তুমুল তৃষ্ণা
,,,,,,,,ঋষি
.....................................................................................
শহরের তাপমাত্রা ৩৭ডিগ্রী সেলসিয়াস
দুপুরের নুন, ঘামে চাটা ঠোঁট লেগে আছে সময়ের রোদে।
চলন্তিকা জানো এই শহরের উঁচু উঁচু স্কাইস্ক্রাপার তখন চোখ ঝলসানো
শুধু নিরবিধি সরতে থাকা সময় যেন পিচে আটকানো ক্লান্তি।
তার মধ্যে তোমাকে ভেবে আমার লেখার অভ্যাসটা ভিজে যাচ্ছিল বুকের ঘামে
ইচ্ছে করছিল এই স্কাইস্ক্রাপারগুলো গুঁড়িয়ে একটা অনবদ্য প্রেমের কবিতা লিখতে।
,
আসলে কি জানো তোমার শাসনের আঁকা আকাশের সূর্য
যা আজীবন আমাকে পোড়াতে থাকে,এটাই অভ্যেস।
সমুদ্রের মতো ছোট ঢেউ এসে মিশে যায় ছোট ছোট শব্দে
যা আমাকে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়।
আমার শরীর, মনে তখন শিহড়ন
আমার মুখে চোখে কপালে ভালোবাসা চেপে ধরে অন্ধ করে দেয়।
তখন ঠিক বুঝতে পারি তোমার পাশে আমার ছায়াগুলো ঠিক কেমন
ঠিক কেমন ভেজা শরীরের শিহরণ আঙুলের ছাপ।
জানো চলন্তিকা, আমার শহরে আগের মতো বৃষ্টি নামে না
বৃষ্টি ফোঁটাগুলো টুপ করে ঝরে আর মাখে না ধুলো।
শুধু তোমায় মনে পরে যখনতখন
মৃদুমন্দ দুপুরের বাতাসে তখন তোমার গন্ধ আমাকে ছুঁয়ে যায়।
শহরের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস
দুপুরের রোদ তখন জ্বালিয়ে যাচ্ছে জীবনের শুকনো কিছু পাতা
চটচটে পিচ্,গাড়ী-ঘোড়া-চাকা,ক্ষত এঁকে যাচ্ছে বুকে।
চলন্তিকা তখন ঠিক তুমি আমার ছায়ায়
একের পর এক শব্দ বুনে বানিয়ে চলেছো কবিতার ঘর আমার ঘামে
বুকের জংগলে তখন দাবানল, তুমুল তৃষ্ণা।
No comments:
Post a Comment