ধ্বংস সভ্যতা
... ঋষি
একুশ শতকের ঘুম থেকে ওঠা কোনো সকাল
প্রশ্ন রাখে
প্রশ্ন রাখে সভ্যতার খাপে রাখা অসংখ্য দার্শনিক ,কবি ,যুগান্তরের পথিকৃতরা
প্রশ্ন রাখে সৃষ্টির সুরে বাজতে থাকা হাজারো শব্দ
প্রশ্ন রাখে এই শতকে জন্মানো আগামীর মুখগুলো
আমরা কি মানুষ হতে পারলাম আদৌ ?
আমরা কি মানুষ ?
.
মানুষ বলে যে প্রজাতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি থেকে মুখ দেখায়
মুখ লিয়ান্ডারথাল থেকে সম্রাট অশোকের সাম্রাজ্যে
কিংবা ছোটদের ইতিহাসে চতুর্থ অধ্যায়ের সেই সময় থেকে
না সত্যি মানুষ খুঁজে পাচ্ছি না।
দেখতে পাচ্ছি একটা দুপেয়ে স্বার্থপর ,লোভী ,হিংস্র জীব
যারা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের আপনজনকে হত্যা করে ,
হত্যা করে প্রতিমুহূর্তের সময়ের ছোটছোট খুশিগুলো ষড়যন্ত্রে।
.
সময় বলছে মানুষ নাকি মেশিন হয়ে গেছে
কিন্তু মেশিনের একটা ধাঁত আছে ,একই কাজ সে বারংবার করে
কিন্তু মানুষের ধাঁত কি ?
একই কাজ যে নিজের স্বার্থে বদলিয়ে করে।
সময় বলছে মানুষ সৃষ্টির অন্যতম বুদ্ধিমান
কিন্তু প্রশ্ন হলো বুদ্ধিমানরা কি যে গাছের ডালে বসে
সেই ডাল কাটে ,
ইতিহাস সাক্ষী
হাজারো ষড়যন্ত ,হাজারো গুপ্তহত্যা সময় বদলেছে
বদলেছে মানুষকে
কিন্তু এ কোন সময়
যখন মানুষ খুঁজে পাচ্ছি না।
দেখতে পাচ্ছি কতগুলো মানুষের মতো দেখতে জীব
ক্রমশ এগিয়ে চলেছে মৃত্যু উপত্যকায়
ক্রমশ এগিয়ে চলছে ধ্বংসের পথে
ধ্বংস করছে সভ্যতা
বিকৃত করছে সম্পর্ক
বদলে দিচ্ছে বেঁচে থাকার মানে ,
এরা ছুটছে ,
এরা শুধু দৌড়োচ্ছে লোভ ,আরো লোভ ,আরো আরো
কিন্তু তারপর
এরা সবাই একা
এরা সবাই কাঁদছে।
এই ধ্বংস মুখী সভ্যতায় দাঁড়িয়ে মানুষ আজ
ক্রমাগত খুঁড়ে চলেছে কবর
নিচের
এবং আগামীর।
No comments:
Post a Comment