Tuesday, November 25, 2025

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন
চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত
এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি
ফেরা আর না ফেরা
ফিরতে চাওয়া কিংবা ছায়াপথ
তারপর সব শূন্য । 
.
চমকে উঠলে চলবে না 
নিজেকে নিজের ছায়া ভাবলেই বেশ একটা চরিত্র মনে হয় 
তোমার বাড়িতে বারান্দা নেই 
তবে কেন যেন দেখি বারান্দার রেলিং পেরিয়ে এক হুলো বেড়াল দুধ চাটছে,
এক সময় তাকে তুমি ওয়াল্টার বেঞ্জামিন পড়ে শোনাতে 
তার পর তোমার বাড়িরই কার্নিশ বেয়ে সে বেপাত্তা
থিওরেটিকালি এলিয়েনেশন
এনার্জেটিক ফর্মে তুমি ছায়া ছায়া কবিতা । 
.
চলন্তিকা তুমি কি পেলে?
চলন্তিকা আমার ছায়া শরীরের ডাকনাম
শূন্যতা , ট্রেনের শব্দ ছাপিয়ে মোলায়েম ভোর।
আসলে চলন্তিকা হলো ভয়ানক নির্বিকল্প সমস্যা
ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তার অবয়ব ,
গোয়া সমুদ্রের টুরিস্ট বাঙলোতে একটা অবয়ব পৃথিবী হয়ে গেলো
তারপর কখন যেন প্রশান্ত সাগরের পাশের দ্বীপ 
তারপর শহর ,নগর ,গ্রাম 
আমি পাগল হয়ে যাবো।  
নোটেশনের চিহ্ন পেরিয়ে অ-কাতর যৌন গন্ধ 
বিছানার অক্ষ থেকে ঢলে পড়ছে কারুকাজ 
একটা রাত্রি মেলে ধরে সময় সাঁতার কাটছে 
স্ববিরোধিতা
ঘুম পাড়ানীর গান
আমার ছায়ায় .....চলন্তিকা।  
.
এলিয়েনেশন
... ঋষি

Sunday, November 23, 2025

ঝগড়া

মুখের পাশে মেলে ধরছি চুইংগামটুকু
মেঘ বলে ভাবি
কিংবা ভাবি বিশাল এক আকাশ ,
রুমালে হাত মোছার অভ্যাস চলে গেছে বহুকাল 
তাই  লং ড্রাইভে যাওয়া  
অভ্যেসের গান  পল পল দিলকেএএএ পাসসস
বড্ড সাবলীল হয়ে উঠছে উইক এন্ড। 

বিশাল আকাশ  থেকে ফুটকি হয়ে যাচ্ছে কিছু দৃশ্য
কি যেন দর্শন ছিল
দৃষ্টি বা দর্শনের বাইরেও তো আমাদের থাকা,  
ঘুমোতে  গেলেই  যেখানে তুই তুই ভাব 
না ডিপ্রেশন। 
যারা চুইংগাম চিবিয়ে জীবন কাটাতে পারে 
তারাই মানুষ 
আর ঈশ্বর বোধহয় শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে বোধ খোঁজে 
আর সেই বোধ  পরীক্ষনে আমাদের ঝগড়া । 
.
ঝগড়া  
... ঋষি

ধূসর মানুষ

দ্রুত রং বদলালে নিঝুম হয়ে আসে কাছাকাছি আসা 
মুখোশটা খুলে দিলে মুখগুলো যেমন সাপ হয়ে যায় 
পোশাক খুলে যেমন মানুষ পোশাক বদলায়
সবটাই জানা,    
অথচ জানা নয় পুরোনো রেডিওতে গান বাজলে 
মন কেন ভালো হয় 
জানা নয়  
একলা বৃষ্টিতে মানুষ কেন কাঁদতে চায়।   
.
তোমার শাড়িতে কোথাও যেন লুকোনো থাকে ন্যাপথলিনের গন্ধ
কোথায় যেন সময়সময় রোদ লাগে তোমার মুখে 
আমিও  বড্ড স- র- ল রেখায় চিরকাল 
আর ছায়ায় ঢুকে পরে দ্রাঘিমা যার ঘাড়ে এলার্ম ক্লক ,
 অপেক্ষার প্রবনতা চাপ বাড়ায় 
অতিরিক্ত আলো ঐকিক নিয়ম মানেনা
ছায়া নেমে আসলে আবছা বা ধূসর রং জীবনের 
কিংবা ধূসর মানুষ। 
.
ধূসর মানুষ 
... ঋষি

