Friday, August 22, 2025

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না
মাঝরাস্তায় ইদানীং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি
ভুলে যায় নিজের ঠিকানা
তারপর হঠাৎ ভুলে যাওয়া থেকে একলা দাঁড়িয়ে বুঝি
ভুল আর ঠিকের মাঝখানে ভালোবাসা দাঁড়িয়ে
সে যেন নিশ্চল পাথরের প্রতিমা। 
.
রাত তিনটের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঠাই আমি বৃষ্টি গুনি
আমাদের হিমেল সময়গুলো মুছে যায় 
বড্ড ভ্যাপসা লাগে,
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে ইদানীং নিজেকে বেমানান লাগে
মনে হয় তোমাকে ভীষন অচেনা। 
চেনা আর অচেনার গল্পের মাঝে সময় চিৎকার করে
দাঁত নখ নিয়ে মৃত মুহুর্তরা ছোঁক ছোঁক করে
রাধে বাড়ে,
আমার মুখে দুমুঠো খিস্তি তুলে দেয়। 
.
আসলে খিদেরা বড় অদ্ভুত
বড় অদ্ভুত তোমার প্রফাইলে বদলানো চরিত্ররা
তুমি অস্থির, 
তাই ইদানীং তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না।
.
যে বীজে ঝপ করে অসুখ চেপে ধরে
যে বীজে আঁতুড়  থেকে মৃত্যু  খেলা করে
সেখানে তোমার পাশ বদলায়, মাস বদলায়, বদলায় সময়,
চিনে জোঁকের মতো আমার স্বভাব 
পরিণত অভাব 
দাঁড়িয়ে তোমার রাস্তায়
সম্পর্ক আর যন্ত্রনা সেখানে অসহ্য অথচ অসহায়
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
তার থেকে বেশি চিনি না ইদানীং। 
.
তোমাকে আমি যতটুকু চিনি
... ঋষি 

Friday, August 15, 2025

ইনকমপ্লিট



এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন, 
যেমন তোমার শরীরের তিলগুলো এক একটা পাখি 
যেমন স্বাধীনতার মানে ইদানীং শ্বাপদের অধীনতা
যেমন বৃষ্টিবহুল কফি কাপে উল্টো চেয়ারে স্বপ্ন
যেমন বহুবার তোমার শরীরে কলকাতা আঁকা
যেমন কলকাতার রাস্তায় রক্তাক্ত তিলোত্তমা। 
.
আসলে আমাদের কোনও দরজা ছিল না কোনদিন
আসলে আমদের মাঝে খুব কম মিল,
তবু মেক মাই ট্রিপে আমাদের আগামীর অভিযান
আসলে আমার দানা দানা চিনির মতো মুহূর্তগুলো
সব দূরে এঁকেবেঁকে চলা ইনকমপ্লিট এজেন্ডা
সব জমিয়ে রেখেছি
এইমুহুর্তে তোমার আবৃত্তির কন্ঠে
" দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার হে!
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে, যাত্রীরা হুঁশিয়ার॥ "
.
এই ইনকমপ্লিটনেসের নামই হয়তো জীবন
এই ইনকমপ্লিট দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই জীবন 
যেমন আমার দেওয়ালে টাঙানো ফাঁকা ফটোফ্রেম,
যেমন এই শহরের রাস্তায় জমতে থাকা জল
যেমন কবিতার কলমে উপছে পড়া প্রতিবাদ
যেমন বোকার সাজে তোমার দিকে তাকানো।
এ যেন হারানো, সাজানো বিপ্লব 
এ যেন তোমার দুই স্তনের মাঝে একলা এই দেশ
এ যেন কনডোমে মোড়া সমাজের সতীত্ব
এ যেন তেরঙ্গা মোড়া সত্যির মৃতদেহ
রেডরোডের মৃতদেহের শাসন।
নিরাপত্তার অধিকার
আশ্র‍য়
খাঁচা
সব ইনকমপ্লিট
ইনকমপ্লিট সব।
.
ইনকমপ্লিট
... ঋষি 

