Tuesday, November 25, 2025

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন
চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত
এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি
ফেরা আর না ফেরা
ফিরতে চাওয়া কিংবা ছায়াপথ
তারপর সব শূন্য । 
.
চমকে উঠলে চলবে না 
নিজেকে নিজের ছায়া ভাবলেই বেশ একটা চরিত্র মনে হয় 
তোমার বাড়িতে বারান্দা নেই 
তবে কেন যেন দেখি বারান্দার রেলিং পেরিয়ে এক হুলো বেড়াল দুধ চাটছে,
এক সময় তাকে তুমি ওয়াল্টার বেঞ্জামিন পড়ে শোনাতে 
তার পর তোমার বাড়িরই কার্নিশ বেয়ে সে বেপাত্তা
থিওরেটিকালি এলিয়েনেশন
এনার্জেটিক ফর্মে তুমি ছায়া ছায়া কবিতা । 
.
চলন্তিকা তুমি কি পেলে?
চলন্তিকা আমার ছায়া শরীরের ডাকনাম
শূন্যতা , ট্রেনের শব্দ ছাপিয়ে মোলায়েম ভোর।
আসলে চলন্তিকা হলো ভয়ানক নির্বিকল্প সমস্যা
ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে তার অবয়ব ,
গোয়া সমুদ্রের টুরিস্ট বাঙলোতে একটা অবয়ব পৃথিবী হয়ে গেলো
তারপর কখন যেন প্রশান্ত সাগরের পাশের দ্বীপ 
তারপর শহর ,নগর ,গ্রাম 
আমি পাগল হয়ে যাবো।  
নোটেশনের চিহ্ন পেরিয়ে অ-কাতর যৌন গন্ধ 
বিছানার অক্ষ থেকে ঢলে পড়ছে কারুকাজ 
একটা রাত্রি মেলে ধরে সময় সাঁতার কাটছে 
স্ববিরোধিতা
ঘুম পাড়ানীর গান
আমার ছায়ায় .....চলন্তিকা।  
.
এলিয়েনেশন
... ঋষি

Sunday, November 23, 2025

ঝগড়া

মুখের পাশে মেলে ধরছি চুইংগামটুকু
মেঘ বলে ভাবি
কিংবা ভাবি বিশাল এক আকাশ ,
রুমালে হাত মোছার অভ্যাস চলে গেছে বহুকাল 
তাই  লং ড্রাইভে যাওয়া  
অভ্যেসের গান  পল পল দিলকেএএএ পাসসস
বড্ড সাবলীল হয়ে উঠছে উইক এন্ড। 

বিশাল আকাশ  থেকে ফুটকি হয়ে যাচ্ছে কিছু দৃশ্য
কি যেন দর্শন ছিল
দৃষ্টি বা দর্শনের বাইরেও তো আমাদের থাকা,  
ঘুমোতে  গেলেই  যেখানে তুই তুই ভাব 
না ডিপ্রেশন। 
যারা চুইংগাম চিবিয়ে জীবন কাটাতে পারে 
তারাই মানুষ 
আর ঈশ্বর বোধহয় শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে বোধ খোঁজে 
আর সেই বোধ  পরীক্ষনে আমাদের ঝগড়া । 
.
ঝগড়া  
... ঋষি

ধূসর মানুষ

দ্রুত রং বদলালে নিঝুম হয়ে আসে কাছাকাছি আসা 
মুখোশটা খুলে দিলে মুখগুলো যেমন সাপ হয়ে যায় 
পোশাক খুলে যেমন মানুষ পোশাক বদলায়
সবটাই জানা,    
অথচ জানা নয় পুরোনো রেডিওতে গান বাজলে 
মন কেন ভালো হয় 
জানা নয়  
একলা বৃষ্টিতে মানুষ কেন কাঁদতে চায়।   
.
তোমার শাড়িতে কোথাও যেন লুকোনো থাকে ন্যাপথলিনের গন্ধ
কোথায় যেন সময়সময় রোদ লাগে তোমার মুখে 
আমিও  বড্ড স- র- ল রেখায় চিরকাল 
আর ছায়ায় ঢুকে পরে দ্রাঘিমা যার ঘাড়ে এলার্ম ক্লক ,
 অপেক্ষার প্রবনতা চাপ বাড়ায় 
অতিরিক্ত আলো ঐকিক নিয়ম মানেনা
ছায়া নেমে আসলে আবছা বা ধূসর রং জীবনের 
কিংবা ধূসর মানুষ। 
.
ধূসর মানুষ 
... ঋষি

