Thursday, June 30, 2016

স্বপ্নের বাড়ি

স্বপ্নের বাড়ি
.............. ঋষি
===============================================

একটা বাড়ির স্বপ্ন দেখছি
অনেকেই দেখে চারদেওয়াল মাথার উপর ছাদ।
কিন্তু চলন্তিকা এই বাড়িটা এমন নয়
এটা হলো আকাশের বাড়ি ,আকাশের গায়ে
যার খোলা ছাদে শুধুই আকাশ।

ঢুকে পড়লাম স্বপ্নে
দরজা খুলে সামনে দাঁড়িয়ে আছি বাড়িটার।
ঢুকে পড়লাম দরজার ওপাড়ে আকাশের অধিকারের মতো
দরজার বাইরে দেখছি স্মৃতিরা ছড়িয়ে।
একপাশে আমি ,অন্য পাশে আমার মতো কেউ বাইরে দাঁড়িয়ে
অবাক হলাম।
আমিও ছিলাম সেখানে এতদিন
আরো অবাক হলাম তোমাকে দেখে  চলন্তিকা
তুমি তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখছো।

একটা বাড়ির স্বপ্ন দেখছি
অনেকেই দেখে চারদেওয়াল আর আমি তুমি।
কিন্তু এই বাড়িটা এমন নয়
এই বাড়িটার খোলা আকাশে অজস্র ইচ্ছার বাস সময়ের বাইরে
পাশ ফিরে দেখি চলন্তিকা তুমি আমার কাছে দাঁড়িয়ে। 

ওই কালোমেয়ে

ওই কালোমেয়ে
............... ঋষি
================================================
ওই কালোমেয়ে
কি দেখছিস ,নিজের বুকের দিকে ?
যন্ত্রনা !
শব্দের ঘোরে মাথার ভিতর ফিরে আসছে বারংবার
শালা খানকি ,না বাড়িতে শান্তি না বাইরে।

তোর ঠোঁটের কষ বেয়ে রক্ত
এমন করে মরদের দিকে তাকিয়ে থাকিস মনে হয় সদ্য তোলা মাছ।
কি চায় মরদ ?
বুঝতে চেষ্টা করিস ,সাধ্যমত তুলে দিস ফল ,পাকুড়  ,নৈবেদ্য।
তারপর ধুপ ধুঁনোতে পুজো।
তোর শরীরে ভাঁজে জমতে থাকে নিয়মের দাগ
তোর জন্মদাগে ঢুকে যেতে  থাকে আরেকটা জন্ম।
তবু শান্তি নেই ?
শালা খানকি ,শুধু নাটক করিস ,অন্য ভাতার পেলি নাকি ?
একটু বোঝো না তোর  পেটে কেউ ।

ওই কালোমেয়ে
কি দেখছিস,নিজের উরুর ভাঁজের দিকে চেয়ে ?
যন্ত্রনা !
গুমড়ে উঠছে কান্না গলার কাছে ,রক্তের বন্যা
মরদের স্বপ্নে তখন তুই ন্যাংটো মেয়েছেলে।  

তোমাকে ভালোবাসি

তোমাকে ভালোবাসি
................ ঋষি
=----------------------------------------------------------------------------
অভি এই যে সকাল থেকে তুমি ফোনে আমাকে পুজো করো
বারংবার বলো তোমার মতো কাউকে দেখিনি।
বলতে পারো কেন ?
কেন আমাকে সবসময় প্যাম্পার করো আমাকে ?
জানি উত্তর , তোমাকে ভালোবাসি।

কিন্তু কেন ভালোবাসো আমাকে
আমি তো পেড়িয়ে যাওয়া সময়ের মতন প্রাচীন কোনো কলমে লেখা কবিতা।
শুধু সময়ের সাথে আমাকে সকলে মনে করে
হয়তো কেউ পড়ে,কিন্তু বোঝে কতটা ?
তুমি কতটা বোঝো আমাকে অভি।
আর পাঁচটা মেয়ের মতো তুমি আমাকে লোভ দেখতে চাও
তুমি আমাকে সময় পেড়িয়ে আবার লিখতে চাও।
এও কি সম্ভব অভি
আমার কলমের যে অধিকার লেগে থাকে সেটা সামাজিক
কিন্তু তুমি বোঝো অভি তুমি অসামাজিক

আরে অভি শুনতে পাচ্ছি না ,এতো হাসছো কেন ?
ফোনটা ঠিক করে মুখের কাছে ধরো।
কি বলছো ? আমি অতসব সমাজ তোমায় বুঝি না
শুধু তোমায় বুঝি ,
কিন্তু অভি কিছু মনে করো না আমি আজকাল প্রেমের মানে বুঝি না। 

যদি ভালোবাসো

যদি ভালোবাসো
............... ঋষি
=================================================
যদি ভালোবাসো ,তবে বাসো
সবে সেটা পৌরুষের হোক।
তবে সেটা সত্যি কোনো অধিকারের মতো সামাজিক হোক
কোনো অজুহাত না।
যদি ভালোবাসো তবে সেটা বিবেকের কাছে পরিষ্কার কাঁচ
সকালের শিশিরের মতো পবিত্র হোক।

পবিত্র ,বলতে মনে পড়লো
আমরা  পবিত্র ততক্ষন যতক্ষণ সমাজের আমরা ফিল ইন দা ব্ল্যাঙ্ক,
আমরা সামাজিক ততক্ষন যতক্ষণ তুমি আমার অচেনা পুরুষ।
যখন তুমি আমার ঘরে আসো
ভীষণ নগ্ন তুমি ,তার থেকে নগ্ন আমি ,,এটা অসামাজিক।
কারণ এই নগ্নতার কোনো সামাজিক নাম নেই
আমাদের পার্থিব চাহিদার বাহিরে আমাদের চাওয়াটুকু অপার্থিব।
আর অপার্থিব কোনোকিছু পৃথিবী মানে না
মানে না এই সমাজের অধিকারে বাস করা আমি তুমি আর আমাদের প্রেম।
এবার অনেক হলো
এবার আমাদের চাওয়া  সামাজিক হোক।

যদি ভালোবাসো ,তবে বাসো
শুধু  চোরের মতো চারদেয়ালে আমাদের শরীরের তৃপ্তি তে নয়।
শুধু নগ্ন নয় ,শুধু এই শীৎকারে আলোড়ন কিছু মুহূর্তের না
আমি চাই তা সামাজিক হোক।
কোনো অজুহাত না
যদি ভালোবাসো তবে  ভালোবাসা  পরিচিত হোক। 

Tuesday, June 28, 2016

শেষ না হওয়া গল্প (২)

শেষ না হওয়া গল্প (২)
............ ঋষি
===============================================
শেষ না হওয়া গল্পটা কাল লেখা হলো না
আসলে আমি যে লিখছি তা তোমাকে তুমি জানো।
তোমার আর আমার মধ্যে তফাৎ
আরো একুশদিন।
তারপর সুইচ অফ আর ও স্বপ্নগুলো রূপকথার দেশে
আর আমি দরজায় দাঁড়িয়ে রাজকন্যা দেখছি।

কেন যেন মনে হয় আজকাল
আমার কলমের নিবে একটা দাঁড়ি লেগে আছে।
কিছুতেই বুঝতে পারি না তারপর কি লিখবো কিংবা আর কতটা
আসলে তোমাকে তো  লিখে শেষ করা যায় না।
আসলে তোমাকে আদর করেও শেষ করা যায় না
শুধু চলতে থাকা পথ ক্রমশ হেঁটে চলা অজানা কোনো স্বপ্নদ্বীপে।
জানি রাক্ষস আছে ,রাক্ষস থাকবে
আসলে লেখা শুরু করার পরই একটা অবস্ট্রাকশন আসে।
আমি ভাবি তোমায় আর লিখতে পারি না
শুধু  গল্প লিখতে গিয়ে কবিতা হয়ে  যায়।

শেষ না হওয়া গল্পটা কাল লেখা হলো না
আসলে আমি জানি তুমি রাগ করেছো আমি লিখতে পারি বলে।
কিন্তু আর ভেবো না
আবার থেকে নিয়মিত লিখবো আমাদের একুশ দিন।
তারপর সে বেঙ্গমা আর বেঙ্গমী ,সোনার কাঠি ,রূপরকাঠি
সব ভেঙে তুমি আমার বাহুতে আগামী চব্বিশ ঘন্টা।

শেষ না হওয়া গল্প (১)

শেষ না হওয়া গল্প (১)
............... ঋষি
===========================================
শেষ গল্পটা থেকে হাঁটতে হাঁটতে
তোমার বিছানা বালিশে কেমন একটা আদর মাখামাখি।
কখন যেন আকাশ থেকে জ্যোৎস্না নেমে
তোমার পায়ের পাতা পেরিয়ে হেঁটে গেছে আমার পায়ের সাথে।
পথ আর পথিক
তুমি আমি দূরত্বের আর তেইশ  দিন।

কোনো ধ্রুবক দিনের সংখ্যা পেড়িয়ে
পথে পা রাখি ,,তোমার পায়ের  পাতা ছুঁয়ে ,তোমার হৃদয়ের সাথে
পথ চলা চিরদিন।
সময় ফুরিয়ে যায় বারংবার কিন্তু না ফোরানো কথাগুলো
আঁকিবুঁকি টানে তোমার মনের ভাঁজে
কখনো বা শরীরের কিছু অদেখা সাময়িক লিপি।
লিপস্টিকে আঙ্গুল ছুঁয়ে দেখি
জ্বলে যাওয়া বুকের আগুনে কেমন একটা আদুরে কম্পন।
কম্পন মাত্রার হেক্টরস্কেলে ইচ্ছা যদি বাঁধ ভাঙে
আর আমি বয়ে যাওয়া কবিতা তোমায় জুড়ে।

শেষ গল্পটা দিয়ে হাঁটতে হাঁটে
তোমার বিছানার চাদরে রেখে যাওয়া অনন্ত সময়ে ওম গভীরে।
কখন যেন আকাশ থেকে তারারা হঠাৎ কাছে এসে পরে
খুব কাছে তারা খসে।
তুমি আকাশের দিকে মুখ করে জ্যোৎস্না মাখো
আর আমি শুধু তারা খসা দেখি। 

Sunday, June 26, 2016

ঘর ছাড়া পথিক

ঘর ছাড়া পথিক
................ ঋষি
==============================================

অনেক কিছু বদলে গেছে
শহরের পথ চলতি বাতিস্তম্ভগুলো প্রয়োজন মতো ব্যস্ততায়।
হতে পারে সময়ের সাথে ঝগড়া করে
অনেকদিন  চলন্তিকা আমি ঘরছাড়া পথিক।
কিন্তু আমার চলার পথটা একই রকম রয়ে গেছে
শহর বদলেছে সবটাই বাহ্যিক ,কিন্তু ভীষণ হতশ্রী বুকের ভিতর।

কি এমন দরকার ছিল
চুপি চুপি নিজের কাছে প্রশ্ন করার ?
কয়েকশো সভ্যতা পেরিয়ে যেদিন পৃথিবীর শেষ সীমান্তে
আমার এই কবিতা স্পর্শ করবে তুমি বুঝবে স্পষ্ট।
আমি তো বলিনি কোনোদিন আমার কোনো শহর আছে
শুধু বলছি হতশ্রী শহর।
আমি কি একবারও বলেছি আমি জীবিত চলন্তিকা
এটা তো শুধু যাপন।
সত্যি বলতে কি শহরের বাতিস্তম্ভের আলো আমাকে স্পর্শ করে না
আমি হেঁটে চলি স্বপ্নের সাথে নিজের শহরে।

অনেক কিছু বদলে গেছে
নিজের চোখের ফোকাস দূরত্ব ছাড়িয়ে আরেকটু এগিয়ে গেছি।
হতে পারে সময়ের সাথে আমার সারাজীবন ঝগড়া
হতে পারে চলন্তিকা তুমি আমার স্বপ্নের প্রেমিকা।
কিন্তু আমার চলাটা কোনো পাগলামি নয়
আর আমার শব্দ মিলিত জন্মগুলো অন্ধকারে আলোর উৎস। 

Saturday, June 25, 2016

পুরুষের কবিতা

পুরুষের কবিতা
.................. ঋষি
===============================================
কী চেল্লামিল্লি ! কী চেল্লামিল্লি !
কাকে যেন বলতে শুনলাম কবিতা লেখা মেয়েদের কম্ম।
আর ছেলেদের কবিতাকে বলি ফুঁ !
হাসি পায়   মশাই কবির আবার  মেয়ে আর ছেলে
হাসি পায় মশাই কবির আবার জন্ম
কবি নিজেই জন্ম আর নিজেই মৃত্যু ,একাকী ঈশ্বরের দরজায়।

দরজা খুললে  জীবন জাগ্রত হয়
আরো আলো এসে পরে পথের উপর অসংখ্য না বলা মানুষের মুখ বন্দী।
অসংখ্য লিফলেটে ছড়ানো আগুন
কোনটা প্রতিবাদ ,দেশ ,সমাজ ,রাজনীতি,মহামান্য অপরাধ ,
সবটাই কবিতা হয়ে যায় যখন
কবিতার আবার ছেলে আর মেয়ে।
আমি কোনো অগ্রজ কবির মতো বুক ফুলিয়ে লিখতে পারি না বিধান
শুধু বলতে পারি কবিতা হলো বেঁচে থাকা
কবিতা আকাশে লেখা হয়
আর কবিতার জন্ম তখনি সার্থক যখন জীবন কবিতা হয়

কী চেল্লামিল্লি ! কী চেল্লামিল্লি !
কাকে যেন বলতে শুনলাম প্লিজ  পুরুষ-কুল।
আপনারা কবিতা লেখা ছেড়ে দিন !
আমার চোখে বড় লাগে !
হাসি পায় মশাই শুধু বলতে ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করুন
পুরুষ কবিতা লিখছে চোখ খারাপ হবে। 

মোর ভাবনারে

মোর ভাবনারে
.............. ঋষি
=============================================
কাকে ভুল প্রমান করবে চলন্তিকা
মানুষের মতো ,মানুষের মুখে অসংখ্য আঁচড়।
জীবনদের আলাদা করে সাজিয়ে প্লাস্টিক গিফটকাগজে মুড়ে
হরেক রকম ফেরি।
কিভাবে ভুল প্রমান করবে চলন্তিকা
আমি সময়ের বাইরে হাঁটতে শিখে গেছি।

আজ সকালে আফটার শেভিং ক্রিমের মতো
তোমার অতি প্রিয় ছোট জানালায় দুলতে থাকা লাভিং বার্ড গুলো।
মুখ ঘষে চলেছে সমানে
সমান তালে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ায় আলাদা পৃথিবীতে।
আমি তখন মুখের নিয়মিত দাঁড়িগুলোতে ব্লেড লাগালাম
এক ঝটকায় ইচ্ছে করছিল বদলে যায়।
ঠিক তখনি FM এ শুনতে পেলাম রবি বাবুর ঘাম
মোর ভাবনারে  কি হাওয়ায় মাতালো।
অদ্ভুত
কি ভাবলাম ,কি ভাবছি আর কেন।

কাকে ভুল প্রমান করবে চলন্তিকা
মানুষের মতো ,মানুষের মুখে লুকিয়ে থাকা অনুভূতি।
জীবন যেখানে অদ্ভুত কৃত্ৰিমতায় বদলানো সাবজেক্ট
আর পুরোনো অভ্যেস।
সকালে চান করেছিলাম রাতেও করবো
কারণ বহুচেষ্টাতেও আমি ঠিক পরিষ্কার হতে পারি না।  

তোকে নিয়ে লেখা

তোকে নিয়ে লেখা
........... ঋষি
===============================================
নেশা নেশা দিন
সামনে পরে আছে তৃষ্ণা মাখা মিশরীয় বালি
পিরামিড আমাকে ডাকছে কাছে ,নিজের ভিতর ,আরো গভীরে
আচ্ছা যদি আমি ফ্যারাও হই।
তুই রাখবি তো মনে চলন্তিকা আবার জন্মে
নেমিসিসের নখের রক্তে আমার বুকে তোর নামের আগুন।

সামনে দূরে দূরে বালিপথ
বালি ঘোর আমার ,কবিতার সাথে প্যাপিরাসে লেখা অযুত নিযুত হস্তান্তর।
চলন্তিকা এই জন্ম চিড়িয়াখানাতে কাটালাম
পরের বার ,ঠিক পরেরবার নীলনদের জলে ধুয়ে নেবো পবিত্র প্রেম।
এইবার না হয় শুধু তোকে ভাবলাম
কিন্তু পরেরবার আর ভাবতে পারছি না ,ভাবতে চাই না তোকে।
আরো কাছে ,আরো নিজেকে পেতে চাই
ধুস কোনো ইতিহাস নয় , ইতিহাস কেউ মনে রাখে না ,শুধু লেখা।
তুই মনে রাখিস আমাকে চিরকাল
আর আমার কবিতা শুধু তোকে নিয়ে লেখা।

নেশা নেশা দিন
চোখ রগড়ে ভালো করে তাকাই ,ওই তো সামনে নীলনদ।
জুতো ,জামা সমস্ত পার্থিব ছেড়ে
আমি মিশরের কালোজলে ভিজে ওঠা বেঁচে থাকা।
বাঁচতে তো চাই রৌদ্র মাখা বালি শহরে তৃষ্ণার নদী
একবার পিরামিডে নিজেকে পেতে চাই। 

আজকের দিন

আজকের দিন
................... ঋষি
================================================
অরিত্র আমার বন্ধু
ফিরে আসছে রেল লাইন কাটা শরীরটা ,তোর মুন্ডুটা , গলাটা তোর
অবিকল শুনতে পারছি চেতনায়
অরিত্র তোর গলা
ফিরে আসছে ট্রেন ,চেনা রেল লাইন ,ছেলেবেলা
যাহ ,,,,,, আর তোর গলা পাচ্ছি না

শুকিয়ে ফিরে আসা সেই মুখ
অরিত্র তোর মা কাঁদছে ,কাঁদছি আমরা তোর বন্ধুরা আজকের দিন।
জানিস তো ফিরে আসে প্রতিবার ,প্রতিবছর ,বারবার
সেই বার শান্তিনিকতনি মেলাতে ,হ্যা সেই প্রিয়াকে মনে পড়ে
বিয়ে হয়ে গেছে রে ,দুটো বাচ্চার মা।
এসেছিল তোর শ্রাদ্ধর দিন ,কেঁদেছিল তুই বুঝিস নি বলে
আমরা বুঝি না এখনো  ,কে অবুঝ ?
সেই বাঁকুড়ার পোড়া মাটির নীল ঘোড়াটা
আজ আকাশের  মেঘে দেখছি ,তুই মনে হয় রাজপুত্র ,
কোথাও দূরে ,দূরে কোথাও।

অরিত্র আমার বন্ধু
ফিরে আসছে  দিন আবার চলে যাচ্ছে স্টেশন ,বছর ঘুরে আবার।
অবিকল সেই দিনের মতো
আমরা বন্ধুরা  জমায়েত করেছি চায়ের দোকানে ,তুই বাদে।
কেউ বলছি না তোর কথা ,কেউ বলতে চাইছি না
কিন্তু মনে আছে ,আজকের দিন ,তুই আর নেই।


দেশের ছবি

দেশের ছবি
..................... ঋষি
=====================================================
পেন্সিল দিয়ে একটা সরলরেখা টানলাম
এটা আমার মা।
তারপর অনেকগুলো রেখা জুড়ে বানাতে থাকলাম ,জুড়তে থাকলাম
এবার  বানিয়ে ফেললাম একটা দেশ
এবার প্রাণ দরকার ,মানুষ ,কুকুর ,জীবিত জন্তু ,গাছ আরো কত
তবু কেন যেন  দেশটাতে  প্রাণ এলো  না

সব ঠিক আছে
সময়ের  সাথে আকাশে চাঁদ ,সূর্য ,স্কুল কলেজের টাইমিং ,কারখানার ভোঁ।
ঠিক সময় ষ্টেশন ছেড়ে ট্রেন ছাড়ছে
জন্মের হার স্বাভাবিক ,কিন্তু মৃত্যু ,,,,,ক্রমশ আরো,
সকলেই কেন মৃতপ্রায় কিংবা মৃত।
এবার  একটু প্রতিবাদ আঁকার চেষ্টা করলাম
এমা  এগুলো প্রতিবাদ নাকি ,শালা সব কেমন যেন ভিতর ভিতর।
সবটাই সাজানো লাগছে
সবটাই কেমন নাটুকে ,যেন কোনো স্টেজের উপর দেশ দাঁড়িয়ে
আর দর্শক সকলে হাততালি দিয়ে বলছে দেশকে না চেনার যন্ত্রনা।

চিনতে পারছি না ,না আঁকতে পারছি না সরলরেখায়
আমার দেশ ,আমার মা।
কিন্তু চেষ্টা ছাড়তে পারলাম না
ছিঁড়ে  ফেললাম কুচো কুচো করে আগের দেশটাকে।
এবার আঁকবো নিজের মতো করে
আমার দেশ ,আমার মাকে। 

দৃশ্য বদল

দৃশ্য বদল
............. ঋষি
==================================================

অনেক রাতের পর কোনো একদিন
সূর্য ডোবা দেশের পরে অন্য সকাল।
তুই ঘুম ভাঙাবি আমাকে
চেনা অঙ্গীকার।
আর সময় সে যে আমার  তোর আমার মতো বেসামাল মুহূর্ত
না থামা কোনো উপন্যাস। .

