Friday, July 31, 2015

KOBITAR SATHE 4


আমার বাড়ি

আমার বাড়ি
............ ঋষি
==========================================
মনে হয় বাড়ি ফিরছি
চারিপাশে পায়ের তলায় মাটির মতন কিছু অগোছালো।
মাটি টানলে মাটি সরে যায়
আমি সোজা গর্তে ,অনেকটা নিচে ,মাটির তলায়।
চাপা পরে যাই
সামনে খোলা দরজা আমার বাড়ি।

বাড়ির দুপাশ জুড়ে অদৃশ্যের ভাঙা রাস্তা
এবড়োখেবড়ো ঘুঁটের মতন আটকানো জীবন শৈলী।
বাড়ির দেওয়ালে
টুকরো টুকরো মুহুর্তদের বেঁচে উঠে মরে যাওয়া।
অনেকটা জায়গা জুড়ে সাদা পাতা ,কোঁচকানো কথা
অভিরুচি ,অভিব্যক্তি ,দায়িত্ব ,দুর্বলতা সব মিলিয়ে।
একটা আনসল্ভড কেস
বহুদিন ধরে ঝুলে আছে মাকড়সার জলের মতন।
ঘরের চারদেওয়ালে
রুটি ,ভাত,নুন ,মাছ ,মাংস সর্বত্র সাজানো খাবার টেবিল।
আর পাশে একটা তাকিয়ে হেলান দিয়ে বসে আমার ঐতিহ্য
নির্বাক ইতিহাস আমার বাড়ি।

মনে হয় বাড়ি ফিরছি
চারিপাশে নিত্য আসবাবের মতন ছড়িয়ে ছিটিয়ে সম্পর্ক।
অসংখ্য টানাপোড়েনের মাঝে সব স্নেহের মাটি
আর আমি মাটির তলাই।
কোনো গর্তে লুকিয়ে কোথাও ভীষণ একলা
আমাদের মতন একলা সবাই। 

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে

আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
................... ঋষি
===========================================
এক একদিন আমার পাগলাটে লাগে
যেমন করে সাজানো শব্দের মাঝে আমি টানাপোড়েন।
মাকুর তাঁত ,ক্যার ক্যার ,ক্যার ক্যার
ক্রমশ ক্লোস্ড আরো আরো মাথার ভিতর ঝিম।
খুলে ফেলে লজ্জা
সমস্ত দ্রবনের দ্রাব্যতা মুছে অদ্ভূত নেশা।

চোখ জুড়ে যায়
বুক জুড়ে পরে অসংখ্য পাগলাটে মেঘ।
মেঘের গায়ে নীল শাড়ি পরা মেয়েটা এসে দাঁড়ায়
বলে আয় আমার কোলে মাথা দে।
মনে পরে সেই মেঘ বালিকাকে
জয়গোস্বামী জিভের চুইংগামে অবিরত জাবনা কাটা।
কালো চুলের সারি ,সার দেওয়া পবিত্রতা
কখন যেন ঠোঁট বেঁয়ে ঢুকে পরে বুকের মাঝে।
আমি চোখ বন্ধ করি
সেই মেঘবালিকা সারা আকাশ জুড়ে।
আমার চোখ বন্ধ কিন্তু
আমি সব দেখতে পাই ,ভালোবাসি মেঘবালিকা।

এক একটা দিন এমন হয় খ্যাপা মেঘের মতন
হুরমুর করে ছুটে আসে ঝড় আকাশ কালো করে।
আমি চোখ বন্ধ করি ,বৃষ্টি নামে টিপ টুপ ,টিপ টুপ
আমি ভিজে যায় ,সারা শরীর জুড়ে আদুরে স্রোত।
মেঘবালিকা কানে কানে বলে চুপি চুপি
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ,জীবন দেবো মেপে।

Thursday, July 30, 2015

মা তুমি শুনো না


মা তুমি শুনো না 
................... ঋষি
==============================================
গায়ের সাথে আটোসাটো জামাটা
মা আমি বাড়ছি স্বয়ংক্রিয় প্রসেসিং মিক্সচারে। 
সমস্ত আন্দোলনের পর ,দুচার রাউন্ড পিস্তল বন্দুকের পর 
কয়েক পেগ ইংরাজি আর ঝালমুড়ি। 
মাইরি জমে ক্ষীর স্পন্দনের কবিতার উপর স্তর 
মা আমি হাসছি বারংবার আরো যন্ত্রনায়। 

তোমার কথা আর লিখবো না..........,  আর মা 
এবার চলে আসি কোনো রাম্পে ক্যাটওয়াক করা সেক্সিফিগারে। 
ইচ্ছে করে ছুড়ি চালিয়ে দি খোলা স্তনে
আমার মুখে স্তন ,স্তনের মুখে স্তব্ধতা ,,,,,,নিস্তব্ধতা। 
আরো নিচে নামী ,ঢুকিয়ে দেব নাকি ,,,,পুরো চেপে 
ছুরিতে আর ধার নেই মা। 
আহা। .....প্লিস বোঝো না কেন নগ্নতা লজ্জা নেই 
আমিও তো এসেছি নগ্ন হয়ে তোমার বুকে। 
কিন্তু মা,,,,,,,,,,, ইশ ভুল হয়ে গেল 
তোমাকে কেন এই নরকে ডাকছি।    
আমি তো নরকে আছি, গা ঘিন ঘিন মৃতদের পাশাপাশি 
এই সময় এক পেগ রাম আর গঙ্গা জল ,
দারুন না। 

গায়ের সাথে আটোসাটো জামাটা 
বাই প্রসেসিং সদ্য ফেরত জিমের শরীরে বাইসেপে চাপ। 
গুরু কি ফিগার বানিয়েছো সোজ্যেনেগার ফেইল 
সত্যি ফেইল এই সভ্যতা ,এই বন্যতা ,এই নগ্নতা। 
আর্টিফিসিয়াল রসায়নে সবটাই কেমন আঁশটে  গন্ধ 
মা তুমি শুনো না ,শুধু এতটুকু ,,,,,,,,,,, প্লিস আর একটা জন্ম দেবে। 

ফুলস্টপ

ফুলস্টপ
.................... ঋষি
========================================================

আদর করিসনি অনেকদিন হলো
আজকাল বৃষ্টি দেখতে দেখতে নোনতা জলে গা গরম হয়।
সকালের পোড়া বাসি রুটি ,
রোজকার রোজগার।
বাড়তে থাকা জ্বরে থার্মোমিটার ডোবালেই
আমার চোখে পারদ বাড়তে থাকে।

ভাগ্যিস সংখ্যা ছিল ,ছিল শূন্য ম্যাথামেটিক্সের পাতায় পাতায়
প্রবলেম ছিল আছে থাকবে।
সল্ভড ও আসবে,
কিন্তু শূন্য বুকের বায়ুমন্ডলে জমতে থাকা নিকোটিন অপ্রয়োজনীয় হবে না কখনো।
শূন্য শূন্য শূন্য রিং ছেড়ে উড়ে যাবে  সুপার জেট মাঝ আকাশে।
শব্দ হবে  প্রচন্ড জোড়ে।
আরো জোড়ে মাথার ভিতর আগামী রাত
জানলার বাইরে খোলা আকাশ থাকবে।
কিন্তু সেই জেট তেপান্তরে ,হয়তো আরো দূরে
তোর সালোয়ারের নীল ওড়না উড়িয়ে যাবে।

আদর করিসনি অনেকদিন হলো
আজকাল বৃষ্টি দেখতে দেখতে জলের ফোঁটাগুলো বন্য হয়ে যায়।
অফিস ফেরৎ বাসেদের জানলায় দাঁড়িয়ে থাকে চোখ
রোজ স্টপেজ আসে স্টপেজ যায়।
কিন্তু বুকের স্টপেজে বাড়তে থাকা স্যাকারিনে
বারংবার ফুল স্টপ ,ফুল স্টপ ,ফুল স্টপ।   

KOBITAR SATHE2


Wednesday, July 29, 2015

হেডলাইনস চব্বিশ ঘন্টা

হেডলাইনস চব্বিশ ঘন্টা
...............ঋষি
=====================================================
আজ ১৩ ই  শ্রাবন
তেমন কিছু নয় দিনটা জীবনের কবিতায়।
তবুও কেন জানি কিছু কাঁচের টুকরো লেগে আছে সময়ের প্রলেপে
দুধ কেটে যেমন ছানা ,ঠিক তেমন সময়ের কথা বলতে মানা।
আসলে বলতে নেই
বললেই সারা বিশ্বময় চব্বিশ ঘন্টা আবহাওয়ার খবর।

সমস্ত জীবন জুড়ে ছোটো ছোটো ঘর
ঘরের ভিতরে এবং বাইরে দুদিকেই জীবন শুয়ে থাকে।
অসংখ্য সময়ের মুখ ভেঙচি কাটে
সময় মাড়িয়ে যায় যেমন রাস্তায় বেআব্রু ভিখারী।
বুকের উপর উঠে দাঁড়ায় কখনো কখনো মস্ত হাতি
হেলে দুলে উঠে আসা রাস্তায় সরকারী ট্রামের মতন হারানো সময়।
হারানো দূরত্বের মানে খোঁজে জীবন ভালোবাসার কাছে
আসলে সেটা বাঁচার কাছে।
আর কতটা বাঁচবো আমি ?
আর কতদিন তোমার বুকের সাথে বুক।
ঠিক দেওয়ালে টাঙানো আগামী ক্যালান্ডারে অসংখ্য শ্রাবন
আমি বাঁচতে চাই তোমার বুকে।

আজ ১৩ ই  শ্রাবন
তেমন কিছু নয় দিনটা সময়ের আবর্তনে চব্বিশ ঘন্টায়।
বদলানো আবহাওয়ার খবরে আগামী চব্বিশ ঘন্টায় আকাশের মুখ ভার
বুকের ভিতরে তুমুল তুফান ,ভাঙছে ঘর ,ভাঙছে জীবনের আঁকড়ে ধরা।
এর থেকে বেশি বলতে নেই
তবে খবর শিরোনাম চব্বিশ ঘন্টার হেড লাইন।

  

KOBITAR SATHE 1


মানুষের কান্না



মানুষের কান্না
............ ঋষি
===============================================
যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি আমরা 
আর কতদূর ,আর কতদূর কেঁদে চলেছে মানুষ। 
নিজস্ব কার্বন কপিতে দৈনন্দিন বাড়তে থাকা মানুষের মতন 
অসংখ্য কার্বনের ধোঁয়া ,মিথ্যা ,অশিক্ষা ,অপসংস্কৃতি। 
শরীরে হওয়া না শুকোনো ঘায়ের মতন ধর্ষণ ,নির্যাতন ,শিশু শ্রম 
অপরাধীর মতন মানুষের কারাগারে একলা দাঁড়িয়ে বিশ্ব। 

মানুষ কাঁদছে
কতদূর আর কতদূর। 
আলোর মতন সোনালী ধান ভরা মাঠ
শিক্ষার আলোয় উজ্বল মানুষের অবস্থান।.
অবনমিত পশুত্ব 
নিজেকে জয় করার জন্য প্রয়োজনীয় জয় রিপুদের। 
অনিবার্য সময়ের আকাঙ্খায় পৃথিবী হচ্ছে ভীত
মানুষ দুর্বিনীত চেতনার পারে। 
নেই ধর্ম ,নেই চেতনা ,নেই বিশ্বাস ,মানুষ মানুষের দাস 
স্বার্থপরতা গলকম্বলে হাতবুলিয়ে
রাশি রাশি স্কোয়ারফিটে জীবন ।
মাপার জন্য সম্পর্ক্য অসংখ্য ফাটল ,ভেঙ্গে পড়তে চাওয়া বাঁধ।
বারংবার থুথু চাটা সমাজের ভিত 
মানুষ বড় কাঁদছে এখানে। 