Sunday, August 10, 2025

নিস্তব্ধতা

নিস্তব্ধতা ভীষণ স্পষ্ট হলে 
ঝড়তে থাকা রক্তবিন্দুগুলো তুমি হয়ে যাও
একের পর এক প্রহসন 
ক্লাইমেক্সে সেই জোকারটা হাসতে থাকে
শুধু হাসতে
কিন্তু কেউ জানে না তার কান্নাগুলো তুমি হয়ে যাও
তুমি হয়ে থাকো তোমার সংসারে। 
.
বুঝতে পারি না কিছুতেই বিষাদের গল্পগুলো
শুধু মনে হয় তলিয়ে ভাবি নি,
তোমার বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে মেরুদন্ড নিষ্ক্রিয় 
ঘরের সিলিংএর দিকে তাকিয়ে দেখি বন্ধ আকাশ
আর আমি অন্ধ
তোমার ব্যস্ততায় আমি জোকার সেজে থাকি
তবু মানি আত্মহত্যা মহাপাপ। 
.
সাজানোগোছানো এই কিংবদন্তী জানি
কিন্তু জানি না তুমি সংসারী না ক্লিওপেট্রা
হাজারো কবিতা যেখানে ভালোবাসার গান গায়
সেখানে দানা দানা আশ্চর্য শীতল শরীর।
এই তো কিছুক্ষন, তারপর তুমি ভুলে যাও 
আমি হাসতে থাকি তোমার দিকে তাকিয়ে
আর তুমি ব্যস্ততায় রেঁনেসা। 
এইসব কথা কতবার লেখা যায়
কতবার নিস্তব্ধতা ভোলাতে চীৎকার করা যায়
বদলানো যায় নিজেকে সার্কাসের তাঁবুতে,
একের পর এক রঙের প্রলেপ
একের পর এক মুহুর্তগুলো
অসহ্য
অসহ্য এই নিস্তব্ধতা। 
.
নিস্তব্ধতা
... ঋষি 

Friday, August 1, 2025

আর্তনাদ

একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
ভীষণ অপ্রাপ্তি
দুয়ারে মেঘ এসে হানা দেয় কারণ অকারণ
অনবরত লোভ,
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদ্যুৎ চমকায়
মেঘ তুমি কার?  আমার?না  দুর্বলতার? 
না সময়ের? 
নাকি যে প্রশ্নগুলো তুমি এড়াতে চাও? 
.
সাক্ষী জীবন সবুজ পাতার মতো বৃষ্টির জলে
অনিবার্য বৃষ্টি জানি অকারণ চোখের জলে
জল তুমি কার? 
আমার?  মেঘেদের?  না দুর্বলতার? 
গা হিম করা ছুটির দিনগূলো তুমি ব্যস্ততায় নিয়মিত
আর আমার ব্যস্ততায় কতগুলো প্রশ্ন ঘোরে ফেরে
প্রতিটা প্রশ্নের উত্তরে বুকের ভিতর বিদুৎ চমকায়
চমকায় তোমার ঠোঁটের আস্পর্ধা ।
.
একটা আর্তনাদ সময়ের পাতায়
নিউক্লিয়ার ওয়েপনের মতো তোমার চোখের দৃষ্টি
ব্যঙ্গাত্মক কিছু আলাপন,
ঝড় ওঠে, বুকের ভিতর আবহদপ্তর জানান দেয়
আগাম সতর্কতা সমুদ্র উপকূল এলাকায়
গভীর সমুদ্রে যাওয়া মানা। 
প্রশ্ন করি, সমুদ্র তুমি কার? 
গভীরতার?  নোনতা জলের? না দুর্বলতার? 
প্রশ্নগুলো অমীমাংসিত থেকে যায়, উত্তর আসে না
শুধু  একটা আর্তনাদ বুকের গভীরে শুনতে পাই
কারণ তুমি বৃষ্টির জলের দিকে তাকালে
ইদানীং বৃষ্টির জলও রক্ত হয়ে যায়। 
তবুও আমি সমুদ্রকে ভালোবাসি, বারংবার ছুটি
সমুদ্রের গলা জলে দাঁড়িয়ে চিৎকার করি
স্রোতেরা আসে, আবার দূরে  চলে যায়
আমি ঠাঁই দাঁড়িয়ে 
আর কি চাও তুমি? 
এবারতো একটু হাসো। 
.
আর্তনাদ
.... ঋষি 