কোথাও কোনো পায়রা ওড়া বিকেলে
ছাদের দরজায় তুই ,হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের কবিতায়।
আর আমি লিখছি তোকে
পায়রার খোপে ,খোলা আকাশে ,অঝোর ধারায় বকরবকর
না শেষ হওয়া কবিতা।
কিংবা যদি কোনো চাঁদনী রাত ,ভেজা আকাশের চাঁদ
তোর মাথা আমার হাঁটুতে ,নিরুদ্দেশে আকাশ
আর চুপচাপ মুহূর্ত
যা আবার একটা কবিতা লিখলাম

অনেক রাত তখন ,চমকে ওঠা ঘুম
বারান্দার  রেলিং বেয়ে কোনো দৃশ্যের মতো তুই মনোরম।
কিন্তু একলা
ঠিক আমার মতো বালিশের শিওরে মাথার ভিতর প্রলোভন।
সত্যি যদি এমন হয়
দৃশ্য বদল কবিতার মতো আমার জীবন। 

কথা হবে না

কথা হবে না
............. ঋষি
============================================
কথা বলবি না
বেশ দেখি কতক্ষন তোর অভিমানী চোখ।
নিরাদ্দেশ থেকে নিজের ভিতরে খোঁজা  চেনা দুটো চোখ
আছে, ছিল ,থাকবে চিরকাল।
সময় বদলাবে ,বদলাবে বসন্ত অন্য কোনো দিনে
হয়তো বৃষ্টি হবে ,কিন্তু কথা হবে না।

বেশ কথা হবে না
শহরের অলিগলি চেনা ক্যানভাসে মানুষের ব্যস্ততা।
দৃশ্য বদল হবে
বদল হবে কোনো ইতিহাস অনন্য রক্তকণিকায়।
বদলাবে দিন এই আশায়
তবু যদি কথা না হয় ,তবু যদি লুকোনো থাকে অভিমানী চোখ।
দু একফোঁটা বাস্প শুকিয়ে যাবে গলায়
দু চার ফোঁটা মুহূর্ত স্মৃতি চোখের ধারায়।
শহর জুড়ে কোনো চেনা পথে হাঁটতে থাকবি তুই
আর আমি লিখবো তোকে ,আমার কবিতায় তুই।

কথা বলবি না
বেশ দেখি কতক্ষন তোর এই অভিমানী মেঘ।
বিশাল আকাশের বুকে সংরক্ষিত অসংখ্য টুকরো টুকরো আশা
জমা কার্বন কালি জীবনে হাতে পায়ে।
কিছু বদলাবে ,কিছু বদলাবে না কোনসময়
তোর এই কথা না বলা আর আমার কবিতা।

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৩)

শ্বাশত তোমার প্রেমে (১৩)  
.....  ঋষি
============================================
পথিক তুমি কি পথ হারিয়েছো
হাসি পায় জানো শ্বাশত।
কাল ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ তোমার চেনা গন্ধটা পেলাম
সেই পুরুষালি বুকের স্পন্দনটা নাড়িয়ে গেলো আবার।
ট্রেনটা মিস করে দিলাম বুঝলে বোকার মতো
তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে কিছুক্ষন।

চশমার গ্লাসটা অসময়ে ঝাপসা হয়ে গেলো
আমি জানি তুমি নেই ,তুমি আর থাকতে পারো না আমার সাথে।
তোমার সাথে ডিভোর্সের আজ চার বছর পূর্ণ হলো
আমি ভালো আছি শ্বাশত।
শুধু যখন কাউকে যদি আজকাল খুব ভালো থাকতে দেখি
আমার হিংসা হয়।
লজ্জা করছে বলতে তবু বলছি আমার তোমাকেও হিংসা হয়
সেই চোখগুলো যেগুলো  কোনো দিন আমায় খুঁজতো।
সেই খোঁজ সেখানে নেই
সেখানে হয়তো বাস করে তোমার কোনো নতুন প্রেমিকা।
কিন্তু আমি ভুলতে পারি না শ্বাশত
তোমার ঐ চোখগুলো।

পথিক তুমি কি পথ হারিয়েছো
ঈশ্বর যদি কোনোদিন আমাকে প্রশ্ন করে কাকে পথ বলে?
আমি বলবো এই বেঁচে থাকাকে আর তোমাকে
তুমি ছাড়া পথ চলতে আজকাল আমার ভালোই লাগে।
কিন্তু কোথাও মনের কোনে
সম্পর্কের প্রাচীন ফসিলগুলো আজও তোমার গন্ধ চেনা ।

Friday, June 24, 2016

ভাল্লাগে না

ভাল্লাগে না
............... ঋষি
========================================================
একই অসুখ আমাদের
ধুস " ভাল্লাগে না " বিরক্তিকর একটা অসুস্থতা।
তোমার অসুখ আমাকে ছাড়িয়ে
কখন যেন উপন্যাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে শাখাপ্রশাখাতে।
কিংবা আমার অসুখ তোমাকে ছুঁয়ে
কখন যেন শহরের রাস্তায় পাগলের মতো উদ্দশ্যহীন ঘুরছে।

কি করবে মশাই ?
বড়ই অসুখ করেছে আমাদের।
যতই ওষুধ  লাগাও  ,,,জড়িবুটি,,,শান্তিজল,,, কিংবা আলাপন
হাজার হাওয়া বদলের পরেও  তুমি ঠিক তুমি ,
আর আমি ঠিক অমিতে দাঁড়িয়ে পাগলের মতো চেয়ে থাকি একে ওপরের দিকে।
এই ওষুধের প্রতিষেধক কিংবা শান্তি
ধুস ভীষণ অশান্তি।
প্রতিবাদ সম্ভাবনায় জড়িয়ে থাকা মুহূর্তদের আকর্ষণে
তুমি ,আমি খোলা আকাশের পাখি।

বড্ড অসুখ করেছে আমাদের
ধুস " ভাল্লাগে না "  বারংবার বলতে ইচ্ছে হয়।
কাজের সাথে কাজ লাগিয়ে ব্যস্ত থাকার ভাবনায় পুরোটাই গ্যামাক্সিন
না সারছে না কিছুতেই রোগটা।
আবার একটা রাস্তা দরকার একসাথে পথ চলা সম্ভাবনাদের
একটা গোটা শহর যেটা আমাদের। 

মেয়ে বলে কথা

মেয়ে বলে কথা
................. ঋষি
===========================================
কতগুলো অসুখের ওষুধ কই
কি ভট্টাচার্য মশাই মিষ্টি কই মেয়ে হলো যে সেদিন।
মুখে হাসি নেই কেন ?
দেবেন বিয়ে, তাই নিয়ে চিন্তা বরপণ ,নগদ ,মেয়ে বলে কথা।
আরে আমি চেতনা বলছি
একবার ভাবুন তো মেয়ে মানেই কি শুধু বিয়ে ?
.
কি ভট্টাচার্য মশাই শুনলাম নাকি আপনার মেয়ে সুন্দরী
দেখতে দেখতে বড়ো হয়ে গেলো বলুন।
কপালে ভাঁজ কেন ?
বিয়ে দিতে হবে বছরখানেক সময় হাতে।
কি ভাবছেন সুন্দরী মেয়ে ঘরে রাখা হ্যাপা
তাছাড়া আপনাদেরও বয়স বাড়ছে।
তারপর যা দিনকাল কি বলুন কে কখন দাগ দিয়ে যায়
তার থেকে পরের জিনিস আগে থেকে বিদায় করাই ভালো ।
.
আরে আমি চেতনা বলছি
একবার ভাবুন মেয়ে তো চাকরী করতে পারে।
কিংবা ধরুন কাউকে তো আপনার পেয়ে  ভালোবাসতেও পারে
এমনও তো  হতে পারে মেয়ে সারাজীবন বিয়েই করলো না।
কি বললেন যাতা বলছি
আপনার বংশে কোনো মেয়ে এমন করে নি।
কিন্তু ভাবুন দিনকাল
সময় তো বদলেছে আর কতকাল প্রাচীন ফসিল আগলে থাকবেন।
.
কতগুলো অসুখ নিতান্ত মানসিক
ভট্টাচার্য মশাই শুনুন মেয়ে হয়েছে বলে দুঃখ কই ?
আজকাল ছেলে ,মেয়ে কেউ আলাদা নয়
আর মেয়ে মানে বিয়ে ,শ্বশুর বাড়ি ,সংসার ,সন্তান নয়।
কিংবা আপনার মেয়েরও স্বপ্ন থাকতে পারে
তাই হাসিমুখে থাকুন ,মেয়েটাকে আগে বড়ো হতে দিন। 

Thursday, June 23, 2016

আলোর খোঁজ

আলোর খোঁজ
............. ঋষি
===========================================
তোকে নিয়ে যদি কবিতা লিখি
তবে সেটা আমাদের প্রাক্তন যদি নিয়মিত হয়।
ডারউইন সাহেবের উইল ঘেটে
আমাদের প্রাপ্তির ভাগে শুধু বাদর থেকে মানুষ।
কিন্তু ভাব তো
যদি আমরা মানুষ থেকে এগিয়ে মানবিক হয়ে যায়।

একটা স্বার্থ ছাড়া অগ্রসর
কোনো প্রসেসনে বিজয় মিছিল নয় মানুষের জয় লেখা হয়।
যেখানে প্রতিবাদ কোনো সমঝোতা নয়
শিরদাঁড়া বেয়ে লেখা যায়।
যদি পাখিরা নিঃসঙ্গ আকাশে একলা গান গায়
যদি জীবনে একলা হাঁটা পথে ফুলের না হোক ,জীবিত বৃষ্টি হয়।
ফুলের মতো কিছু জীবন
আরো ফুল ফুটুক মানুষের মনে।
আমি এমন লিখতে পারি নি সুভাষ বাবুর মতো
শুধু লিখতে চেয়েছি মানবিকতার কবিতা।

তোকে নিয়ে যদি কবিতা লিখি
তবে সেটা আমাদের প্রাক্তন কোনো আলোর পৃথিবী হবে।
এডিসন সাহেবের আলোর পৃথিবীতে
আমাদের প্রাপ্তি নকল কোনো আলোর খোঁজে।
কিন্তু ভাব তো
যদি মানুষ নিজের ভিতর নিজেদের আলো জ্বেলে দেয়।

Wednesday, June 22, 2016

সবটাই শরীরী


সবটাই শরীরী
............. ঋষি
=====================================================
নিজেকে প্রশ্ন করেছো কখনো " সমাজ "
কোনো দলিত প্রজন্মের ইঁট ভাঁটার গতর খাটা  মেয়ে
কারো চোখে লালায়িত শরীর।
নিভে যাওয়া আলো থেকে অন্ধকারের ক্রমশ বিলীন একটা সদ্য জন্মানো ভ্রুন
কখন যেন মরতে মরতে নারী হয়ে যায়
তারপর ,তারপর যদি সে দলিত হয় তবে তো সবটাই ,, শরীরী।

আহত হলাম জানো
দলিত কালো মেয়ে খিদে ভেজাচ্ছে কোনো ইটভাঁটার বীর্যের কামার্ততার।
না সেই মেয়ে ৪৭ কিংবা ৩৭ অথবা ৭ হলেও ক্ষতি নেই
সত্যি বলতে কি আমি আরো আহত হলাম ভেবে
সমাজ তুমি সবটাই জানো।

যখন কোনো নারীকে তোমরা ডাইনি সাব্যস্ত করো
যখন কোনো অফিস ফেরত নিত্য খিদেকে তোমরা বাজে মেয়ে সাব্যস্ত করো।
যখন কোনো সন্তান না হওয়া নারীকে বাজা বলো
যখন কোনো পথ চলতি যুবতী শরীরকে চোখে গেলো।
একবার ,অন্তর একবার কখনো কি ভেবেছো
সেও জীবিত ,তারও একটা হৃদয় আছে শুধু যোনি নয়।
তারও একটা বাড়ি আছে ,আছে তার বেঁচে থাকার ইচ্ছা
আছে হাজারো সম্পর্ক শুধু শরীর ছাড়া।


নিজেকে প্রশ্ন করেছো কখনো " সমাজ "
যে মাটিতে তোমরা বীজবপন করো সেটা কি শুধু শরীর ?
তবে একবার প্লিস তোমার মাকে গিয়ে প্রশ্ন করো
মা তোমার জন্মদাগে কজন দাগ টেনে গেছে ?
কি লজ্জা করছে  , যদি নারীকে সন্মান না করতে পারো
তবে দয়া করে আজ থেকে তাকে ভোগ করো না। 

নষ্ট মেয়ের উপাখ্যান

নষ্ট মেয়ের উপাখ্যান
................. ঋষি
===================================================
উত্তর চেয়েছি হাজারোবার
নিজের নষ্ট মেয়ের উপাখ্যান লেখার আগে।
আমি জানতে চাই নষ্ট কাকে বলে ?
হে সমাজ
বারংবার তুমি জানতে চেয়েছো আমার কোকে বাড়তে থাকা সন্তানের পরিচয়
কিন্তু একবারও প্রশ্ন করেছো নিজেকে তোমার পৌরুষের পরিচয়।

আর পাঁচটা বোকা মেয়ের মতো
আমিও হয়তো স্বপ্নের সীমানা ছাড়িয়ে আকাশে উড়েছি।
স্বপ্ন দেখেছি সমাজের আর পাঁচটা নারীর মতো ভালোবাসার অধিকারের
কিন্তু সে ভেঙে গেছে  আমার স্বপ্ন ,সে ছিঁড়ে গেছে আমার সতীত্ব।
কিন্তু সমাজ তোমাকে প্রশ্ন
কেন এই আগত সন্তানের আমি ধারক হতে পারবো না ?
কেন সকলে চাইছো নষ্ট করতে একটা জন্মকে ?
কি ? সকলে আমাকে নষ্ট বলবে।
তবে এই নষ্ট সময়ের বুকে দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলছি  আমি নষ্ট,
আরো হাজারোবার আমি নষ্ট শুনতে রাজি আমার সন্তানের জন্য।
আমার কোকে বেড়ে চলেছে কোনো অসামাজিক প্রক্রিয়া
কি করবে সমাজ ?
আমাকে হত্যা ,,আমার সন্তানকে হত্যা।
কে দিয়েছে অধিকার ?
যদি কোনো সামাজিক রক্ষে করতে পারবে না নারীত্বের অংশকে
যদি কোনো সমাজ দিতে পারবে না সন্তানকে মায়ের পরিচয়।
তবে কে তোমরা নষ্ট বলার আমাকে আমার সন্তানকে ?

