বেমানান আকাশ
... ঋষি
ওরা বোধহয় ভালো আছে
ওরা তবু কাছাকাছি আছে,
সমস্ত অন্যায় সংকল্পের পরও ওরা আজও একসাথে আছে
আর আমরা দাঁড়িয়ে একলা
দুই আলাদা গ্রহের মানুষ যেন চেষ্টা করছি বাঁচতে।
.
একটা দড়ি দিয়ে আমি মুড়ে ফেলেছি এই শহর
সকলে আইনস্টাইন ,পিথাগোরাস ,হাতুড়ি আর পেরেক বোঝে
অথচ সময়ের ঘরে আজও দড়িটানাটানি
দড়ি ছেঁড়াছিঁড়ি ,
আমি কবিতা লিখি রোজ নিয়ম করে ভিখিরীর মতো
কিন্তু কবিতার ঈশ্বরী আমাকে ছোঁয় না।
.
ইদানিং আর আগুনে পোড়ে না হৃদয়ের কোনে জমা জঞ্জাল
ইদানিং আর জ্বালা করে না শরীর
কারণ আগুনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আলাদা করে বুঝি কই
কোনটা যন্ত্রনা ,কোনটা আমি।
সব কেমন সত্যির ঘর থেকে দাবার ঘরে দাঁড়িয়ে আছে
সম্পর্কগুলো মুখোমুখি সব মুখোশ খুলছে,
আমার আয়নাতেও ইদানিং আমার মুখটা থাকে না
থাকে না আমার শহর
থাকে না এই নগর
শুধু একটা বোধ কাজ করে
আমি বোধহয় ঘাসের শরীরে জন্মেছি শিশিরের আশায়
কিংবা সেই গাংচিল সারা আকাশ জুড়ে স্বপ্নের আশায়
কিন্তু ঘাসের স্বপ্ন এই ইট ,কাঠ ,পাথরের শহরে বড় বেমানান
বড়ই বেমানান আকাশ।
No comments:
Post a Comment