Saturday, November 22, 2025

শরীরের শব্দ

নেশার সাথে ঘুমগুলো জুড়ে জুড়ে তৈরী হয়ে যায় 
এক অক্লান্ত নিবেদন 
আবেদনের রিদমে উঠে আসে রংমিলান্তে ,
বিছনার উপর পরে থাকে আমার উলঙ্গ নীরব ঘুমোতে চাওয়া 
১০ নম্বরের তোমারের কাছে পৌঁছনোটা ভীষণ জরুরী মনে হলেও 
নিয়ম ভাঙতে পারি না। 
.
অনেকগুলো ...অনেকগুলো...আলো ছায়ার উপর সত্যিগুলো 
বিরক্তিতে একঘেয়ে চলতে থাকা ইরোটিক মুভির শব্দ বাড়ায় 
এক টানা আওয়াজ 
এক টানা ঘর্ষণ ,এক টানা নিস্তব্ধতা চ্যানেল বদলাই । 
আউলে বাউলে ফিল্ম পেরোলেই বিরতি
দীর্ঘ
বি র তি
মোরামের রাস্তার টানেল পথে এগিযে চলো আমি গুহা মানুষ 
আদিস্বর আদিরস, বাথরুমের ফ্লাশটা টানি। 
.
সময়ে ভিজছে দায়বদ্ধতা...পুরোনো সারমর্ম
...আমাকে নাভির ভিতর টেনে রাখতে চাই আমার জন্মস্থল 
সম্পর্কের সব ফিকে রং...
জলবসন্ত= জল+ বসন্ত। 
কাঁথাস্টিচে হৃদয়ে লাগানো প্রাণের ঠাকুর রবি 
ধূ...ধূ... উড়ানের গ্রাফ
রাফ এন্ড টাফ ,
সত্যি কি সব সাবওয়ে জুড়ে কি কমে আসছে আঁচ
একটা অশ্লীল চুমুর গায়ে হলোগ্রাম
হলদেটে
কেন নয় ? ভালোবাসলে শরীর আসবেই 
 নিউরনে প্রশ্ন নিয়ে এগিয়ে আসছে ওয়াচগ্লাসে বিপন্নতা 
মাথা ভার ,ঘুম আসছে 
আট পেগের শরীরটা টেনে নিয়ে ফেলতে চাই তোমার বুকে 
ঘুম আসছে কিন্তু তুমি নও। 
.
শরীরের শব্দ 
... ঋষি

তৃতীয় চোখ

চালশের এক নিরুপায় দৃশ্য 
এক পা বাড়ালে এগিয়ে সেতু পেরিয়ে ভালবাসা
অথচ  নুনে নুন বালিয়াড়ী...ভিন্ন এর স্বাদ
সমুদ্রের সাথে,সমুদ্রের কাছে ক্লান্তি মাপি। 
একলাই দাঁড়ায় ভাবনার ওপারের তোমার ছায়াকে বুকে নিয়ে 
সমদ্রের বিশাল ঢেউতে আতশ কাঁচে ধরা পরে যায় ঠিক সুক্ষ চিড়গুলো 
যাকে তুমি ব্যস্ততা বলো। 
.
মা বলে সময় নিয়ে লিখতে ,লিখতে দেশ নিয়ে 
অথচ মাস্টারবেশনের পরে পরে থাকে নিস্তেজ শরীরটা তোমাকে খোঁজে 
ধমনীর অদৃশ্য লঙশটে ডিম-ডিম আলোয়
আমি দেখতে পাই দেশের মানচিত্র আর সীমান্ত। 
অবাক যাই  মিস্টিক তরংগদৈর্ঘ্যর উল্লাস বাহুতে
আকাশী নাভিমুলে
তারপর লাল-হলুদ-সবুজের তেরছা মিশ্রন
জানি দিগভুল হচ্ছে ক্রমশ। 
.
জানি এই রং আমার নয় 
জানি বাঁকা উপত্যকা ২-বি পেন্সিলের গা বেয়ে ঐশ্বরিক সৌন্দর্য 
আমার নয় এ ছবি ,আমার অধিকার নেই এই আঁকার খাতায় 
শুধু আঁকার পাতার কান্নার  সল্টেড বিকেল
প্রতিটা  পোয়াতি সকাল তুমি আসবে হয়তো 
প্রতিটা অসামাজিক রাত্রি তুমি ডাকবে হয়তো 
কিছুই ঘটে না। 
...........শুধুই  তেতো
ক্যানভাসে রং জল...জল রং... ডুব জল
নিরন্তর 
তবু ছবির মাঝে আমি থাকি না কোথাও
শুধু পেন্সিল স্কেচের ভাঙা অন্ধকারে আমি জাগি 
যেন প্রেত কোনো।  
.
তৃতীয় চোখ 
.... ঋষি