Thursday, July 31, 2025

বড় একলা লাগে

বড় একলা লাগে
... ঋষি 
.
হাসছি আমি কারণ হাসতেই হবে
যেমন  করেই হোক ভালো থাকতেই হবেই
ক্রমশ ফুরিয়ে চলা বর্ণসুখ, ক্রমশ বিরক্তির বৃষ্টি 
কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, কোথায় বা চলেছি
কিছুই জানি না
শুধু দিন কেটে চলে নিয়মিত,
তবে নিয়মিত আর তোমার রিংটোন আর বাজে না
বাজে না আর সময়ের মুহুর্তের সাথে থাকাটুকু। 
.
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যস্ত পৃথিবীতে আমিই বেকার
তোমাকে একথা বললেই
ইদানীং থলের বেড়ালটা রাগে বেড়িয়ে গোঁফ ফোলায়,
সমস্ত সময় জুড়ে  যখন সকলেই মাংস গিলতে ব্যস্ত 
তখন  মৈথুন হলো হায়না আর হায়নারাই বিপ্লব। 
সেখানে একফালি আমার নিরামিষ বিপ্লবে
বৃষ্টি আসে, আমায় ভেজায় নিয়মিত
কিন্তু ব্যস্ত তোমাকে আর ভেজাতে পারে না । 
.
আমার শব্দরা কখন যখন তখন  কবিতায় ভাসে
ভাসে বিছানার চাদরে আমার চলন্তিকা একলা বুকে
সেখানে জামা কাপড় খুলে চরিত্ররা প্রকাশ্যে ইদানীং 
সেখানে গীটারের স্ট্রিং ছিঁড়ে যায় বারংবার
জানি সত্যি বলতে নেই 
তবু বলি, বড় একলা লাগে ।
সমস্ত খুন, সমস্ত প্রতিশ্রুতি, সমস্ত মানুষ, তুমি
যখন আরও ক্রমশ আরও দুরে সরে যাচ্ছে
যখন পৃথিবীর রঙের রঙিন দূরবীনের কাঁচটা
আরও অসচ্ছ
তখন ভীষণ ভাবে ভাবতে ইচ্ছে করে 
ভালোবাসা আসলে রঙিন পোশাকেই সুন্দর।
.
 

