ভয়ংকর চাঁদ
... ঋষি
আমরা কি ভয়ংকর বোকা বলুন তো
সেদিন আকাশের বাইরে দাঁড়িয়ে একজন দেশপ্রধান বললেন দেশ বদলাবে
সেই শুনে কবি লিখলেন
যদি কোনোদিন আমি দেশনায়ক হয়
তবে সবার সংবিধানটা কবিতার মতো করে দেব
করে দেব মানুষগুলো কোনো ভালোবাসার কবিতার শব্দ।
.
এই সব মঞ্চস্থ হচ্ছে যখন
তখন এক ধেনো মাতাল পা টলাতে টলাতে একই স্টেজে এসে দাঁড়ালো
মঞ্চের নিচে দাঁড়ানো জনতা হাততালি দিলো
মাতাল বলে উঠলো ওরে কে আছিস ধর ধর
এরা ইংরেজি খেয়ে বাংলার মতো কিছু বলছে
বমি হয়ে যাবে যে।
.
আমাদের কি অপরাধ বলুন তো
আমরা চাঁদ দেখে নিজেরদের লিঙ্গকে শ্রদ্ধা করি
শ্রদ্ধা করি রেড লাইট এড়িয়াতে দাঁড়ানো সেই কন্ডোম বিলানো সমাজসেবীকে
তবুও ওই গলিতে ঢুকলে মনে থাকে না
কন্ডোম ছাড়া সঙ্গম কতটা মারাত্নক
কতটা মারাত্নক লোভী নপুংশকের সংসারে নিয়মিত দেশের জন্ম নেওয়া।
আমরা সাধারণ মঞ্চের নিচে দাঁড়িয়ে হাততালি দি
কিন্তু মঞ্চের ড্রপসিনের ভিতর অভিনেতার মুখে গিরগিটি দেখেও হাসি
সময় মতো নিয়ম করে আঙ্গুল ঠেকিয়ে চাপ দি বোতামে
নিজেদের পোশাকের বোতামগুলো খুলে ফেলি
তারপর সময়কে বলি পোশাক বদলাতে।
কবি সব বুঝলেন তবু লিখলেন
আমি যদি সাধারণ জনতা হতাম
তবে রাস্তায় ন্যংটো হয়ে দাঁড়াতাম তারপর চিৎকার করে হিসু করতাম
আর লিখতাম সময়ের শহরে মানুষগুলো সব অন্ধ
যারা মানুষ দিয়ে দেশ মোছে তারাই রাজা এবং ভন্ড।
No comments:
Post a Comment