সেলুলয়েড

রাত মুছে গেলে জোয়ারের জলে হাপুস কার্নিভাল
ঝাউবনের কাছে লেন্স... চিবুক...কথোপকথন...সেলুলয়েড
মুহূর্তটা কিছুক্ষনের 
আলোর হিসাবে ঐকিকরাশি প্রগতির প্রতি ,
পিছলে পড়ে ঘুম পাতা- ঘুম পাতা খেলা ... জানি ঘুম আসে না 
সবুজ ক্লোরোফিলে মুখ
 – অবয়ব যেন রূপকথা। 
.
হালকা হয়ে আসছে চুমুর গন্ধ ,লবঙ্গের স্বাদ 
ক্রমশ বিস্বাদ 
ধোঁয়া উঠছে বাতিকগ্রস্ত,ব্যস্ততা মোড়া শরীর থেকে
তোমার শহর থেকে চিমনির কালো ধোঁয়া 
অথচ গঙ্গা জল শুদ্ধ 
অথচ এ সময়ে শুদ্ধতা নিজেই একটা পরিহাস। 
.
আয়নার পিঠ থেকে পারা –পারা পিছলে পড়ছে সময়ের ছায়া
স্যালাড আর সময় নিজেরাই শুধু সুস্বাদু 
অবশেষে ঈশ্বর শব্দটাও বিক্রি হয়ে যায় 
বিক্রি করে এই খিদের শহর 
আমি তুমি হেড না মেপে টেল খুঁজি 
কিংবা টেল না খুঁজে বাঁচার গান। 
মুসাফির দুপুরগুলো ইদানিং তোমার ভিড়ের কাছে হারায় 
আর রাত্রিগুলো তোমাকে বলে 
জাগতে রহও ......
.
সেলুলয়েড
... ঋষি

Wednesday, November 19, 2025

ঘুনপোকা

(১)
আমি নিঃশব্দ হয়ে উঠতে চাইছি বারংবার 
কিন্তু কাঁচ ভাঙার তীক্ষ্ণ শব্দ কিছুতেই  রুখতে পারছিনা
যন্ত্রনা আসলে ভীষণ একা সাদা কাপড়ে ঢাকা। 
(২)
সময় সময় মুখটা ওয়াশ বেসিনের মতো বারংবার 
ভাঙা কাঁচের আয়নায় নিজের ফ্যাকাশে মুখ 
মুখ ধুয়েও আত্মার প্রতি সন্দেহ বাড়ছে ক্রমশ। 
(৩)
জানা ছিল না সময়ের  অনুমোদন ছাড়া প্রেম হয় না
কাছে থাকা হয় না 
পান পাত্র নেশা হয় না ,শেষ রুটি হয় না।
(৪)
ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে যায় বারংবার তোমার নগ্নতা
 তুমি জাহাজ হারিয়েছ, মাস্তলে ঝুলে আছে কয়েকটা মরা মাছ
আত্মাগুলো কাঁচ ভাঙার শব্দে আশ্রয় হারাচ্ছে অবিরল।
(৫)
দেখো পানপাত্রে মৃতরা হাততালি দিচ্ছে
তোমার প্রগাড় একাকীত্ব দেখছে, ছুড়ে দিচ্ছে দু একটু রুটি
নীচু স্বরে তারা কথা বলছে ভাবছে  প্রতিবাদ হলো ঘুন পোকার ডাক। 
.
ঘুনপোকা 
... ঋষি