Friday, July 25, 2025

কেন৷? কবিতা

কেন ?  কবিতা
..ঋষি 

যারা মাথার উপর কবিতার বই নিয়ে ঘুমোয়
লোকে বলে তারা আসলে বোকা,
কবিতা লিখে কি হয় ? 
দুমুঠো ভাত রোজগার করতে যখন পায়ের ঘাম মাথায়
তখন কবিতা লেখাটা নিতান্ত একটা অপরাধ
আর সেখানে কবিতার বই কেনা টাকা নষ্ট
শুনলেই মনে হয় এ যেন নষ্ট কবিতা।
.
লোকে বলে মানুষ হেরে গেলে কবি হয়ে যায়
কিন্তু আমি জানি কবিরা হারে না,
লোকে বলে কবিতা নাকি মানুষের এক মতিভ্রম
কিন্তু আমি জানি কবিতা হলো জীবন,
যখন দূরে কোন গাঁয়ের রাতে কোনো শিশু না ঘুমোলে
মারাতো কবিতাই বলে 
মনে নেই 
আয় ঘুম আয়,দত্ত পাড়া দিয়ে। 
.
এবার আমি সোজা কথায় আসি
হ্যা আমি কবিতা খাই,কবিতায় ঘুমোয়, কবিতায় বাঁচি
হ্যা হয়তো আমি পাগল
আমি পয়সা বাঁচিয়ে কবিতার বই কিনি
আমি নবারুন,সুনীল, শক্তির কলম গিলে খাই
কারণ আমি জানি কবিতা সময় লিখতে পারে
কবিতাই পারে সময় কে জীবন্ত রাখতে এই এটলাসে।
ঠিক কথা কবিতা লিখে পয়সা নেই, সন্মান নেই
কারণ কবিরা কখন ব্যাবসায়ী হতে পারে না
হতে পারে না কবিরা কখন ধান্দাবাজ।
কখন কোন কবি কোন নামের জন্য কবিতা লেখেন না
কখন কোন সত্যি কবি মঞ্চের জন্য কবিতা লেখেন না
কবিরা কবিতা লেখেন নিজের রক্ত দিয়ে আকাশের গায়ে,
কবিরা কবিতা লেখেন নিরন্তর সময়ে দায়ে
শুধুমাত্র সময়ে জন্য 
শুধুমাত্র মানুষের প্রতিবাদের জন্য
শুধুমাত্র সময়ের ক্ষতের উপশমে
প্রতিটা মানুষের জন্য আগামীর কল্যানে,
সে যদি কেউ বলে কবিতা নষ্ট
তবেও আমিও.......  







Tuesday, July 22, 2025

বারুদ

একটা দেশলাই
অসংখ্য খুন, জখম, আর ডি এক্স, বন্দুকের নল
একটা আজব দুনিয়ায় আমরা 
নো সিকুউরিটি, নো রেসিস্টেন্ট 
শুধু দিন কাটানো, ঘুমন্ত বারুদের উপর বাস 
কে কখন কিভাবে ? ইন্সিডেন্ট না কোইন্সিডেন্ট? 
আসলে মানুষগুলো ভুলতে ভুলতে আগুন জ্বালাতে ভুলে গেছে। 
.
বুকের ভিতর বারুদের স্থুপ
ইচ্ছে করে সিগারেটের সাথের দেশলাইটা হারাই বারংবার
যদি কেউ কুড়িয়ে পায় 
যদি কোন নাম না জানা বিদ্রোহ দপ করে জ্বলে ওঠে
যদি খবরের কাগজের জ্বলন্ত পাতাগুলো আগুন জ্বালায় সাধারণ মানুষের  শরীরে
যদি, যদি যদি....... 
.
এমনিই জেল,হাসপাতাল, সরকারী স্কুল
সব নির্মিত মহান আয়তন দেখা হয়ে গেছে
এই তো গতকালই দেখে ফেললাম ধর্মতলার অধর্ম
পাগলাগারদও দেখা হলো, 
দেখা হলো মৃত বিপ্লব  নামের বইটা ধান্দাবাজ দালালের হাতে।
সত্যি হলো ভীতু মানুষের দুনিয়ায় এই সভ্য শহরের ঠিক মাঝখানে
চিৎকার করছে সেই সব ধর্ষিত বিচারহীন মেয়েগুলো
যাকে আমরা ভুলে আছি
অসংখ্য গাছে, গাছে সভ্যতা নিপীড়িত মানুষগুলো
হ্যা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে 
আসলে আমরা তাদের ভুলতে চাইছি, 
অথচ তাদের মাঝখানদিয়ে কে একজন জানি আমাকে বারংবার  বলছে
জোনাকি মেখে ভালো থাকতে এলে তুমি মানুষ
কবিতা লিখে তুমি আদিখ্যেতা করছো
দেশলাইটা দেও না একবার জ্বালিয়ে
আর একটু পেট্রোল
তোমায় দিয়ে আর কিছু হবে না হে.... 
.
বারুদ
... ঋষি 



তোমাকে আমি যতটুকু চিনি

তোমাকে আমি যতটুকু চিনি তার থেকে বেশি চিনি না মাঝরাস্তায় ইদানীং হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ি ভুলে যায় নিজের ঠিকানা তারপর হঠাৎ ভুলে যাওয়া থেকে একলা দাঁড়িয়...