যে পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি আমরা 
আর কতদূর ,আর কতদূর কেঁদে চলেছে মানুষের। 
মানুষের পাশে দাঁড়ানো আনড্রয়েড সভ্যতার ধাঁচে হারানো ইতিহাস 
আগুন থেকে চাকা ,চাকার থেকে মেরুদন্ড। 
তারপর সবাই জানি
হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার মোড়কে দৈনন্দিন মানুষের কান্না। 
 

ইচ্ছে প্রকৃতি


ইচ্ছে প্রকৃতি 
............ ঋষি
============================================
যদি কখনো আবারও দেখা হয় 
যদি কখনো মুখোমুখি সময় আর আমি। 
অদ্ভূত এক শিহরণ বয়ে যায় বন্য জলাজঙ্গল জুড়ে 
ইচ্ছেদের মৌচাকে এক ঢিল। 
গোছা গোছা বোলতা কামড়াতে থাকে সারা শরীরে 
শরীর জুড়ে শুধু চাক চাক দাগ। 

আচ্ছা ইচ্ছাদের পাথর কখনো ভেঙ্গেছো 
ভেঙ্গেছো বুকের পাটাতনে আচমকা এক আকাশ মেঘ। 
নোনতা ভিজে মাটিতে কেমনতর ভালো লাগা গন্ধ 
সারা শরীর জুড়ে ইলিশের আমিষ  ঘ্রান।
আচ্ছা ইলিশ মাছ তুমি খেতে ভালোবাসতে তাই না 
তোমার ইচ্ছের কড়াইতে তুমি কতগুলো ইলিশমাছ ভেজেছো।
কতগুলো ইলিশ বলো তো তোমার বুকের পাটাতনে খাবি খেয়ে মরেছে 
তুমি ইচ্ছা নদী তাই না। মিষ্টি জল। 
আমি এক সমুদ্র। নোনা জলের ,কিন্তু ইলিশ আমি খাই না। 
আসলে ভালোবাসি না আমিষের গন্ধ। 
আমার বিষাক্ত জলে বারংবার ড্রাইভ মারে ইচ্ছাদের তিমিগুলো
তুমি নীল তিমি দেখেছো কখনও ?
নাকি তোমার মানচিত্রে কোনো সমুদ্র নেই ?
নেই আরো গভীরে যাওয়ার ইচ্ছা। 

যদি কখনো আবার তুমি নদী হও
মোহনায় দাঁড়িয়ে তুমি ঠিক দেখতে পারবে নীল তিমির ড্রাইভ। 
জলের থেকে জলে  ,আরো গভীরে তলিয়ে যাবে ইচ্ছেগুলো 
মুখোমুখি আমি আর সময় আবারও যেদিন। 
তুমি দেখবে গোলকের মানচিত্রে দাঁড়িয়ে নীল ,সবুজ রং 
কেন জানো ? ওগুলোর প্রকৃতির রং ,কোনো মেকআপ ছাড়া। 

অবাক পৃথিবী

অবাক পৃথিবী
................ ঋষি
============================================
একবার আচমকা ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসি
সামনে চেনা শৈশবে বাজতে থাকা স্যাক্সোফোনের সুর।
চেনা বাস্তবের অনামনা রাস্তায়
শৈশব হাঁটতে থাকে টলমল টলমল পায়ে।
অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরো
সামনে পৃথিবী শান্তি নেই কো কারো।

কেমন যেন অন্যমনস্কতকতা জুড়ে বসে বোবা চিলের মতন
খুঁড়তে থাকে বুকের পাঁজরে লালচে পৃথিবী।
চোখের অশ্রু কনায় গুড়ো কাঁচ লেগে
ছোটবেলার সেই মাঞ্জার সুতো।
ভোকাট্টা আকাশ একমুঠো বালি ছড়ানো সারা আকাশে
ছোটো ছোটো ঘুড়ি ,ইচ্ছারা সব বোবা আনন্দ শৈশবের আকাশে।
উড়ি উড়ি ,আরো উড়ি
স্কুলের টিফিনে ঝালমুড়ির ঠোঙ্গা ,সাইকেলে প্রথম পা।
প্রথম প্রেমিকা ,প্রথম চুমু
কলেজ ডিঙিয়ে আচমকা রাস্তায় ভীষণ ভিড়.
আতঙ্ক চারিধার।
বাস ,ট্রাম ,দৈনন্দিন লোকাল বাড়তে থাকে
সারা আকাশ জুড়ে মেঘের ছায়া
ঘুড়ি উধাও।

একবার আচমকা চোখ মুচড়ে উঠে বসে সময়
সামনে শৈশব পেরোনো সময়ের কোলাহল।
বারান্দার রাখা ক্যাকটাসের মাথায় হাত বোলাই
সামনে লঙ্গরখানা ,মিড দে মিলের থালায় বরাদ্দ খিদে।
কয়েকশো কোটি শিশুর চিত্কার ,,,,গ্রো আপ ,গ্রো আপ
অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরো। 

নীল আকাশের চিঠি

নীল আকাশের চিঠি
.................... ঋষি
=======================================
যে অন্ধকার গুহায় জন্ম হলো তোর
তাকে আমি মানি নি কোনদিন।
অন্ধকার এগিয়ে আসা সেই দেবীর অবস্থান
আমার হৃদয়ের উপর চোরা বালি।
আমি ডুবতে থাকি গভীরে ,আরো গভীরে
তোর হাত ধরে  আলো শুধু আমার হৃদয় খালি।

জীবন যেখানে পেরিয়ে আসা দূরত্বের নাম
দূর্বলতা সেখানে সবুজ ঘাসের উপর সকালের শিশির।
তোর খোলা দরজা পেরিয়ে এক বিস্তীর্ণ স্তব্ধতা
আমি আছি সেখানে মিঠে হাওয়ার মতন।
এক অদ্ভূত বন ফুলের গন্ধ
কোনরকম কসমেটিকস স্পর্শ নয়।
সবুজ এক হৃদয়
অনেকটা বিশাল আকাশের মতন।
আর সারা আকাশ জুড়ে তোর নাম লুকোনো তারায় লেখা
অজস্র রক্তবিন্দু আমার সাদা পাতায় তোর নামে,
কোনো চঞ্চলতা নয় ,স্থির ,গভীর নীল আকাশ।

আমি অন্ধকার মানি না ,মানি তোকে গভীর আলোয়
আমি ঈশ্বর মানি না ,মানি এক জীবন তোর সাথে।
আরো গভীরে ,আরো গভীরে তলিয়ে যেতে চাই
বারংবার যতবার বলবি আমায়,,, ভালোবাসি।
প্রতিবারে আমি নতুন জন্ম নেব তোর সাথে
নীল আকাশের চিঠি তোর ঠিকানায়।

Tuesday, July 28, 2015

পাগল কবি

পাগল কবি
................ ঋষি
======================================
দীর্ঘশ্বাসের বোতাম ঘরগুলো ঠিক কতগুলো
আমি জানি না।
জানি তুমি এটাকে জার্নি বলে ভুল করবে
কিন্তু নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে।
চুনকালি মেখে
আমি কখনো লং জার্নিতে যাব না তোমাকে ছেড়ে।

সময় থেকে সরে যাবার মানে যে আয়নায় মুখ
আমি আয়নার কাঁচ।
তুমি আমাকে ভেঙ্গে ফেলে সুখী হবে
প্রতিবিম্বে নিজেকে দেখবে টুকরো টুকরো করে।
পা থেকে সেরিব্রাল অবধি শুধু আতঙ্ক
আমি কখনো তোমাকে একলা ফেলে যাব না।

বিন্দু থেকে সরে যাওয়া সহ্যগুলো
কলমের নিবে যদি  আমি রক্ত ফোঁটায় লিখি।
তুমি সব হারিয়ে বাউন্ডুলে হবে
চৌরাস্তায় চিত্কার করবে আমার নাম ধরে।
পা থেকে প্রতি লোমকূপে বয়ে যাবে তান্ডব ,স্বয়ং ধ্বংস
তবু আমি  তোমায় কখনো কষ্ট দিতে পারবো না।

গভীর রাতে তোমার চোখের জানলে মিঠে হওয়া
এক অদ্ভূত দূরত্বের রৌদ্র তোমার চোখে।
আমি একলা হতে পারি ,একলা থাকতেও
তবু আমার প্রতিবিম্বে আমি একলা নই।
যখনি আমি তোমার দিকে দেখি ,তুমি হাসো
কাছে ডাকো,বলো দুর পাগল ,আমার পাগল কবি। 

চলন্তিকা ও আলো


চলন্তিকা ও আলো
................. ঋষি
=====================================================
চলন্তিকা জেগে আছিস
বাইরে এই মাত্র শেষ রাত একটার লোকালটা ছুঁয়ে গেল দূরত্বের শব্দে। 
জানিস চলন্তিকা আমার বারান্দা দিয়ে স্বপ্ন দেখা যায় 
আর জানিস এখানে রাত্রেও আলো থাকে সকালের মতন। 
তাই তো আমার আর ঘুম আসে না 
আমি জেগে থাকি চলন্তিকা সময় বুঝি না। 

তুই কল করেছিলিস আমায় আজ 
যেমন বহু দূর থেকে যেমন শোনা যায় ট্রেনের হুইসলের শব্দ,
ঠিক তেমন তোর নামটা ভেসে উঠলো মুঠোফোনের স্ক্রিনে। 
তুই কাঁদলি খুব ,খুব করে বললি তোর কষ্টগুলো 
অথচ জানিস আমি বুঝলাম না কিছু শুধু শুনছিলাম চুপচাপ। 
তুই বৃষ্টির মতন আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছিলিস
ভেসে যাচ্ছিল আমার ঠোঁট ,নাক ,চোখ ,গলা। 
কখন যেন ফোনটা কেটে গেল 
বুঝতে পারলাম আমার চোখে জল। 
আমি রিং ব্যাক করলাম 
ওপার দিয়ে বললো আপকা ডায়াল কিয়া হুয়া নম্বর মৌজুত নেহি হ্যা।
ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার 
জানলার বাইরে তাকিয়ে দেখি ঝলমলে দিন। 

চলন্তিকা আমি আজকাল ঘুমোতে পারি না 
তোর সেই চলে যাবার নুপুরের শব্দটা আমার দিনের শেষ লোকালের মতন। 
কু ঝিক ঝিক  বুকের উপর  
তুই কেমন আছিস আমি জানি না। 
তবু জানিস চলনন্তিকা আমার দিনগুলো আজকাল আলোকিত থাকে 
আমি যে আজকাল স্বপ্নে আলো দেখতে পাই। 


LOTIPHA


চৌকাঠের গল্প

চৌকাঠের গল্প
.................. ঋষি
==================================================
চৌকাঠের গল্পগুলো কিছুতেই বদল হয় না
যেমন বদল হয় না বারান্দার গল্পগুলো।
আমাদের রাস্তায় কোনো বারান্দা ,চৌকাঠ নেই
যত চৌকাঠ ওই ঘরের ভিতর ,
যত বারান্দা আজকাল ওই চারদেওয়ালে।

