একটা অন্ধের কবিতা
.. ঋষি
অন্য মানুষেরা আমার ভাষা বুঝতে পারেনি
আর ভাষা আমার শুধুমাত্র প্রকাশমাধ্যম নয়, অস্তিত্বও সে,একটা স্পন্দন,
তারা আমার দু পা হাঁটুর ঠিক নিচ থেকে কেটে ফেলে
তারা আমার হাতের আঙুলগুলোকে পাগল আখ্যা দেয়।
আসলে সমউচ্চতায় চোখে চোখ রাখা যায়, আর মুখের গন্ধ শুঁকে তারা বুঝতে পারে
গতরাত্রে আমি কী কী খেয়েছি, মাংসের কুচি দাঁতে লেগে কি না।
একাজ তারা চৌকি বা চেয়ারে উঠেও করতে পারত
কিন্তু তা ঐতিহ্যবিরোধী,
মানুষের স্বার্থে জনগনকে বোকা বানানো যায় রবীন্দ্রভাষ্যের সুমেদুর উচ্চারনে,
কিন্তু কথা হলো ছোকড়া
তুমি ভাষার কি বোঝ?
আর মানুষগুলো কি বোকা সব, নিজের ভালো বোঝে না।
.
আমার শেকড় নেই,
ফলে মাটির সঙ্গে আমার যোগাযোগ সংস্কারবিহীন
শুধুমাত্র সময়ের গতিসূত্র অনুযায়ী আমার সমস্ত নড়াচড়া,
ফলে আমার মাথায় অ থেকে অজগর
ক থেকে কেওড়াতলা, বর্নপরিচয়,বর্ণমালা আর ছাতিমতলা।
অন্য মানুষেরা বলে , এ লেখা ভারতচন্দ্র লিখলে শ্রতিমধুর
কিন্তু আমার হাতে পাগলামির তলোয়ার।
বর্ণমালায় উপনিবেশ হোক
আর ব্রায়েরর বিজ্ঞাপণ সমস্তই অশ্লীল লাগে,
আমি, যে অস্থিরতা চাই না – ফোরপ্লে শুধু
কন্ডোমে ব্রেইল লিপিতে বর্ণমালায় কবিতা লিখে যাই
নবান্নে কনফারেন্স লিখি, এপিটাফ।
জানি এক বর্ণ অসম্ভব
বিশ্বাস রাখো ভালোবাসা,বিশ্বাস রাখো অসম্ভব
সম্ভব তখনি বাঁচা
যখন তর্ক না করে ভালোবাসতে পারো ।
No comments:
Post a Comment