অন্ধকারে তোমার মুখটা ঘরের ডিমলাইটের মতো জ্বলে
পাশে পরে থাকে জীবনের ঘোলাটে হয়ে যাওয়া চশমা,
সূর্যাস্তের পরে প্রতিদিন ওষুধের ঘর ,বয়স মাপার যন্ত্র
ক্ষয়িষ্ণু কিছু সম্পর্কের তিক্ত নিশ্বাস
বহুতলের খোপে খোপে একঘেয়ে গুঞ্জন করে চলে এ সি
বিপরীত উত্তপ্ত হাওয়ায় ভরে ওঠে শহুরে রাত।
.
পাশের বাড়ি থেকে শোনা যায় টিভিতে হিন্দি গানের লিরিক্স
জব কোয়ি বাত বিগর যায়ে ,
অদ্ভুত একটা ছায়ার মধ্যে দিয়ে হাঁটে এ শহর প্রতিশ্রুতিহীন অন্ধকারে
রাস্তার আলোর পাশে দাঁড়ালে ক্রমশ দূরে অশরীরী হয়ে ওঠে ছায়ারা ,
আলোর গল্প লিখতে চেয়ে শহর
কখন যেন ক্রমশ বাড়তে থাকা অন্ধকারে হারিয়ে যায়
ফুরিয়ে যায় দৃশ্যগুলো মুহূর্তের ফাঁকে।
.
অন্ধকারে কখনো কখনো আনমনে শুনতে পাই
কোনো এক সম্পর্কের দেওয়াল গড়া কিংবা ভাঙার আলাপ
ঢেউ তোলে জনহীন অন্ধকার শহরের সুইমিংপুলে উদম বুক
কোনো এক ব্যালকনি থেকে শোনা যায় কারুর মত্ত, জড়ানো কথা
… প্রেম নিবেদন, বা কনফেশন, বা দুটোই,
অদ্ভুত রাতজাগা কথাগুলো কোথাও কোথাও ভীষণ উত্তপ্ত
কারোর কারোর উত্তপ্ত বিছানায় তখন শুধু শরীরের গন্ধ।
.
রাতজাগা পাখিগুলো আসেনা আজ বহু বছর হলো এ-শহরে
তাদের বুকচেরা ডাক আর ধাক্কা খায়না কংক্রিটের দেওয়ালে দেওয়ালে
সময়ের আবিষ্কার থেকে শুনতে পাওয়া যায় স্মৃতি-ন্যাপথালিনের চাপা গন্ধ
কারুকাজ করা মেহগনি খাটে হেলান দিয়ে কিছু মানুষের অথর্ব মন
রিসাইকেল বিন থেকে তুলে আনে তখন বিবর্ণ কিছু মুহূর্তের ছেঁড়া টুকরো
কোলাজ বানিয়ে চলে,কাঁদে কিংবা হাসে
বুঝতে পারি অন্ধকার শহরের কবিতায় এ শহরের মানুষগুলো ঘুমোয় না ।
.
অন্ধকার শহরের কবিতা
ঋষি
No comments:
Post a Comment