নিশ্চিদ্র সেই পুরনো দিনগুলো ঝুলতে থাকে মাকড়সার জালের মতন
তুমি তাদের স্নেহে আগলে রাখো ,পবিত্র বলে।
তোমার রান্নাঘরের দেওয়ালে যে তেলচিটে ভাব ,একটা অদ্ভূত চাপা গন্ধ
সেই গন্ধটা তোমার শরীরের ,
তুমি শাড়ির মতন তোমার হৃদয়ে জড়িয়ে রাখো।
তুমি বারান্দায় দাঁড়াও হাত বাড়িয়ে আকাশ ধরতে চাও
আসলে আকাশ নয় সেটা ,সে যে মুক্তি।
কখনো কোনো আনমনা  মুহুর্তে সরে যায় তোমার বুকের কাপড়
তুমি ভুলে যাও তুমি কে ,তুমি ভলে যাও তুমি কেন।
অসময়ে বৃষ্টি নামে ,তোমার সম্বিত ফেরে নোনতা জলে
চৌকাঠ পেরোবার গল্পটা তোমার মনে পরে যায় ,
মনে পরে তোমার চারদেওয়াল।

চৌকাঠের গল্পগুলো আসলে এক একটা জীবন
যা কাটতে থাকে ঘুমের মতন অবচেতনে।
আমাদের রাস্তায় কোনো বারান্দা নেই ,আছে অন্তহীন আকাশ
আর আকাশ কখনো চারদেওয়ালে থাকে না
যেমন থাকে না স্পর্ধা তোমার চৌকাঠ পেরোনোর। 

Sunday, July 26, 2015

মোহনা


মোহনা
............ ঋষি
============================================

তোর ওই বুকের মাপের ছোটো একটা দেশ আছে 
এক মুঠো মাটি। 
অস্তিত্ব ভ্রমে দুরন্ত কোনো অন্ধকারগামী ট্রেন 
কু ঝিক ঝিক ,কু ঝিক ঝিক। 
এগিয়ে চলে আলোর পথে 
আরো উজ্বল কোনো অন্তহীন বাসনা বুকে। 


নদী ভুল করে না ,সমুদ্র ভুল করে 
নদীর সার্বিক পরিমান সমুদ্রের  উত্তাল ঢেউয়ের মতন। 
আছড়ে পরে বুকে 
ছুঁয়ে চলে যায় বারংবার শাখা প্রশাখায় ছড়ানো উজ্বল উপস্থিতি। 
একটা দেশ ,একটা বিশ্ব ,একটা জীবন 
বেঁচে যায় মিষ্টি জলে। 
অথচ সমুদ্র চিরকালীন বিশাল এক আকাশের নিচে 
অন্তহীন গভীরতায় বিশ্বাসী কোনো স্পর্শ। 
হৃদয় জুড়ে গম্ভীর অবস্থান 
সবটাই  জুড়ে থাকে বৃহৎ হৃদয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঝিনুক। 
তার ভিতর মুক্ত ,লুকোনো বালি ,নোনা জল 
নোনা স্পর্শ ,স্পষ্ট ছুঁয়ে থাকে জিভে। 

তোর ওই বুকের মাপের একটা ছোটো সমুদ্র আছে 
আমি সেই সমুদ্রে ক্ষুদ্র নদী তোর নাভি বেয়ে। 
চিনচিন ব্যাথা ,অদ্ভূত এক উপস্থিতি 
সাথে থেকে ভালো থাকা এক সমুদ্র জল। 
ছোটো এক নদী তোর মোহনায় 
পাল লাগানো এক রুপোলি নৌকা ।
 

এক মুঠো আকাশ

এক মুঠো আকাশ
.............. ঋষি
========================================
পথকে পা মেপে মেপে ভুলে যাওয়া
ভুলে যাওয়া গোলাপের সেই শুকনো পাঁপড়ির আকুতি।
তুমি কি শুনতে পারছো
মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পরা মেঘলা দিনে।
নেই বর্ষাতি  ,নেই ছাতা
নিশ্চিন্তে কাদা মাটি  মাখা আমি।

দু-দন্ড তাকিয়েই বুঝেছিলাম তোমার বিষয় মুখ বদলে গেছে
তোমার চশমার হাই ভোল্টেজে স্যাতস্যাতে নোনতা।
জানি আজ আর কফির কাপে ঠোঁট রাখো না তুমি
আসলে একলা থাকতে ভয় পাও।
ভয় পাও নিজেকে যদি আবারও হারাও
তুমি কি বুঝতে পারছো।
মাথার উপর ছাতা ,ছাতার উপর আকাশ
আর আকাশের ওপারে।
তুমি মুঠোয় করে আকাশ রাখতে চেয়েছিলে
অথচ চিরকালীন একলা।

তোমার অন্তহীন জানলার কাঁচ তুলে আমি বৃষ্টি দেখছি
আকাশ থেকে নেমে আসছে মুহূর্তরা গল্পঝুড়ি।
তোমার অবয়বে পযাটি স্পর্শে সময়
সদ্যজাত কিছু মারাত্নক ভুল আমার হৃদয়ে।
টানাপোড়েন দুলতে থাকা দোলনায় ইচ্ছারা
স্তব্ধহীন ,পথ হারায় ,আকাশে মেঘে।

Saturday, July 25, 2015

ঈশ্বর তুমি আলোকিত হও

ঈশ্বর তুমি আলোকিত হও
................ ঋষি
============================================
সেই সময়টাকে আমি আঁকড়ে আছি
পাগলের মতন সেইটুকু আশ্রয়।
আমি বলি নি ,আসলে আমি বলতে পারি নি
ভালোবাসা কোনো প্রসাদের ফুল।
চিরন্তন ঈশ্বরের কল্পনায় অনন্ত প্রহসন
ঈশ্বর তুমি আলোকিত হও।


ঈশ্বর
            তুমি
                         আলোকিত হও।
নেমে এসো বুকের প্রাচীরে লেগে থাকা অন্ধকারে আলোর মতন
আমি বলবো তবে ভালোবাসি ভীষণ ভালোবাসি।
আত্মা ছুঁয়ে ,জীবন ছুঁয়ে ,স্বপ্ন ছুঁয়ে
চেতনার ভিড়,মুখোমুখি  আয়নায় দেখা আমার তোমার মুখ।
আমি ঈশ্বর দেখতে পাই
যেন কোনো দেবী উঠে আসে আমার বুকে।
আমি চিত্কার করি
ভালোবাসি ,ভালোবাসি ,ভালোবাসি তোমায়।
ঈশ্বর
                  তুমি
                              অনন্ত হও।



সেই সময়টা অনন্ত কোনো অমর ঝরনা
বুকের পাঁচিল বেয়ে নেমে চলে শীতল ধারা নুপুরের সুরে।
আমি ভিজতে থাকি ,মিষ্টি তৃষ্ণা আমার ঠোঁট বেয়ে
আরো গভীরে তোমার ঠোঁটে ,,,, স্পর্শ।
আমি বলেছি হাজারোবার তুমি অনন্ত ঈশ্বর আমার বুকে
আর আমি চিরন্তন তোমার মন্দিরে।

সত্যি যদি

সত্যি যদি
........... ঋষি
========================================
সত্যি যদি কিছু থাকে
হাসি লুফতে লুফতে বিছানার চাদর মাখছিস তুই।
আদিম প্রবণতায় জানলা খুলছে কেউ লোভে
আসলে স্বীকৃতি চাইছে আলো।
এগিয়ে যাওয়া মানেই তো জীবন
ঝড়,ঝন্ঝাট,বাড়ি ফেরা ভেজা পথঘাট
কিছুক্ষণের নাম বেঁচে থাকা।

বাড়ি ফিরছে বত্রিশ পাটি সাজিয়ে
ঘুনে কাটা সেরেমিন্ট ঠেকানো হৃদয়ের ঘরে।
একটু সমীকরণের মত
তিন বাহু দিয়ে ঘিরে রাখার চেষ্টা করছে সময়।
সেন্টিমেন্ট বিছানো সিমেন্টের বিছানায়
আজকাল গা ব্যাথা করে।
উঠে আসে সময় আপদকালীন পাগলা ঘন্টি মস্তিষ্কের খামে
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে নিজেকে সাজিয়ে ফেলি ফুলশয্যার খাটে।
ক্যামেরা চলছে প্রতি রাতে,,,,,,,, আমার সাথে
হৃদয়ের স্ক্রিনে বিছানার চাদর তুই।

সত্যি যদি কিছু থাকে
তবে আজ আর বৃষ্টি হত না সারাদিন।
আদিম প্রবণতায় চারদেওয়ালের কবিতায় তোকে ছুঁয়ে অপেক্ষা
একটি কান্নাকাটি বোধ হয়।
আসলে স্বীকৃতি চাইছে সময় ইচ্ছেমত নিজের করে
অথচ এগিয়ে চলা ঝড় ঝন্ঝাট মাঝ রাতে
তোর বিছানার চাদরে হাঁটছে কেউ।

Friday, July 24, 2015

পাথুরে অনুভূতি

পাথুরে অনুভূতি
............. ঋষি
===========================================
নিরুত্তর ছিলাম তোমার কাছে
আর কতদিন নিরুত্তর থাকবো আমি জানি না।
প্রাচীন বাকলের গায়ে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুভূতি
অনুভুতিদের গাছ পাথরে বাড়তে থাকা বিষন্নতা।
বুকের উপর উঠে আসে কোনো ট্রাম
ধীর গতিতে নিজ তালে সময়ের মতন।

সময়ের কাব্য লিখছি না কোনো
লিখছি তোমার কথা আমার বুকের পাথরে খোদাই করে।
লিখছি অসংখ্য সিম্ফনিতে বাজতে থাকা জল তরঙ্গের শব্দ
জানি জল তরঙ্গ পুরনো হয়ে গেছে
তবু সেই মিঠি তালে লেগে আছে অদ্ভূত ভালো লাগা।

আমার ভালো থাকার সমস্তটা তোমায় জুড়ে
বয়সের ইট পাথরে জন্মানো অজস্র প্রহসনগুলো যেগুলো বর্ধিত।
তাদের দিকে তাকিয়ে দেখার সময় আমার নেই
যারা আছে তারা থাকুক সাথে
যে নেই সে আসুক জীবনে বেঁচে থাকার মতন।

নিরুত্তর ছিলাম তোমার কাছে
উত্তর দেওয়ার কিছু ছিল না যখন তুমি কাছে টানলে আমায়।
প্রাচীন বাকলের কোথাও বেয়ে নামছিল স্নেহগুলো
আচ্ছা আমি কি পাথর হয়ে গেছি নিরুত্তর।
আচ্ছা আমি কি মরে গেছি জীবিত বাসনায়
নাকি এ স্বপ্ন আমার হৃদয় জুড়ে। 

আবারও কবিতায়

আবারও কবিতায়
.................... ঋষি
=============================================
বিকেল পাঁচটায় তোমার ফিরে আসার কথা ছিল
বারংবার সময়ের কাঁটায় আটকানো চোখ।
সদ্য জন্ম নেওয়া ফেরারী দ্বীপের চোখে এক অপেক্ষা
উনসত্তরে রাখা বিমূর্ত মূর্তিটা কবিতার সেল্ফে।
তোমার তো আমার হওয়ার কথা ছিল
তবে আজ এই বিকেল পাঁচটা থাকতো না।