সেই আমাকে তোমরা বলপূর্বক শুয়ে দেবে হাসপাতালের কেবিনে
তারপর কোনো সন্ধ্যেতে লাল চেলিতে সাজিয়ে
উপহার দেবে কোনো সামাজিক সিঁদুর।
কিন্তু সেটাই কি সত্যি
তোমরা মিথ্যের রঙে আমাকে বলি দিয়ে সামাজিক হবে
আর আমাকে নিজের কাছে রেখে দেবে সারাজীবন অসামাজিক করে।
  

সন্ধ্যের মুখে

সন্ধ্যের মুখে
............. ঋষি
==================================================

আরেকটু পরে সূর্যের শেষ আলো যখন হাবুডুবু খাবে
তখন তুই জানলার পর্দার ফাঁকে দেখবি জীবন।
শরীরটা  ম্যাজ ম্যাজ করবে বিছানার চাদরে
এক কাপ চা ঠিক তখন তোর প্রেমিকের মতো ঠোঁটে।
তুই বারান্দায় দাঁড়িয়ে লম্বা নিশ্বাস নিবি
আর ভাববি আজকের রাতের মেনুটা কি।

ঠিক তখন আমি কোনো শহরের প্রেমে
রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক ভাঁড় চায়ে  চুমু খেয়ে পাবো প্রেমিকার ঠোঁট।
রাস্তার ইকিরমিকির ব্যাস্ততাগুলো
সাদা ধোঁয়ার মতো নিকোটিন ছুঁয়ে আমাকে আরো তেতো করবে।
আমি ভাববো
পৃথিবীটার শেষ ল্যাম্প পোস্টের নিচে তুই দাঁড়িয়ে অপেক্ষায়।
আর আমি আলো খুঁজছি
আলোর খোঁজে মাথার ভিতর দরজা গুলো খুলতে থাকবে।
দেখবো তুই দাঁড়িয়ে চোখে চশমা ,ঠোঁটে আইসক্রিম হাসি
আর আমি হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যাবো।

আরেকটু পরে তোর শোয়ারঘরে  ইলেকট্রিক বাতি
তুই সন্ধ্যের সাজে ঈশ্বরের ধূপধুনোতে ব্যস্ত।
আমি তখন তোর কল্পনায় একটা শহর সাজাচ্ছি
দাবার চৌষট্টি ঘরের আড়াই ঘর ঘোড়াটা এগিয়ে দিলাম।
তুই রান্নাঘরে তখন রাজার রাজ্যপাটে বিক্রম
বোড়ে  এগোচ্ছিস আমি বন্দী।

স্বপ্ন দেখে

স্বপ্ন দেখে
.................. ঋষি
=============================================
জীবন যেখানে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতো
সেখানে কিছু মৃত অধ্যায় জীবিত হতে চায়।
সকলে স্বপ্ন বলে ,স্বপ্ন বোঝাই বিশাল বড়  জাহাজ মস্তিষ্কের শিরায়
স্বপ্ন খালাস হয় ,তারপর বিলি।
মানুষের স্বপ্নগুলো মানুষের মতোই ভাবনায়
কোনটা বিশ্রী ,,কোনটা বা স্বপ্নের মতো।

অনেকটা পথ হাঁটার পর
জীবনের প্রতিটা মোড়ে যখন ট্র্যাফিক জ্যাম।
সম্পর্কের  গাড়িগুলো পিছনে পিছনে  ঠেকে  রাস্তার অপেক্ষা করে
ঠিক তখন আরোহী স্বপ্ন দেখে।
ঘামতে ঘামতে ভাবতে থাকে গন্তব্যের তুমুল আশ্রয়কে
কখনো অসভ্যের মতো রাস্তায় পানের পিক ফেলে।
কখনো বা  বাপবাপান্তর করে অপেক্ষার নামে  
রোজকার হ্যাপা এই বাঁচা
তাই মানুষ  স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে।

জীবন যেখানে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখার মতো
সেখানে কিছু মৃত পরিচয় আলাদা করে পরিসর চায়।
যেন কোনো সবুজ পুরোনো শ্যাওলা ধরা দেওয়াল
সকলে বাইতে থাকে।
মানুষগুলো দেওয়ালের ওপর দাঁড়াতে ভালোবাসে
পড়তে পড়তে উঠে দাঁড়ায় তবু স্বপ্ন দেখে। 

কবিতার জ্বর

কবিতার জ্বর
.............. ঋষি
===============================================
জ্বরতপ্ত কবিতা
আরে কবিতার কি জ্বর হয়  নাকি  পাগলী ?
সে তো শরীরের হয়
মনের গভীরে শুয়ে থাকা অসুখগুলো একলা বিছানায় ঘুম খোঁজে।
আর তখন কেমন একটা মাথা ভার
সবাই ওষুধ বলে ,কিন্তু জীবন বলে ক্লান্তি।

জানিস না
আমার জ্বরের মধ্যে একটা যদি বইছিল।
সমস্ত সত্তার ফাঁকে কবিতার খঞ্জনী হাতে সকালে পথপরিক্রমায় বেরিয়েছিল
একজন বয়স্ক তাদের দেখে হাসতে হাসতে বললেন
শালা উল্লুকের জাত,
এরা কবিতা বোঝে ,কবিতা তো লিখে গেছে সুনীল ,শক্তি।
আমি তখন একটা বিশাল হয় তুলে ,কবিতার পাতা ওল্টাচ্ছি
সারা রাতের একটাও কবিতা নেই সেখানে।
শুধু আমি জেগে
আমার কবিতার চলন্তিকাকে ছুঁয়ে অদ্ভুত সুন্দর হাসছে।
শহর জাগছিল তখন প্রতিদিন সূর্যের জন্মতে
আমার ঘুম পেলো ,,মাথায় যন্ত্রনা।

জ্বরতপ্ত কবিতা
আরে কবিতার কি শরীর আছে নাকি ?
সে তো ছিল জীবানন্দের অন্তিম সফরের শেষ না কবিতাগুলোতে
সে তো শহরের কবিতা প্রেমী পাগলগুলোর।
যারা কবিতা শুনলে কেউ কাঁদে ,কেউ বা হাসে ,কেউ হয়তো লিখে ফেলে
কিন্তু সেগুলো কবিতা নয় ,কবিতার  জ্বর। 

জীবানন্দের প্রকৃতি

জীবানন্দের প্রকৃতি
................... ঋষি
=====================================================
আলো ,আয়না আর প্রেমিকার রূপ
চলন্তিকা এই পথ দিয়ে সবুজ  প্রকৃতির ফাঁকে উঁকি মারে সোনালী রোদ।
কোনো শঙ্খ চিল  কোনো প্রকৃতির যোনিতে আকাশের জন্ম দেয়
ধুস এটা জীবননন্দ নয়।
ছোটোলোকে কবিতা
সবুজ  ধ্বংসতে যেখানে রক্ত গড়ায় কবিতা সৃষ্টি।

চলন্তিকা সেই মেয়েটা
আজ ইস্কুল যাচ্ছে না তিন মাস শুকিয়ে আছে রক্তে।
তার ইট ভাঁটা  ফেরত বাবা
গলা পর্যন্ত রক্ত গিলে রক্ত বমি করছে মায়ের আধপেটা ফোলা নাভিতে।
নিরন্তর এই কাব্য সর্বদা বাপবাপান্তর করে
আর জীবনানন্দ আকাশের চাঁদ দেখে বলেন " পোড়া রুটি " ।
আর পোড়া কপাল !
চলন্তিকা হৃদপুরের খালের পাশে খুবলে খাওয়া শরীরটা
চাঁদ দেখে নি ,বিশ্বাস করেছে খিদেতে ,
বাঁচার মানুষের গভীরতায়।

অন্ধকার ,জীবন আর যন্ত্রণার নিয়ন্ত্রণ
চলন্তিকা এই জীবনের হাজারো সুড়ঙ্গের ফাঁকে জীবন আজ ঘুমন্ত কবিতা।
কোনো স্থবিরতা প্রাচীন কোনো ভাবনায়
ঈশ্বরের ভেকধারী অধিকার।
জীবানন্দ শহরের ফুটপাথে ট্রামের স্বপ্ন দেখছেন
যেমন আমি দেখি চলন্তিকা।

এই যে শুনছেন

এই যে শুনছেন
........... ঋষি
==================================================
এই যে শুনছেন মশাই
তেল ফুরিয়ে গেছে এখন হাতে শুধু হ্যারিকেন।
পৈতে পুড়ে গেছে
এখন ধর্মের দড়িটা শুধু সস্তা পাজামার দড়ি।
প্লিস শুনছেন
যান বলবো না পাজামা খুলে এখন শুধু বাড়ি ফেরার তাড়া।

সপ্তাহে কদিন
সামাজিক ভিতের উপর দাঁড়িয়ে চা ,মুড়ি আর কয়েকশো পাওয়ারের চশমা।
গিগাহার্জে পৃথিবী লটকে পথ হাঁটি
বুঝলেন মশাই।
পায়ের তলায় চটির বদলে অনেকটা অজানা মাটি
হাঁটছি আর হাঁটছি আর ভাবছি আগামীর কতটা বোঝাপড়া।
বাড়িতে গিন্নি আছেন বুঝলেন
সকালে ব্যাগের মাছে বিড়ালের ইচ্ছে থাকে।
কিন্তু মশাই
পকেট যে গড়ের মাঠ।

এই যে শুনছেন মশাই
ইচ্ছেদের গলায় দড়ি দিয়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে।
সামনে দিয়ে এসি ক্যাবের ভিতর পূর্ণাঙ্গ কপোতকপোতির দৃশ্য
যা চলে গেল।
এই যে  শুনছেন
তখন থেকে টিকিট চাইছি ,কানে কি ..........?

টাইটানিকের জাহাজ

টাইটানিকের জাহাজ
.............. ঋষি
===============================================
শব্দ খুঁজছি
অধিকার থেকে পিছলে যাবার রোগ এখন মানুষের।
সারে জাহাসে আচ্ছা ,,,,বেশ বেশ জানি
তারপরের লাইনগুলো অনেকটা ভদ্রলোকের আইনের মতো সহজাত।
কিন্তু সঙ্গত কারণ ছাড়া এখন মানুষ পাওয়াটা
গৃহস্থের প্রথম খোকা পাওয়ার মতো।

চলন্তিকার বুকের কাপড় সরালে কি পাওয়া যাবে
শালা মিডিয়াতে হাত দিয়ে ,হাত বেগুনী করে আকাশের রামধনু ছোঁয়া।
নিত্য ও সামাজিক মানুষের বুকে
তলপেটে লাঠি মেরে বলা ,,আরো বেশি নেশা চায়।
নেশা ধর্ম ,নেশা বর্ম ,নেশা বাঁচা
বোকা বাক্সের শাশুড়ি বৌ ,সিনেমার পর্দায় রেমেকি নায়িকা।
সে যদি স্যানি লিওনে হয়
হিট ফুল।
আমাদের মতো  মানুষগুলো একটা উপমা দেওয়ার
শব্দ খুঁজছি।

শব্দ খুঁজছি
সমাজের সাথে বদলানো মানুষের ভিটে বাড়ি।
নো কোয়েশ্চেন,শুধু ভোটের মাইকে শোনা শব্দগুলো ভীত করে
তারপর সারে জাহাসে আচ্ছা আইনি পদক্ষেপ।
মাঝে মাঝে মনে হয়
আইন শালা টাইটানিকের জাহাজ। 

জিন্দা রেহনা জিন্দাবাদ

জিন্দা রেহনা জিন্দাবাদ
............. ঋষি
==================================================

নিরুদ্দেশ কোনো উদ্দেশ্যকে সাক্ষী করে
সমাজতর সামাজিকতা।
নিরুদ্দেশ যেখানে মানবিকতা আর মানুষ জন্ম
আর অধিকার।

প্রতিবাদ শুয়ে থাকে খালি পেটে বহুদিন রাস্তার পাশে কুকুরের মতো
আর সামনে দিয়ে মিছিল যায় ,,জীবন।
আহত যুদ্ধের  মানুষগুলো শুয়ে থাকে কুকুরের পাশে
ক্যাত করে পেটে এক লাথি।
জবাব চাই ,জবাব দেও ,,,আঙ্গিক কোনো মিছিলের প্রশ্ন যখন।
শালা জবাব শুয়োরের বাচ্চা ,,,,,,,, বস্তিপাড়ার লাইনে দাঁড়ানো মেয়েছেলে
গায়ে বাসি ,পচা গন্ধ ,আর পেটে নাম না জানা বীর্যের সমাজ।
হাসি পাচ্ছে সস্তার মদে নেশা দৈনন্দিন মানুষের
আর বাঁচার জন্য কারণ সঙ্গত ,
শালা বাঁচছি তাই।


নিরুদ্দেশ কোনো উদ্দেশ্যকে সাক্ষী করে
রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্পোরেশনের মর্গের গাড়ি।
সমাজ বুড়িটা চুল পেকে গেছে ,বুক ঝুলে গেছে প্রয়োজন শেষ
এখন শুধু বাঁচার আগুন মুর্দাবাদ আর জিন্দা রেহনা জিন্দাবাদ।

মিসেস পরকীয়া


মিসেস পরকীয়া
............ ঋষি
================================================
মিসেস পরকীয়া নামটা আজকাল সকলের প্রিয়
কেন ,কেন এই কথা বললেন ?


জেন্টেলমেন মহাশয় হাসতে হাসতে বললেন
হাত বাড়ালে মোয়া পাওয়া যায়।
কি যে যাতা  বলেন
মানে বুঝি নি।মিসেস পরকীয়া জায়গা বদল করলেন।
.
কিন্তু গভীরতায় কি থাকে ?
নিজের গভীরে লুকোনো দুঃখগুলো ছুঁয়ে দিয়ে যদি কেউ মলম দেয়
সেটা কি পরকীয়া ?
মিসেস পরকীয়া হাসলেন স্পর্শ মানে কি জানেন জেন্টলমেন ?
খুব কঠিন প্রশ্ন।
আচ্ছা ধরুন আপনার স্ত্রী আপনার সাথে থাকেন
আপনি তাকে ছুঁতে পারেন ইচ্ছে মতো ,কথা বলতে পারেন।
কিন্তু ভাবুন ওটা শুধু পোশাকি
আসলে আপনার স্ত্রী অন্য কোথাও থাকেন ,অন্য কোনো পুরুষকে ছুঁয়ে।
কি যাতা বলছেন  ?
আসলে আমরা সামাজিক আর পরকীয়া অসামাজিক
কিন্তু হৃদয়  তাকে তো আপনি আর আপনার সমাজ বন্দী করতে পারে না।
.
মিসেস পরকীয়া সবাই তো আপনার মতো বেশ্যা হয় না
হাসি পাচ্ছে জানেন জেন্টলম্যান ,আপনি বেশ্যা শব্দের মানে জানেন না।
কারোর সাথে শরীরে শুলে সমাজ বলে বেশ্যা
অথচ সেই শরীরে আপনার ডিপোজিটে যদি থাকে ,
কিন্তু হৃদয়ের স্পর্শ গুলো অন্য কোথাও। কি বলবেন তাকে ?
জাতা জাতা জেন্টলম্যান মশাই উঠে গেলেন ।
.
পুনশ্চ :এই কবিতা নিতান্ত আমার ভাবনার প্রতিফলন। কারোর যদি খারাপ লাগে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। 

Sunday, June 19, 2016

মহান ভারত

মহান ভারত
............. ঋষি
===========================================
অর্জুনের চোখ আটকে মাছের গায়ে
আর মাছ সে লাফাচ্ছে আর সরে যাচ্ছে।
কি হবে ?
লক্ষ্য স্থির ,মুহূর্তের লেগে থাকা অধিকার পাঞ্চালী দাঁড়িয়ে।
ছুঁটে গেলো হাতের তীর
হাততালি লক্ষ্যভেদ।

গল্পটা সবাই জানি
মানে দ্রৌপদী আরে দ্রুপদের কন্যা পাঞ্চালী।
কিন্তু পাঞ্চালী কেন ?
সম্পূর্ণ অর্জুনের  নয় কেন ?
কেন এই অধিকারে ভাগ ? হাসছেন ?
 কুন্তী  বলেছেন তুমি পাঁচ জনের ভাগে
হা পাঞ্চালী। এও সম্ভব।
পাঞ্চালীর প্রেম পুরুষ অর্জুন,অর্জুনের অধিকার পাঞ্চালী
অথচ সময়ের হাসি।
তুমি না ঘরের না বাইরের ,না একার অর্জুনের
তুমি সময়ের।

অর্জুনের চোখে তখন আটকে আছে মাছ
আর মাছ লাফাচ্ছে আর সরে যাচ্ছে।
বদলাতে হবে মহান ভারত
পাঞ্চালী জানে পরিনাম ,তাই মনে প্রাণে চাইছে লক্ষভ্রষ্ট হোক।
ছুঁটে গেলো হাতের তীর
হাততালি পাঞ্চালীর ,লক্ষভ্রষ্ট। এইবার সময় সামলাও। 

সহযাত্রী


সহযাত্রী
.......... ঋষি
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
প্রতিটা সহবাসের পরে
ইচ্ছেরা সব অদ্ভুত অধিকারে মতো তোমাকে জড়িয়ে।
তোমার ভিজে ভাবনার সাথে
আমার চলতে থাকা ট্রেনগাড়ি ট্র্যাক ছেড়ে আকাশে উঠে যায়।
কু ঝিক ,কু ঝিক আকাশের গায়ে
আর আমরা ট্রেনের কামরায়।

ট্রেন চলছে
পাশের সময়ের মতো অসংখ্য স্টেশনে অসংখ্য সব মুখ।
কেউ খিদে বিক্রি করছে ,কেউ শরীর  ,কেউ অধিকার,কেউ জীবন
আর আমি তুমি ,আমাতে মত্ত।
সময় পেড়োতে থাকে নিজের মতো
আমরা  মরে যেতে থাকি  নিজেদের ভিতর।
হয়তো আবার জন্ম নেবো বলে নতুন একটা ছবি আঁকতে থাকি
আলুথালু তুমি কোনো কবিতার চরিত্র।
আর আমি ঘরছাড়া সেই সন্ন্যাসী ,পথের নেশায়
তোমার  পথে ঝাঁপিয়ে পড়ি ,তোমার কবিতায়।

প্রতিটা সহবাসের পর
ইচ্ছেরা সব এক ঝাঁক আলোকরশ্মি তোমার মনের ভাঁজে।
তোমার বুকে দলা পাকানো শূন্যতায়
আমার  ইচ্ছাদের অসংখ্য অধিকার।
আমি ভাবতে থাকি আর ট্রেন চলতে থাকে অজানাতে
প্রতিবার আমি থেকে আমরা গন্তব্যের সহযাত্রী এক কামরায় । 

গাছের ভূমিকায়

গাছের ভূমিকায়
................. ঋষি
==============================================
একবার যাতে গাছের জীবন পাই
পাতায় পাতায় ইতিহাস লেখা থাকুক পৃথিবীর পথে।
পোশাকের বাকলে ,বাকলের না বলা
সব প্রাচীন কোনো ইচ্ছা গাছের ডালে।
আশে পাশে ছড়ানো সংকীর্ণতা ,ছড়ানো বিষাক্ত ধোঁয়ায়
একবার যাতে গাছের জীবন পাই।

আমার মৃত্যুর পর
আমার ইচ্ছার চারা গুলো আরো বেঁচে গভীরে  ঢুকে যাক পৃথিবীর মাটি।
আমাদের নির্ভেজাল অধিকারের সীমানায়
কেউ না আসুক।
আমিও বেঁচে থাকি গাছের মতো সুখে  কিংবা দুঃখে
সম্পূর্ণ একলা।
আমিও বসে থাকি নিশ্চিন্ত কোনো চেতনায়
নিচ্ছিদ্র কোনো তুমিতে সবুজের আশায়।
সময় পেড়িয়ে যাক ভাবনায় পাওয়া ইচ্ছাতে
আর আয়নায় ফুটুক অদ্ভুত গাছ।

একবার যাতে গাছের জীবন পাই
আমার শাখা প্রশাখা নগ্ন সময়ের মতো একলা হোক।
আমি থাকি নিজের গভীর চুপচাপ
ঘুমন্ত কোনো অভিশাপ বছরের পর বছর।
তারপর সেই সময় আসুক মৃত্যুর প্রাচীন কোনো ভাবনায়
আমিও যাতে লুটিয়ে পড়ি গাছের ভূমিকায়। 

শেষ না হওয়া উপন্যাস


শেষ না হওয়া উপন্যাস
............. ঋষি
==========================================
আরতো কয়েকটা ঘন্টা
তারপর অন্য একটা পৃথিবীতে আমরা।
না চারদেয়ালে গল্প তোমাকে আমি বলবো না
বরং লিখবো একটা উপন্যাস শেষ না হওয়া স্পর্শের।
কিন্তু একটা ভয় আমার খুব করছে
উপন্যাসের শেষ পাতাতে  জীবন অজানা।

