চলন্তিকা তুই এলে
... ঋষি
.
চলন্তিকা তুই এলে সাড়ে তেত্রিশ কোটি মোমবাতি জ্বালাতাম
তুই এলে একশো আটত্রিশ কোটি পরিসংখ্যান খুলে এই দেশে নতুন মানুষ ধর্ম বানাতাম
বানাতাম এক সাধের গড় ,সময়ের স্বর
আর বাঁচার স্বয়ংবর।
.
গোলাপি মেঘে স্বপ্ন জুড়ে জলফড়িং ঘাস
তুই এলে খালি পায়ে হেঁটে যেতাম মেঘেদের ঘরে
বৃষ্টি হতো ,টুপটাপ
তুই এলে চুপচাপ কিছু কথা বলতাম চোখে।
কখনো রাস্তায় ,কখনো বিছানায় ,কখনো দলা পাঁকানো শরীরের কাঁটায়
হয়তোবা সাহস করতেন যীশুর জন্ম দেখার।
.
অথচ চলন্তিকা তুই এলে জোনাকির ঘর বানাতাম
আকুল কান্নায় তোকে জড়িয়ে আঁকড়ে বলতাম " ভালো নেই রে "
অজস্র চিৎকারে গিটারের সুরে গাইতাম
আমার কলকাতা ,হাতে হাত ,হাজারো রাত।
তবু জানি এই কবিতা ফোড়াবে না
এই কবিতায় প্রাকজন্মের ইতিহাস লেখা দুটো ছোট হাত
তোকে আঁকড়াতে চাই
একটু হাসতে হয়তো ,
তোকে ভালোবাসতে
একটু বাঁচতে।
No comments:
Post a Comment