জীবন যেমন সোনালী আলোয় মাখা একটা কবিতার মতন
যেখানে অন্ধকার ,আলো সবমিশিয়ে জমজমাট নাটক।
অন্তস্থ হামালদিস্তায় নাটকগুলো গুড়ো করে যা দাঁড়ালো
সেটা গিলে নিলে ,তুমি ভালো থাকবে।
নাহলে প্রাচীন অপেক্ষা লেগে যাবে সময়ের চোখে
গুড়োগুড়ো চাহিদা নেমে আসবে চোখের পাতায় নোনতা জলে।
ভেসে যাবে সময় ,ভেসে যাবে জীবন
অপেক্ষা এর নাম।
অনবরত অবিরত হৃদয়ের দরজায় তোমার পদশব্দ
আমার প্রেমে।

বিকেল পাঁচটায় তোমার ফিরে আসার কথা ছিল
ঘড়ির কাঁটায় লেগে আছে বিষন্নতা কাটতে থাকা মুহুর্তদের।
সদ্য জন্ম নেওয়া  আমার এই কবিতার শব্দগুলো
আমার  রক্তের ফোঁটা তোমার অপেক্ষায়।
আবার ঝড় ,বৃষ্টি ,,মেঘ ,,তুমুল সুনামি আমার কবিতায়
আবারও ডুবে যাচ্ছে সদ্যজাত ফেরারী দ্বীপ। 

কবিতার নারী

কবিতার নারী
............... ঋষি
==================================================
এমন ত হতে পারে  তোমাকে পাবো বলে
আমি হেঁটে যাব কোনো কাগজের রাস্তা দিয়ে।
রাস্তার উপর সারি দিয়ে সাজানো থাকবে অসংখ্য কলমের আঁচড়
আশে পাশে পরে থাকবে ডাস্টবিনে কোঁচানো কাগজ।
আর নীল ,কালো বিভিন্ন কালিতে লেখা হবে দৈনন্দিন
আমার কবিতারা তোমার মতন সময়ের প্রেমিকা হবে।

এমন তো হতেই পারে
চারিদিকে সব দার্শনিক ,কবিরা তোমার ধ্যানে বসবে।
সকলে তোমার স্তব করবে সময়ের ভ্রুকুটিতে
আকাশ থেকে দুর্বলতার মতন নামতে  থাকবে বৃষ্টি।
সারা আকাশ জুড়ে তোমার মুখ
তুমি দেবীর মতন আকাশ পথে নেমে আসবে নীল স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে।
সোজা এসে দাঁড়াবে কবিতার আঙ্গিনায়
তোমার হাতে কেউ তুলে দেবে কলম, কেউ তুলে দেবে কালি।
তোমার সারা শরীরে জড়ানো থাকবে কবিতা
তুমি তখন কবিতার নারী হবে।
হেঁটে যাবে কবিতার রাস্তা দিয়ে আমার হাত ধরে
তোমার কবিতায় জন্ম নেবে  সময়ের গোলাপ।
সারা পৃথিবী জুড়ে শুধু গোলাপের সুবাস
আর পৃথিবীটা শুধু কবিতার হবে।


এমন ত হতেই পারে তোমাকে পাবো বলে
আমি হেঁটে যাবো কোনো নতুন বইয়ের গন্ধের মতন তোমার কাছে।
তুমি পাতা উল্টোবে ,গভীর চোখে কবিতার পাতায়
পাতায় পাতায় নিজেকে দেখে তুমি কেঁদে উঠবে আপন মনে।
কালির আঁচড়গুলো সব  তোমার  দুঃখ হবে
আর তুমি হবে কবিতা আমার সাদা পাতায়। 

নীরবতার নিস্চিহ্নতা

নীরবতার নিস্চিহ্নতা
................ ঋষি
===================================================
মনে হচ্ছে বহুদিন কবিতা লেখা হয় নি
আমার কফি কাপে লোনলি তেতো জমা পরে আছে।
সামনের টেবিলে একঘেয়ে ল্যাম্প পোস্টটা হেলে আছে
হেলে আছে বইগুলো পুরনো প্রেমিকার মতন।
একে অপরের গা ঘেঁষে উঠে আসছে
নীরবতার নিস্চিহ্নতা।

সামনে খোলা জানলার পর্দায় লেগে যাচ্ছে অন্ধকার বিকেল
হাওয়ায় উড়ছে পর্দা
ঠিক যেমন হাওয়ায় উড়তে থেকে ফানুসের স্বপ্ন।
মেঘ বরাবর চোখ গেঁথে জানলার পুরনো রেলিং বেয়ে পিঁপড়েরা
একঘেয়ে হেঁটে চলেছে সারি দিয়ে ।
বাইরে বৃষ্টির সময় ,তাল তাল মেঘ আকাশের গায়ে
আসলে আমি কবিতা লিখি নি যতদিন
ঠিক ততদিন আমি বৃষ্টিতে ভিজিনি।
আমার মতন ,আমার কবিতারাও আজকাল উপসি
ঠিক যেমন প্রেম  খোলা বুকে হেঁটে যাওয়া কবিতার স্তবক।
মনে হয় আমি আজকাল একটু আয়েশি হয়ে গেছি
যেন তুমি বসে আছো আমার চোখের পাতায়।

মনে হচ্ছে বহুদিন কবিতা লিখি নি
আমার জানলার বাইরে দৃশ্যগুলো ক্রমশ বদলাচ্ছে।
সামনের টেবিলে আমি বসে আসছি জানলায় চোখ
হেলে থাকা বইগুলো আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে।
ঠিক যেমন প্রেম আমার চোখের তারায়
আজকাল অন্ধকার আকাশ।
.

Wednesday, July 22, 2015

শান্তি ,শান্তি ,শান্তি

শান্তি ,শান্তি ,শান্তি
............... ঋষি
=============================================
কোনো হাসি চিরস্থায়ী হয় না
কোনো হাসি চিরদিন জীবিত থাকে না।
সকলেই ঘুমিয়ে পরে সময়ের সাথে
সবাইকে চলে যেতে হয় সময়ের কাঁটায়।
জীবনের পাতায়
শুকনো কিছু সময়ের পাতা আর ঘুম।

এই ভাবে তো একদিন বুদ্ধের  মুখে শোনা গেছিল শান্তির বাণী
নির্ভেজাল জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য শান্তি।
বেঁচে থাকার নিয়তি যতোই এবরোখেবড়ো পাথরের দেওয়াল
কিংবা সার দিয়ে পরে থাকা অস্তিত্বের মৃতদেহ।
আসলে কেউ মরতে চাই না আমরা
একটু জীবিত থাকার বাসনা শান্তির বিছানায় শুয়ে
কোনো কাল্পনিক উড়োযানে ছেঁড়া পাতা।
ঈশ্বরের বাণী আকাশ থেকে নিচে
কুচো ,কুচো  সাদা কাগজের টুকরো
শান্তি নামক উপলব্ধি  জীবনের।

কোনো সময় স্থির থাকে না
কোনো সময়ের উপলব্ধি ক্লান্তিদায়ক হয়তো।
সকলে ঘুমিয়ে পরে বালিশ আঁকড়ে ধরে
আশায় একটা আলোর দিন ,একটু শান্তি।
বুদ্ধের বাণী
শান্তি ,শান্তি ,শান্তি প্রশস্ত পাথুরে সময়ে।  .

চলন্তিকা ও সময়

চলন্তিকা ও সময়
.............. ঋষি
============================================
কতটা সময় সেলাই হলো জানি না চলন্তিকা
টেবিলের ড্রয়ারে রাখা একটা কাঁচা হাতের চিঠি।
বয়স কেটে গেছে চামড়ার কাঁচে
আর কাঁচের গুড়োগুলো আমার অস্তিত্ব।
হাজারো বছরের মেঘলা সময়ের পর
এখনো প্রতীক্ষা একটা ফর্সা দিনের।

চলন্তিকা চিঠিতে  লেখা আছে
সময় অবিনশ্বর।
জানি এই মাত্র ছুটে আসবে প্রশ্নের মিসাইল আমার দিকে
সত্যি কি অবিনশ্বর নয়।
চেতনার ডায়রিতে ,কোঁচকানো ভিজে মিস্টট্রিতে
কাঁচা হাতের চিঠিতে ,অনিদ্রায়  থাকা স্মৃতিতে।
কিছুই কি মনে পরে না তোমার
ফেলে আসা সময়ের বৃষ্টিতে ভেজা সেই মেটে গন্ধটা।
কিংবা ঘুম না আসা সকালের নিকোটিনের স্বাদটা
যেটা বদলে গেছে চকোলেট গোলকে।

কতটা সময় সেলাই হলো জানি না
পায়ের তলায় আটকানো মাটিতে ডুবে যাওয়ার ভিড়।
একটা আতঙ্ক থেকে যায় চলন্তিকা
নির্বাক সময়ের খোলা দরজায় লাগা সময়ের চামড়ায়।
একটা পোড়া দাগ থেকে যায়
অনিদ্রার যন্ত্রণার মত একাকী সঙ্গমে। 

জোনাকির সুখ

জোনাকির সুখ
............... ঋষি
=============================================
নিশ্বাস বন্ধ করে জোনাকিরা  ঘুরছে
আমি দেখছি ,চেয়ে আছি দূরে আরো দূরে।
চাঁদের বুড়ির গায়ে কলঙ্ক  লাগে না
লেগে থাকে অন্যমনস্কতা।
চাঁদের আলোয় জোনাকিদের  সুখ
বেঁচে থাকা নিঝন্ঝাট জীবনে।

সত্যি কি তাই
তোর  পায়ের ডিমে লেগে থাকা হলুদ কুসুম।
ভিখিরীর  থালায় ছোটো  ফুটো
গড়িয়ে পরছে অভিমান বারংবার করাইয়ের  তেলে।
পেঁয়াজ  ,লঙ্কা কুচিয়ে  ,একটু নুন ,এক ফোঁটা  জল
মাত্র এক ফোঁটা জল।
ছ্যাত তেলের  ছিটে  গায়ে
ডিম থেকে ওমলেট  আকাশের চাঁদ কলঙ্কিত পোড়া দাগ।
কালো কালো  ছায়া
নিশ্বাস বন্ধ  জোনাকিরা।

নিশ্বাস বন্ধ  জোনাকিরা
দেখতে চেয়েছিল তোর  চোখের রেটিনার  মাপটা।
ঠিক কতটা ,কতটা দূরত্ব
কিলোমিটার ,মিলিমিটার ,মাইক্রোমিটার না আরো ছোটো
অতোশকাঁচে লেগে থাকা ভিজে আদ্রতা
নিঝন্ঝাট জীবনে জোনাকির সুখ 

Tuesday, July 21, 2015

সতীত্বের প্রশ্ন

সতীত্বের প্রশ্ন
................ ঋষি
===========================================
জন্ম তোর কোনো  কবির অলংকার
নির্ভেজাল সতীত্বের প্রহসনে।
উঠে আসে প্রশ্ন চিন্হ সকলের মনে
নারী তুই সার্বিক ,না তুই স্বাবাভিক জন্মান্তরে।
জন্মানো যোনির আদুল হাওয়া
তোকে তো প্রহসন বলা যায় না।

আরেকটু গভীরে যাওয়া যাক
আদিম পুরুষ ,যথাযথ হোক তোর লজ্জার উত্তরগুলো।
আদিম গুহার লোভে তুই হতে পারিস পিতা
কিংবা কোনো প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের উদাহরণে পুরুষ।
যতই হোক না পুরুষ সর্বত্র
যতই হোক না পৌরুষ সমাজ।
কিন্তু পুরুষ তুমি কোথাও ভীষণ ভাবে হেরে গেছো
তুমি জন্ম দিতে পারবে না পরম্পরা।
তোমাকে হতেই হবে যোনিজ
তুমিও স্বার্থক যদি নারীকে গ্রহণ করো হৃদয়ের পৌরুষে।