আমি আর আমার আদিম ইচ্ছেরা
জীবনের ধার ঘেষা কোনো প্রাচীন জংলী অসামাজিক জঙ্গল।
যেমন আমার বুকের উপর
তোমার ছুঁয়ে যাওয়া প্রতিটা কবিতা তোমার এক একটা পদচিহ্ন।
তোমার হাসতে থাকা ,তোমার অভিমান
সমস্ত নিয়ে যে যদি কোনো একটা সত্যি উপন্যাস লিখি
কিন্তু শেষ লিখতে পারবো না।
কারণ শেষটা কিছুতেই মনের মতো হয় না
আর পাঠকেরও মুখভার।

আরতো কয়েকটা ঘন্টা
তারপর অন্য পৃথিবীর চাদরে আমাদের  চার দেওয়াল।
না আমি কোনো পাঁচিল তুলতে চাই না
শুধু খোলা আকাশের নিচে চুপচাপ লিখতে চাই স্পর্শ।
যেমন বৃষ্টি হয় মনের ভিতর সকলেরই
তেমনি এ হলো বৃষ্টির ভেজা " স্পর্শ "। 

চারিপাশে চিৎকার


চারিপাশে চিৎকার
............... ঋষি
==============================================

স্বপ্নে দেখলাম অনেকগুলো মই
আর আমি মাটিতে দাঁড়িয়ে অস্তিত্বে ভাসছি।
পায়ের তলায় জমি নেই
নেই এমন অনেকিছু যেগুলো রোজকার যাপন।
আমি সময়ের সাথে হাত বাড়িয়ে মইয়ের প্রথম ধাপে
পাশে তাকিয়ে দেখি আরেকটা মই,আরো অনেকগুলো।

সেখানে আমি ছিলাম ,তুমি ছিলে ,ছিলে আরো অনেকে
প্রত্যেকের তাড়া এগিয়ে যাওয়া।
পাশে সাইরেন বাজিয়ে এসে দাঁড়ালো লাল বাতি এম্বুলেন্স
আমি পেসেন্ট ,তুমি আর তোমরাও।
অনেকগুলো আসা ,যাওয়া ভাসছিল মাটি ছেড়ে প্রতিবাদে
অনেকগুলো চিৎকার শোনা যাচ্ছিল মানুষের কান্নার।
আমরা তখন মইয়ে উপর গা বাঁচিয়ে
নিচে তখন যন্ত্রনা যেগুলো আমার না ,তোমার না ,না তোমাদের
শুধু গড়িয়ে নামছিল রক্ত সময়ের গায়ে
আর আমাদের গায়ে ,,,,গা বাঁচানো

স্বপ্নে দেখলাম অনেকগুলো মই
আমি মইয়ের উপরে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে তোমাকে ডাকলাম।
এখন তুমি আর আমি একটাই মইয়ের উপর
বাকি সবাই অস্তিত্ব ছাড়া ভাসছে ,নেমে যাচ্ছে নিচে।
তুমি ভয় পেয়ে মুখ লোকালে আমার বুকে
আবার আমরাও নামছি ভাসছি ,,চারিপাশে চিৎকার।  

অন্য মানুষ

অন্য মানুষ
................. ঋষি
===============================================
শুনতে পাই গলাটা
সকাল ,সন্ধ্যা ,রাতে একের পর প্রশ্রয়।
আমি কোনো অববাহিকার মতো প্রকৃতির সৃষ্টির নয়
আমার শরীরে বেড়ে চলে নি কোনো সবুজ রং।
আমি শুধু গড়িয়ে নামা মায়া
আর ছায়া  অন্য মানুষ।

মানুষের গল্প লিখতে লিখতে
হাতের বলপেনের বল বেরিয়ে পিংপং হয়ে গেলো।
সময়ের কথা লিখতে লিখতে
সেই পিংপং বল লাফাতে লাফাতে ঘড়ির পেন্ডুলাম হয়ে গেলো।
এখন সেই পেন্ডুলাম দুলছে
নিয়মিত টিকটিকে জানান দিচ্ছে অদ্ভুত এক শরীর সময়।
বয়স বাড়ছে ,চুল পাকছে ,বাড়ছে হৃদয়ের ঘরে অনেক ঋণ
বাড়ছে দীনতা,বাড়ছে প্রলোভন ,দিন প্রতিদিন।
তবু একটা জিনিস একই আছে
আমি গলাটা শুনতে পাই ,শেষ কথাগুলো
আর একসাথে থাকা যাবে না

শুনতে পাই গলাটা
দিন প্রতিদিন নেশায় জড়িয়ে অজস্র তোমাতে।
তুমি নিজের গভীরে কোনো নিয়মের ঘরে বন্দী
আর আমি ঘড়ির পেন্ডুলাম ,,শুধু দুলছি।
সময় পেরিয়ে যায় সময়ের সাথে
অন্য ছায়া এক অন্য মানুষ ।

  

প্রাসঙ্গিক

প্রাসঙ্গিক
.................. ঋষি
-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-==--=-==-=-=-=-

তোমার মতো আমি কথা বলতে পারি না
গ্লাসের কাঁচের ফাঁকে জমে থাকা গড়িয়ে নামা যন্ত্রনা।
আমি একলা থাকতে পারি না
প্রতিটা প্রাক্তন যদি অনিবার্য মৃত্যু হয়
তবে মৃত্যুর পর জীবন নীলকণ্ঠ।

সত্যি লিখতে গিয়ে আজকাল তোমাকে বলা হয় না
লাল রঙের সব হাতছানি।
তোমার হাতের কাঁচের চুঁড়ি  বারংবার ভাঙে কিংবা রংবদল হয়
কিন্তু তুমি বদলাও না।
প্রতাটা প্রাক্তন জানে ফেলে আসা দিনের মানে
সেই লাল রঙের হাতছানি।
ফেলা আসা পথ আর প্রাসঙ্গিক হৃদয়
গড়িয়ে নামা কাঁচের ফাঁকে নামতে থাকা।

তোমার মতো আমি কথা বলতে পারি না
কিংবা পারি না তোমার মতো বলতে একটা কমন ফ্যাক্টর।
আকাশের দিকে টাকাও
সে নীল রং ,গোল গোল স্বপ্নের ফানুসে কিছুটা সংসার ইচ্ছার
প্রাসঙ্গিক অপ্রাসঙ্গিকতা। 

Saturday, June 18, 2016

দর্শক সময়

দর্শক সময়
............ ঋষি
==================================================
বহুদিন পর পরিষ্কার উচ্চারণ শুনলাম
বহুদিন পর আকাশ থেকে হঠাৎ রাত্রি নেমে এলো।
বহুদিন পর চশমার ঝাপসা কাঁচে
আবার তোকে দেখলাম।
খুব কাছে যেখান থেকে দূরত্বদের ফাঁকে
লেগে আছে একটা আঁশটে গন্ধ।

বহুদিন পরে আবার তোর সাথে দেখা হলো কোনো  অচেনা রাস্তায়
আমি তাকিয়ে ছিলাম তোর মানচিত্রের দিকে।
একেরপর এক সময় চোখে পাতায়
আর ফোকাস দূরত্বে আলোর দরজা খুলে গেলো।
আমি এগিয়ে  গেলাম আলোর দিকে
তুই এগিয়ে এলি আমার দিকে তারপর দরজা বন্ধ।
বাইরে তখন চিৎকার সময়ের
দরজার কাঠে অনবরত আঁচড় ভয়ানক নখের।
তুই আমার বুকে ঢুকে এলি ভয়ে
দরজা ভেঙে গেলো
বহুদিন পর আমি তুই পাশাপাশি নগ্ন আর দর্শক সময় ।

বহুদিন পর পরিষ্কার উচ্চারণ শুনলাম
বহুদিন পর আকাশে আবার মেঘ ,বৃষ্টি আগত ।
বহুদিন পর তুই আবার ভিজবি
আবার তোকে পেলাম ।
খুব দূরে যেখান থেকে দুর্বলতার ফাঁকে
ছুঁয়ে নামা রক্তবিন্দু ,, " ভালোবাসি তোকে " ।
     

চেনা গন্তব্য

চেনা গন্তব্য
............. ঋষি
===============================================
অনেকগুলো বছর প্রাগৈতিহাসিক আছি
ধুলোর অনবরত ঝড় ছুঁয়ে  যাচ্ছে  অসঙ্গত অভিযোগ জুড়ে।
কাকে যেন  বলে ছিলাম
জীবন মানে পাশ ফিরে দেখা এক বালিশ দূরত্ব।
কিংবা সিগারেটের নিকোটিন ঠোঁটে
বেঁচে থাকা।

ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে ঠিক যেমন গভীরতা দেখা যায়
ঠিক তেমন করে জীবন দেখতে অভ্যস্ত সকলে।
কিন্তু সেখান থেকে ভাসবার সাহস
কজনের আছে ?
প্রাগৈতিহাসিক সময়ের সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা ওপরে ওঠার পর
এস্কেলেটরে নামতে নামতে নিজের পাবার অভিজ্ঞতা
জীবনের সম্বল।
হাসিস না সময় তোকে মানায় না
প্রাগৈতিহাসিক সময় বদলে গেলো
অথচ আমি সেই সবুজ সম্বল।

অনেকগুলো বছর প্রাগৈতিহাসিক আছি
গায়ের উপর শেওলার মতো অসংখ্য আস্তরণে জীবন।
কাকে যেন বলেছিল
জীবন মানে এককথায় হলো যাপন।
কিংবা কোনো অসীম যাত্রা
যার শুরু আছে কিন্তু আছে অপেক্ষা চেনা গন্তব্যের । 

কোনোদিন

কোনোদিন
............... ঋষি
===================================================
কোনোদিন  প্রশ্ন করিস না কেমন আছি
তবে মিথ্যে বলতে হয়।
কোনোদিন কাছে ডাকিস না কানের কাছে ফিসফিস
তবে একলা থাকতে হয়।
যদি ভালোবাসিস তবে কোনোদিন দূরে থাকিস না
তবে দূরত্বে থাকিস।

এতো  যে মনোযোগ সব
এতো যে যোগাযোগ সব কোনো  অনিশ্চয়তার ইতিহাস দিয়ে হেঁটে চলা।
হাজারো বছর পর বনলতা দরজা খোঁজে
সময়ের কাছে ফেরি করে ফেরে মনের  সমস্ত  বাসনা।
একলা থাকাটা অভিশাপ না
একটা ইতিহাস ,
যা লেখা থাকে সেই রূপকথার দেশে ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী জুড়ে।
মৃত্যু কাঠি সরিয়ে রেখে জীবন কাঠি ছুঁই
আর বনলতা বদলে চলন্তিকা
তোর সাথে রই।

কোনোদিন  প্রশ্ন করিস না কার সাথে আছি
তবে মিথ্যে বলতে হয়।
কোনো কাছে আসিস না জীবন জুড়ে যন্ত্রনা
তবে তোর সাথে থাকতে হয়।
যদি ভালোবাসিস তবে কোনোদিন একলা থাকিস না
শুধু ভুলে থাকিস। 

Friday, June 17, 2016

অনন্ত দরকারী

অনন্ত দরকারী
.................... ঋষি
==============================================
পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছি জীবন
তোকে বলা হয় নি তুই কতটা সুন্দরী ,কতটা গোলাপের সুবাস।
সকলে শুধু কাঁটায় হেঁটে চলি
কেউ কেউ আমার মতো বেঁচে থাকে গোলাপের ভাবনায়।
যেখানে রক্তাক্ত হওয়া জরুরী
আবার বেঁচে থাকাটা  খুব দরকারী।

সভ্যতার চাদর মুড়ে ,স্ট্যাসের অনন্ত বুলি আঁকড়ে
তুই যেমন কবিতার পাতায় লাল।
ঠিক তেমনি আমি শহরের পথে কোনো পথ হারানো পথিক
পাগলের মতো চিৎকার করি জীবনের নামে।
আমি জীবনের কবিতায় মৃত্যুর কোনো আদিম আসামী
যেমন আদম আর ইভের বিষফল।
যদি কোনোদিন আমি বাঁচার মানে ভুলে যায়
যদি কোনোদিন নিঃশ্বাসে আমি খুঁজে  পাই অক্সিজেন বোমা।
সেদিন বিস্ফোরণ হবে
ঘরের বাইরে ,ঘরের ভিতর পুড়তে থাকা জীবনগুলো
সত্যি মানুষ হবে বেঁচে থাকাতে।

পায়ে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটছি জীবন
তোকে বলা হয় তোর পাঁজরে আটকানো আমার জীবন কাঠি।
সকলে তো আমরা একলাই হেঁটে চলি
কেউ কেউ আমার মতো কবিতার প্রেমে পরে ,তোর জীবন ।
তারপর অবিরত রক্তক্ষরণ
কিন্তু জীবন হাঁটে ,পিছলে পরে আবার উঠে দাঁড়ায়। 

আলাদিনের মাদুর

আলাদিনের মাদুর
................... ঋষি
=================================================
বলে ফেললি সত্যিটা
নিজের কাছে নিজের থেকে বড়ো সত্যি কোনটা।
তোর বাদশা ,বেগমের গালিচায় একটা নতুন আলাদিনের মাদুর
উড়ন্ত সব জোকারগুলো হাসছে দেখ দাঁত বেড় করে।
সেখানে সত্যিটা বলে ফেললি
তোকে মাঝে মাঝে ভীষণ মনে পরে।  

আজ কাল স্বপ্ন কুড়িয়ে রাতপাখির সাথে আমার কারবার
সোহাগী সময়ের পাতায় একের পর এক বিপর্যয়।
বেপরোয়া কিছু আব্দারের স্পর্শে আমার সকাল থেকে রাত্রি
আজকাল অলি গলি শহরের পথে রাজপথে  আমার কলম।
আমি কলমের কথা বলি
আমি জীবনের কথা বলি।
আমি মানুষের কথা বলি
আমি সময়ের কথা বলি।
আমি ছবি আঁকি ক্যানভাসে সব যন্ত্রণা
আমার বুকে মুখ গুঁজে আশ্রয় খোঁজে কোনো আদিম ইচ্ছা।
সোহাগী নদী আকুল তৃষ্ণায় পাড় ভাঙে
আমি ভেঙে পড়ি আকাশের দিকে তাকিয়ে বাঁচার আকুতি ,
আমার আকাশ।

জীবন এগিয়ে যাচ্ছে কোনো অজানা আগামীতে আমি দাঁড়িয়ে একা
আমার সাথে এগিয়ে চলেছে সময়ের স্রোতে কেউ।
তোর দেরাজে পুরোনো কোনো ছবি
মাঝে মাঝে মিলে যায় আমার সাথে।
তখনি তুই সত্যিটা বলিস
তোকে মাঝে মাঝে ভীষণ মনে পরে।

বাঁচার কবিতা

বাঁচার কবিতা
.................... ঋষি
============================================
অমর করে রাখা ফোটোফ্রেমগুলো
এক কোনে চুপিচুপি কোনো বৃষ্টি ভেজা বেলা।
উত্তরণ চাইছে সময়
উত্তরিত অনআভরণ কোনো মুহূর্তের স্পর্শরা যন্ত্রণার অপেক্ষায়
উত্তরণ চাইছে হৃদয়
আকাশের নীলে কোনো গভীর ভাবনায় বৃষ্টি ভেজা বেলা

অচেনা কালগুলো
কেমন যেন বুকের তারে ঝংকার তোলে।
পুরোনো গিটারের হাতে আজকাল সুর আসে আবার চলে যায়
হৃদয়ের পাশে পাশে।
তারপর সেই তুমুল বৃষ্টি
আমি বৃষ্টি ভেজা কাক শহরের রাজপথে।
চেনা আহ্বান,চেনা সুর সবটাই ভীষণ চেনা তবু অচেনা এই শহরে
আমি কোনো রাতজাগা পাখি।
আকাশ খুঁজতে থাকি
ভাবনারা পিছোতে পিছোতে তোর দরজায়।

অমর করে রাখা ফোটোফ্রেমগুলো
নিজস্ব ভঙ্গিমায় আকাশের গায়ে লিখতে থাকে কবিতা।
উত্তরণ চাইছে সময়
সমসাময়িক বেঁচে ফেরা আমার হাজারো কবিতার পাতা।
উত্তরণ চাইছে হৃদয়
কোনো স্পন্দনের ডুগডুগি শব্দটা আমার বাঁচার কবিতা। 

দেশজ সাবজেক্ট

দেশজ সাবজেক্ট
.................. ঋষি
=======================================================

ইতিহাস লিখতে বসে
দেশজ ক্ষয় খয়রাত ছেড়ে আর কিছু মনে আসে না।
এতো প্রাচীন একটা ইতিহাস ,স্বাধীনতা সংগ্রাম ,স্বার্থরক্ষার সন্ধি
সিকোয়েল বিশ্ব যুদ্ধ ,একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধ ,ছিয়াত্তরের মন্বন্তর।
সব পেরিয়ে সেই চিরাচরিত ব্ল্যাক আউট
আর খিদের পৃথিবীর দংশন।

আবার যদি ইতিহাস ছেড়ে দেশের ভূগোল লিখি
আহ্নিক গতি ,বার্ষিক গতি ছাড়িয়ে আজকে অন্য একটা গতি খুব জনপ্রিয়
জীবন গতি।
জীবন বললেই মনে পরে যায় প্রান্তর
চাষভূমি ,বাস ভূমি ,শরীরের ভূমি সে আবার জীবন বিজ্ঞান
বাপরে প্রেম ,সম্পর্ক ,আরো কিছু।
ভূগোলে থাকি যা সবটাই জানা
আসলে বড়ো,বড়ো ফ্ল্যাট ,ছোট ছোট খুপড়ি ,হ্যাম তুমি আর ওহো ফর্মুলাতে
দেশ বড় অপ্রিয় শব্দ সেখানে।
স্বার্থের বাস বৃদ্ধিতে আজকাল আবহাওয়া বড়ো বিপর্জনক সংকেতে
আবহদপ্তরের খবর বৃষ্টি স্বাভাবিক নয় তাই খরা নিশ্চয়।
সমস্ত গগনচুম্বী সাদা পর্বতের গলতে থাকতে
ফোস্কা পড়ছে শহরে।

এইবার দেশের অঙ্ক,এই সাবজেক্টটা আমি বড়ো কাঁচা
জীবন মানে  সবটাই অঙ্ক ,আর জীবনের সাথে দেশ জুড়ে।
বার্ষিক সুদকষা,লাভ ক্ষতি হিসেবে যদি দেশের নাই বা দেখি
তবু খুব স্বাবাভিক,,,,, মূল্য আর রোজকার বাঁচার  ট্যাক্স বৃদ্ধি।
সবশেষে দেশ সম্বন্ধে বলতে গেলে ইচ্ছে করে বলতে
এক শূন্য নয়তো দশমিকে আমরা। 

