সুরজকা সাতমা ঘোড়া
... ঋষি
.
১
.
ছাদ শুনলেই ভাঙা কার্নিশে আমি মৃতদেহ দেখি
দেখি প্রেমিকার শাড়িতে ঝুলন্ত একটা শরীর ,
অথচ বাইরের বারান্দায় তখন সবুজ বসন্ত।
আমি অবাক হয়ে ভাবি
ভাবনারা পা পিছলে প্রতিদিন পরিবেশিত হয় সামাজিক কাব্যে
অথচ ভাবনারা বাথরুমে থাকে।
..
২
.
সিংহের সাথে চাঁদ মিশে গেলে
অনবরত তুমি ভুল বলতে থাকো তোমার স্খালনে ,
আমি কাব্য করলেও সত্যি বলি
কবিতার পাতায় ছেঁড়া চাঁদ লুকিয়ে রাখে সূর্যকে
সকাল হবে
প্রশ্রয়ে জেগে উঠবে সময় দুশ্চিন্তার ফাঁকে।
.
৩
.
নির্বাসিত স্রোত, তোমার ঘুমের মধ্যে
আমার মতো কেউ দাঁড়িয়ে আজ বহুযুগ আবছা ভাবে ,
তোমার কিশোরী বেলার শব্দবন্ধ নৌকা বানায়
ভাসিয়ে দেয় সময়ে ,
আমি বুঝি নৌকার মাঝি ,প্রবাহমান ধারায়
তবে সকলেরই পাড়ে ওঠা দরকার।
.
৪
.
ঠোঁটে তোমার অমৃত লোভ লবঙ্গের গন্ধ খোঁজে
নির্বাসনের প্রসঙ্গে বারংবার চোখে জল আসে
বুকের লাবডুবে তখন পুঁজ রক্ত আর আশা ,
জখম সময়ের এক মাধুর্যতা আছে
স্মৃতির পললে
তোমার সিঁড়ি বেয়ে একলা দাঁড়ায় আমার সময়ের কবিতারা।
.
৫
.
আমি সাঁতার জানি ,তুমি জানো না
তাই বারংবার ডুবে মরতে চাও
অথচ আমাদের অনুভূতিরা চিৎসাঁতারে বেশ সাবলীল এই সময় ,
আলুথালু একঅজ্ঞানতা
দুর্ভিক্ষের অভিমানে সময় গিয়ে দাঁড়ায় পড়ন্ত বেলায়
গভীর রাতে চাঁদ আর সূর্যের সঙ্গমে জন্ম হয় মুহূর্তদের।
.
৬
.
আমার কোনো লজ্জা নেই
তাই আমি পড়শী পাড়ায় দাঁড়িয়ে থাকি মিষ্টির দোকানের সামনে ,
আমার কোনো শিক্ষা নেই
তাই শেক্সপিয়ার আর মার্কসবাদকে মুড়ির ঠোঙা মনে হয়
কিন্তু আমার যা আছে তা সকলের নেই
আমার ভিতরে বাউলের বাস ,যা সময়ের নেই।
.
৭
.
আমার ঘরের পচ্ছিমের দেওয়ালে একটা সমাজ দাঁড়িয়ে
আর বারান্দার বাইরে সূর্য
আমার শব্দরা সূর্য স্পর্শ করে রোজ
হয়তো পুড়ে যায় নিয়ম করে
তবুও রাত্রি আসে ,তুমি ,আমি জেগে থাকি সিলিঙে
কারণ সুরজকা সাতমা ঘোড়া দৌড়োয়।
No comments:
Post a Comment