Saturday, November 22, 2025

শরীরের শব্দ

নেশার সাথে ঘুমগুলো জুড়ে জুড়ে তৈরী হয়ে যায় 
এক অক্লান্ত নিবেদন 
আবেদনের রিদমে উঠে আসে রংমিলান্তে ,
বিছনার উপর পরে থাকে আমার উলঙ্গ নীরব ঘুমোতে চাওয়া 
১০ নম্বরের তোমারের কাছে পৌঁছনোটা ভীষণ জরুরী মনে হলেও 
নিয়ম ভাঙতে পারি না। 
.
অনেকগুলো ...অনেকগুলো...আলো ছায়ার উপর সত্যিগুলো 
বিরক্তিতে একঘেয়ে চলতে থাকা ইরোটিক মুভির শব্দ বাড়ায় 
এক টানা আওয়াজ 
এক টানা ঘর্ষণ ,এক টানা নিস্তব্ধতা চ্যানেল বদলাই । 
আউলে বাউলে ফিল্ম পেরোলেই বিরতি
দীর্ঘ
বি র তি
মোরামের রাস্তার টানেল পথে এগিযে চলো আমি গুহা মানুষ 
আদিস্বর আদিরস, বাথরুমের ফ্লাশটা টানি। 
.
সময়ে ভিজছে দায়বদ্ধতা...পুরোনো সারমর্ম
...আমাকে নাভির ভিতর টেনে রাখতে চাই আমার জন্মস্থল 
সম্পর্কের সব ফিকে রং...
জলবসন্ত= জল+ বসন্ত। 
কাঁথাস্টিচে হৃদয়ে লাগানো প্রাণের ঠাকুর রবি 
ধূ...ধূ... উড়ানের গ্রাফ
রাফ এন্ড টাফ ,
সত্যি কি সব সাবওয়ে জুড়ে কি কমে আসছে আঁচ
একটা অশ্লীল চুমুর গায়ে হলোগ্রাম
হলদেটে
কেন নয় ? ভালোবাসলে শরীর আসবেই 
 নিউরনে প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে আসছে ওয়াচগ্লাসে বিপন্নতা 
মাথা ভার ,ঘুম আসছে 
আট পেগের শরীরটা টেনে নিয়ে ফেলতে চাই তোমার বুকে 
ঘুম আসছে কিন্তু তুমি নও। 
.
শরীরের শব্দ 
... ঋষি

তৃতীয় চোখ

চালশের এক নিরুপায় দৃশ্য 
এক পা বাড়ালে এগিয়ে সেতু পেরিয়ে ভালবাসা
অথচ  নুনে নুন বালিয়াড়ী...ভিন্ন এর স্বাদ
সমুদ্রের সাথে,সমুদ্রের কাছে ক্লান্তি মাপি। 
একলাই দাঁড়ায় ভাবনার ওপারের তোমার ছায়াকে বুকে নিয়ে 
সমদ্রের বিশাল ঢেউতে আতশ কাঁচে ধরা পরে যায় ঠিক সুক্ষ চিড়গুলো 
যাকে তুমি ব্যস্ততা বলো। 
.
মা বলে সময় নিয়ে লিখতে ,লিখতে দেশ নিয়ে 
অথচ মাস্টারবেশনের পরে পরে থাকে নিস্তেজ শরীরটা তোমাকে খোঁজে 
ধমনীর অদৃশ্য লঙশটে ডিম-ডিম আলোয়
আমি দেখতে পাই দেশের মানচিত্র আর সীমান্ত। 
অবাক যাই  মিস্টিক তরংগদৈর্ঘ্যর উল্লাস বাহুতে
আকাশী নাভিমুলে
তারপর লাল-হলুদ-সবুজের তেরছা মিশ্রন
জানি দিগভুল হচ্ছে ক্রমশ। 
.
জানি এই রং আমার নয় 
জানি বাঁকা উপত্যকা ২-বি পেন্সিলের গা বেয়ে ঐশ্বরিক সৌন্দর্য 
আমার নয় এ ছবি ,আমার অধিকার নেই এই আঁকার খাতায় 
শুধু আঁকার পাতার কান্নার  সল্টেড বিকেল
প্রতিটা  পোয়াতি সকাল তুমি আসবে হয়তো 
প্রতিটা অসামাজিক রাত্রি তুমি ডাকবে হয়তো 
কিছুই ঘটে না। 
...........শুধুই  তেতো
ক্যানভাসে রং জল...জল রং... ডুব জল
নিরন্তর 
তবু ছবির মাঝে আমি থাকি না কোথাও
শুধু পেন্সিল স্কেচের ভাঙা অন্ধকারে আমি জাগি 
যেন প্রেত কোনো।  
.
তৃতীয় চোখ 
.... ঋষি