Monday, November 17, 2025

ফ্রাঙ্কেনস্টাইন

এই শহর ঘুমায় না, কেবল চোখ পাল্টায়,চোখ টাটায় 
এই শহরে প্রতিটা ইট ,কাঠ পাথরের একটা গল্প আছে 
গল্পগুলো দেয়ালের ভিতরে আলোআঁধারিতে  ফিসফিস করে
মনে হয়, সময় নিজের ছায়াকে গিলতে থাকে  ধীরে ধীরে।
অদ্ভুত এক রহস্য 
এ শহরের প্রতিটা মানুষ হাঁটে তার প্রতিচ্ছবির সঙ্গে
হাত মেলায় নিজেরই ক্লোনে,হাসে যেন প্রোগ্রাম করা ইমেজের মতো,
সকলেই এখানে  অনুভূতির ব্যবসায়ী
সকলেই  রক্ত বিক্রি করে সময়ের জোগাড়ে থাকে বাঁচার ।
.
আমি সাধু নই, আমিও  সেই সুবিধাবাদী মাঝপথের যাত্রী 
যে জপে না, যে লড়তে ভুলেছে কিন্তু বিশ্বাস করে নীরবতায়
যে জানে, ন্যায়ের পাল্লা ভরলেও 
অন্য পাশে ঝুলে থাকে একটা অনুচ্চারিত পাপ।
কিন্তু অদ্ভুত কেউ জানে আদোও আসলে  পাপ কি ?
সত্যি পবিত্রতা কি ?
এই যে তোমার ঠোঁটের উষ্ণতায় লেখা এক নক্ষত্রের আদিমতা 
এই যে তোমার ভাবনায় একটা অসমাপ্ত কবিতা,
বিশ্বাস করো কথা না বললেও এখানেও শব্দ জন্ম নেয়। 
.
সত্যি হলো এ শহরে  মৃত্যুও আসে ই-মেইল করে
বিষন্নতা চিরকাল  লগইন নেয় অন্য অ্যাকাউন্টে
তবে সত্যি কি দুঃখ বলে কিছু আছে এ শহরে ?
না কি সুখ হলো  এক ফ্রাঙ্কেনস্টাইন  ?
কি তবে সত্যি বেঁচে থাকা ?
ভালোবাসা তবে কি  সত্যি ?
এই শহর এসবের হিসেবে বোঝে না ,শুধু বোঝে
ভাঙা স্যিগনালের ওপারে এবার গল্প লিখতে হবে। 
.
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন
... ঋষি

Sunday, November 9, 2025

জাগো তোমরা

কেন লিখছি  আদিম যাপিত জীবনের দিনলিপি
লিখতে হয় ? 
না কি আমি সত্যি লিখতে  পারিনা তাই ।
আসলে ইদানিং সত্যি না লিখে লিখে নিজেকে মনে হয় চরম অপরাধী
এই শহরের এই গ্রামের প্রান্তিক মানুষের ঘেমে ওঠা শরীরের যন্ত্রণা
অপুষ্টি শিশুর রাতে বাড়ি না ফেরা রাস্তায় দাঁড়ানো মায়েদের  কথা
ওদের কথা যাদের শরীরে কিলবিল করছে  লক্ষ ক্রিমি।
.
ওদের প্রকাশ করা হয় নি বহুদিন 
এও এক অবশ্যম্ভাবী প্রসব বেদনা 
আঁধার পেরিয়ে সকালের কবিতায় মানুষগুলো  একলা দাঁড়িয়ে ,
মোরগ যেমন ডেকে ওঠে সুন্দর সকালের কথা বলে 
শিশু যেমন চিৎকার করে  জানানা দেয়  এ পৃথিবী আমার
ফুল ফল পাতা নীরবে  বলে আমায় চেনো কি ?
ঠিক তেমন আমার এই কবিতা আজ চিৎকারে 
একবিংশ শতাব্দীর একলা সেই মানুষগুলোর যুদ্ধ লিখতে চায়।
কেন যে লিখতে চাই গলার কাছে আটকানো কথাগুলো 
কেন যে অন্যায় কিছু  পরজীবী অন্যের খেয়ে নিজের ঢাক বাজায় 
কেন যে তারা প্রতিশ্রুতি দেয় তারপর বেমালুম ভুলে যায়,
প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে মিথ্যাচার করে
ভিক্ষার ঝুলি হাতে তারা বেসাতি করে ফেরে
শুধু নিজের ঘরে সিঁদ কেটে স্বার্থের প্রাসাদ গড়ে।
ওদের চিহ্নিতকরণ করতেই
আজ আমার  এই কবিতা 
যা চাপা পড়ে ছিল  হলদে হয়ে যাওয়া ঘাসের নিচে 
যা লুকোনো ছিল ভয়ের প্রাসাদে মিথ্যের অহংকারে 
আজ চিৎকার করছে 
জীবন হারানো সেই সব সবুজ ঘাসেদের জন্য 
সেই সব ধর্ষিত হারানো কবিতার জন্য 
শুধু বাঁচার স্বপ্নের জন্য 
ঝকঝকে রৌদ্রে ডানা মেলে মুক্তির আনন্দের জন্য
একবার 
একবার 
জাগো তোমরা ,সত্যি বলো প্লিস ............
.
জাগো তোমরা 
... ঋষি

