Friday, May 31, 2024

তথাস্তু

সময়ের কাছে ভালোবাসা ইদানীং চিবানো চুয়িংগামের মতো

মানুষের ঠোঁট থেকে ঠোঁট, হাত থেকে শরীরে নিসপিস তারপর জামা কাপড়ে, চটি, জুতো সর্বত্র,

বিপরীত লিঙ্গের দুটো মানুষ

হঠাৎ সকাল সকাল  লাইব্রেরিতে হারিয়ে যায় 

তারা ভাবে সারাদিন ফড়িং এর কবিতা লিখবে

শরীর তো নেই শুধু চোখে, চোখে, পাপ তো নেই ভালো লাগায় 

তারপর টেবিল থেকে ভেসে আসা একটা রেশম রেশম গন্ধ এলোমেলো করে দেয় সব। 

.

সময়ের কাছে ভালোবাসা একটা পাংচার সাইকেলের মতো

চড়ে বসলেও মুশকিল, ঠেলে নিয়ে গেলেও মুশকিল

কি করলে যে ভালো হয়, কিছুতেই বোঝা যায় না।

পরশু রাতে স্যোসাল ইনবক্সে আলাপ হওয়া মেয়েটি বললো, চলো কাল বিকেলে মিট করি, 

ডুব মারি কফি পুকুরে।

যাওয়া উচিত কি না, ভাবতে ভাবতে যখন সকাল থেকে বিকেল  হয়ে যায়,

মন বলে দেখিই না কফি কাপে মন ভাসে কিনা। 

.

সময়ের কাছে ভালোবাসা মানুষের মোটা কাঁচের চশমাটার মতো

খুব, খুব প্রয়োজনীয়

চশমার এপাশে সময়, ওপাশে ঝাপসা

মানুষ হাতড়ায়, গলায় দড়ি দিতে যায়,

হঠাৎ মনে পড়ে নীল, মালতী, উৎপল কিংবা বিপরীত লিঙ্গের মানুষটার কথা।

ওর চোখ, ঠোঁট, বুক, চুল, হাসির কথা

সময় কিছুতেই মরেও মরতে পারে না 

মানুষ মরে কিংবা মরে বাঁচে 

ভালোবাসায় তথাস্তু কাম কিংবা মুক্তিতে।

.

তথাস্তু

.. ঋষি 

নীল দরজা

স্বপ্নে আমার যাওয়া আসার পথে 
সেই নীল রঙের দরজাটা ,
কোনোদিন বন্ধ থাকে, কোনোদিন হালকা ভেজানো 
যতটুকু উঁকি মারি বুঝতে পারি একটা একতলা বাড়ি ,সামনে তুলসী মঞ্চ 
বারান্দায় দড়িতে ঝোলানো ছোট ফ্ৰক ,শাড়ি ,ব্লাউজ ,জামা 
কোনো কোনো দিন  দেখি একজোড়া চোখ কপাটের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে 
আমি বোঝার চেষ্টা করি সেই চোখের ভাষা 
কিন্তু বোঝার আগেই সরে যায়। 
.
প্রায় প্রতিদিন শুনতে পাই 
চেনা মেয়েলি গলা স্বপ্নে ওই বাড়িটার সামনে দিয়ে যেতে যেতে 
শুনতে পাই চুড়ির শব্দ, আর ম্যাজিকের মত দুটো চোখ 
আমি বুঝতে পারি না সেই চোখের ভাষা।
তবে প্রতিদিন স্বপ্নে একবার ঠিক পেরোতে হয় ওই বাড়িটা 
কান পাতলে বাড়ি দিয়ে শোনা যায় সংসারের শব্দ ,হাঁড়িকুড়ি ,খুন্তির শব্দ,
আমি অবাক হয়ে প্রতিদিন ভাবি এটাই  তবে অভ্যেস 
এটাই তবে নিয়ম ,
কিন্তু ভয় করে 
ভয় করে যদি কোনোদিন ওই নীল দরজাটা স্বপ্নে আর না থাকে 
যদি কোনোদিন ওই ভেজানো নীল দরজার ভিতরে সংসারটা অদৃশ্য হয় 
যদি কোনোদিন হঠাৎ আমার স্বপ্নে চোখগুলো দেখা না দেয় 
কিন্তু তারপর সকালে ঘুম ভেঙে আমার ভীষণ হাসি পায় 
আমি বুঝতে পারি 
সত্যি ভালোবাসা চোখের ভাষা খোঁজে 
তার জন্য কোনো শব্দ থাকা জরুরী নয়। 
.
নীল দরজা 
,,, ঋষি

