তোমার জলজ রাশি জেনে
বারংবার তোমার শরীর নিজের চিতা জ্বালিয়েছি
যাতে শুষে নিতে পারি তোমার সমস্ত অমনিবাস ,
আমাকে আগুন ভেবে তুমিও চড়িয়েছো বেমিসাল মহব্বত
বৃষ্টির মতো জড়িয়ে ধরেছো মুহূর্তের সুখ
অথচ আমরা কেউই সহজ হতে পারি নি।
.
আমার প্রতিটা সিংহনাদ বারংবার ভেঙেছে তোমার পাখির সুখ
এই দেহ ,এই গেহ পারাবারে এক পাশবিক সময়
বারংবার ছিঁড়ে খেয়েছে তোমার পাখিদের পরিভাষা ,
বারংবার না চাইতে কিছু আক্রোশ সূর্য হয়ে সৃষ্টি পুড়িয়েছে
সৃষ্টি করেছে দূরে এক অন্য পৃথিবী
অথচ আমরা কেউই দূরে থাকতে পারি নি।
.
এক অক্লান্ত সঙ্গমের পরে অমনোযোগী আমরা
মহানাগরিক হয়ে সাজিয়ে চলেছি নিজেদের দেবালয় ,
এ গল্প আমার তোমার না
এক পৃথিবী মানুষের ভিড়ে লুকোনো আমাদের মতো কবিতাদের।
অনিশ্চিত আগামীর রৌদ্রে আমরা পুড়েছি
পুড়ে চলেছে মুহূর্তদের শোক ,আকাশের পাখি ঘর ,নিজস্ব পরিচয়
এক ছন্নছাড়া হ্যামিলিনের বাঁশির শব্দ আমাদের তাড়িয়ে ফিরছে
ছুঁচোলো বল্লমের মতো জীবনের আয়ু ,নাভিমূলে কিরাতের দাঁত
সম্বব অসম্ভব কেঁপে ওঠা ঠোঁট
নিজস্বতা হারাচ্ছে শুকনো মরুভূমির সান্নিধ্যে।
তবু আমাদের ধ্যানযোগ
তবু আমাদের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো ফুরোবে না
কারণ অন্য মানুষের মতো আমরাও দিনান্তে সাধারণ।
.
যুক্তি তক্কো আর গপ্পো
... ঋষি
No comments:
Post a Comment