নিয়মের বাড়ি

নিয়মের বাড়ি
.................. ঋষি
================================================
যে বাড়িটা আমি স্বপ্ন দেখি আজকাল প্রায়
যে বাড়িটার ঘরগুলো আমার ভীষণ চেনা।
সেখানে সবটাই আমি
তুমি ছিলে  না কোনোদিন সেখানে।
ছিল তোমার মতো ,আমার ছায়ার মতো কোনো ছায়া
শুধু অপেক্ষায়।

তুমি কোনো প্রেমিকার মতো
বাড়িয়ে দেবে তোমার অস্তিত্ব ,তোমার শরীর ,তোমার নিয়ম।
তারপর নিয়মিত আমি তোমার স্পর্শে
কিন্তু আমি থাকবো না সেখানে ,থাকবে আমার মতো প্রিয় কেউ,
তোমার কাছে।
তারপর কোনো জ্যোৎস্না রাতে তুমি জড়াবে আমার গলা
নিয়মিত সেই গলা দিয়ে বেড়োবে তোমাকে ভালোবাসি।
কিন্তু ভালোবাসি বললেই ,সত্যি কি তাই
ভালোবাসা কি মুখে বলা যায়।
নিয়মের ঘরে নিয়মিত সবটাই
কিন্তু শুধু নিয়ম।

যে বাড়িটার আমি স্বপ্ন দেখি আজকাল প্রায়
যার প্রতিটা রন্ধ্রে আমি কোথাও মিশে বাড়ির সিমেন্ট ,বালি ,ইঁটে।
সেখানে সবটাই আমি
তুমিও আছো নিয়মিত সেখানে কোনো দৈনন্দিন।
কিন্তু সেখানে আমি ছায়া ,আমার মতো কেউ
আমি নই ,কোনো অন্য ঘরে। 

আমার চোখ

আমার চোখ
,,,,,,,,,,,, ঋষি
=====================================================

চোখ সে তো আমার সাথে আছে
না যায়নি কোথাও কোনোদিন ,আমার চোখ শুধু আমার।
কিন্তু তুমি তবু চোখে এসে পরো
তারপর চোখ বেয়ে কানে ,নাকে ,স্পর্শে আরে আমার পঞ্চ ইন্দ্রিয়ে আরকি।
এবং শেষ পর্যন্ত হৃদয়
বুঝলে না আমার হৃদয় গভীরে।

চোখ কোথাও যায়না
তবু তুমি আসো বারংবার আমার দৃশ্যের প্রতিটা ফোকাসে।
জানো রাত্রের অন্ধকারে আমার বিছানায় তখন আকাশের চাঁদ
আমি তোমাকে দেখতে পাই।
কি অদ্ভুত অবাক হয়ে ভাবি আর ভাবতে থাকি
চোখের সাথে তুমি লেগে।
অথচ যখন আয়নার দিকে তাকাই
নিজেকে দেখতে পাই ,তুমি থাকো হয়তো।
কিন্তু দেখতে পাই না
বড় অদ্ভুত।

চোখ সে তো আমার সাথে আছে
নিজের সাথে দেখা করার একটা মাধ্যম বটে প্রতিবিম্ব আয়নাতে।
তবু তোমাকে দেখতে পাই
তুমি আরো গাঢ় হয়ে আসো আমার পরশে।
তারপর তোমার গন্ধ ,তারপর স্পর্শ ,তারপর স্বাদ আর সবটাই
আমার চোখ আমার থাকে না। 

কিন্তু নদী

কিন্তু নদী
................. ঋষি
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-
নদীর ধারে বসে আছি
সামনে হাত পা ছড়িয়ে বেশ নিশ্চিন্ত মনে গভীর তুমি নদী।
সামনের  বাঁকে গিয়ে তোমার শেষ দেখা পেলাম
তুমি আবার অন্য কোথাও ,,কিন্তু নদী।
ভাবলাম একবার চান করতে নামবো তোমার সাথে মিশে
একটা শেষ চেষ্টা তো করা যায়।

নদীর বাঁধানো কোনো ঘাট নেই ,নেই বাঁধা কোনো নিয়ম
আপন তালে ,আপন ছন্দে ,ভাঙা গড়া নিয়ম।
পাড় ভাঙছে ,মিশে যাচ্ছে  নিয়মিত
অথচ হাজারো বদলাবার পরেও তুমি নদী রয়ে গেলে।
ভাবলাম যদি তোমাকে পাড় দিয়ে বাঁধানো হয়
ইশ ঠিক কোনো ড্রেন।
বিরক্তি কর তেতো হয়ে গেলো ঠোঁট
নদীর জলে ঠোঁট রাখলাম ,উফ্ফ্স প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো।
একবার ছোট বেলা নদীতে হিসি করেছিলাম
না যদি ড্রেন হয়ে যায় নি ,সব আবর্জনা নিয়ে বয়ে গেছে।
সেই তো ধর্ম নদীর
কিন্তু বদলায় নি।

নদীর ধারে বসে আছি
এখন শুধু তোমার কাছে আছি  নদী , এইসময় হাতের মুঠোফোনে ঝংকার
হ্যালো কি করছো ?
ধুস সবসময় কিছু করতে হবে ,নদীর কাছে আছি।
কিন্তু তবু বলা মেরি জান ভীষণ ব্যস্ত বুঝলে
ভাবনায় নদীর সাথে মেতে। 

ধরা যাক ,,,,,

ধরা যাক  ,,,,,
............ ঋষি
=================================================
ধরা যাক তোমার শেষ বার মৃত্যুর পরে
তুমি বাঁচতে চাইলে আবার।
ধরা যাক সেইসময়  আমি তখন কলকাতার কোনো ট্রামে বসে
শহরের সাথে প্রেম করছি।
তুমি প্রেম চাইলে
আর  আমি নেমে গিয়ে  ট্রামলাইনের দুটো লাইন একসাথে ছুঁতে চাইলাম।

তারপর
ট্রামলাইনটা ছুঁটতে লাগলো নিজের মতো।
আর আমি ছুটছিলাম ট্রামের পিছনে ,,,খুব দৌড়োচ্ছি বুঝলে
ধরা যাক তুমি সেই সময় স্ট্যান্ডে একলা দাঁড়ানো কোনো সুন্দরী পরস্ত্রী।
আমি তখন দুচারবার ঝাড়ি
ভাবছিলাম কাস তুমি যদি  কোনো যুবতী।
ধরা যাক তোমার বাস এসে গেলো সেইসময়
তুমি বাসে পাদানিতে দাঁড়িয়ে একবার ফিরে হাসলে।
আর আমি উল্টো ফেরা ট্রামের সামনে
তারপর ,,,,,,,

ধরা যাক তোমার শেষ মৃত্যুটা আমার সাথে হলো
আমরা বাঁচতে চাইলাম আবার।
ধরা যাক সেই সময় আমরা কোনো কলকাতার ট্রামে বসে কাঠ বাদাম ভাঙছি
চোখের সাথে চোখ ,,হঠাৎ ট্রাম থেমে গেলো।
তুমি ট্রাম থেকে নেমে একবার পিছু ফিরে হাসলে সুন্দরী পরস্ত্রী
আর আমি আবার আমার শহরের প্রেমে।

Thursday, June 16, 2016

পরিচিত জ্বর

পরিচিত জ্বর
.............. ঋষি
============================================
নিরুপায় মেঘে কাগজের নৌকো ভেসে যায়
ঠিক এই সময় হাতের মুঠোফোনে আলোড়ন।
কারণ অকারণে দূরত্ব বুঝিয়ে যায়
ভেজা পরিচয়।
পরিচিত  আমি ,তুমি ,আমরা
সকলে আরো পরিচিত হতে চাই।

না না কোনো অঘোষিত সন্ধ্যের আলো
আজকের দিনটা কোনো বৃষ্টি ভেজা জ্বর ,সর্দি ,কাশি আর সন্ধি।
সব নিয়ে যদি কবিতা লেখা যায়
থুড়ি
সব নিয়ে যদি কোনো কবিতা আঁকা যায়।
ক্যানভাসে তবে প্রথম রং কালো
তারপর লাল ,নীল আর সাদাদের আবদার।
হাতের তুলিতে মুহু মুহু ছুঁয়ে  যায় পারদের বাড়তে থাকা তাপ
চেনা থার্মোমিটার জানে
জ্বর সাথে মনখারাপ।

নিরুপায় মেঘে সাইকেলে রোদ ঘন্টা
হাতের মুঠোয় ঘুমিয়ে থাকা স্পর্শ।
দেরাজে রাখা কবিতার খাতায় চরাচর
জ্বরের চোখে দৃশ্য বিমর্ষ।
সবকিছু বুঝি না বোঝা আমি  নিরুপায়
পরিচিতি তোর দূরত্ব আলোকবর্ষ।

সেই আমরা

সেই আমরা
................ ঋষি
=============================================
সেই আমি নগ্নতা নিয়ে আর্টিফিসিয়াল
সেই আমি স্তব্ধতা নিয়ে সার্বিক।
সেই আমি আবার লিখে চলেছি অধিকার সম্পর্কের ফাঁকে
সেই আমি আবার মাথা নিচু কোনো বেঁচে থাকা।
সেই আমি সামনে দাঁড়িয়ে নগ্ন তোর
আর  তুই কোনো ক্লোরোফর্মে ডোবানো প্রিয় সকাল।

নটার কারখানার ভো
রাস্তার পাশে কল পাড়ে অযথা কচিকাচার চিত্কার।
সস্তার লাইন বেঁচে থাকা
আর রাস্তার ডিজেল  পেট্রলে পোড়া ট্রাম বাস।
না ফোরানো শহরে ক্রমশ ফুরোতে থাকা কোনো বাঁচা
সস্তার ম্যগাজিন ,সস্তার প্রেম তুলোর মত উড়তে থাকে বাতাসে।
আর সেই আমি কুড়িয়ে ফেরা সম্বল
সমস্ত বেঁচে থাকাতে।

সেই আর্টিফিসিয়াল আমি আজ অন্য কেউ
সেই পাগলাটে কলম আজ শেষের কবিতা।
সেই নিরঙ্কুশ অধিকার ভীষ্মের  মৃত্যুর মত প্রিয়
সেই খোলা ম্যাগাজিন চেটে খাওয়া যৌনতা।
সেই একলা শহর নিরুদ্দেশ
আর তুই কোনো নেশার পেয়ালায় আমার কাটানো সময়।

ঈশ্বরের নীরবতা


ঈশ্বরের নীরবতা
............. ঋষি
================================================
নিজের ফাঁকে তফাত খুঁজি
পাপ ,পূর্ণ ,শালীনতা ,নগ্নতা ,হুল্লোর ,নিস্তব্ধতা।
আদম আর ঈশ্বরের মাঝে অন্ধকারে শুয়ে
আমি নিজের দিকে তাকাই।
সমস্ত ভাবনাদের সাজিয়ে পৃথিবী তৈরী করি
আর হারিয়ে যাই।

কবে যে বিষ লেগে ছিল মানুষের পিতার
কবে  প্রথম ঔরসে ভেবেছিল কোনো সৃষ্টির রূপরেখা।
ঠিক কবে মানুষ আকাশ ছুঁয়ে ছিল
ছুঁতে চেয়েছিল প্রেম নিস্বার্থ কোনো যাযাবরের মত।
কবে ঈশ্বরের পায়ের ঘুঙরুতে
বেজে উঠেছিল ধ্বংসে সুর মানুষের মনে।
মানুষ কবে নিজেকে ভুলে অধিকার খুঁজেছিল অন্য হৃদয়
হৃদয় ছুঁয়ে ছিল প্রথমবার শুধুমাত্র শান্তিতে।  .
আজ সেই দিনগুলো ছুঁতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে ছুঁতে প্রতিটা প্রথমবার।

নিজের ফাঁকে তফাত খুঁজি
অধিকার ,সম্পর্ক,জন্ম ,মৃত্যু ,সুর ,অসুর।
আদি আর অনন্তের ফাঁকে আমি খুঁজতে থাকি দেবদূত
একবার নিজেকে পাবো বলে।
অনন্ত ঈশ্বরের কোনো দীর্ঘজীবী আগামী মৃত্যুতে বিলীন
কিন্তু ঈশ্বর উত্তর দিলেন না বেঁচে থাকার।



মহা মৃত্যুঞ্জয়




মহা মৃত্যুঞ্জয়
............ ঋষি
================================================
একটা মাটির ঘর
চারদেওয়াল।
আবছা অন্ধকারে হাতের তালুতে হেঁটে চলে সে
ছায়া ভিজে যায়।
জল গড়িয়ে নামে খুব কাছে
কেন ঠিক একলা এমন ভাবা যায়।

একটা আকাশ ঢাকা কোনো স্বপ্নের বাড়ি
বাড়ি খোলা জানলা ,খোলা দরজায়  ঘুমিয়ে থাকে দুঃখ।
শান্তির পরশে দমকা হওয়া ছুঁয়ে যায় নিজের মত অধিকার
আর তখনি সে দূরে  সরে যায়।
হাতের তালুর ইকিরমিকির ছেড়ে বাঁচতে থাকে আনন্দ
একটা আকাশ খোলা বাড়ি
শান্তির কোনো অজস্র হাতছানি।
আমি এগিয়ে ,তুমি পিছিয়ে ,,আরো অনেকটা গভীরে
তখন মহা মৃত্যুঞ্জয়।

একটা মাটির ঘর
আর ইচ্ছা।
আবছা অন্ধকারে ইচ্ছারা তোমাকে কাছে চায়
যেমন খুশি অছিলায়।
সত্যি কি জল গড়িয়ে নামে চরাচর জুড়ে
তোমার  নেশায়।


বৃষ্টির সাথে

বৃষ্টির সাথে
.................. ঋষি
================================================
বৃষ্টির সাথে কটা কথা ছিল
সময় বিশেষে আকাশের মেঘে এমন কিছু ব্যাথা ছিল।
যে চিরদিন আকাশ থেকে মাটিতে নামতে চাইছিল
আর চাইছিল একটা অদ্ভূত ঘ্রাণ।
চুপচাপ রিনিঝিনি একা বলে গেল
যে  কথা বৃষ্টি আমাকে ভিজিয়ে।

বৃষ্টির জন্য কিছু কথা ছিল
হঠাত দমকা হওয়া চলন্তিকা তোর ভিজে আঁচলে আজ অন্যমনস্কতা।
তুই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকিস
তুই আকাশের কাছে  ভিজতে থাকিস।
এই বৃষ্টি চিরকাল
চিরদিন নিজের মত যাচ্ছেতাই কোনো অধ্যায়।
আলো আঁধারি মেঘ ভেঙ্গে চলন্তিকা এখন আকাশ লাল
অপেক্ষা শুধু কাছে আসার।
বৃষ্টি একলা কি আর ইচ্ছে করা যায়
কিন্তু জানিস বৃষ্টিতে একলাই  ভেজা যায়।

বৃষ্টির সাথে কটা কথা ছিল
মেঘ ভাসানো কোনো ভেজা মাটির ঘ্রাণে।
বৃষ্টিকে অনেক কিছু বলা ছিল
বলা হলো না কারণ সব মেঘে বৃষ্টি পরে না চলন্তিকা।
আর যে মেঘে বৃষ্টি হয়
সে কথা শোনে না ,নিজের ইচ্ছেতে ভিজিয়ে যায়। 

হা গণতন্ত্র

হা গণতন্ত্র
............... ঋষি
====================================================
সাম্যের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রের নাকে নথ
সর্বত্র ত্রাসের ফাঁকে শুয়ে থাকা তাসের ঘর।
মানুষ যেখানে যাপনে ব্যস্ত
আর দিনগোনা সময়ের ফুরোনো আয়নায় অনন্য মুখোসের সাক্ষী।
ঘুমিয়ে থাকা ইতিহাসের বুকে জ্বলন
নিজস্ব মৃতদেহের সাথে কয়েকশো ভোল্টের পুড়ে চলা ।

আসলে সত্যি কথা বলতে নেই
চলন্তিকা জিজ্ঞাসার সুরে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।
আর আমি অন্ধকার আকাশের সাক্ষী হয়ে খুঁজি সময়ের মুখ
খুঁজি সময়ের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সত্যি রূপ।
কি থেকে শুরু করি বুঝতে
যে সময় তেলে ভাজা করা কোনো মানুষের জীবনের সার্থকতা।
যে সময়ের কয়েকহাজার বেকার যুবক আজ কোথাও ডিপ্রেশানে
যে সময়ে আয়ের সীমানা লোভকে ছাড়িয়েছে।
যে সময় কোনো নারী আজও লজ্জায় নারীত্বে
যে সময় সদ্য জন্মানো শিশু জানে না তার পরিচয়।
যে সময়  গণতন্ত্র ভয়ংকর ধর্ষকের ভূমিকায়
নিজস্ব কৌশলে কৌশলী

সময়ের দোহাই দিয়ে চলন্তিকা সময়ের নাকে নথ
সময় পেরোনো অযুত নিযুতে অজস্র মানসিক ক্ষোভ নিজেদের গন্ডীতে।
সব কথা তো আর লেখা যায় না
চলন্তিকা কৌরব রাজসভায় পান্ডবরা সকলে গণতান্ত্রিক মুখ।
আর পাঞ্চালী কোথাও সময়ের মত ক্রমশ লজ্জায়
হা গণতন্ত্র , সে তো এখন অন্ধকার প্রক্রিয়ায়।  

Tuesday, June 14, 2016

নীরব বৈধতা

নীরব বৈধতা
............. ঋষি
====================================================
মাঝে মাঝে একটা শব্দ শুনি অবৈধ
অদ্ভূত লাগে ভাবলে ছোটবেলার সেই লুকিয়ে সিগারেট খাওয়ার মত।
আবার আজকাল অনেকেই সিগারেট শুনলেই অবৈধ বলে
আর আমি বলি মিস্টার বৈধ আপনি অবৈধ বড়।
অনধিকার আসামীর  মত ফাঁসির দড়ি গলায় দাঁড়িয়ে থাকি
আর আমার সিগারাট পোড়া অবৈধতা নীরব বড়।

তো মিস্টার বৈধ
শুনছিলাম নাকি আপনি লাস্ট চারদিন বাড়ি ফেরেন নি।
কি এসে যায় তাতে
যেতে পারেন যার সাথে খুশি ,যখন খুশি ,মন যা চায়।
আরে বৈধতা তখনি যখন সেটা সামাজিক
কিন্তু সামাজিকতা তো অবৈধ নয়।
এই ধরুন আমার সিগারেট খাওয়া ঠোঁট অসময়ের চুমু খায় শব্দকে
তারপর শব্দের রিং গোল গোল ঘুরতে থাকে।
প্রেমিকার  নরম বুকে হাত দিয়ে কখন যেন কবিতা হয়ে যায়
আর আমার খাতায় অবৈধ কবিতা বৈধ বড়  ।

মাঝে মাঝে একটা শব্দ শুনি অবৈধ
প্রথম লুকিয়ে দেখা কোনো মেয়ের বুকে লোকানো চুমু।
এখন মিষ্টার বৈধ আমাকে ব্যান্ড করতে পারেন
বলতেই  পারেন আমার এই কবিতা হলো অসামাজিক বড়।
আর আমি ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে লিখতে পারি
আমার অধিকার যেটা নীরব বৈধতা। 

