একটা অন্ধকার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ছে
ছোঁয়া যায় না ,একটুও না ,ছোঁয়া যায় না
পরিকল্পনার সফরে লং জার্নি লিখে চলেছে কবিতা ,
বারংবার থমকানোর পর
হৃদয়ের টাঙানো পর্দাটা প্রায়শই কেঁপে উঠছে
এভাবেই? প্রশ্ন তাকে ? উত্তর কে চায়?
.
সব আলোটুকু শুষে নিয়ে নেমে পড়েছে একলা পৃথিবী
আরাম করে বসত গড়ছে পিনকোড কলকাতা ৩৯
একটা অব্যক্ত কিছু ফেরারি এই শহরের কবিতায় ,
নিটোল কাঁচের মতো যা, জলের মতো, সবটাই স্বচ্ছ
কী হয়েছে? কোথায় কতটুকু রাখা ছিল? অবান্তর আজ
ব্যথার যোগ্য প্রত্যুত্তর, হো হো হাসি।
.
ষড়যন্ত্ররা আসে প্রতিমুহূর্ত
বুকের ছেঁড়া বোতামের আড়ালে একলা ঘরটা গুমড়োয়
সামাল সামাল রবে মুছতে থাকে দাবানলে বাকিটুকু স্পর্শ
ঝড় ওঠে না আর , নেহাতই মৃদু হাওয়া
উড়তে থাকা তোমার আঁচল বাঁধা পিনকোড কলকাতা ৩৯।
জানা আছে আর অধিকার নেই, থাকতে পারে না
আঙুলগুলো গড়িয়ে নামে তবুও সেই ক্ষতস্থানে
যেখানে কোনোদিন ছিল তোমার প্রশ্রয় ,
হাত বুলিয়ে আজও ক্ষমাপ্রার্থী ঈশ্বরের দরগায় দখল
তারপর দানপত্র লিখে দেয় অনায়াসে
এভাবেই ? মিথ্যে ছিল ? উত্তর কে চায় ?
.
ফ্ল্যাশব্যাকে শোনা যায় নিরুত্তর এই শহর
"পরের জায়গা পরের জমিন, ঘর বানাইয়া আমি রই
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।"
.
কলকাতা ৩৯
... ঋষি
No comments:
Post a Comment