Thursday, November 19, 2020

অপুর সংসার



 অপুর সংসার 

... ঋষি 


এক এক সময় তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

সেই ছেলেটাকে যে একমাথা কোঁকড়ানো চুল নিয়ে তোমায় অপেক্ষা 

আজ কয়েক জন্ম। 

তখন লিখতে ইচ্ছে করে 

এই শহরের বুকে একটা গোপন লুকোনো বিকেল 

একটা বিকেল যেখানে ফুরিয়ে যাওয়া সময় আলোর মতো ঝরে। 

.

এক এক সময় তোমায় ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

ইচ্ছে করে সামাজিক নিয়মিত পাণ্ডুলিপির ছেড়ে একলা তোমায় ভাবতে 

দেখতে ইচ্ছে করে পথের পাঁচালির সেই  অপুকে 

একলা ফিরে আসতে আরেকবার বিস্ময় সৃষ্টি করবে বলে,

দেখতে ইচ্ছে করে সেই অপর্ণাকে ,কাজলকে 

আরেকবার।  

.

কিন্তু সব ভুল প্রমাণিত হয় 

প্রমাণিত হয় সেই অপর্ণা বলে  যুবতী ভালোবাসতে পারতো ঠিক 

তবে বাঁচতে নয় ,

প্রমাণিত হয় অপু বলে সেই সদ্য কলকাতায় আসা যুবক 

এই  শহরে জল্লাদ পেন্সিল ডগায় ভিড়ে হারানো হাজারো আমি। 

ফিরে আসা ভালো 

তবে অপুর সুন্দর সংসার ফিরে আসে বিষন্নতায় শুধু চোখের কাজলে ,

তাই তো 

এক এক সময় তোমাকে ভীষণ দেখতে ইচ্ছে করে 

দেখতে ইচ্ছে করে সেই সিঁদুর মাখা মুখ। 

তোমাকে দেখলে 

খুশীতে ডগমগ করে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে বিভূতিভূষণের ভিতরে। 

.

হাতে ভাত খাওয়া হলো না বলে দুঃখ হয় 

বড়ো মিস করি সর্বজয়াকে এই শহরে ,

আয়না হাসে জ্বরফুল

যেন দুর্গার মুখ ,

আসলে সত্যি হলো আয়নার ভেতরে মানুষ ঢুকে গেলে

নিজেকে বড়ো আয়নার মতো লাগে এই শহরে , 

আয়নায় দেখা যায় ইন্দিরা ঠাকুরুন ,হরিহর বাবুকে 

আমার তখন কেন তোমাকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে ?

জানতে ইচ্ছে করে তোমার নাকফুলে সময়ের ঘন্টা কেন?

সময়ের স্বপ্নে কেন অপু বলে ছেলেটা  বিষণ্ণ চিরকাল ?

কেন তার সংসারটা করে ওঠা হলো না ?


No comments:

Post a Comment

জানতাম না

জানতাম না এক প্রতিবাদী আন্দোলন রাতভর মিটিং,মিছিল,অনসন সবকিছু মিথ্যা  মিথ্যা কাগজফুলের মতো গন্ধহীন এশহরে এক পৈশাচিক রাত্রির আয়ু, রক্তের গন্ধ।...