ঢ্যামনার বাচ্চা
............ঋষি
এই ঢ্যামনার বাচ্চা ছ নম্বর রেঞ্জটা নিয়ে যায়
ঐদিকে তাকিয়ে কি দেখছিস
জুলফিকার এগিয়ে যায় গ্যারাজের যন্ত্রপাতির দিকে
জুলফিকার পিছিয়ে যায় তার বয়সী পাঞ্জাবী পরা ছেলেগুলো থেকে
আজ স্বরস্বতী পুজো জুলফিকার শুনতে পাই মাইকে
পুজোর অঞ্জলীর মন্ত্র
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
.
এই ঢ্যামনার বাচ্চা কাজে মন থাকে না রে
পিছনে একটা লাথি খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পরে জুলফিকার
,কখন থেকে রেঞ্জ চাইছি ,
হাতে মুখে কালি মাখা আট বছরে জুলফিকার এখন কি মনে করছে
তার কপাল ,
আর সময় তখন নিজের মনে তা দিয়ে অদ্ভুত ভাবে ভাসছে
জুলফিকার দেখেছে স্কুল ফেরত পাঞ্জাবী পরা সেই ছেলেগুলোকে
বাসন্তী শাড়ি পরা সেই মেয়েগুলোকে যারা ভদ্র জাতের।
.
এই ঢ্যামনার বাচ্চা ওদিকে তাকিয়ে কি দেখছিস রে তখন থেকে
ওসব আমাদের না রে ,ওতো ভদ্রলোকের
যা রেঞ্জটা রেখে আয় আর মোবাইলের ট্যাংকটা দে,
কই রে ,কোথায় তুই ,এই ঢ্যামনার বাচ্চা।
ঠিক সেই সময় স্কুলের মাইকে ঘোষণা শোনা যায়
প্রসাদ বিতরণ হচ্ছে ,যারা পান নি নিয়ে যান
জুলফিকার মনে মনে ভাবে কিসের প্রসাদ
ছোটবেলায় মার্ কাছে সে শুনেছিল স্বরস্বতী হলো বড় লোকের দেবতা
গরীবলোকের কোনো দেবতা নেই
শুধু খিদে আছে ,
জুলফিকার বুঝতে পারছিল তারও খিদে পেয়েছে এই সময়
সে দৌড়ে ছুটে গেলো স্কুলের দিকে
পিছন থেকে শুনতে পেলে এই ঢ্যামনার বাচ্চা ............
No comments:
Post a Comment