সেলুলয়েড

রাত মুছে গেলে জোয়ারের জলে হাপুস কার্নিভাল
ঝাউবনের কাছে লেন্স... চিবুক...কথোপকথন...সেলুলয়েড
মুহূর্তটা কিছুক্ষনের 
আলোর হিসাবে ঐকিকরাশি প্রগতির প্রতি ,
পিছলে পড়ে ঘুম পাতা- ঘুম পাতা খেলা ... জানি ঘুম আসে না 
সবুজ ক্লোরোফিলে মুখ
 – অবয়ব যেন রূপকথা। 
.
হালকা হয়ে আসছে চুমুর গন্ধ ,লবঙ্গের স্বাদ 
ক্রমশ বিস্বাদ 
ধোঁয়া উঠছে বাতিকগ্রস্ত,ব্যস্ততা মোড়া শরীর থেকে
তোমার শহর থেকে চিমনির কালো ধোঁয়া 
অথচ গঙ্গা জল শুদ্ধ 
অথচ এ সময়ে শুদ্ধতা নিজেই একটা পরিহাস। 
.
আয়নার পিঠ থেকে পারা –পারা পিছলে পড়ছে সময়ের ছায়া
স্যালাড আর সময় নিজেরাই শুধু সুস্বাদু 
অবশেষে ঈশ্বর শব্দটাও বিক্রি হয়ে যায় 
বিক্রি করে এই খিদের শহর 
আমি তুমি হেড না মেপে টেল খুঁজি 
কিংবা টেল না খুঁজে বাঁচার গান। 
মুসাফির দুপুরগুলো ইদানিং তোমার ভিড়ের কাছে হারায় 
আর রাত্রিগুলো তোমাকে বলে 
জাগতে রহও ......
.
সেলুলয়েড
... ঋষি

Wednesday, November 19, 2025

ঘুনপোকা

(১)
আমি নিঃশব্দ হয়ে উঠতে চাইছি বারংবার 
কিন্তু কাঁচ ভাঙার তীক্ষ্ণ শব্দ কিছুতেই  রুখতে পারছিনা
যন্ত্রনা আসলে ভীষণ একা সাদা কাপড়ে ঢাকা। 
(২)
সময় সময় মুখটা ওয়াশ বেসিনের মতো বারংবার 
ভাঙা কাঁচের আয়নায় নিজের ফ্যাকাশে মুখ 
মুখ ধুয়েও আত্মার প্রতি সন্দেহ বাড়ছে ক্রমশ। 
(৩)
জানা ছিল না সময়ের  অনুমোদন ছাড়া প্রেম হয় না
কাছে থাকা হয় না 
পান পাত্র নেশা হয় না ,শেষ রুটি হয় না।
(৪)
ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে যায় বারংবার তোমার নগ্নতা
 তুমি জাহাজ হারিয়েছ, মাস্তলে ঝুলে আছে কয়েকটা মরা মাছ
আত্মাগুলো কাঁচ ভাঙার শব্দে আশ্রয় হারাচ্ছে অবিরল।
(৫)
দেখো পানপাত্রে মৃতরা হাততালি দিচ্ছে
তোমার প্রগাড় একাকীত্ব দেখছে, ছুড়ে দিচ্ছে দু একটু রুটি
নীচু স্বরে তারা কথা বলছে ভাবছে  প্রতিবাদ হলো ঘুন পোকার ডাক। 
.
ঘুনপোকা 
... ঋষি

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি ফেরা আর না ফেরা...