Thursday, May 30, 2024

অসহ্য ঋতুপর্ণ

তোমার সাথে এলজিবিটি শব্দটা শুয়ে, বসে,চুমু, খেয়ে বেশ আদরেই আছে
তোমার সাথে সিনেমা শব্দটা বেশ অন্যস্তরে সমলোচনায় আছে
আমি জানি না তুমি ঋতুমতী কিংবা ঋতু ছাড়া কিনা
শুধু এটা জানি 
তুমি মানে অন্য একটা আস্পর্ধা 
তুমি মানে এক নতুন সময়ের উত্থান 
তুমি মানে এক অজানা আবিষ্কার
তুমি মানে বাঙালির গর্ব। 
.
আমি খুব সাধারণ তাই হয়তো অন্যদের মত হেসেছি
বুঝতে চেয়েছি হয়তো তোমায়, বুঝতে পারি নি 
একই অঙ্গে তোমার রাধা, কৃষ্ণের থিওরি,
তবে বুঝেছি খুব গভীরতায়
তুমি মানে একটা অতৃপ্তি,তুমি মানে এক আশ্চর্য 
তুমি মানে এমন একজন  
          "বনমালী তুমি পরজনমে হইয়ো রাধা "।
.
তবে তোমাকে না হয় সহ্য করা যেত 
কিন্তু, 
ভি 
মা
   তুমি তো আরও কদিন বাঁচতে পারতে। 
.
অসহ্য ঋতুপর্ণ 
... ঋষি 

Tuesday, May 28, 2024

যে তোরে পাগল বলে

এক ভরা দুপুরে ,তোমায় আমি  নিতে যাবো 
তোমার গলির ওষুধের দোকান ,কলতলা ,মন্দিরের পাশ কাটিয়ে 
হলুদ -কালো  ট্যাক্সিটা গিয়ে দাঁড়াবে তোমার বাড়ির নিচে ,
একটা অদ্ভুত বসন্তের মতো আমি হাত নেড়ে ডাকবো তোমায় 
তুমি হাজারো কারণ দেখাবে না আসার 
তবে শেষ অবধি আসবে। 
.
তুমি হয়তো বলবে " এসো একটু চা খেয়ে নেও "
বলবে তৈরী হওয়ার সময়টা তো দেবে
আমি তোমার দিকে হ্যাংলার মতো তাকাবো বলবো সময় নেই মোটেও ,
আসলে আমি ছোটবেলা থেকে সময়ের সঙ্গে আপোষ করি নি 
আদতে লোকটা আমি হ্যাংলা জানি 
আরামের জন্য হ্যাংলা 
আদরের জন্য হ্যাংলা 
বাঁচার জন্য হ্যাংলা। 
.
আমার চটচটে  হ্যাংলামি লেগে থাকে আমার হৃদয়ের ভাঁজে 
জানি ,তুমি আমার চান করাবে তোমার শরীরের আগুনে 
জানি ,তুমি আমাকে খাইয়ে দেবে তোমার ভরসার বাঁধনে 
জানি ,তুমি আমাকে যত্নে বুকের খাঁজে আটকে রাখবে 
জানি, তুমি আমার হাত ধুইয়ে খাইয়ে দেবে আমায় অন্য ফাগুনে। 
তুমি আমায় প্রশ্ন করবে কি রঙের শাড়ি পড়ি বলোতো ?
আমি বলবো বাসন্তী রংটা তোমাকে বড্ড মানায় 
তারপর তুমি অন্ধকার আকাশের রোহিনী নক্ষত্র মেখে এসে দাঁড়াবে 
জানি নির্রথক, নির্রথক, কি অনির্বচনীয় নির্রথক এই ভাবনা ,
তুমি আমার পাশে এসে ট্যাক্সিতে বসবে 
তোমার খোলা চুল  হাওয়ায় উড়ে এসে লাগবে আমার মুখে
আমি তাকাবো ,তুমি বলে পাগল একটা 
আমার মনের ভিতর একতারায় রবিঠাকুর গেয়ে উঠবেন 
" যে তোরে পাগল বলে তারে তুই বলিস না কিছু "। 
.
যে তোরে পাগল বলে 
... ঋষি