কবিতার ঝগড়া

কবিতার ঝগড়া
................ ঋষি
=================================================
যেমন কোনো সম্পর্ক মানে আমি বুঝি মানুষ
ঠিক তেমন জানি সমাজের জন্য মানুষ নয়
অথচ মানুষের এই সমাজ।
কোনো মানুষকে জানতে যেমন বিশ্বাসের  দরকার হয়
কিন্তু মানুষকে জানতে চাওয়াটা অন্যায় নয়
আবার নয় বিশ্বাস ।

অবিশ্রান্ত ঝরতে থাকা বৃষ্টির ফোঁটা
কিন্তু বৃষ্টিদিন মানে কি শুধু মনখারাপ ? বৃষ্টিতে ভেজা নয়।
কলমের নিবে লেগে থাকা যন্ত্রণা
সে যেমন ঠিক আমার নয়, কিন্তু আমার নয় বলে কি পাঠকের নয়।
প্রতিটা গোলাপ ফোঁটে
গোলাপের গায়ে কাঁটা ,কিন্তু কাঁটা আছে বলে কি গোলাপ পবিত্র নয় ?
ঈশ্বর সাময়িকী কল্পনায় মানুষের হৃদয়
তিনি চুপ আছেন বলে কি মানুষ জীবিত নয় ?
এমন হাজারো ইতিহাস ফুটে উঠুক আমার কবিতায়
জীবাশ্মের অনধিকার লিপি আর পূজিত হোক সময়ের মন্দিরে।
কবিতা আরো মানুষের হোক
আর মানুষ হয়ে উঠুক  কবিতার প্রেমিক।

যেমন কোনো হৃদয়  মানে আমি বুঝি  মানুষের স্পন্দন
ঠিক তেমন জানি স্পন্দনে জন্য প্রেম নয়
অথচ প্রেম মানুষের হয়।
কোনো মানুষকে কাছে চাওয়াটা যেমন অনেকটা জরুরী
কারণ কাছে থাকা মানে পাশে থাকা নয়
আবার পাশে মানে কাছে। 

কবির মৌনতা

কবির মৌনতা
............. ঋষি
===============================================
কবিকে দিয়ে যাবি এক গলা মৌনতা
এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে সময় খুঁজবে কবি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন দেখবে না বলা
শুধু দাঁড়িয়ে থাকবে।
এক হাঁটু স্বপ্ন আর বাস্তবের কাদাতে
কবিতা আঁকবে দৈনন্দিন আকাশের চাঁদ।

শুধু ক্যানভাসে কবিতা হয় না
দু  ,একফোঁটা রক্ত কবিতার খাতায় নিজের মত গড়ায়।
সবাই আশা করে
কবিতা সত্যি বলুক ,কবিতা সময় লিখুক ,কবিতা সমাজ গড়ুক
কবিতা আন্দোলন আনুক ,কবিতা মানুষ বানাক ,কবিতা হৃদয় গড়ুক।
কিন্তু কবিতা সে যে কবির রক্ত
দৈনন্দিন স্পন্দনে অসংখ্য সিম্ফনিদের নীল  আকাশ।
যেখানে কবি একলা
কিন্তু কবিতা পোশাকি নয় ,মানুক পোশাক পরে
কবিতা যে ভীষণ নগ্ন কবি হৃদয়ে।

কবিকে দিয়ে যাবি এক গলা মৌনতা
নীল আকাশের গায়ে বর্ণের অদ্ভূত উচ্চারণে সময়  স্তব্ধ।
ঠিক প্রথম সূর্য দেখার মত কবিতা
কবি হৃদয়ে নীল আকাশের যত্ন।
কিন্তু এক হাঁটু কাঁদা নিয়ে কবি হেঁটে যায় কবিতার পথে
তখন তার হাতে থাকে সময়ের অভিশাপ আকাশের চাঁদ নয়। 

আগুনের পরশমনি

আগুনের পরশমনি
............ ঋষি
===========================================
ছোট রেডিওতে দেবব্রতের গলা
আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও  প্রাণে, এই জীবন  .....
আমার সাত বছরের আধপাগলা বোন হাততালি দিয়ে ওঠে
মাকে বলে মা মা আগুনের গান।
মা তখন সেলাই কলে রান্না করতে ব্যাস্ত
আমরা বাবাকে দেখেছি চিরকাল নেশা করে মাকে মারতে।

বাবা মারা যাবার পর
মা কেমন জানি আরো বেশি মেশিনে  খিদে রান্না করতো।
আর আমার আধ পাগলা বোন হাততালি দিয়ে বলতো
মা রেডিওটা চালাও না।
রেডিও চলছে না আজ বহুদিন হলো সেটা আলমারির মাচায়
হা করে আমাদের দেখতো।
আর আমি
চুপচাপ কোনরকম মুখবুজে পৃথিবী পড়তাম।
আসলে  কি জানেন জীবন থেমে গিয়েও থামতে জানে না
তাই ফিরে আসে আবার।

আজ এত বছর পরে
আমার আধপাগলা বোনের জন্মদিনে ওকে একটা রেডিও উপহার দিলাম।
ও আবার হাততালি দিল ,আমি সুইচ ঘোরালাম রেডিওর
দেবব্রতের গলা আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও  প্রাণে এই জীবন  .....।
আমি কেঁদে উঠলাম
মা মারা গেছে আজ অনেকদিন হলো। 

আড্রেস নট ফাউন্ড

আড্রেস নট ফাউন্ড
................... ঋষি
================================================
বেশ কয়েকটা চিঠি ফিরে আসে নিজের ঠিকানাতে
আজকালকার ইমেল হ্যাবিট সম্পর্ক বোঝে
কিন্তু মন ?
ফিরে আসা চিঠিগুলো নিজের ক্যামেরার লেন্সের দূরত্বের দুর্বলতা
চিঠির উপর লেখা " আড্রেস নট ফাউন্ড "
সবটাই নীরবতা।

কোনো ঘুম না ভাঙ্গা সকালের
পাহাড়ের জমে থাকা বরফের শীতাঙ্ক নিজের কাছে প্রশ্ন করে
আদৌ কি কোনদিন কেউ ছিল সেখানে ?.
সমস্ত অস্তিত্বের কুয়াসা মোড়া অবয়বে কেমন ২০৬ টা লেগে থাকে
আর জীবন আরমোড়া ভেঙ্গে উঠে বসে দৈনন্দিন।
শীতাঙ্কর নিচে বাস করা ভাবনার আতংক
আরো একা হয়ে যায় ।
দূরে কোথাও দূরে দূরে পোস্ট করা চিঠি
বারংবার ভুল ঠিকানায়।

বেশ কয়েকটা চিঠি ফিরে আসে নিজের ঠিকানাতে
আজকাল করলে দুনিয়া মুঠ্ঠিমে স্লোগান নিয়ে বেঁচে থাকা বোঝে
কিন্তু মন ?
ফিরে আসা চিঠিদের গভীর কোনো  আন্দোলনে স্থবিরতা
নীরব চুক্তির স্পর্শের ব্যাকুলতা
মৌন হতে থাকে। 

সামাজিক স্পর্শ

সামাজিক স্পর্শ
...................... ঋষি
=============================================
কোনো হারিয়ে যাওয়া হাওয়া
অসময় স্পর্শ করে বলে বোঝাপড়া দে না রে।
আবার কখনো বলে সামাজিক
সমাজ গড়ার চুক্তি করে মানুষের অভিনয়।
হাসি পায়
কিন্তু আমি কখনো কাঁদতে পারি না।

তুই কতটা অধিকার হবি ?
ঠিক কতটা সামাজিক হলে তোর মুখে প্লাস্টিক স্মাইল।
আর কতটা পাঁচিল দিয়ে গড়বি দুর্গ
আর কতটা অসামাজিক তুই নিজের কাছে।
জানি সবকিছু বলা যায় না
ঠিক তেমন সব জীবন ছোঁয়া যায় না।
অধিকার লাগে
কিন্তু একবার ভাবতো হাওয়ার অধিকার।

কোনো হারিয়ে যাওয়া হাওয়া
অসময় আদর করে বলে  একটা জীবন দে না রে।
তারপর তুমুল ঝড়
শুকনো পাতা ওড়ে ,গাছ ভাঙ্গে আর জীবন ভাসতে থাকে।
হাসি পায়
তুমুল ঝড়ে দেখা সেই সামাজিক স্পর্শ। 

Saturday, June 11, 2016

পুরনো বারান্দা

পুরনো বারান্দা
................. ঋষি
================================================
পুরোনো বাড়ির কোনো জড়িয়ে ওঠা বারান্দা
অস্তিত্ব বাঁধতে গেলে ,বাঁচতে হবে।
কোনো বাউলের একতারাতে কোনো ভিনদেশী রাত
বিদেহী বিকেলের কাছে মানুষের সংবাদ।
প্রস্তুত জীবনের ভিতে
কয়েকশো ভাঙ্গা ,নড়বড়ে  ছাদ।

দুঃখ করছি না ,আয়না খুঁজছি
বারান্দার উপর দাঁড়িয়ে পৃথিবী দেখছি আর আকাশ।
নিজের ফাঁকে আটকানো আকাশের
আর মাটির কেমন একটা তফাৎ ,আকাশের উড়ন্ত পাখি।
মেঘ করছে জানি
এই বিকেলের আকাশে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি খুঁজছি।
খুঁজছি তোমাকে দুঃখ
সময়ের পারে বারান্দার খোলা হাওয়া।
সে তো প্রলোভন তোমার মত অনেকটা খোলা আকাশ
আমার বারান্দায়।

পুরোনো বাড়ির কোনো জড়িয়ে ওঠা বারান্দা
অস্তিত্ব ধরতে গেলে ,অঘটন।
পুরনো বারন্দার ঝোলানো রেলিঙে নড়বড়ে কিছু স্মৃতি
মেঘ হয়ে যায় মাঝে মাঝে আকাশের কাছে।
আর আমি বৃষ্টি হয়ে নামি
কিন্তু সে তো দুঃখ নয়। 

ছেঁড়া ঘুড়ি

ছেঁড়া ঘুড়ি
................... ঋষি
=============================================
দাঁড়ালে আর দুহাত ছড়িয়ে আকাশের দিকে
সমস্ত ভৌগলিক দূরত্বের ফাঁকে একটা ফাঁকা অনুভব।
আমরা মাটি বাঁধতে চাই
আমরা ঘর বাঁধতে চাই।
বুকের উপর পাঁচিল দিয়ে দেশ বানাই
আবার ছুড়ি দিয়ে পিত্জার টুকরো।

দাঁড়াবার মাটি
তারপর নিজের করে বানানো তাসের ঘর।
যদি ঝড় ওঠে ভাঙ্গতে থাকে গাছের উপর পাখির বাসা
যদি বৃষ্টি নামে ভিজতে থাকা লজ্জা অস্তিত্ব।
এই সব কাহাতক মুরগি কাঁটা  আঁশটে গন্ধ
আমরা দাঁড়াবার মাটি চাই।
আমরা তো দুহাত তুলে নীলের খোঁজে আকাশের অধিকার চাই
তবে কেন এত দুর্বলতা।
কেন এত বস্তাপচা প্রাচীন সভ্যতার ভিত
যেখান মানুষ মানুষের দাস
আর কখনো বা সময়ের।

দাঁড়ালে আর দুহাত ছড়িয়ে আকাশের দিকে
নিজেকে বড় এলোমেলো আর একলা সন্ধান মনে হয়।
জানি ঘরের ভিতর আকাশ বাঁধা থাকে
জানি ভয়ের ভিতর মানুষ বাঁধা।
তবু একটা যন্ত্রণা টুকরো টুকরো অস্তিত্বের ক্রমশ শেষ পর্যায়
বিকেলে আকাশে আটকানো ছেঁড়া ঘুড়ি। 

অসামাজিক

অসামাজিক
............... ঋষি
=============================================
চোখের সামনে ভাসতে থাকে সমলোচনা
সমসাময়িক তুমি দ কোনো চাদরের গায়ে।
বুকের ভিতর ঢুকে আছ তুমি
মন যে পা বাড়ায় ,এগিয়ে যায়।
পাতা ঢাকা শহরের বুকে লুকোনো কোনো খাদে
আমি তখন অন্য কোথাই ।

আবছায়া জলরেখা, ক্ষত,অশ্রুধারা
নিয়মিত অভিযোজনে তুমি কোনো ক্ষনকালীন  দূরত্বের দুর্বলতা।
এই সব আমি ভাবতে চাই না
তবু কেন এই দুপুরের গায়ে লেগে আছি প্রাচীন বলিরেখা।
সূর্যের সরানো দিন
আর পুড়ে যায় আর পুড়তেই থাকে কোনো নিয়মিত সামাজিক।
আর আমি সূর্যের গায়ে লেগে থাকা দাগ
অসামাজিক।

চোখের সামনে ভাসতে থাকা খিদের পৃথিবী
প্রেম ,পুন্য ,ত্যাগ সব ব্যাকরণে লেখা অন্য  জগৎ।
বুকের ভিতর ,সময়ের কাঁটায়  দাঁড়িয়ে তুমি
আমার ব্যর্থতায় ,চেনা কোনো দিন স্বাবাভিক।
সবটাই পুড়ে যায় একলা দুপুরে
একটা চেনা ব্যাথা ,কোনো চেনা দরজায়।

কেমন আছিস

কেমন আছিস
................. ঋষি
==================================================
এই সব কথা থাক এখন
আগে বল কেমন আছে সময়ের সেই জিভটা।
সেখানে কিসের স্বাদ লেগে ?
মদ ,নিকোটিন ,না একটু নষ্টামি একটা নোনতা জিভের।
না সেখানে কি  আজও কেউ জীবিত আছে ?
ভেজা ঠোঁটে লেগে থাকা লাল লিপস্টিক আর কালো বলিরেখা।

চোখের পাতায় আজও কি স্বপ্ন আসে ?
সালোয়ার ছেড়ে শাড়িতে অভ্যস্ত তুই নিয়মিত।
আজও কি জীবন হাসে ?
হাসে নিশ্চয় ভোরবেলা তোর চায়ের ভীষণ তাড়া।
ল্যাপ্টানো কাজলের সাথে
আজও কি সেই লেগে থাকা মিষ্টিদের মুহু মুহু  বারুদের স্বাদ।
শহরের বৃষ্টি দিনে
কোনো এক সকালের অফিসের তাড়া।
খুব মেজাজী  ছুটোছুটি বিদ্যুত আকাশ ছিঁড়ে তোর বুকের পিরামিড
আজও কি কেউ মুখ লুকিয়ে আমার মত।
চলন্তিকা আজ  তোর অফিস ছুটি
আজও কি সেই বৃষ্টি দিন।

এইসব কথা থাক এখন
সামনে পরে থাকা রাতজাগা বিছানার চাদর আঁকড়ে আমার মত কেউ।
বাড়তে থাকা রক্তের স্যাকারিনে আমি  অনেকটা একা
আজও চলন্তিকা আমি ওষুধ খুঁজি  তোর ঠোঁট।
আমার মরতে ভয় করে না
আমার ভালোবাসা তোকে ? আমার মৃত্যু হোক। 

সম্পর্কে আছি

সম্পর্কে আছি
..................... ঋষি
==============================================
অনেকটা আগুন নেই
অনেকটা সময়।
সম্পর্ক যখন ঢুকতে চেষ্টা করে নিজের ভিতর
তখন হাতের স্লেটে কপালে আঁকে বলিরেখা।
চিত্কার করে দরজা খোলো গো
মাঝরাতে অকারণে আঁকড়ে ধরে বিছানার বালিশ।

সমস্ত ফাঁকা আওয়াজে
সম্পর্ক একটা মেজাজ তৈরী করে।
হয়তো প্লাস বা মাইনাসে চশমার ফাঁকে ধুলো জমতে থাকে
মাঝবয়সী আস্তরণ গুলো বড্ড শারীরিক।
সম্পর্ক জীবন খোঁজে জীবিতের ফাঁকে
তারপর সাইরেনে বাজতে থাকে জগতে রহো অধিকার।
ঘুম ভেঙ্গে  যায় মাঝরাতে
নিজের পিঠ নিজেই চাপকে বলা
এই তো আমি সম্পর্কে আছি।

অনেকটা আগুন জ্বালাতে হবে
ঠোঁটের বারুদের স্তুপে হৃদয়গামী শেষ লোকালের শেষ ভো।
সম্পর্ক অভিনয় করে
শেষে দাঁড়ায় নাচতে না জানলে উঠোন ব্যাঁকা।
সম্পর্ক উঠে দাঁড়ায়
আর দৌড়ে পালায় বাঁচার আশায় প্রতিক্ষণে।

Friday, June 10, 2016

প্রান্তিক শহর

প্রান্তিক শহর
.................... ঋষি
=================================================
তোমরা ঘাস কেটে বানিয়ে  চলেছো প্রান্তিক  প্রান্তর
আর আমার হৃদয়ে লাগানো ছুড়ি
তোমার  ভিতর।
তোমরা কবিতার খাতায় লিখতে চাইছো হিসেব
আর আমার ভিতর তুমি বসে
আস্ত একটা শহর।

আমার প্রথম সবকিছু জানে
এই স্পর্শ  হারানো এই শহর আর  সবুজ রক্তের শোক ।
মুখো মুখি বসি
তুমি ,তোমরা আর আমি ধর্মাশক।
কতদিন হাসি নি আমি জীবিত এই কবিতার ফাঁকে
অনেকে বলে আমি নাকি অকাজের ঢেকি
আর নিজের ভিতর আমি একটা  অন্য লোক।
এই সব মন বানানো ছন্দ
তোমরা কবি
আর আমি নিরাসক্ত মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক।

তোমরা ঘাস কেটে লিখে চলেছো শহরের ছন্দে
আমার হৃদয়ে অন্য দেরাজ আছ
আস্ত একটা তুমি।
তোমরা কবিতার খাতে লিখতে চাইছো কারণ
আমি তোমার বুকের ভিতর
কোনো প্রান্তিক শহর। 

দেরী হয়ে গেছে

দেরী হয়ে গেছে
...................... ঋষি
========================================
দেরী হয়ে গেছে খুব
চৈত্রের শুকিয়ে যাওয়া সবুজ থেকে মুহুর্তের হলুদে ,
কোনো ক্রিটিকাল আলাপনে উঠে আসছে না পাওয়া।
দাঁড়িয়ে আছি মাঝরাস্তার উপর
সামনে দিয়ে একের পর এক গন্তব্যে এগোনো সময়
রাস্তার পাশে খিদের দরবার।

