Friday, November 15, 2024

ফুরোনো সময়

ক্রমশ  রাত্রি যখন দিন শেষে বাড়ি ফিরছে
ক্রমশ দিনগত পাপক্ষয় শেষে আমিও যখন পথে ক্রমশ কলকাতা প্রত্যাশিত শীত যখন ঘোমটা পরে
এক  মন্থর সন্ধ্যের কথা লিখছে 
তখন আমার মাথায় মানুষের ব্যর্থ জীবন ঘুরছে
ঘুরছে  মানুষদের ভাঙা-গড়া সম্পর্কের এক অমীমাংসিত খেলা।
.
পার্কের ঠিক দু'নম্বর গেটের সামনে ক্লান্ত হর্ন
আর  নিয়মিত অপেক্ষারত টোটোর লাইন 
পাশের বেঞ্চ থেকে একখানি কথা তরঙ্গবাহিত 
অথচ ভীষণ বেপরোয়া, 
এক আকুল যুবতী কাকে যেন ফোনে বলছে
" সবকিছু করছিস কর বারণ তো করিনি, 
কিন্তু আমাকে একটু সময় দে..." 
ব্যাস, এটুকুই
চমকে উঠলাম।
.
আমি বিচলিত নই, নির্লিপ্ত এবং ক্লান্ত
কারণ আগেও বহুবার হয়েছে,
এই নাটকের শেষাংশ বহুবার অভিনীত হয়েছে আগে  কখনও শ্রোতা , কখনও বক্তা , কখনও স্রেফ দর্শক হয়ে আমি এর মধ্যে দাঁড়িয়েছি
সেকারণেই আমি জানি, অথচ বলতে পারলাম না
বলতে পারলাম না সেই  যুবতীকে কিছুতেই
"সময় ফুরিয়েছে যে"।
যেমন ফুরোয় দিনান্তে রাত, রাত অন্তে দিন
যেমন ফুরোয় কথারা,কথার শেষে মুহুর্ত 
যেমন ফুরোয় প্রিয় মুখ দিনবদলের কবিতায়
আমি সেই যুবতীকে বলতে পারলাম না
এইবার তোমার সব স্বপ্নদের গায়ে ধুলো জমবে
এইবার তোমার বুকের ভাঁজে প্রজাপতিদের মৃতদেহ
এইবার তোমার সময় কাটবে এক অভিশাপে।
এরপরও এই কলকাতায় সন্ধ্যে হবে
আকাশের ধুলোর ফটোফ্রেমে চাঁদ হাসবে
কিংবা হাসবে না
এরপরও এই শহরের সম্পর্কের ভীড়ে সম্পর্করা বাঁচবে
কিংবা বাঁচবে না
কিন্তু তোমাকে তো বাঁচতেই হবে। 
.
ফুরোনো সময়
... ঋষি 

No comments:

Post a Comment

অন্য খোঁজ

ইদানীং আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না চুপ থাকি, আসলে এই চুপ করে থাকার মধ্যে এক সমুদ্র, কোলাহল বলতে এখন পা ছুঁয়ে সরতে থাকা জল। এক আলোকবর্ষ আনন্দ যন...