জন্ম তোর নারী শারীরিক কোমলতায় মহিষমর্দিনী রূপে
হাজারো জন্ম প্রাচীন ধ্যানে তুই অন্তস্বত্বা।
তোর সর্বত্র প্রবাহিত হোক স্নেহ ,মায়া ,কোমলতা
তুই হয়ে ওঠ দুষ্টু দামিনী ,সুষ্ঠ মাতা।
মাতৃত্ব তোর হাতিয়ার , তোর অলংকার
সতীত্বের প্রশ্ন এখানে পৌরুষের পরাজয় ও মাতৃত্বের লজ্জা । 

তখনও বৃষ্টি হচ্ছে

তখনও  বৃষ্টি হচ্ছে
................ ঋষি
==============================================
পায়ে আটকানো কাঁটাটা তুলে ফেল্লাম
খুলে ফেল্লাম তোর শরীরে বর্মগুলো।
নিতম্ব ছাড়িয়ে আকাশ ঢাকা মেঘের মতন কালো নদী
একটা দস্যি চোখ আমার বুকের ভিতর।
চোখের কাজলে লোকানো আমার দুঃখ
এই মাত্র বৃষ্টি হয়ে গেছে।

আলোথালু তোর শরীরের কাপড়গুলো একসাথে জড়োসড়
ছড়ানো ,ছেটানো বিছানার চাদরে জ্যান্ত মাদকতা।
জানলার বাইরে তুমুল পৃথিবী
আর চারদেওয়ালে গড়িয়ে নামছে লালাগুলো তোকে জুড়ে।
অদ্ভূত নিসঙ্গতা আমার বুকের মাঝে
মাথার ভিতর চোখ বন্ধ নিস্তব্ধতা।
চারিদিকে বৃষ্টি হচ্ছে ,জল জমছে বুকের ফুসফুসে
আরেকটু ,আরেকটু তারপর সব শান্ত ,
তুই আমার শরীরে মিশে।

পায়ে আটকানো দুর্বলতাকে ঘেটে ফেল্লাম
এক এক করে খসে পড়ল তোর লজ্জা ,তোর কোমলতা।
জমা হওয়া শুকনো ঘাস পাতা পেরিয়ে আমি নিচে নামলাম
আরো নিচে ,তোর হাত ধরে।
চুপচাপ একটা শুকনো নদী ,গভীর নোঙ্গর এক ডিঙ্গি নৌকো
তখনও  বৃষ্টি হচ্ছে তুমুল।

নীরবতা কাম্য

নীরবতা কাম্য
.................... ঋষি
===============================================
নীরবতা কাম্য
তবু আমি সুযোগ নিতে পারলাম না।
চোখ কাঁচের হতে হতে
কাঁচের ভিতর ,স্বচ্ছ জলের ভিতর।
পাথরের চোখ
আমি জানো পাথর ভাঙ্গতে পারলাম না
পারলাম না কাঁচের চোখ লাগাতে।

তবু কেন জানি ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছা
থাকছে চিরকাল।
যেমন ধুকপুক ছুঁয়ে তোমার নামটা চিরকাল আবহাওয়ার মত
স্থির নয় ,অস্থির মনের ভাবনায়।
শূন্যতা
ঈশ্বরের চোখ।
জানি সূর্য কখনই বলে নি তার আগুনে সৃষ্টি চঞ্চল
তেমনি তোমার আগুন।
আমি পুড়ে ছাই,তোমার গলিত লাভাগুলো ক্রমশ
ঠোঁট বেয়ে ,আত্মা বেয়ে ,আমাতে বিলীন।

নীরবতা কাম্য
শান্ত চোখে দেখা সবুজ পৃথিবীর দিকে যার অধিকাংশ নীল।
জলের কোনো রং হয় না
স্বচ্ছ জলের আয়নায় ধরা পরা তোমার মুখ।
কেঁপে ওঠে প্রতি কম্পনে বারংবার
ছোটো ছোটো ঢেউ কোথাও স্থির
কোথাও বড় অস্থির। 

মানুষের ভাবনায়

মানুষের ভাবনায়
.................. ঋষি
======================================================
নিজের দেশ ছাড়ার আগে
নিজের স্বত্বা ,ঘর ,বাড়ি ,সম্পর্ক ছাড়ার আগে
সে জানতো না তাকেও চলে যেতে হবে।
এই সমস্ত দেশ ,সমস্ত বিশ্ব ,সমস্ত মানচিত্র ছেড়ে
অন্য কোথাও ,অন্য দেশে।

মানুষ  এমন ভাবছিল
আজকাল তো ঈশ্বরও স্বর্গচ্যুত ক্রমশ সময়ের পরশে।
 ঈশ্বর হেঁটে যাচ্ছেন বিরক্তি নিয়ে ভাগাড়ের উপর দিয়ে
নিজস্ব পোশাকগুলো তুলে হাঁটছেন পথে।
আর পথের পাশে পরে আছে গলা পচা মৃতদেহ ,মানুষ ,জীবন ,জানোয়ার
সর্বত্র থেকে উঠছে হাহাকার ,কান্না ,যন্ত্রণা।
তাদের পায়ে লেগে যাচ্ছে ক্রমশ
মহাকালের কান্না আর অস্তিত্বের বমি।

মৃত মানুষের ,অন্ধকার অস্তিত্বের গুনটি করছেন ঈশ্বর
মানুষ ভাবছে ,পৃথিবীর জন্মের ইতিহাস।
প্রথন প্রাণ ,প্রথম কোষ ,প্রথম সঙ্গম ,প্রথম জন্ম
প্রথম আগুন ,প্রথম খিদে ,প্রথম মৃত্যু ,প্রথমবার।
যাকিছু প্রথম তাদের সুস্বাগতম
অথচ মৃত মানুষের বুকের চড়ায় ঈশ্বরের পা।
চোরাবালি ,ঈশ্বর ডুবে যাচ্ছেন
ঠিক যেমন মানুষ মৃত্যুমুখী।

নিজের দেশ ছেড়ে পরিচয়পত্রের দুপাশে খুঁজছেন ঈশ্বর
সঠিক ঠিকানা ,সঠিক স্থান ,সঠিক হৃদয়।
ঈশ্বর কনফিউসড কোথায় থাকবেন
মন্দির ,মসজিদ ,গির্জা ,গুরুদ্বার কিংবা মৃত্যুতে
সঠিক পরিচয় খুঁজছেন ঈশ্বর মানুষের হৃদয়ে।

Sunday, July 19, 2015

অসুখের দিনে

অসুখের দিনে
............. ঋষি
=============================================

ফেলে আসা অসুখগুলো
দেওয়ালে প্লাইবোর্ডের নেমপ্লেটে ঝোলানো।
ছড়ানো ছেটানো শিশি বোতল
বিছানার উপর আমি।
এক নজরে চেয়ে দেখি আমার আমিকে
ঈশ্বরের দিকে চোখ ,ঈশ্বর বোধ।

কল্পনার স্ট্রেচারে চড়ে মেঘের দেশে
রুম নম্বর বদল ,বদল নেমপ্লেট ,বদল পরিসংখ্যানে যাবতীয় চাহিদা।
হসপিটালের ভিসিটার্স খাতায় আমার নাম
হসপিটালের মেল বেডে আমি।
সবুজ কাপড়ের আড়ালে আমাকে নগ্ন দেখছেন ডাক্তাররা
কি হয়েছে আপনার ,বেশ তো সুস্থ।
আমি বলছি বারংবার
আমি সুস্থ নই ,আমি সুস্থ নই।
আমার দেওয়াল ভেঙ্গে দেখুন ভিত নড়ে গেছে
দাঁত নড়ে গেছে ,হজম হচ্ছে না আজকাল বদহজম।
নীল স্বপ্নের ঘোড়ায় চড়ি যখন তখন
,ঘুম ভেঙ্গে যায়।

বাইরে  ওয়েটিং রুমে কেউ আমার মতন বসে
কপালে ভাঁজ ,দিন গুনছে নিজের স্বআত্মার সুস্থতার।
এই মাত্র ওটির সবুজ আলো জ্বললো ,অপেক্ষা চলছে
সুস্থ হবার ,সুস্থ থাকার ,সুস্থ বাঁচার।
ওটির বাইরে ভিতরে আমি রোগগ্রস্থ
একই রকম ,একই সময় ,একই জায়গায়। 

মেরে পাস মা হ্যা

মেরে পাস মা হ্যা
.............. ঋষি
============================================
যে ভাবে তৈরী হয় ইঁট লাল রঙে
সেখানে মাটি থাকে।
দেওয়াল গেঁথে পারদে পারদে মাটি জমতে থাকে
সবটাই আমার একসাথে।
আমার মাটি
এর নাম স্বাধীনতা।

সরল মানে বলে ইতিহাস
ভাগ বাটরার পরে যা থাকে তাকে টুকরো বলো।
টুকরো কর অস্তিত্ব ,মাটির ঘর
মায়ে বুকের মাঝখানদিয়ে চিরে ফেলো মানুষের আমিত্ব।
স্বজাতীয় বিভাজন
না তলোয়ারে ভয়।
না কি ভাষা
না কি ধর্ম।
না কি ভিন্নতা
নকশা করে নিজের মতন দেশ তৈরী করো।
এপার আর অপার দুপারেই আমি
আমার দেশ ,আমার মা।

ইঁট গাঁথো ,ইঁটের পর ইঁট
নিজেকে ভাঙো টুকরো টুকরো কর হারাধনের ছেলেদের মতন।
দেয়াল গেঁথে দেশ তৈরী কর
নাম দেও বিভাজন ,স্বাধীনতা।
কিন্তু মা ,সেই অমিতাভ বচ্চনের সিনেমার ডায়লোগ
মেরে পাস মা হ্যা ,রক্তাক্ত ,বিভাজিত। 

আলেকজেন্ডার তোমার নাম


আলেকজেন্ডার তোমার নাম
................ ঋষি
==============================================

অস্থিরতা বেঁধে দেয় চোখে পাতায় 
তোমার জামাকাপড়ের ফাঁকে কত চোখ লুকিয়ে পরে। 
নিজের মতন 
তোমার নাম আলেকজেন্ডার। 

জলে পা দিয়ে ভিজিয়ে দেয়
অস্থির মনের ভিতরে উপসি পা। 
স্মৃতির নাম দুঃখ ,তোমার নাম আনন্দ 
কোনরকম অস্থিরতা ছাড়া চোখ বেয়ে শরীরে স্পন্দন। 
আলেকজেন্ডার চলেছে বিশ্ব জয়ে 
তার আগে পরে উপচে পরছে জীবন রক্তাক্ত মাটি। 
অথচ তোর চোখে লেগে শান্তি 
আমার ভিতর। 

কলমের নিবে ছুঁয়ে যায় তোমার জমানো লজ্জা 
তোমার জমানো স্তব্ধতা।  
অন্ধকার শহরের মুখে আদরের ঢাল 
যেখানে আমি নেই অথচ ছুঁয়ে। 