শাজাহান মরে গেছে কবে
এই ভারতবর্ষের বুকে পা দিয়ে চলে গেছে হাজারো সাম্রাজ্যের সফর।
দেরী হয়ে গেছে বারংবার
লাল রক্তে মাটি ভিজে গেছে সময়ের সাথে।
কিন্তু সেই তো আমি দাঁড়িয়ে একাকি নির্বাক
কোনো নিঃস্ব উদ্ভিদের মত চেপে ধরেছে শেষ ইচ্ছা মাটিতে।
মানুষ যেখানে ভিজে যাচ্ছে আবার নকল বৃষ্টিতে
আমি সেখানে আসল খুঁজছি
আজ প্রায় কয়েকশো যুগ আমার পায়ে আটকানো শিকল
এগোতে পারছি না
আবার পিছিয়ে গিয়ে সময়ের মত ফুরোতে

দেরী হয়ে গেছে
চৈত্রের শুকিয়ে যাওয়া নদী এখন প্রায় মরুভূমির মত তৃষ্ণার্ত।
কোনো কৌতুকের  স্টেজে একের পর এক আবর্তন
নাটকের শেষ সিনে সক্রেটিস দাঁড়িয়ে।
হাতে হেমলক বিষ
নিঃশ্বাস আর বিশ্বাসে বেঁচে থাকা।

ফিরতে চাইছে

ফিরতে চাইছে
............... ঋষি
==============================================
ফিরতে চাইছে
নিজের মস্তিষ্কের রেণুগুলো কোনো প্রজাপতির সাথে।
জানো তো সেখানে গভীর অরণ্য
নিভে যাওয়া ভিতের উপর জিভে একটা নোনা স্বাদ।
জানো ফিরতে চাইছে
ছুঁয়ে  যাওয়া সময়ের অস্থিরতায় ভিজে ভাব।

আমি বালি সিমেন্ট ইট দিয়ে বাড়ি তৈরী করি
কিন্তু তুমি যখন তৈরী থাকো আমাকে ছুঁয়ে নিজস্ব দুর্বলতায়।
কিন্তু কখোনো তো  কঠিন হয়ে যাও না
এই ইট ,কাঠ কার্বনের শহরেও কাঠবেড়ালি আছে।
আছে রুপকথা
অনেকটা না বলা বিকেলের শেষ পর্যায়।
এই মুহুর্তে আমার কলম শুধু ফিরতে চাইছে
কোনো শেওলা  ধরা নদী ,কোনো প্রকৃতির পরিষ্কার  জল।
জমে থাকা বেদনারা জানে না বেদনার রং
আর ফিরতে চাওয়া সময়ের অধিকারে অপেক্ষা।

ফিরতে চাইছে
শেষ পনেরদিন আমার কবিতারা ঘাস খেতে গেছে।
জানো তো আমি খুব কঠিন অসুখে
মাথার শিরা দিয়ে সালোকসংশ্লেষ খুব  গভীর রং.
জ্বর আসছে নিয়মিত
আর আমি  জ্বরে ভুগে প্রায় অনাহারে। 

সমস্ত কিছু উড়ছে

সমস্ত কিছু উড়ছে
..................... ঋষি
============================================
সমস্ত কিছু উড়ছে
জানলার পর্দা ,কবিতার পাতা ,জীবনের শেষ ঘাস টুকু।
ঘাস গরু খায়
আর বিবেক খেয়ে যায় মাংস সভ্যতার কোলাহল।
হ্যারিকেনের শেষ আলোকবিন্দু জানে না
জ্বালানি প্রায় শেষ।

সমস্ত উড়ে চলা শব্দদের জুড়ে
অনেকগুলো বাক্য নিজস্ব স্টেটিসস্কোপে  অচলায়তন কমফোর্ট জোনে।
চিত্কার করে বলতে চাইছে সময়ের কথা
রিক্সার হুড থেকে ছাতার কালো  রঙে  শুকিয়ে যাওয়া জল।
গড়িয়ে নামছে
চৌরাস্তার মোড় থেকে বস্তির ঘরবাড়ি ছাড়িয়ে।
আরো নর্দমা ,আরো নোংরা
গু ,মুত ,আবর্জনা পেরিয়ে
নিজের সারা অবয়বে আতংক কোনো হারানো দিনের
কিংবা যন্ত্রণা সময়ে প্রেমের

সমস্ত কিছু উড়ছে
বোতাম খোলা পশমের ভিতে কিছু বিড়ালের লোম।
বিড়াল ঘর কোনে
মারাত্নক আক্রোশে  ফুসছে।
নিভে যাওয়া হ্যারিকেনে অন্ধকারে চারিপাশে পোড়া গন্ধ
আর কেরোসিনের। 

Thursday, June 9, 2016

নারী স্বাধীনতা

নারী স্বাধীনতা
.............. ঋষি
====================================================
একটা সাইকেল দিও ,কিংবা
অশ্লীলতা ভেজা কোনো পরীনত নারী শরীর।
সারা ব্যারিকেড ভেঙ্গে
নিজের বুকের কাপড়ে সরিয়ে চুবিয়ে রাখবো পৌরুষের সমাজ।
কিংবা পালাবো সাইকেল চেপে কোনো নারীবাদ নয়
একমাত্র নারী স্বাধীনতার দিকে।


এই সমাজে দুটো ঘটনা নিয়মিত
এক ধর্ষণ কিংবা দুই হলো নারীত্বের যাপিত লজ্জিত জীবন।
কেন জানি আমার মনে হয়ে
আজকাল নারীরা শস্যের মাঠ আর সমাজ হলো চাষের লাঙ্গল।
কেন জানি মনে হয়  আজকাল নারীর সবুজ জীবন সকলের প্রিয়
কিন্তু লালনের জন্য নয় ,শুধু নিয়মিত ব্যবহারে ।
সমাজ কে দায় দিলে চলবে শুধু দেখুন সব বুদ্ধীজীবিদের
তারা নারী শরীর লিখছেন ,বিক্রি করছেন ,আবার কিনছেন
নারীত্বের সার্কেল নির্দিষ্ট সামজিক রীতি।
তাইতো বললাম একটা সাইকেল দিও ক্রীং ক্রীং ঘন্টা বাজিয়ে
খবর ওয়ালার মত হাঁকতে হাঁকতে যাবো।
সমাজ তুমি হলে পশু ,পুরুষ তুমি হলে লিঙ্গ
আর নারী সে হলো সমাজের ভোগ লিঙ্গ ।

আরে একটা ব্যানার তো দরকার নারী পরিচয়ের
অনেক তো মা মা খেলা ,অনেক তোমাদের ঈশ্বরের রূপ।
অনেক তোমাদের প্রেমের কবিতা ,অনেক তোমাদের ভোগ বিলাস
এবার একটা সত্যি হোক।
বলো  তো কে আমরা  শুধু শরীর ? তোমার মা ? তোমার সম্পর্ক?
উত্তর যদি বেঁচে থাকা হয় তোমাদের তবে না নারী স্বাধীনতা। 

হ্যা ম্যাডাম আপনাকে , তোমাকে

হ্যা ম্যাডাম আপনাকে , তোমাকে
.............. ঋষি
===============================================
নিজের চশমা খুলে রেখেছো পাশে
তোমাকে বলছি ,হ্যা ম্যাডাম আপনাকে বলছি।
প্রতিটা যুদ্ধবিমানের আকাশ শান্তি খোঁজে
কিন্তু তবু ধ্বংস কারণ।
মানুষ কখনো হৃদয় খোঁজে নি
খুঁজেছে শুধু নিজেকে বাঁচাবার তত্বতলাশ ।

এই সব কিতাবী ভাষা
জানি ম্যাডাম ,হ্যা তোমাকে বলছি  ঢুকবে না তোমার মাথাতে।
কোনো সম্পর্ক কখনো ললিপপ খাই নি
খাই নি কোনো অনাবৃত জন্মস্থান নিদারুন পাপে কিংবা গভীর দুঃখে।
হ্যা ম্যাডাম ,তোমাকে বলছি সম্পর্ক কারণ খোঁজে
খোঁজে নিজেদের অস্তিত্বের তফাৎ।
কাঠবেড়ালির মত সম্পর্ক গাছ চড়তে পারে
কিংবা নামতে পারে বিক্রির মত নিচে।
কিংবা খবর
আজকাল বোধ হয় খবর পড়েন না আপনি
কিংবা খবর পড়িস না তুই বাঁচার লজ্জায়।

নিজের চশমাটা খুলে  রেখেছো পাশে
চশমার পাওয়ার বেড়েছে বোধহয় কিংবা কমেছে।
আসলে তুমি ,হ্যা আপনি ম্যাডাম একটা রিলিফ ক্যাম্প খুঁজছেন
বাঁচার আশায় ,বাঁচাবার আশায়।
কিন্তু মানুষ কখনো বাঁচতে চাই নি সম্পর্কে
যেখানে প্রেম নেই ,নেই শান্তি ,আছে যুদ্ধবিমানের ছড়ানো দৈনন্দিন। 

জীবন লেখো

জীবন লেখো
..................... ঋষি
========================================
ফিরে এসো নিজের পাশে
সারি দেওয়া শহরের আলোর পথ ধরে।
নির্দিষ্ট সময়ের তারিখ ধরে
নিজের কাছে ,হৃদয়ের কাছে ,আমার কাছে।
শেষ কদিন আমি যে কটা  জীবন লিখেছি
তারা কাঁদছিল চলন্তিকা ,কারণ তুমি কাঁদছো।

আমার অন্তরাত্মা জানে
নিজের ভিতর বসে থাকা সেই সামাজিক জোকারটাকে।
যে দাঁত বের করে হাসতে পারে কারণ ছাড়া।
কাঁদতে পারে কোনো কারণ ছাড়া
কিন্তু নিজেকে কাঁদাতে  পারে না।
সমাজ যাকে উর্বর করেছে ,করছে ফসলের সবুজ মাঠ
সেই মাঠে শুধু ঈশ্বর জন্ম হয়,
কিন্তু সবুজের মৃত্যু হতে পারে না।
তোমাকে বলা চলন্তিকা তুমি বসে থেকো না ভাবনার মাঠে
আর কেঁদো না
এবার সবুজ হওয়ার পালা।

ফিরে এসো নিজের পাশে
এই কথাগুলো আমি নিজেকে বলেছি হাজার বার।
কিন্তু কোনো পরদেশী পাখির মত আমি আকাশ খুঁজি
বারংবার নেমে আসি  তোমার দুয়ারে।
খুঁটতে থাকি প্রেম ,খুঁজতে থাকি তোমায় ,তোমার আনন্দ
অনেক হলো জীবন ,এসো চলন্তিকা এবার জীবন লেখো।

একটা জীবন

একটা জীবন
................ ঋষি
===============================================

একটা দেশ খুঁজছি আমি
কোনো সীমানা ,কোনো গন্ডি না ,কোনো পরিচয়পত্রে না
শুধু সত্যি  বাঁচার মত একটা দেশ।
কিন্তু দেশ বললেই আজকাল কেমন বিরক্তি আসে
পথচলতে শুনি বিক্রী  স্বাধীনতার দৈনন্দিন ফেরি
প্রতিটা রাস্তার ধারে ,,আমার দেশ।


দেশ খুঁজতে গিয়ে
আমার কেন বারংবার মানুষের কথা মনে আসে।
শুধু নিঃশ্বাসে  বাঁচা কিছু পরজীবী আমি দেখতে পাই
শুধু রিপু অধিকারী কিছু জীবন দেখতে পাই।
শুনতে পাই মানুষ কাঁদছে
কারণ খুঁজি দেখি মানুষ নিজেই মানুষের কান্না।
আমি তো হাজারোবার আয়নায় দেখি নিজেকে
মনে হয় জীর্ণ ক্লান্ত  জীবনে ভারবাহী আমি।
দৈনন্দিন বদলাতে থাকে দিন থেকে রাত
আমি আমি বুঝি
মানুষ নামক জীবটির অভাব এই দেশে।

একটা দেশ খুঁজছি আমি
যেখানে কোনো কৃত্রিমতা না ,সত্যি এক স্বাধীনতা।
আমি স্বপ্ন দেখি  কোনদিন  চোখ খুলে দেখবো
কোনো মানুষ আর কাঁদছে না ,কোনো ধর্ম আর ভীরু নয়।
মানুষ বুঝেছে তার বেঁচে থাকার কারণ
শান্তির জন্য ,নিজেদের জন্য ,আগামীর জন্য ,একটা জীবন। 

বাঁচার ক্রিয়াপদ

বাঁচার ক্রিয়াপদ
.............. ঋষি
=================================================
চুপচাপ কোনো আকাশের দিকে তাকিয়ে
হাতের চায়ের কাপে ,অসচ্ছন্দ  শরীরে রবিবার লেখা থাকে।
সামনে পরে থাকা সপ্তাহ জুড়ে
বিশেষ মিছিল ক্রিয়াপদগুলো আসা যাওয়া করে।
সময় কেটে যায়
আমার হাতে খালি চায়ের কাপ।

আমার থাকা আর নাথাকাটা কোথাও হিসেব রাখে কি না জানি না
আসলে থাকা শব্দটা কোথাও মনোযোগ খোঁজে।
তাই দুপুরের ভাত ঘুমের  পর বাইরের রৌদ্র মাখা দিনটা কামড়াতে আসে
বেড়িয়ে পরি দরজা খুলে ,জানলা খুলে।
পায়ের চটিতে ফুঁটে যায় বাঁচার নেশা
দৌড় আর দৌড় জীবনের পরে ভালো লাগে না কোনো সিরিয়াস আড্ডা
কিংবা চায়ের দোকানে না পাল্টানো রাজনীতি।
রবিবার যে স্বাধীনতা খোঁজে সাধারণ জীবনে
নিজের ইচ্ছার বালি ঘড়ি।

চুপচাপ কোনো রাস্তার দিকে তাকিয়ে
আলো ফুরোতে থাকে ,ফুরোতে আঙ্গুলের ফাঁকে আরেকটা জ্বলন্ত দিন।
এক বুক ধোঁয়া ছেড়ে আকাশের দিকে
সূর্যমামাকে টাটা বলি কারণ বুঝি আজকের অনিয়মটা চলে গেলো।
কাল থেকে আবার একটা দিন
সকালের সূর্য ,বাস ট্রাম আর বাঁচার ক্রিয়াপদ।

আমার অনেককিছু

আমার অনেককিছু
................ ঋষি
==============================================
আমার অনেককিছু আছে
এই অনেককিছুর কিছুটা যদি তোমাকে দেওয়া যেত।
ঈশ্বর নাকি নিজহাতে লিখেছিলেন ধ্বংসের কথা
সেই ধংসের খানিকটা যদি ঈশ্বর নিতেন।
না ছড়িয়ে  ফেললাম সমস্ত ঈশ্বরের ইচ্ছা
না আমার আর ঈশ্বর হওয়া হলো না।

সে দিন এলিফেন্ট লেকে
ঈশ্বরের ফেনামনাগুলো যদি বুঝতে  পারতাম।
তবে হয়তো থেকে যেতাম সমস্ত ডিগ্রির নিচে পৃথিবীর মাঝে
এখানে তো অপাংতেয় নয় কোনো জন্ম।
এখানে কোনো কারণ নয় কোনো জন্ম
মৃত্যু যেখানে ভয়ের মত কিছু স্থির রাতজাগা চার দেওয়ালের গায়ে ,
সেখানে কিছু রাতজাগা  বেঁচে থাকে।
ভয় সেখানে কোনো সীমাবদ্ধ গন্ডির মতন রাতজাগা পাখি
ঘুম আসে না সাথে থাকে।

আমার অনেককিছু আছে
এই অনেককিছুর কিছুটা যদি তোমাকে দেওয়া যেত।
আমার সমস্ত ইচ্ছাদের বড় করেছি খেলার মাঠে
খেলেছেন ঈশ্বর সবুজ প্রকৃতির  স্বপ্নে।
না ছড়িয়ে দিলাম সমস্ত অস্তিত্বের চড়ান উতর
তাপমাত্রার নিচে থাকা তোমার শরীরে। 

Tuesday, June 7, 2016

পিছুটান

পিছুটান
............ ঋষি
====================================================
চলে যাচ্ছি ক্রমশ আরো
কিছু শুনতে পাচ্ছি না নিজের অনুভবে আমি শীতল।
জানি না কত ডিগ্রীতে নিজের শরীর অস্তিত্ব ভুলে যায়
জানি না ঠিক কত ডিগ্রীতে শরীর থাকে হৃদয় পুড়ে যায়।
আমি যাচ্ছি ক্রমশ অন্য কোনো দেশে
ঠিক মনে পরছে না আমার পরিচয়।

কি আমার নাম
পরিচয়পত্রে কি ঠিকানায় তুমি আসবে আমার মৃত্যুর পর।
ঠিক বুঝতে পারছি না
ঠিক কখন আমি অনুভবে ঠিক ফুরিয়ে যাব।
ঠিক কখন চলন্তিকা আমার ভাবনারা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে যাবে
হৃদয়  থেমে যাবে অচেনা কোনো পথে।
না আমি ঠিক খুঁজে পাচ্ছি না নিজেকে
ক্রমশ আরো অন্ধকার আর অন্ধকার সময়ের দরজায়।
ওটা কে দাঁড়িয়ে
ঈশ্বর তুমি হাসছো কেন ? কি হলো হাসার ?
কি বললে এখনো আমি বেঁচে।

চলে যাচ্ছি ক্রমশ আরো
কে যেন ডাকছে , শুনতে পাচ্ছি ঘোরের ভিতর থেকে।
ক্রমশ আরো ,আরো পরিষ্কার হচ্ছে পর্দায় দেখা নিজেকে
উপলব্ধি ,হা ঈশ্বর।
তুমি ডাকলে চলন্তিকা ,এই তো আমি জেগে
ফিরে এলাম যেতে,যেতে যেমন বারংবার তুমি পিছুটান।  

শেষ কবে

শেষ কবে
................ ঋষি
====================================================
শেষ কবে আমি তোমার বাড়ি গেছি
কিংবা তুমি এসেছো চলন্তিকা হাতে সার্জিকাল ব্যাগ নিয়ে।
জানো তো কাটাকুটিতে আমার ভীষণ ভয়
মা বলেন আমি নাকি একবার ছুড়িতে হাত কেটে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।
এখন বড় হয়েছি ,তবু তোমাকে আমার ভয় করতে হয়
কখন কোথাই খুঁড়ে ফেলো আমায় ,আর সম্পর্ক?

