সম্পর্কের ফসিল
... ঋষি
একদিন, কোনো একদিন,
হয়তো তোমার বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া সোনালী ফ্রেমের চশমা
তোমার সেই বাসন্তী শাড়ির শেকড় এসে খুঁজতে থাকবে এই কলকাতায়
একটা কবিতা।
সমস্ত শব ঘর,সমস্ত মিউজিয়াম খুঁজে পাবে না সেদিন
আমার মতো প্রাগৈতিহাসিক ,প্রোটোগনিস্ট কবিতাদের।
.
ধারণা তো ছিল ,এখন বদ্ধ ভূমিকায়
আসলে আমার চারিপাশে এক গভীর পরিখা ,
জানো তুমি?
আমিও এতোদিন ,কোনোদিন তোমায় খুঁজিনি শুধু সাজানো রিমেকে
খুঁজেছি কবিতাদের।
তবে এটা সত্যি কবিতায় এসেছো তুমি বারংবার
আর আজ এই বয়সে
আমার চলন্তিকা ভাবনায় এক অদ্ভুত জাগরণ
গভীর কথা।
.
তুমি ধরবে আমাকে?
চোখে কাজল ,শপিং মল আর টাইট জিন্স ,
কনফারেন্স প্রটোকল ,উন্মাদ সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উন্নত নারী
স্তন ,যোনি সর্বস্ব কাতলা
আমি সব জানি
উপত্যকার বন্দরে নিয়মিত যাওয়া আসা ছিল আমার।
আমি খুঁজেছি মৃগনাভি
খুঁজে প্ৰয়েছি আল্পস পাহাড়ের ডগায় আমার বরফের হাত
আমরা ঠান্ডা আঙ্গুল ছুঁয়ে নেমে গেছে আজ শত সহস্র বছরের তপস্যা
চলন্তিকা
সেই নাম --- সর্ব ---- নাম।
সমুদ্র নাইবা হলে তুমি
গভীর বিপ্লবে তুমি রণক্ষেত্রে আমার বন্ধু ছিলে
ছিলে সহবত।
.
সব দিন শেষ হলে, কুয়াশারা জড়াবে এসে অবশেষে
মায়াবী রাত সাগরের কথা লিখে যাবে কোনো অলিখিত স্থাপনে।
এগিয়ে যাও তুমি
প্রস্তর সভ্যতার হাতে মশাল নিয়ে জয়গান হোক আগামীর।
আমি বিভুক্ষু কবি
ক্রমশ চোখের ডগা কিছু আস্পর্ধা গ্রিজলি বিয়ারের মতো চিঁড়ে দেয় আমার বুক,
এটাযে তুমিও জানো, সব দিন শেষ হলে আর
কোনো কথা থাকে না পাথরের গায়ে,
আমার এই পাথরের গায়ে নখের দাগ
সম্পর্কের ফসিল।
No comments:
Post a Comment