একটা অশ্লীল কবিতা

রসগোল্লা আর প্লাস্টিকের প্রটেকশন দরকার ছিল 
তুমি শুনলে না ,
তোমার সাজানো শরীর ,সদ্য স্নান করা রানওয়ে ,অদ্ভুত বুকের ফ্লেভার 
আমি বারংবার মুখ থুবড়ে পড়েছি , চুষেছি ,থাবড়েছি ,খেয়েছি 
বুককেশ থেকে থেকে সরাসরি তোমার ব্যাকলেস ব্রা 
আমি দাঁত লাগিয়েও খুলতে পারি নি 
তুমিই খুলেছ বারংবার। 
.
অদ্ভুত এক উলঙ্গতার গান গেয়েছি আমরা বারংবার 
আমি বলি উৎসব ,আমি বলি ঈশ্বর ,আমি হলেম সিঁধেল চোর 
তোমাকে দেখেছি ,আমার হাতের আঙুল উপছে পড়েছে স্তন 
তোমাকে দেখেছি ,আমার সিঙ্গেল মল্টের নেশা জড়িয়ে ধরেছে তোমায় 
আসলে যৌনতা একজন অনবরত ঈশ্বর 
আমি ঈশ্বর খুঁজতে তোমার পায়ের ভাঁজে আটকে থেকেছি বহুক্ষণ ,
তারপর কখন যেন ঝড় 
কখন যেন দুর্বলতা 
আমি বুঝতেই পারি নি তুমি কেমন যেন একমাত্র মায়া আমার 
শরীরের প্রতিটা রন্ধ্রে ঈশ্বরের কবিতা কিংবা মৃত্যুর। 
.
ওপর নীচ বাহুমূল,সমস্ত দিকদর্শন 
সমস্ত চুপ ,একটু মাথা ভার ,অদ্ভুত তোমার নগ্নতা ,তোমার দৃশ্যতা 
সবাই বলে ভালোবাসাবাসি আসলে ন্যাকামি 
সবাই বলে ভালোবাসো আর ভালোবাসো বলে যতই আঁকাআকি করা  
তার শেষটুকু সকলেরই অই শরীরেই পৌঁছোয়। 
আর আমি ভাবি শরীরের সাথে শরীর আটকে যদি ঈশ্বর না হয় 
শরীরে সাথে শরীরের গন্ধ যদি স্মৃতি না হয় 
শুধু ডট পেনের রিফিল আর কন্ডোমের গল্পটাই সত্যি 
তবে তোমার দিকে তাকালেই কেন আমার বাঁচতে ইচ্ছে হয়। 
পয়ার ছন্দে সময়ের ইতিহাসে যখন চারপাশে শরীরের মাংসের ছড়াছড়ি 
তখন কেন শুধুমাত্র তোমাকেই জড়াতে ইচ্ছে হয় 
তখন কেন শুধুমাত্র তোমার উদোম বুকটাই খোঁজা মাথা রাখতে    
কেন কিছুতেই ফুরোয় না গল্পটা ,কিছুতেই হাঁপায় না
আসলে ভালোবাসলে যৌনতার কোনো শর্টকাট থাকে না 
ইটস আ লং জার্নি ,,,,
            ,,,, শধু মিশতে চাওয়াটাই তখন জরুরী। 
.
একটা অশ্লীল কবিতা 
... ঋষি