Saturday, July 18, 2015

ভয় করে

ভয় করে
................ঋষি
================================================
ভয় বলে ডাকলেই
বুকের প্রেসার কুকারে হুইসেল বাজতে থাকে।
ঠিক যেন মনের কুসংস্কার
রাম নাম সত্য হ্যায় ধ্বনি দিতে দিতে পাশ দিয়ে চলে যায় স্মৃতিরা।
ভয় করে
ঠিক তখন বুকের ক্যারাম বোর্ডে একটার পর একটা গুটি গর্তে।
উঁকি মারে, বোর্ড কমপ্লিট
গো হারা হেরে  যাওয়া।

আনুগত্য হারিয়ে কফিন চড়ে বসে মস্তিষ্ক নিউরনের ভিতর
অমরত্ব চায় জীবিত বাহানার অন্তরিত তত্বগুলো।
একটা বিদ্যুত প্রবাহ বয়ে যায় শরীর বেঁয়ে মেরুদন্ডে
সমস্ত লোম খাড়া।
ঠিক কোনো বন্য বেড়ালে দেওয়ালে পিঠ
খিলখিল করে অট্টহাসি করে বুকের সুইসাইড নোট।
মৃত্যুর আগে ঘুমের ঘরে
ভয় চেপে ধরে।

ভয় বলে ডাকলেই
ভাঙ্গাচোরা আয়নার কাঁচগুলো ছড়িয়ে পরে হৃদয়ের মেঝেতে।
ইতিউতি উঁকি মারে অজস্র সম্পদ ,ছড়ানো মায়া
ঠিক নিজের জীবিত উপেক্ষার মনিকোঠায় লোকানো নিজেকে।
টুকরো টুকরো  খুঁজে পাওয়া যায়
ভাঙ্গাচোরা আয়নার কাঁচে।
নিত্য ঘুমের ভিতর বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরে আশ্রয় চাই
গলা টিপে ধরে দুর্বলতা ,ভয় করে। 

Friday, July 17, 2015

কথা রাখো নি

কথা রাখো নি
................ ঋষি
===========================================================
স্যানরিটা তুমি বলতে আমি তোমাকে ভীষণ জ্বালাই
আজকাল কয়লার আগুনে আঁচ লেগে থাকে।
তুমি পুড়তে থাকো
অথচ তুমি জানো আর আমি তোমাকে জ্বালাই না।
তোমার ব্রেকফাস্ট টেবিলের একপাশে আমার কফি কাপটা আজও আছে আমি জানি
আজ সময় স্কুলে চলে যায় সবুজৃ  বরফ  পেরিয়ে
অথচ আজও বিকেলগুলো ভীষণ ফাঁকা তোমায় ছাড়া।

একপা দুপা করে স্যানরিটা
ঠিক সময় চলে যাবে।
আমার বাড়ানো হাতে ফাঁকা দস্তানায় বরফ গুড়োগুলো
তোমাকে ভিজিয়ে যাবে।
অথচ জানো স্যানরিটা সেই মৃত্যুর দরজায় দাঁড়িয়ে
আমি জানি তুমি অপেক্ষা করবে।
হয়তোবা কোনো মমির ভিতর তুমি আমার কবিতাগুলো জড়াবে
যেমন আজও আমি তোমায় জড়িয়ে রাখি চাদরের মতন।
তুমি ঘুমিয়ে পর
আমি কবিতা লিখি তোমাকে ভেবে পাতায় পাতায়।
তুমি বলেছিলে আমার কবিতারা বড় নগ্ন
অথচ স্যানরিটা তুমি জানো নগ্নতা যে বরফের মতন পবিত্র।

জানো স্যানরিটা তোমার শেয়ার করা গানটা আজকাল ইউটিউবে আমি প্রায় শুনি
প্রায় আমি হারিয়ে যায় সেই পরীর সাথে।
তোমার চৌরা বুকে মাংসের আড়ালে লোকানো স্তব্ধতাগুলি আমি শুনতে পাই
শুনতে পাই তোমার  শেষ কথাগুলো।
তোমাকে বলেছিলাম স্যানরিটা আর মনে করবো না তোমায়
লিখবো না তোমায় নিয়ে কোনো কবিতা
কথা রাখতে পারলাম না ,তুমিও কথা রাখো নি স্যানরিটা। 

ঈশ্বরের কান্না


ঈশ্বরের কান্না 
................... ঋষি
============================================

নগ্নতা শরীরের কবরে শুয়ে আছে সারাক্ষণ 
ঘুম ভাঙবে কবে তোর,
কান্না সে যে নগ্নতারি নামান্তর। 
পৃথিবীর শেষ মাটিতে 
যেখানে পবিত্র তোর নির্বাসন জেরুজালেমের ধুলি। 
সেখানে কান্নার মত রক্তে ফোঁটা
ঠিক যিশুর পা। 

প্রত্যাশার একটা খালি সীটে একবার বসতে চেয়েছিলাম 
সংরক্ষণ। 
ঘুম ভেঙ্গে গেছে কবে 
যেদিন রক্তের পথে  হেঁটে চলেন ঈশ্বর নির্বিকার ক্রুশ কাঁধে। 
সামনে তাকিয়ে দেখি কান্না 
সকলে কাঁদছেন। 
ঈশ্বর চুপিচুপি বলেন কানে কানে 
মৃত্যুর পরেও ফিরে আসা যায় জীবনে।
প্লিস কান্না না 
একমুঠো ভিক্ষা তোমাদের কাছে মানুষ 
তোমরা আরো উদার হও। 

মানুষ জানে না ইতিহাস মানুষের সাথে নেই 
মানুষের ঘুম ভাঙ্গা মেরুদন্ডের ইতিহাসটা শিলা লিপিতে লেখা। 
আগুন থেকে জীবন ,জীবন থেকে মাংস, তারপর রক্ত 
কান্না ,কান্না,কান্না সবটাই হেরে যাওয়া। 
আর হারতে মানুষ চায় না ,হারতে কেউ চাই না 
তবে তুই কেন 
তবে তুই কেন অবিরত হেরে চলিস ঈশ্বর বিশ্বাসে। 

মৃত্যুর সাথে সময়

মৃত্যুর সাথে সময়
.................... ঋষি.

============================================
মানুষ মরছে বোধ হয় গোলকের জন্ম থেকে
মানুষের মরে যাওয়াটা রীতি  .
তারপর  পরিবর্তনে, প্রত্যাবর্তনে মানুষ কাঁদছে অহরহ
সেই জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে শুরু করে প্রত্যহ।
শুধু কোথায় যেন একটা বিষন্নতা
প্রত্যেকটা মৃত্যু কোথাও সাময়িক শূন্যতা তৈরী করে
ঠিক ব্লাডারের ভালভের মত হৃদপিন্ডে।

একটা ভাষা তৈরী করছে মানুষের পীঠস্থান
নরকের দরজায় দাঁড়িয়ে প্রত্যহ মৃত্যুমুখী সময়ের দর্পনে।
মানুষের মুখ
সঙ্গী একাকী বিছানার চাদরে খুঁজে পাওয়া নিজেকে,
এই অসহয়টা মৃত্যুর থেকে সাংঘাতিক।
মানুষ কাঁদছে
মানুষকে কাঁদছে সময়ের মুখ।
আর মৃত্যু সার্বিক শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়া শেষ বার্তা
শেষ কথোপকথন
শেষ দূরত্ব।

সম্পূর্ণ বিকলাঙ্গ করে সময়কে পেন্ডুলামে একলা রেখে
মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে ঘড়ির কাঁটা।
টিক টিক ,টিক টিক ,টিক টিক ,,,,,,,,,,,,, তিন সত্যি
তারপর কুসংস্কারের নাম ধর্মের ব্যাখ্যান।
আমি প্রশ্ন করি সময়কে
মানুষ কাঁদছে কেন ,চোখের নোনা জলে রক্তের স্বাদ
আর তার থেকে মৃত্যু ভালো দৈনন্দিন মরার থেকে।

নো প্রবলেম

নো প্রবলেম
....................... ঋষি
===========================================
আমি কে বলছি ,কেন বলছি
সেগুলো যদি সরিয়ে রাখো তুমি ,তবে পাওবারো।
সবচয়ে ভালো যদি এই তুমি শব্দটার উপর কাঁচি চালানো যায়
নিদেন পক্ষে একটা ব্লেড।
বৈজ্ঞানিক টানাপড়েনে জৈবিক সভ্যতার চাহিদায়  
একটা ছুঁচ দিয়ে সেলাই করে নেবো তোমাকে আমার সাথে।

নো প্রবলেম
প্রবলেমস আর অলওয়েস ভয়েস অফ সিসটেমেটিক ব্রেইন।
কথাটা খুব সত্যি
আলোর পিঠের সওয়ার হয়ে ছুটতে থাকাটা একটা অন্য পৃথিবী।
কোনো কনফিউসনের  সাথে সন্ধি নয়
জাস্ট রিচ ইট ,ইফ ইউ ওয়াশ এনাফ টু টেক ইট লাইভলি।
ঠিক এমন ভাবে তোমার খোলা বুকে ছুঁয়ে যায় জাগরণ
উত্তরণ প্রাসাদিক তকমা লাগানো বিলাসব্যাসন।
সব ছেড়ে দিয়ে মাটির পৃথিবীতে তোমার সাথে
শুধু তুমি শব্দটায় আমার অরুচি
আর তোমাকে সেলাই করে রাখার লোভ আমার হৃদয়ে।

আমি কে বলছি ,কেন বলছি
সেগুলোকে যদি সরিয়ে রাখো তুমি ,তবে পাওবারো।
গড়ানো খোঁপার আলোয় যদি এই তুমি শব্দটা বৈষয়িক হয়ে হয়
তার থেকে চালাও ব্লেড বুকের মাঝে।
ফ্যালা ফ্যালা জীবনের ইচ্ছায় কয়েকশো কাঁচির চিত্কার
প্রেম জীবিত অথচ  খোলা আকাশ কালসিটের মত।  

এক হাঁটু জল

এক হাঁটু জল
................... ঋষি
==============================================================
আজ একটা শহর কিনতে গেছিলাম
দেশ তো বিক্রি হচ্ছে অহরহ
রাজ্য নিয়ে দিদি দাদাদের ঝগড়া সেও চলছে ।
যাই হোক বাজারে একটা শহর তো পাওয়া যাবে
এই আশায় সোজা এই  শহরের বুকে
একটা শহরের জন্য।

ওমা কি মারাত্নক বৃষ্টি এক হাঁটু জল শহরের দরজায়
ঘরে ঢুকছে রোগ ,সাপ আরো কত জলজন্তু।
জন্তুরা নাকি বিদেশি ,তারা ব্যবসা করবে নতুন ভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে
নিজের দেশের কাপড় ছেড়ে একটু শরীর দেখানো কাপড়।
হাঁটুর ওপর উঠতে থাকা শহরের জলে
ডুবে যাচ্ছে মানুষে পা ,হাজারো রোগ ,নালা নর্দমা।

অন্যদিকে তাকিয়ে দেখি বিশাল বড় শপিং কমপ্লেক্স
বিশাল বড় বড় বিজ্ঞাপনি ব্যানারে ঝলসে ওঠে কোনো নগ্ন নারীর বুক।
বিশাল বিশাল বহুতলে বাস করা মানুষগুলো ১০০০ স্কয়ারফিটের জমিতে মগ্ন
একা একা আমি তুমি আর জীবন নিয়ে ব্যস্ত সবাই ভাবনায়।
সকলে নিজেকে বাঁচাতে চায় ,
কিন্তু শহর দেখছি একলা দাঁড়িয়ে কাঁদছে আপন মহিমায়।

