনো দরবারে 

জানি একদিন আমার মৃতদেহ শুয়ে থাকবে তোমার অন্ধকার ঘরের বাইরে 

জানি একদিন ঠিক আমার কবিতার পাতায় আমাকে পোড়ানো হবে 

সেদিন কোনো ইমেইল বা ঘড়ির কাঁটায় পাওয়া যাবে না আমাকে  

সেদিন তুমি বুঝবে 

                  আমি................আমাকে ।

একটা সভ্যতা শেষ হয়ে গেলে পৃথিবী দাঁড়ায় না 

একটা বদহজমের ঢেঁকুর তোলে ঠিক ,

সেদিন হয়তো তুমি হাসবে 

হয়তো চিৎকার করে বলতে চাইবে  

                    আমার কোনোদিন শেষ না লেখা কবিতাটা, 

কিংবা বলতেই পারো লোকটা আসলে একটা বদ্ধ পাগল ছিল 

             তাতে কি ?   

                       তবু জেনো আমি তোমাকেই ভালোবাসবো।


আমিও হয়তো

 আমিও হয়তো

... ঋষি 


সময়ের কাছে কিছু অবান্তর 

আমি সময়ের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে মানুষ দেখতে থাকি 

কখনো হাসি ,কখনো ভালোবাসি ,

তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে 

তোমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে 

কিন্তু ভালো লাগে না দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে তোমাকে দেখতে। 

.

প্রশ্ন উর্দ্ধ পেকে যাওয়া জুলফিতে আজকাল হিমের পরশ 

তুমি কথা বলো না

              চুপ থেকে বুঝতে চাও সকালের এক কাপ চায়ের উষ্ণতা ,

আমি বুঝতে পারি তোমার আর  কিছু বলা বাকি নেই 

আসলে ফুরোনো সকালের কাছে বিকেলের আবদার 

সে যেন শূন্য রাস্তায় পরে থাকা ভাঁড়ে ঠোঁটের স্মৃতি। 

.

সময়ের কাছে অবান্তর 

আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে গুনে নি হাতের শেষ কয়েকটা খুচরো পয়সা 

রোজ নিয়ম করে হিসেব করি 

                   অথচ গুলিয়ে যায় বারংবার ,

জন্মের খোলা দরজার ওপারে অজস্র উপনিষদ 

সাক্ষী রেখে যায় মানুষের নাগরিকত্বের ,

কিন্তু দরজা শব্দটা নাগরিক ছিল না কোনো দিন । 

দরজার এপাশে আমি 

           ওপাশে তুমি 

মাঝখানে শুধু শীতের পর্যন্ত বেলা ভালো লাগে না

ভালো লাগে বরং ভাবতে 

আমিও হয়তো.................. ..। 

 


Wednesday, February 1, 2023

Translate

Translate
...
ঋষি 
তোমাকে Translate করতে শব্দ কম পরে
তোমার বুকের নীচে দাঁড়িয়ে হা করে মাপতে থাকি উচ্চতা,
কিন্তু হিসেব মেলে না
৷ যা পাই 
সে শুধু বিস্ময় আর মরিচীকা 
বারংবার ঝাঁপ দি অথচ মৃত্যু ঘটে না। 
.
মোমবাতি গলতে থাকে
আমার মাথার ভিতর জমতে থাকে নেশা
আবিষ্কারের বুক খুলে দেখি 
অজস্র মুখ,
গুলিয়ে ওঠে সময়ের আলমারীর তাকে হারানো শান্তি 
শুধু প্রিয় বইয়ের ভিতর আজও খুঁজে পাই শুকনো গোলাপ। 
.
সব clarification ছাড়িয়ে আমি ক্লান্ত তখন
তোমায় কিছুতেই ভালো রাখতে পারি না, 
তোমার শাড়ির আঁচলে নিজেকে ফাঁস দি
হয়তো মৃত্যুশোক এটা,
তবুও ভন্ড সন্ন্যাসীর মতো শান্তির জল ছিটোতে থাকি
ভাবি শ্রীকান্তের মতো 
জলের গভীরতায় ঢেউ থাকে না
ঢেউ সে যে সামুদ্রিক একটা ম্যাজিক 
কিন্তু ম্যাজিক দিন  
বিস্মত 
তোমাকে বুঝি অথচ বুঝতে পারি না। 
 

ভালো মানুষ

 ভালো মানুষ 

... ঋষি 

.

ভালো হতে হলে শ্রুত হতে হয় 

আমি তো বিশ্রুত 

আমার পকেট ভরা এই কলকাতার না খাওয়া মানুষ 

আমার রুমালেতে ছুঁয়ে মানুষের শোক 

আমি কি করে ভালো মানুষ হবো ?

আমি কি করে তোর মতো হবো ?

.

বিমূর্ত জীবনের খাতায় তোর ক্ষোভগুলো আমাকে ছায়ার পিছনে রাখে 

সামনে ছায়া আগে আগে হাঁটে 

আমি পিছোতে থাকি ,

মানুষের সাথে ,মানুষের খিদেতে আমিও নির্ঘুম থাকি ,

শুধু সময় বদলায় 

অথচ চার্চের ঘড়িতে আজও যীশুক্রিস্ট নষ্ট ভূমিকায় । 

.

ভালো  হতে গেলে প্রিয় হতে হয় 

অথচ জীবনের কাটাকুটিতে আমি শুধু রয়ে গেছি  পূর্ণ আবর্জনায়   

সম্পূর্ণ ,বিস্তীর্ণতা আমার কাছে  মিথ্যে কিছু প্রলাপ 

দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আমি নিজের ছায়াটাকে খুঁজি 

ঘরের ভিতর 

যেখানে তোর নক্সী কাঁথায় ,পাতায় পাতায় 

অজস্র শোক। 

আমি তো আর ভালো মানুষ নই মোটেই 

আমার কথায় চন্দ্রবিন্দু শুয়ে থাকে 

শুয়ে থাকে মানুষের পাপ 

অন্ধকার বিছানায় আমার শুক্রাণুর চাঁদের দেশে 

জন্ম লিখতে চায় 

শুধু মানুষ আর মানুষের ভাষায় যাকে বলে পরিপূর্ণতা 

অথচ আমি বিমূর্ততায়  । 

bhabnar shohor

এই পারদের বেলায় প্রস্তাবিত শহরে স্লোগান দিন বদলাবার  যেখানে পিচ গলছে ,মানুষ গলছে ,গলছে রাতের বিছানায় ভাবনা  গড়িয়ে নামছে ঘাম  সব কিছু কেমন হা...