Monday, May 27, 2024

মুখোশের রঙ

সবারই বেশ কয়েকটা  মুখোশ  আছে 
মানুষের হিসেবগুলো বড় জটিল তাই মানুষ মুখোশ বদলায় ,
মুখের উপর খরখরে আঠা দিয়ে আটকানো মুখোশটাতে 
লেপ্টে থাকে কয়েকশো জীবন যাপনের রং। 
.
আমরা নিজেদের সুবিধা মতো এঁকে নি সময়ের বিশেষজ্ঞতায় 
ভুরু ,ঠোঁট ,হাসি ,কান্না  
ছোট ছোট ইনবক্স ,জুম করা আলাপ আচরণ ,স্যোসাল মিডিয়ার দরবারে 
মানুষের মুখোশগুলো আজকাল ভীষণ সচল 
"In my opinion, Sometimes people's masks are very real in life 
And more and more people lie ..
.
কখনো নিজেদের মুখোশের দরবারে ভীষণ সত্যি লাগে প্রকার ভেদ  
রাহুল কখন যে  চন্দনা  ,চন্দনা আবার  কখন যে ২০ বছরের ছুকড়ি ,
মুখোশ বলে  "এ দেশের আর কিসু হবে না হে "
অথচ তাকেই আবার অনালাইনে দাঁড়িয়ে রোমিও সাজতে দেখি 
অদ্ভুত ভাবে দেখি ভালোবাসার শরীরে শুধু যৌনতা 
মৌনতা থেকে সিঙ্গেল মল্টে মা থেকে মাসির শরীর খুবলে নেয়। 
কখন যে ভীষণ রঙিন হয়ে এই  শহরে ফুটে ওঠে প্রেমিকের বুক 
রং বদলায় ,মুখোশ বদলায় 
সেই প্রেমিক কখন আবার চুমু খেতে খেতে আকাশ বদলে ফেলে 
ব্রেকফাস্টে তার বৌ আর লাঞ্চে ,ডিনারে আলাদা দুজন । 
এ এক অদ্ভুত রোগ মানুষের 
এমনি করে পরতে পরতে আরো মোটা হয়ে ওঠে মুখোশের অভ্যেস 
আরো রঙচঙে ,আরো নতুনত্ব ,আরো এট্রাকশন 
তারপর দমবন্ধ লাগে হয়তো কোনো একদিন ,
.
মানুষগুলো নিজের ইচ্ছাতে  মুখোশ পরে ঠিক 
সেই মুখোশ বদলানো যায় অথচ সহজে তো ছাড়া যায় না। 
.
মুখোশের রঙ 
... ঋষি