আমি শহরের মাঝামাঝি একলা ভিজছি নিঃস্ব
আমি কি তবে এই শহরটা কিনতে চাই,,,,
দেশ ,রাজ্য শেষে এইটা কি তবে আমার শহর।
যাই হোক ইচ্ছাগুলো সব মরে ভূত শহর কেনার ভাবনার
সোজা বাড়ির দিকে পা বাড়াই
এক হাঁটু জল নিয়ে হাঁটতে থাকা শহরের বুকে।
   

Thursday, July 16, 2015

স্পর্ধাহীন শোভোনতা

স্পর্ধাহীন শোভোনতা
................. ঋষি
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////

অঢেল বলে যে শব্দটা আছে
তোকে মানায়  ভালো আকাশলীনা।
আকাশ পেরিয়ে  যে স্পেস আছে ,যতটুকু আছে
তাকে আগলে রাখার কার্পন্যকে কি বলবি।
জীবন যতটুকু হারানো মুহূর্ত
তাদের শোভোনতায় গোলকের গতি স্পর্ধাহীন।

আমি নিঃসংকোচে যদি বলি তোকে ভালোবাসি
আকাশ থেকে দু একটা তারা খসে পড়বে
তুই তখন ঘুমোচ্ছিস  ।
পাশ বালিশের বুকের সাথে মেশানো শরীরের গন্ধে
তুই তখন মাতোয়ারা খোলা আকাশে  এক ফালি চাঁদের মতন
জোত্স্না ছেটাচ্ছিস পাখির পালকে।
আর আমি এক পেগ পাতিয়ালায় নিজেকে দেখছি নেশার চোখে
বারংবার আমার মোড়কে  আকাশলীনা চেনা ছবি
চেনা প্রশ্রয়ে বেআব্রু মুহূর্ত।


অঢেল বলে যে শব্দটা আছে
তোকে মানায়  ভালো আকাশলীনা।
উপসংহারে রাখা তোর  দেরাজের ড্রয়ারে  চিঠিগুলো
আতরে ডোবানো নিঃসংশয় হতে পারিস।
হতে পারিস এক মুঠো সোহাগী আদর কবিতার মতন
আমার শিরায় শিরায় এক লহমায়।

বৃষ্টি ব্যাকুলতা

বৃষ্টি ব্যাকুলতা
,................. ঋষি
=================================================

বুকের পাঁজরে জোড়া বিকেলবেলা
কিছু কথা কবিতা হয়ে যায় ,কিছু কবিতা জীবিত।
এক কাপ কফি ,টুকরো টুকরো ধোঁয়া
সর্বত্র ছড়ানো অস্তিত্ব।
কিছু ছবি জীবিত হেঁটে যায় ,আর কিছু চুপিচুপি
ডার্করুমে ঝোলানো থেকে যায়।

সবুজ ঘাসে উপর আসন পাতা এক পবিত্র যন্ত্রণা
নেমে এলি  তুই ,ভিজিয়ে দিলি আমায়।
এক স্পর্শে সমুদ্র চলে যায় ,আছড়ে  পরে মাতাল ঢেউ
আমার কবিতার পাতায় শ্মশান মাপা দূরত্ব
ঢেউগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।

নীল আকাশে দেখি টুকরো টুকরো মেঘ সোহাগী আদর
বৃষ্টি নাকি চুঁয়ে  নাম সোনালী  বিকেল।
ঘুম ঘুম ভাব ,শুকনো ঠোঁটে ভিজে যাওয়ার আকুলতা
আমাকে ছুঁয়ে তোর আঁচলে লোকানো চুপিচুপি
বৃষ্টি ব্যাকুলতা।

বুকের পাঁজর খুলে দাঁড়ায় এসে  সময়
আমি ,তুমি মুখোমুখি হয়তোবা বছর কুড়ি পর।
বছর কুড়ি লাইনটা জীবনানন্দ  ভদ্রলোকের লিসে  নেওয়া
তাই  হয়তোবা  বছর তিরিশ পর কোঁকড়ানো চামড়া।
মিয়ে  পরা ইচ্ছাদের জীবনযাপন
নিশ্চিত আলোয় ঝোলানো ফ্রেমের গলায় মালা। 

প্রলাপ

প্রলাপ
.................. ঋষি
////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
আমার মনে হচ্ছে আমার কবিতারা চলে যাচ্ছে
যারা আসছে তারা কবিতা নয়
প্রলাপ।
আমার মনে হচ্ছে জীবনটা মরে যাচ্ছে
যেটুকু বেঁচে সেটা  জীবন নয়
সহবাস।

উল্টোদিকে আলোর ফুটপাথ দিয়ে একসাথে হাঁটছে ধর্মগুলো
হিন্দু ,মুসলিম ,খ্রিস্টান  ,আরো কত।
দেখতে পারছি আমি
কৃষ্ণ  বাঁশি বাজাচ্ছেন ,যীশু  ধর্ম দিচ্ছেন,আর আল্লাহ কোথাও ঈশ্বর  .
সবাই তো শান্তি  দিতে চায়
মানুষ তবু বুক থাপড়ায়  আসলে জন্মান্ধ।
আমি যে ধর্ম মানি না ,আমি যে ঈশ্বর মানি না ,মানুষকে বিশ্বাস  করি
দেখছি বুকের উপরে মানুষগুলো উঠে আসছে।
নেশায় নেশায় দু চোখ বোজা  ভিজে কবিতা
আমার কবিতারা চোখ বুজছে  দিবানিদ্রা মুটিয়ে যাবে যে
জোর করে চোখ খোলা তাই কবিতার।

আমার মনে হচ্ছে আমার কবিতারা কোথাও  কাঁদছে
শব্দগুলো গলার কাছে আটকানো যন্ত্রণা
প্রলাপ।
আমার মনে হচ্ছে জীবনটা হারিয়ে যাচ্ছে
যেটুকু আছে সবটুকু শুধু মিথ্যা
বাক্যালাপ। 

Wednesday, July 15, 2015

ঝগড়ুটি তোকে

ঝগড়ুটি তোকে
.............. ঋষি
-----------------------------------------------------------------
--------------------------------------------------------------------
ঝগড়া করবি একটু
তোকে মানায় ভালো মহিষমর্দিনী রূপে।
প্লিস তুই আবার ন্যারব্যারে বঙ্গ ললনা হয়ে যাস না
কপালকুন্ডলা রূপে তোকে মানায় ভালো।

সংসার আর সংসারের বাইরে একটা তরী
যার চারিদিকে আগুন।
আগুনের মাঝে তোকে কালিরূপে নো তোয়াক্কা প্রেমে
বেশ লাগে।
আমি বলি নি তোকে আকাশ দেখতে নেই
আমি বলি নি কখনো তোকে ঈশ্বর ভাবতে নেই ,
তবে হৃদয়ের কবিতায়
তোকে ঝগড়ুটি  দেখতে আমার বেশ লাগে।
সত্যি বলছি
বৃষ্টি ভেজা কাগজে কালি হারিয়ে যায় বারংবার
কিন্তু হাজারো বৃষ্টিতে তোকে কংক্রিট দেখতে বেশ লাগে।

ঝগড়া করবি একটু
তোকে মানায় ভালো বর্ষা হাতে ফরিঙের মত।
প্লিস তুই আবার নড়বড়ে সেই কুট্টুস মেয়ে হয়ে যাস না
তোকে এমন ভয়ংকর ভাবতে আমার বেশ লাগে।    

ঘুম পায়

ঘুম পায়
.............. ঋষি
=============================================
ঘুম পায় ,আজকাল ভীষণ ঘুম পায়
শুয়ে থাকি ওই বরফ ঘেরা সাদা পাউডারের দেশে।
যেখানে চারিপাশে শুধু স্বপ্ন
আর আমার বরফ কঠিন  অস্তিত্ব ভিজিয়ে যায়।
পাহাড়ি রৌদ্র ,একটু উষ্ণতার খোঁজে
সুখস্পর্শে কেটে যায় সময়।

কেউ বলেছিল ঘুমের কোনো দেশ হয় না
অথচ বিজ্ঞান শিখিয়ে দিয়েছে ঘুম মানে এনার্জি কন্সারভেসন।
অথচ আমি ভাবি ঘুম মানে স্বপ্ন যেটা মৃত্যুর প্রেমে
আর মৃত্যু স্বয়ং এগিয়ে আসা ভাবনাদের মত স্বাবাভিক।
ঘুমের মধ্যে নেমে আসে স্বয়ং যমরাজ
কিন্তু শান্তি।
সত্যি মৃত্যুর কোনো দেশ হয় না
অথচ ঘুমের হয়
শান্তি আর শান্তি।

ঘুম পায় ,আজকাল ভীষণ ঘুম পায়
শুয়ে থাকি কুচো কুচো বরফের নিচে শেরপাদের দেশে।
আমি  ভাবনাদের শীতলা ছুঁয়ে  মৃত্যু ধরতে চায়
আর আমার  বরফ কঠিন অস্তিত্ব ,যেটা অথচ মৃত।
পাহাড়ি রৌদ্রে ভিজে ,ভাবনা চড়তে থাকে
একটু শান্তি পাবে বলে। 

কষ্ট হচ্ছে

কষ্ট হচ্ছে
................ ঋষি
==================================================
কিছু একটা আটকে আসছে বুকের পাঁজরে
পাঁজর ঘেঁষা দেহাতি সুরে ফেলে আসার গান।
সময়ের মাথা খুঁড়ে
উঠে আসছে ক্রমশ কর্কশ হাত।
বুকের পাশ বালিশে হাত বোল্লাছি বারংবার
সোনাই তোমার কষ্ট হচ্ছে।

আমি কাঁদতে পারি না
আমি হাসতে চেয়েছি প্রাণ খুলে,
ঈশ্বরের শব্দে আমার বিশ্বাস ছিল না কোনদিন।
কিন্তু কখনই
বারংবার ঢাকনা চাপা দেওয়া প্রেসার কুকারে সেদ্ধ হতে চাই নি।
আসলে হারাতে সবার ভয় করে
আর পেয়ে হারানোটা নিশ্চিত বোকামি আমার কাছে।
সোনা তোমার রোগের পাশে কবর শুয়ে আছে
তোমার প্রতিটা কষ্ট আমার বুকের কবরে পাঁজর বন্দী।

কিছু একটা আটকে আছে গলার কাছে
পাঁজর ঘেঁষা দূরত্বের কান্নার শব্দ আমার চোখের পাথরে রক্ত।
সময়ের দরজায় দাঁড়িয়ে
আমি চিত্কার করছি দুহাত ছুঁড়ে আকাশের দিকে।
বুকের ভিতর আটকে থাকা আদরে নিস্তব্ধ আমি
সোনাই আমারও কষ্ট হচ্ছে।

বেরঙা খয়েরি বিকেল

বেরঙা রঙিন বিকেল
.............. ঋষি
==============================================

বেরঙা এক খয়েরি বিকেল শুয়ে ছিল বুকের ভিতর
প্রতিটা দেওয়ালে ঘরে ছিল ঘড়ির শব্দ।
টুং টাং সময় পেন্ডুলামে
তুই মুখ লুকিয়ে বসে ছিলিস আমার বুকের মাঝে।
ঘুম আসছিল না
কথারাও বন্ধ ছিল অন্য ঘরে।

