Sunday, April 2, 2017

ধুলিঘর

ধুলিঘর
........ ঋষি
==============================================
ইদানিং বিষাদ ছুঁয়ে নেমে যায় গভীরে
মোটা পিচ রাস্তার উপর এবড়োখেবড়ো পাথরগুলো কি করে জানি।
হারিয়ে যায়
দৈনন্দিন চলাচল নগরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে দেখতে থাকা।
অসংখ্য আসা যাওয়া
কিন্তু হিসেবে গুলিয়ে যায় বারংবার কোনটা বেশি।

 তেমন হিসেব করে কিছু চাওয়া তো  হয়নি
 চুরমার হয়ে যায় বারংবার চাঁদের লোভ।
লুব্ধ নজর থেকে শান দিতে থাকে ইচ্ছাডানা নিজের মতো বিশাল আকাশে
অন্ধকার হয়ে যায় হঠাৎ।
পড়ে থাকে  অন্ধকারের জ্বলজ্বলে শিকারির চোখ
আর বিহ্বল চাবি।
কিন্তু দরজার ওপারে সিঁড়িগুলো কিছুতেই পেরিয়ে ওঠা যায় না
বিভীষণ ইচ্ছা তৈরী করে স্বর্গের দরজা,
নরকের খুলে যায় আসা ,যাওয়া দোটানায়।

ইদানিং বিষাদ ছুঁয়ে নেমে যায় গভীরে
প্রান্তিকে ঠেকে থাকা ক্রান্তিরেখার উপর বাঁচার এয়ারকন্ডিসনার দরকার।
বাইরে তড়িঘড়ি ঝড় এসে পরে তুমুল প্রায়
চোখে ধুলো ,সারা অস্তিত্বের নীরবতায় অজস্র ধুলিঘর।
অসংখ্য যাওয়া আসা
কিন্তু হিসেবে গোলমাল তাই বোঝা দায়। 

No comments:

Post a Comment

বৃষ্টি ভেজা শহর

এ শহরে বৃষ্টি এলেই তুমি আসো সাথে নিয়ে আসো তোমার স্পর্শদের বৃষ্টির স্পর্শে থেকে যায় পুঞ্জমেঘ আর আধখাওয়া জীবন। আমি অকারণে ভিজতে ভালোবাসি বরাবর...