হারানো কবিতা

তুমি কি হারিয়েছ পথ ?
যে প্রবল ভাইরাল এক অফবিট স্বপ্নের খোঁজ ছিল 
তাও  কি হারিয়েছো আজ ? 
আজও কি তুমি ধ্বংস করছো নিজেকে ?
আজো কি খুঁজছো তুমি কারুর পাতায়
অনবরত কবিতা ,অনবরত মুক্তি ,অনবরত জীবন। 
.
হেরে যাওয়া আর নিজে থেকে হারার মাঝে এক অজুহাত 
জানো তো “অনর্গল লিখে গেলে কবিতাও স্প্যাম হতে পারে”
জানো তো জীবনের ভূমিকায় বেঁচে থাকাগুলো মিথ্যে হতে পারে 
তবে কি পথিক তুমি পথ হারিয়েছো ?
হারিয়েছো নিজেকে ক্রমশ  আবেগের ভরে ন্যুব্জ, শ্লথ
হারানো কবিতার মতো। 
.
ম্যানকিপিং কাকে বলে জানো ?তবে?
তবে শুধুই কি প্রমোদ? আলিঙ্গন আল্লাদ আশ্লেষ?
আর নিয়ন্ত্রণ ? 
সুখী গৃহকোণ অবশিষ্ট অঙ্গীকার সাজানো বিজ্ঞাপন 
এখানে তবে সত্যি কই ?
শুধুই বিজ্ঞাপন সর্বস্ব অনলাইনের পাতায় জীবন 
তোমার আমি কিংবা আমার তুমি। 
তবে তাই হোক, তথাস্তু 
আমার ক্ষতবিক্ষত মনের পট হোলে জমে থাকা তরল
গরল না অমৃত, না হয় নাই জানলে তুমি।
নাই জানলে আমার নির্ঘুম রাত্রির কারণ
নাই জানলে কোনো এক প্রসন্ন সকালে
কেন আমি মিলিয়ে যেতে চাই 
অসফল ,বিচ্ছিন্ন ,অসামাজিক ,বর্বর ,উপেক্ষিত কবিতার মতো। 
.
হারানো কবিতা 
... ঋষি