ঘড়ির কাঁটা সরে যাচ্ছিল মুহূর্ত ধরে
তোর হাতের চকলেটে ছিল ভিজে ঠোঁট ,দ্রুত নিশ্বাস।
তুই মুখ তুললি তাকালি আমার দিকে
আমি চোখ বন্ধ।
আকাশ দেখছি ,বাতাস ভাবছি ,সময় ছিল না কোথাও
সে শুধু সরে যাচ্ছিল নিজের মত।
আর তুই আরো গভীরে আসছিলিস নিয়ম মত
সবটাই স্বাবাভিক ছিল।
তোর চোখের ভাষা ,তোর নরম আদর
শুধু সময়  সে যে থামছিল না।

বেরঙা এক খয়েরি বিকেল শুয়ে ছিল বুকের ভিতর
প্রতিটা দেওয়াল ঘড়িতে এক সঙ্গে সময় বললো।
আমার গল্প ফুরলো ,নোটে গাছটা মুরোলো
আমরা অদ্ভূত ভাবে চেয়ে আছি এখন একে অপরের  দিকে।
দুজনের চোখে লেগে ঘুমের ঘোর ইচ্ছার মত
অথচ সময় এখনো থামছে না। 

ম্যানিকুইন


ম্যানিকুইন
................... ঋষি 
=======================================================
ধু ধু প্রান্তরে ম্যানিকুইনগুলো সব সারি দিয়ে সাজানো 
নিজস্ব বর্ণের ভিতর ,
নিজস্বি সহজপাঠ খুলে একা হয়ে যাচ্ছি। 
বর্মের ভিতর নাইটদের সমাধির ভিতর 
প্রাচীন ঐশ্বর্যগুলো ভীষণ নাগরিক। 
ঠিক যেন অনবরত বাফারিং নিজস্ব সিস্টেমে 
কি চাইছি আর কেন। 

উত্তর খোঁজার পালা শুরু করলেই মনে পরে মাধ্যমিকের ম্যাথ পরীক্ষা 
সব অঙ্ক পারবো কনফিডেন্স ছিল। 
তবুও কেন ভয় ছিল সাদা পাতার নিবে আটকানো পৃথিবীতে 
ভয়টা থেকেই গেছে আজকাল। 
আসলে আমি সহবাস করি সাপের কুণ্ডলীর মত
বিষদাঁত নিয়ে চিৎকার করে বলি...ছোবল দে...ছোবল দে ,দে বিষ। 
তখন জীবন কেন জানি  আলসেমির গলিপথ হয়ে যায়  
সাজানো  ম্যানিকুইনগুলো রূপকথার মত জ্যান্ত। 
বলে চলে অজস্র চিত্কারে নিজেদের কথা 
কিন্তু আমার কথা শুনবে কে। 

মরুভূমির মরিচিকার মত একটা তৃষ্ণা থেকেই যায় 
নিজস্ব বর্ণের ভিতর। 
পরে থাকা ফিনিক্সের খাঁচাগুলো জোড়ালো শব্দে উপস্থিতি জাহির করে 
মাধ্যমিকের অঙ্কের লেটার মার্কস জীবন তৈরী করতে পারে না। 
ম্যানিকুইনগুলো হাসতে থাকে সারি বাঁধা জোকারের মত 
অন্য দিকে আমি ও ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকি তাদের দিকে 
আমাদের তোমাদের দলে নেবে গো। 

Tuesday, July 14, 2015

কিছু কথা

কিছু কথা
................ ঋষি
===========================================
কিছু একটা থেকে যায় নামের মত
পিকাসোর তুলি থেকে পা মাপা দূরত্বে একটা কিছু।
হয়তোবা বা মুখোশ কিংবা ধর স্তব্ধতা
আচমকা বৃষ্টি আসার মত ইলিশগুঁড়ি শহরের মাটির ভিতর।
ব্লু জিন্স ,এক গাল দাঁড়ি ,আর চোখের তলায় ঘন কালি
পকেটের চামড়ার পার্সে হারানো সময়
ছেঁড়া চিঠি।

কোনরকম রাখঢাক  ছাড়াই অন্তর যন্ত্রণার সাবমেরিনে অমিল
কিছু কথা।
মিল থাকে
কিছুটা স্তব্ধতা মোড়া।
প্ল্যাস্টিক মোড়কে রগড়ানো সময়ের শব্দের মত
অলিখিত থাকে।
নিশ্চন্ত সময়
কিছুটা ঘুমের ঘোরে।
আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পরে নীল রংটা আকাশ থেকে
যেন কোনো এক আগন্তুক।
যেন আমার প্রিয় রঙের আদরে মোড়া আতর মুহূর্ত
সবসময় লুকোচুরি।

কিছু একটা থেকে যায় নামের মত
হয়তোবা মুখোশের আড়ালে লোকানো অদ্ভূত মুখগুলো।
কিংবা ধর স্তব্ধতা মেশানো লাল রঙের প্যালেট
ক্যানভাসে তুলি টান ,একের পর এক।
আচমকা আকাশ ভেঙ্গে পরে পট্রেটে মুষলধারে বৃষ্টি
পকেটে চামড়ার পার্সে  নিয়মমাফিক জীবন
লুকোনো চিঠি। 

Saturday, July 11, 2015

হিপ হিপ হুররে

হিপ হিপ হুররে ............... ঋষি ================================================ যখন কোনো অরণ্য কুড়োচ্ছে সমাজের ভিত তখন নিজেকে স্বতন্ত্র করে খুঁড়ে ফেলছে মাটি সটান জেনারেশন। আম আদমির কে লিয়ে দো ওয়াক্ত কা রোটি ,শোনে কে লিয়ে ছাদ আর উত্তরের যন্ত্রনাটা উহ্য থাক। রোশনাই জামানেমে নাবাদ মোহাব্বত- ওর জিন্দা রেহনেকি খোয়াব আর ভীষণ বেকার নাকি সব। যদি অরণ্য শহরের সমকালীন কোনো জন্তুদের কারখানা থাকে সেটা হলো জাদুঘর। প্রাগৈতিহাসিক ম্যামথের দুধে তৈরী চায়ে আজকাল লিকার একটু বেশি লাগে ,মিষ্টতা তো স্বভাবজনিত। আর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জেনারেশন গ্যাপের নতুন নাটক শহর নাকি লুকিয়ে আছে মুঠো বন্দী আন্দ্রয়েডে। ঝুকে পরছে রুপোলি চুল ,কালো আর সাদা চুল সময় ভীষণ সস্তা জ্যামিতিক উচ্চতায়। দুধের মতন সাদা পালঙ্কে লাল ছবিদের ভিড় শহর বদলাচ্ছে পরীদের স্বপ্নে ফাঁকা পকেটে রাখা নাবাদ মোহাব্বত। উত্সব রোশনাই শহরের উচ্চতায় রঙিন বাল্বের গুড়ো ছেটানো প্রশিক্ষণরত নাগরিক জীবনে উপছে পরছে দূরত্ব। আমআদমি দৌড়রাহা আপনে আগে, কভি কভি দুনিয়াসে আগে স্লোগান তো আছে লেখা করলে দুনিয়া মুটঠিমে। খুব সহজ এই বেঁচে থাকার রসায়ন যাকে বলে থ্রি চিয়ার্স ফর দুনিয়া ,হিপ হিপ হুররে।

তবে শেষ পর্যন্ত

তবে শেষ পর্যন্ত
................ ঋষি
==============================================
তবে শেষ পর্যন্ত সময় গড়ালো
এগিয়ে এলো  ঠোঁটের নিশানায় নেশার আগুন।
তবে শেষ পর্যন্ত জীবন ছুঁয়ে গেলো
দিয়ে গেলো কচি কলাপাতা রঙের একলা বিকেল।
নিঃস্ব  বিকেলের চাহুনির সাথে
তবে শেষ পর্যন্ত আমার জিভে রক্তের স্বাদ   .

হাসছি আমি পড়ন্ত বিকেলের রৌদ্রে আমার চোখে মুখে জ্বালা
ছুটে আসছে  মুহুর্তদের এক একটা  মিসাইল আমার দিকে।
দূরন্ত গতিতে ছুটে আসছে ট্রেন
আর ট্রেনের  দরজায় এলোমেলো আমি।
ঢুকে  যাচ্ছে আমার নেশার আগুন আরো গভীরে
সবুজ কলাপাতা উপর গরম ভাত ,ঘি আর পাঁচটা ভাজা।
পুরো পেট পুরে  ভোজনের পরে
বুকের আগুনে একটা জ্বালা ভাব  ,বদহজমের রোগ।
আসলে বিশ্বাস হচ্ছে না আমি দাঁড়িয়ে আছি
ট্রেনের দরজার বাইরে।

তবে শেষ পর্যন্ত সময় গড়ালো
নিঃস্ব  আমি গড়িয়ে পড়লাম নিচে ,আরো নিচে।
ছুটে আসছে ট্রেন ,তুমুল গতিতে
সবুজ কলাপাতা রঙের বিকেলের আকাশে লাল মেঘ।
সমস্ত মেঘেদের হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে
তবে শেষ পর্যন্ত আমি বদলায়  নি। 

Friday, July 10, 2015

বৃষ্টিফোঁটা

বৃষ্টিফোঁটা
................ ঋষি
=========================================================
অনেকটা  আদরমাখা থাবার শাসন তোকে ছুঁয়ে
মা বেড়ালের থাবায় লেগে আগলানোর ইচ্ছার মত।
স্নেহরা ইচ্ছা বৃষ্টি তোকে ছুঁয়ে
কয়েকশো  যোজন দূরে  অন্ধকার আকাশের গায়ে ছোটো ইচ্ছারা  মেঘের মতন।
টুকরো  টুকরো  মুহুর্তের অভিমান আমাকে ছুঁয়ে
নেমে আসছে আকাশ থেকে বড় বড় বৃষ্টি ফোঁটা।

বলতে বলতেই হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কবেকার নুপুরের শব্দ
আকাশ থেকে হেঁটে আসছেন মেনকা।
চুপচাপ ধ্বনিত এক নির্ভিক কল্পনায়
কামসুত্রের সিঁড়ি বেয়ে বিষাক্ত যৌবন
বিষাক্ত চলনের গতি জীবিত চাহিদা অন্তরের ঝিল্লিতে।

অন্ধকার ছিঁড়ে আকাশের বুকে ছোটো  ছোটো  স্পর্শগুলো
মুহূর্তরা এখানে ঝোলায়  রাখা নুড়ি  পাথর।
শৈশবে কুড়িয়ে পাওয়া নুড়িগুলো  এখনো জমানো
টুকরো টুকরো বৃষ্টির মতন মাথার উপর সারাক্ষণ
ভয় লাগে হারাতে ,যেমন শৈশব হারানোর দুঃখ।

অনেকটা  আদরমাখা থাবার শাসন তোকে ছুঁয়ে
ফেরার ইচ্ছেটা সামনের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বারংবার।
অন্তরে জন্ম নেওয়া ফসিলের ইচ্ছাকে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন সকাল
নতুন একটা দিনে আবার  জন্মাছি আমি আগের মতন।
টুকরো  টুকরো অভিমানী মুহুর্তগুলো বৃষ্টির নোনা জলে ধুঁয়ে মুছে
নতুন আমি তোর  কাছে প্রতি বৃষ্টি ফোঁটায়। 

হারানোর কবিতা

একটা অপ্রিয় জীবন হঠাৎ যদি হারিয়ে যায়  কি এসে যায় তাতে এই শহরের  , ধুলোবন্দি ফটোফ্রেম ,রং ওঠা দেওয়াল ,পুরোনো রেডিওর গান  ফিসফিস করা তোমার কণ্...