পাথর
... ঋষি
খঞ্জর বুকে উঠে দাঁড়ানো পাথর
এই সভ্যতা দাগ ,পরিচয় ,অনবদ্য শব্দের বন্ধন
সামুদ্রিক ভিড়
নোনতা জল গড়িয়ে নাম সভ্যতায় ,
ভিজে চোখ বেঁচে থাকা খোঁজে
অনবদ্য জীবন কবিতার পাতায় অফুরান হয়ে যায়।
.
মাঝে মাঝে একশো তলার বুক ছিঁড়ে খসে পড়তে ইচ্ছে করে
কুঁচোনো কাগজের মতো এই অন্ধকার শহরটায় ,
ছোট ছোট খুপরির আলোগুলো জোনাকি যখন
তখন আমার চিৎকার করতে ইচ্ছে করে
সত্যি কি চলন্তিকা
বাঁচতে চাওয়াটা অপরাধ এই দুনিয়ায় ?
.
পাথরের বুকে রক্ত ঝরে
আজকাল জমে থাকা পুরোনো শেওলা বেয়ে নেমে আসে ঋতুবদল
ঝর্ণার মতো স্মৃতিরা চোখে পাতায় সকলে
কিন্তু ভেবেছো কি যার মনে থাকার কিছু থাকে না ?
যার বেঁচে থাকার কিছু থাকে না ?
যার বুকের ভিতর মনখারাপের বাঁশি গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে
চিৎকার করে সমাজ বেহায়ার মতো
তার জন্য এই পৃথিবী মোটেও বাসযোগ্য নয় তাই না।
তবুও পাথর থাকে চলন্তিকা
তবুও পাথর বাড়ে
তবুও শেওলা জমে পাথরে নাটকের মতো
তবুও পাথরের বুক ছিঁড়ে রক্ত গড়িয়ে নামে
খঞ্জর বুকে উঠে দাঁড়ানো পাথর
নিজের চোখ রগড়ে হঠাৎ ভাবে
আরে আমি তো বেঁচে।
No comments:
Post a Comment