নির্ভেজাল

নির্ভেজাল 
... ঋষি 
.
কথাগুলো মনে থাকে যেন 
এক বিকেলে তোকে জড়িয়ে ধরে একটা নির্ভেজাল চুমু খাবো 
উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম নিপাট একটা চুমু 
শুধু একটা অন্য অনুভূতিতে লেখার জন্য ,
এই ভাবে ঠিক একদিন দেখা হয়ে যাবে ভেবেছি 
তারপর ,তারপর আর তুই আসিস নি । 
.
কেউ যখন কিছু চায়
সেটা না দেওয়ার মধ্যে একটা রিক্ততা আছে
আমি আমার রিক্ততা গায়ে দিয়ে রাখি
বাটিকের ছাপ দেওয়া জামার মতো,
নামাবলির মতো তোর নামের উচ্চারণে 
আমি আমার উচ্চারণে ইঙ্গিত দিতে চাই ভালো থাকিস ।
.
কথাগুলো মনে থাকে জানি 
সর্বত্র ছড়ানো এক উলঙ্গ অধিকারের বর্বরতা আর আহুতি 
আমার উলঙ্গ পিঠে যে চাবুকের দাগ,
যেগুলো স্পেস স্টেশান থেকে স্পষ্ট দেখা যায়
নাজকা লাইনের মতো। 
আমি ঠিক এমন চাই নি 
চেয়েছি এক মুক্তির আকাশ তারপর নির্ভেজাল পবিত্রতা 
তবু তুই , অন্যমনস্ক তুই , ক্ষুরধার তুই ,
কলকাতায় ইদানিং উবের ট্যাক্সির রমরমা 
তোর চলে যাওয়া 
আর কেউ যখন কিছু দেয় না,
সেটা না পাওয়ার মধ্যে একটা প্রাপ্তি আছে।

Monday, November 3, 2025

রাক্ষস জন্ম

একদিন কবিতারও বার্ধক্য আসে 
কবিতাও সময় পেরিয়ে ক্রমশ অগ্রসর হয় নতুনের কলমে 
একদিন ধমনীতে সময়ের  রক্ত ধীর হয়
গতি শ্লথ হয় সম্পর্কে শুয়ে থাকা অধিকারের। 
তারপর একদিন আমি কখন কবিতা থেকে বেরিয়ে পড়ি বনেবাদাড়ে 
তারপর কেন যেন  ঘন ঘন প্রেমে পড়ি অবেলায় 
তোমার কথা বলতে গিয়ে দূর নদীতে স্মৃতিরা মাঝি নৌকোয় 
টিমটিমে আলো  হয়ে দুলতে থাকে। 
.
তারপর কবিতা আসে 
তুমি  শান্ত, ক্লান্ত চোখে চেয়ে থাকো এ শহরের মানুষগুলোর প্রতি 
তারপর কখন যেন  গলার একদা টান টান চামড়ায়
লাভ বাইটের  ফিকে দাগ আরও ফ্যাকাশে হয়ে আসে।
বয়েস হলে, গনগনে কবিতারা ঠান্ডা হয়ে আসে
বিপ্লবী শব্দগুলো মিনিবাসে করে রোজ আপিসে যায়,
ক্যান্টিনে চা খায় একা একা
ইদানীং কবিতারাও মানুষ খোঁজে এ শহরে মানুষের মাঝে। 
.
তারপর কবিতারাও একা  হয়ে যায় 
আমার মতো রোজ অফিস থেকে  ফিরে চাল ধুয়ে ভাত বসায়   
আসলে একলা মানুষের  ছকভাঙা ছন্দগুলো
ঘাড় গুঁজে এ শহরে কবিতা হয়ে হিসেবে কষে অপেক্ষার। 
সত্যি হলো বার্ধক্য এলে, কবিতারা সাইকেল চড়তে ভয় পায়
অথচ একলা ঘরে, একলা অন্ধকারে ,একলা বিছানায় ভয় পায় না 
আমার মা বলে কবিতা বাঁচে রাজার মতো আর মরে কুত্তার মতো 
অথচ আমার রাক্ষস জন্ম মানে না এ কথা ,
কারম বার্ধক্য এলে কবিতার মৃত্যু ভয় কমে আসে
অমরত্বের ভয় চেপে ধরে তাকে
কিছু সহবাস ক্রমশ মুক্তি থেকেও তবু  মুক্তি খোঁজে 
কলমের নিবে কবিতার শব্দরাও ক্লান্ত হয় 
ক্লান্ত হয় মিথ্যে কথা। 
.
 রাক্ষস জন্ম 
.... ঋষি

এলিয়েনেশন

বোধহয় এক তরফা এলিয়েনেশন চোখের বিষন্নতায় ডিমলাইটের নিস্তব্ধ আস্তানা নেমে আসছে দ্রুত এই কবিতা কৃত্রিম আলোর নিচে হলুদ ট্যাক্সি ফেরা আর না ফেরা...