এই সব নির্জন মনের কথা
খুব কঠিন করে বলতে হলে পাথর ভাঙ্গার কথা
আমি কাউকে বলি নি কখনো ।
আসলে ভয় করে আজকাল খবর বিক্রির বাজারে এই সব আদিখ্যেতাতে
যদি পৃথিবীর কোনো প্রান্তরে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
কিংবা
যদি ধরো চলন্তিকা তোমার চোখে জল।
আমার সহ্য হবে না
তার থেকে তুমি না হয় খুলে ফেলো সার্জিকাল ব্যাগ
আর ছুড়ি ,কাঁচি দিয়ে যত্নে হৃদয়টা আলাদা করো।

শেষ কবে আমি তোমার বাড়ি গেছি
কিংবা তুমি এসেছো স্বপ্নের রাজকন্যার মত আমার হৃদয়ের পুরীতে।
জানো তো এই সব নির্জনে রাখতে  হয়
যতই হোক সম্পর্ক ,কাঁচের টুকরোর মত খুব পলকা।
ভেঙ্গে যেতে পারে তারপর টুকরো টুকরো
তার থেকে না হয় তুমি আমার হৃদয় উবড়ে ফেলো। 

যদি এমন হয়

যদি এমন হয়
.............. ঋষি
==================================================
আমাকে কি বলতে পারিস তুই ?
সারা শহর জুড়ে যদি গড়ে দি কোনো স্বপ্ন বাস,
ডিজেল,কার্বনের ধোঁয়াকে কোনো মন্ত্রবলে করে দি সুন্দরী সুবাস।
আমাকে কি বলবি তুই ?
যদি সারা শহরের বিজ্ঞাপনী নগ্নতা মোনালিসা হয়ে হাসে,
যদি শহরের মানুষ ,মানুষের কবিতা ভালোবাসে।
 
কি বলবি তুই
যদি সুনীলবাবু নীরাকে নিয়ে আরেকটা জন্ম লেখে
যদি জীবনানন্দ ট্রাম রাস্তাতে জন্মের কবিতা লেখে।
কি হবে তবে?
যদি গ্যালিলিও ওই দুরবীক্ষণে অন্য পৃথিবী দেখে
যদি কোপারনিকাস সূর্যকে ছেড়ে মাটির পৃথিবীতে হাঁটে।
কি হতে পারে ?
যদি মাইকেলেঞ্জেলো ছবি ছেড়ে দিয়ে অঙ্কতে মেতে যায়
রঁদ্যা,পিকাসো তুলি ছেড়ে দিয়ে বাঁশি নিয়ে গান গায়  ।
কি বলবি তুই ?
যদি নবারুণ মৃত্যু নিয়ে প্রেমের কবিতা লেখে
যদি তসলিমার প্রমিকা হৃদয় যুবক  প্রেমিকের হয়ে যায়।

আমাকে কি বলতে পারিস তুই
সারা শহর জুড়ে যদি গড়ে দি কোনো প্রেমের নিবাস
যেখানে শুধু ফুটপাত জুড়ে আনন্দ আর তার ইতিহাস ।
আমাকে কি বলবি তুই ?
যদি শহরের রাজনীতি স্লোক ,কবিতা হয়ে যায়
যদি শহরের অন্ধকার সব সবুজের ঘর হয়। 

পাহাড়ি অন্ধকার

পাহাড়ি অন্ধকার
................ ঋষি
=================================================
গতরাত থেকে আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি
কেউ আমাকে বলেছিল আমার বৃষ্টিতে রোদ  ভালো লাগে।
এখানে  তো অন্ধকার
আমি এই পাহাড়ি শহরের গভীরতায় তাকিয়ে।
তাকে বলি
শোন চলন্তিকা বৃষ্টি রোদ পুরোটাই নাটক।

আমার সামনে পরে আছে বিস্তীর্ণ গভীরতা ,পাথরের ছায়া
অন্ধকার শহরের মেঘেরা নদী ভাঙ্গা ঢেউ যেন সমুদ্রের গায়ে।
সে আমাকে বলেছিল
তিস্তা নাকি প্রেমিকা নদী শুধু জড়াতে থাকে।
কিন্তু আমি বলছি শোন চলন্তিকা জড়িয়ে থাকাতে প্রেম থাকে না
প্রেম সমুদ্রের ধরে নোনা বালি।
যা সরতে থাকে ,স্থির থাকে না
সমুদ্র পিছিয়ে যায় ,বালিতটে রেখে যায় নোনা দাগ।
স্মৃতিদের পাড় ভাঙ্গে
যেমন ভেঙ্গে যায় বালিঘর।

গতরাত থেকে আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি
আমি এই পাহাড়ি উপত্যকায় অন্ধকারে তাকিয়ে আছি।
পাহাড়ি শহরের গভীরতায় এখন শুধু অন্ধকার
সে বলেছিল আমাকে আমার নীরবতা  ভালো লাগে।
আমি তোকে  বলি  চলন্তিকা
নীরবতা হলো আকাশের মেঘ আর মেঘ সে হলো আকাশের ঢেউ। 

ঈশ্বরের হাত

ঈশ্বরের হাত
................ ঋষি
================================================
অনুভবে অভিনন্দন
আমার জানলার কাছে মেঘগুলো জড়ো হয়ে।
নিজস্ব বলতে যেখানে চলন্তিকা সাদা পাতার আঁচড়
আর কয়েকশো নির্বিকারে পোড়ানো সিগারেট।
বুকের ছাই
আর অভিন্দন তাই জমা নিকোটিনে।

জানলার ওপাড়ে মেঘ
মেঘের গায়ে তুলি ধরা ঈশ্বরের হাত।
হঠাত রোদ্দুর শহরের বুক ছুঁয়ে আমার বুকে
চলন্তিকা আলো,পারদে শহর ।
শহর ছেড়ে সমস্ত ক্যালকুলেসানের বাইরে সেই অদ্ভূত তুলি
এঁকে চলে ঈশ্বরের সৃষ্ট জীব।
আরো দূরে
অবয়বে ছুঁয়ে যায় চলন্তিকা হঠাত তোর মুখ।
তোর চেনা ঠোঁট ,চেনা নাক,চোখ  কিংবা হৃদয়।
সত্যি বল চলন্তিকা
সত্যি কি মনে পরে আমায় ?

অনুভবের অভিনন্দন
আমার জানলার শিকল বাঁধা আকাশ ,ঈশ্বরের হাত।
আমি তাকিয়ে থাকি সৃষ্টির দিকে
অদ্ভূত ছোঁয়াতে একের পর এক স্পর্শ ফুটে ওঠে।
আমার চামড়ার খড়ি ,না কাটা দাড়ি ,অনন্ত আকাশের চোখ
চলন্তিকা আমি ঈশ্বর লিখে চলি। 

Sunday, June 5, 2016

সবটাই অন্ধকার

সবটাই অন্ধকার
....................... ঋষি
==============================================
কিছুটা বাকি রয়ে গেলো
কিছুটা একা রয়ে গেল জীবিত কবিতার মত।
কোনো বিষ পাত্রে ঠোঁট রেখে বুঝি
আর কিছুদিন ,তারপর প্রদীপ
সবটাই অন্ধকার।

এতকিছু ছুঁয়ে আছে আমায়
সবুজের রং তবু পিছু ডাকে ,হাতছানি দেয় জীবনের আলো।
এত সম্পর্কের বাঁধ আমাকে ঢেকে
তবু বাঁধ  ভাঙ্গে আমি ভাসি প্লাবনে নিজের গভীরে।
কোনো চিনচিনে টান ,মাটির ব্যাথা
মেটোগন্ধ ,বৃষ্টি দিন
আকাশের রং লাল।
চুপথাকি  বলতে নেই সেই সব আলো
যা চিরকাল অন্ধকারে রয়ে গেলো।

কিছুটা বাকি রয়ে গেলো
কিছুটা একা পথ হাঁটা পৃথিবীর না ফুরোনো গল্প।
কোনো বিষপাত্রে  ঠোঁট রেখে
নিশ্চুপ ইতিহাস
সে যে সর্বদায় জাতিস্মর ভাবনায়। 

কবিতার কথা

কবিতার কথা
............... ঋষি
===========================================
সবাই কি সামাজিক হয় ?
চলন্তিকা সবাই কি তোর পড়া  চ্যাপ্টার।
কেউ কেউ আকাশের মত শুধু পাখিদের স্বপ্নে থাকে
কেউ কেউ কবিতার মত হৃদয়ে যত্নে থাকে।
সবাই কি জীবিত হয় ?
সবাই কি চলন্তিকা শিশিরের মত ইশ্বরের স্পর্শ হয়?

স্পর্শ
মেঘে ঢাকা তারা আর তার উপর ?
আমি শহর থেকে বিষাক্ত কার্বনের ধোঁয়ায় ভিজেছি
আমি জীবন থেকে মৃত শৈশবের কষ্টে কেঁদেছি।
আমি হেসেছি কখনো
যখন তোকে লিখেছি চলন্তিকা রক্তের কলমে।
আমি বেঁচেছি কখনো
যখন তোর বাড়ানো হাত আমার অস্তিত্বে প্রেমের চাদর।
আমার স্বপ্নে কবিতা আসে
আমার স্বপ্নে তুই আসিস চলন্তিকা।
যেমন চলে যাওয়া শহর কোনো সবুজের স্বপ্ন দেখে
তেমন তুই আমার কাছে।

চলন্তিকা সবাই কি কবিতা হয় ?
কবিতা সে তো স্বপ্নের মত কোনো আদমের প্রেম।
যখন  অন্ধকার হাঁপিয়ে গিয়ে বৃষ্টি ভিজিয়ে যায়
তখন আমার শহর ভেজে।
তোর মত আমার সাথে কোনো লুকোনো কবিতায়
চলন্তিকা এমন করে কি একলা থাকা যায়।

চলন্তিকা তুমি

চলন্তিকা  তুমি
.............. ঋষি
===========================================
সব পাথরের বুকে জমে থাকে ভাঙ্গা দাগ
সেই দাগ প্রকৃতির সবুজ অভিশাপ।
সব অভিশাপ একদিন হেঁটে যায় সময় করে ঋণ
এই গুলো সেই বাঁচার সিঁড়ির প্রথম ধাপ।
তারপর গল্প শুরু তুই বল চলন্তিকা
তোকে কি আমি সত্যি বাঁচাতে পারি না।

নদীর মত যদি স্পর্শ বেঁচে থাকে
হৃদয়ের গভীর খাঁজে ক্রমশ প্রবাহিত সেই  প্লাবন।
আমি সত্যি বলি
নাই বা হলাম আকাশ
তবু দুঃখ টুকু আমার কবিতায় শ্রাবন।

চলন্তিকা আমি নাই বা হলাম সুখ
নিজের করে ভাঙ্গি যদি তোর  বুক।

তবে অভিশাপ দিস অন্ধকার বৃষ্টির মত
তবে একলা করে দিস প্রিয় প্রেমের কবিতার মত।
শুধু আমাকে গল্পটা বলিস
আমি লিখবো চলন্তিকা তোকে আমার মত। 

মিস্টার মৈত্র আপনাকে বলছি

মিস্টার মৈত্র আপনাকে বলছি
................ ঋষি
=====================================================
আগুন নিয়ে খেলার খুব শখ আপনার
মিস্টার মৈত্র আমার দিকে তাকান।
জানি মেয়েরা ষোলো পেরোলো ফুল থেকে নারী হয়ে যায়
জানি আপনি আমার বাবার বন্ধু স্থানীয়।
কিন্তু তবু আপনাকে নাম ধরে ডাকতে আমার লজ্জা নেই
লজ্জা নেই আপনাকে নেহাত বুড়ো বজ্জাত বলতে।

কি বলেছিলেন সেদিন
আজ এই আদালতে সকলের সামনে মাথা তুলে বলুন।
কি হলো চোখ তুলুন মশাই ,চোখ তুলুন
বয়েস বাড়লেও পুরুষের মন,দাবী থাকে চিরযুবক এক পতঙ্গ
আর মেয়েরা ষোলো পেরোলেই ফুল।
সে ফুলের অকৃপন ভাবে গন্ধ বিলানোই কর্তব্য
পতঙ্গ কে না বলাটা নাকি মস্ত বড় ভুল।
আরে মশাই সেদিন আপনি একটু ভুল বলেছিলেন
ষোলো  পেরোলে মেয়েরা  আগুন হয়ে যায়
আর আপনারা তখন নেহাত শিশু।
ইচ্ছে করলে আপনাদের সমাজ থেকে পিঁপড়ের মতো মেরে ফেলা যায়
কিংবা দেখা যায় মজা ,আপনাদের নির্বোধ প্রেমের।

আগুন নিয়ে খেলার খুব শখ আপনার
দেখুন আজ আপনার সামনে দাঁড়িয়ে সেই ষোলো পেরোনো আগুন।
আবার জানুন ,আগুন শুধু সংসারের প্রদীপ নয়
কিংবা পুরুষের জানুসন্ধির শান্তি।
মিস্টার মৈত্র মেয়েরা শুধু শরীর হয় না
মা ,বোন ,কন্যা আরো অনেক সম্পর্কের অধিকারী হয়। 

Saturday, June 4, 2016

পাহাড়ি নদী

পাহাড়ি নদী
.............. ঋষি
================================================
প্রতিবার সহবাসের পর তুমি আমার বুকের মুখ ঘষো
কোনো পাহাড়ি ফুলের সুগন্ধে তোমাকে বড় পরিনত লাগে।
তারপর আমার চিবুক বেয়ে তোমার ঠোঁটে স্পর্শ
কোনো কবিতার মত ঝরনা।
আমাকে ছুঁয়ে কেন পাগল করে বারংবার
তারপর আমি আঁকড়ে ধরি তোমায়।

নিজস্ব ভূমিকায়
কোনো অর্বাচীন প্রেমিকের মত আমি চেয়ে থাকি মাতাল সুবাসে।
তুমি আমাকে বুকে টানো বারংবার
মিশিয়ে নিতে চাও বুকে।
আর আমি হারিয়ে যায় কবিতায়, শুধু তোমার
তোমার প্রেমে বারংবার পথভুল করি।
যে পাহাড়ি নদীকে আমি ঝরনা বলে ডাকি
তুমি তাকে শরীর বলো।
অদ্ভূত এক নেশাতুর আমি ,আমার কবিতায়
তুমি বয়ে চলা বন্য নদী।

প্রতিবার সহবাসের পরে তুমি আমার ঠোঁটে ঠোঁট ঘষো
আমি আকাশের দিকে তাকাই।
সারা আকাশ জুড়ে আদিম কোনো ইচ্ছারা মিটিমিটি চেয়ে
তুমি বল তুই পাগল কবি।
আর আমি লিখতে থাকি না ফুরোনো কবিতা বারংবার
বারবার তোমার প্রেমে।

পথভুল

পথভুল
............... ঋষি
==============================================
সিগারেটের রিঙে রাখা গোটা কয়েক তুমি
আমি বারংবার পুড়িয়ে চলি হৃদয়।
ঠিক যখন কলিংবেল বাজে পথচলতে নিজের ফাঁকে
আমি পথ ভুল করি।
সিগারেটের ছাই ,পরে থাকা হায়
আর তুমি ধোঁয়ার পৃথিবী।

ঈশ্বর যদি আমার মত পথ ভুল করে
পথচলতি মানুষের ফাঁকে খুঁজতে থাকে কোনো উপসংহার।
জেনে রেখো তবে , চলন্তিকা
সে ঈশ্বরের ভুল ,স্বভাবে লেগে আছে আশা
পথভুল।
কি তবে উপসংহার চলন্তিকা
থিয়েটারের শেষ চেয়ারে বসে অন্ধকারে খুঁজতে থাকা পরিসমাপ্তি
পথ হারায় ,তবু ফিরে আসে
ডিরেক্টর যেখানে ঈশ্বর ,সেখানে উপসংহার নিজস্বতায়।

সিগারেটের রিঙে রাখা গোটা কয়েক তুমি
আমি বারংবার জ্বলতে থাকা সময়।
ঠিক সেই সময় পথভুল করা ঈশ্বর আমার সামনে দাঁড়িয়ে
আমার মত অপেক্ষায়।
বলোতো চলন্তিকা পথ ভুলে হারিয়ে যাওয়া যায়
কিন্তু ফিরে  ?


চলন্তিকা তোমার কথা

চলন্তিকা তোমার কথা
....................... ঋষি
=============================================
অদ্ভূত সেই আকাশ
আমি ছুঁয়ে দিয়ে ডুবে যায় গভীর নীরবতায়।
কখনো কোনদিন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে নি
আমার নিজের কাছে।
পরিচয়ের মাপকাঠির নিজের কলমে কয়েকহাজারবার মৃত্যু
আমার আজও লেখা হয় নি চলন্তিকা তোমার কথা।

অনেকবার নিজের দেরাজে
তোমাকে গুছিয়ে রেখেছি পাটে পাটে ঠিক তোমার বুকের মতন।
গভীর সেই বুকে মুখ লুকিয়ে
খুঁজে চলেছি শুধু তোমার গভীর গন্ধ ,প্রিয় সেই স্বর্গের পারিজাত
বারংবার খুঁজেছি আশ্রয় তোমার বুকে।
এই খোঁজে কোনো পাপ নেই
তবে একটা খুব গভীর ঈশ্বর ধরা আছে।
সবুজ প্রকৃতির মাঝে খালি পায়ে হেঁটে চলা নিরুদ্দেশে আমি
তোমাকে আমার অনেককিছু বলার আছে।
শুধু প্রশ্ন নেই ?
সবটাই তুমি জানো ,আমার মত তোমার অন্তরে।

অদ্ভূত সেই আকাশ
অভিমানী খানিকটা পাগলী,কোনো মেঘলা দিনে মনখারাপ।
সবটাই আমি স্পর্শ করি
আদর করি নিজের অধিকারে পাগলের মত।
আমার চিত্কার করতে ইচ্ছে করে তোমার নাম ধরে চলন্তিকা
আজও আমার জানা হয় নি চলন্তিকা তোমার কথা। 

মেয়েবেলা

মেয়েবেলা
........... ঋষি
=======================================
আমার বুকের কাছে শুয়ে আমার মেয়েবেলা
ফ্রকের লেসে লেগে অগুনতি নিয়ম।
প্রথম জীবনের প্রেম
সেই ছেলেটা ,না আমি বলিনি কাউকে।
এমন কি সেই ছেলেটাকেও
যার দেওয়া সেই চিঠিটা এখন লুকোনো আছে।

কি এমন আমি
আমার শহরের হাজার মেয়ের মত সামাজিক।
কি এমন আমি
সংসার ,স্বামী ,সন্তান সবটাই নিয়মক যান্ত্রিক।
কোনো বদল নেই
শুধু যখন বৃষ্টি
আকাশের বুক ছিঁড়ে নেমে আসে ভারী জলের ফোঁটা
আমার কান্না পায়।
কাউকে বলি নি  প্রথম যখন ঋতুবতী আমি
তখন যন্ত্রনায় কুঁকড়ে নিজের কাছে
কি লজ্জা
সদ্য যুবতী মেয়ে আমি।

আমার বুকের কাছে শুয়ে আমার সারাটা জীবন
আমার শাড়ীর প্রতি ভাঁজে নিয়ম শুয়ে।
প্রথম জীবনে সেই রান্নাবাটি খেলা
সবটাই খেলা।
কাউকে বলিনি কিংবা বুঝতেও দি নি
আমার মেয়েবেলা। 

এইটুকু আলোর জন্য

ঈশ্বরকে বলি ম্যাজিক চাই  বলি মানুষে ঘরে বন্ধ দরজার শহরে আলো চায় চায় শুভেচ্ছা ,চায় পবিত্রতা  আর  সত্যি , বহুবার ভেবেছি সিগারেটের আগুনে পুড়ে য...