কুয়াশা ও প্রার্থনা
.. ঋষি
আগত আর বিগতের মাঝে
এক মার্জিন তফাৎ,
দুটো বিপরীতগামী ট্রেন স্টেশন আলগা রেখে চলে যায়,
ঘুমের পরে অসম্ভব চেতনায়
তাড়াহুড়ো পড়ে ট্রেন ধরবার, বিকলাঙ্গ ভাবনায়।
.
কুয়াশা আর প্রার্থনার গন্ধ এক নয়
– যে বলেছিল, সে এখন নিজেই কুয়াশার আড়ালে,
মাকড়সার জাল বেয়ে,ধুলোজমা পুরনো বইয়ের পাঁচিল পেরিয়ে
সিঁড়ি বেয়ে তার পায়ের শব্দ
দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরে ঢোকে হঠাৎ উপস্থিতি নামক একটা প্রশ্ন
আর আমি কাঁপতে থাকি।
.
আলো আকাশ থেকে আসে
কয়েক আলোবর্ষ দূরে এক আলোর বিন্দু
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ এর মধ্যে কোনো চালাকি নেই।
লোকে বলে
– প্রার্থনার সময় মানুষ চোখ বুজে ফেলে
কারণ সেই আলো ছাড়া কেউ অন্য কোনো ঈশ্বর ভাবতে চাই না,
বাঁচার খাতায় আলো ক্লোরোফর্মিয় কবিতার মতো।
আমি যে কবিতা লিখতে চাইছি না সেটা কেউ বিশ্বাস করে না
আমি জাস্ট নিজের চারপাশের অর্থ বুঝতে চাইছি,
আর যা বুঝছি, তা নিজের ভাষায় লিখে রাখছি ।
আমার এই পান্ডুলিপি বিশ্বাসের
প্রার্থনার আমাকে মানায় না,
আমার শার্টের আস্তিনে ময়লা, লুকোনো ছুরি
আমি আলো ভাবতে পারি
আমি ঈশ্বর ভাবতে পারি
এমনকি তাকে খুন করতে পারি
কিন্তু তাকে ছাড়া বাঁচা আমার স্টেশনে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সামিল।
No comments:
Post a Comment