বৃষ্টির মুগ্ধতা


বৃষ্টির জলে তুলি চুবিয়ে 
অনবরত ক্যানভাসে অসংখ্য মুহূর্তের মুগ্ধতা ,
সময়ের কোলহল ,অনবরত টিপটিপ যেন ফিসফিস 
লেবু গাছের পাতাগুলো সারারাত হেসেছে অদ্ভুত মুগ্ধতায় 
এখান শহরটা জুড়ে ভীষণ সবুজ আর তো কোনো কষ্ট নেই 
শুধু সারা সময় জুড়ে শুধু ফিসফিস বৃষ্টি। 
.
জালনারা শিষ দিয়ে গান গেয়েছে সারারাত মাতাল হাওয়া 
গলা জড়িয়ে ধরেছে ,মাথা রেখেছে বুকের আদিম জঙ্গলে 
অ্যাসফল্টের আয়নায় জনশূন্য শহর জুড়ে দু একটা যানবাহনের নীতিভঙ্গ 
কিছুতেই তবুও বদলাচ্ছে না অনবরত ফিসফিস,
একটা অদ্ভুত মুগ্ধতা যেন লেপ্টে আছে মুহূর্তদের দিনযাপনে 
বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া আজ যেন হাসছে। 
.
অদ্ভুত, এই বৃষ্টির কি দায় ?
ভাবিনি কখনো ঈশ্বরের পারিজাত আবারও মুগ্ধ করবে আমায় 
সারারাত ধরে প্রকৃতির এই মাতাল নর্তকীর মুগ্ধতা 
আবারোও পাগল করবে আমায়। 
অথচ কিছুই বদলায় নি 
উড়ালপুলের নীচের অন্ধকারে যারা থাকে
তারা সরে গেছে আরো গভীর থেকে গভীরতর অন্ধকারে,
অতি শঙ্কায় জেগে কাটিয়েছে তাদের দিনান্তের ঘুম 
জানি অসংখ্য গ্রাম ,চাষের জমিতে নেমে পড়েছে মাতাল হাতি 
সব তছনছ করেছে।
তবু কেন আমি মানুষের দুঃখের কথা লিখছি না আজ 
কেনই বা সময়ের ক্যানভাসে আজ তোমার মুখ হাসছে ?
আজ বহুদিন পরে আমি ঘুমিয়েছি আরামে
বৃষ্টির টিপটিপ সারা মুহূর্তে ফিসফিস করে চলেছে
অথচ বিরক্ত লাগছে না  
শুনতে পাচ্ছি অনবরত বৃষ্টির ফিসফিসে, ভালোবাসি। 
.
বৃষ্টির মুগ্ধতা 
.... ঋষি

Sunday, May 26, 2024

আমরা বৃষ্টিতে ভিজি

এলোমেলো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিরছাট
আসলে এ শহরে আগলে যতটুকু দেখা যায় তার ভিতর মেঘলা আকাশ 
একটানা বহুক্ষন কবিতা পড়লে যেমন গলা শুকিয়ে যায়
যেমন রঙিন রাত্রি স্বপ্নের মত নেমে আসে গৃহস্থের মিডসেফে
ঠিক তেমনি মানুষের অনুতাপগুলো,মানুষের না পাওয়াগুলো ফিরে আসে
তুমুল বৃষ্টির ঝড়ো হাওয়ার সাথে। 
.
মানুষ অযথা নিজেকে খোঁজে
মানুষ অযথা খোঁজে মানুষের হাত, বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি 
অথচ আগলানোর হাত পেও, ভুলে যাওয়াটাই মানুষের স্বভাব 
সুতরাং আগলানো ছেড়ে দেও,উড়ে যেতে দেও বৃষ্টি বন্দী মেঘে
জানো তো ভালোবাসা মুক্ত হলে 
বৃষ্টির মেঘেরা সোহাগে ভিজিয়ে দেয় মানুষের নোনতা শরীর,আদরের মনটাকে।
.
আমি অনুভূতি কুড়োতে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টি ভেজা শহরটাকে  
সারা শহর জুড়ে মনে হয় সম্পর্কগুলো সব বৃহন্নলা এখানে 
কেমন যেন অসম্পূর্ণতা ,কেমন যেন অতৃপ্ত শহরটা 
কেমন যেন একটা আবছা দেওয়াল মানুষে মানুষে 
একটা পরম্পরার আপশ করে আমরা দিনান্তে ভাত কুড়োয় 
ঘুমুতে যাই ,মাথার ভিতর বৃষ্টি নিয়ে । 
আমরা নিজের কাছের মানুষগুলোকে ক্ষমা করতে পারি না 
তাকিয়ে বলতে পারি সত্যি 
শুধু বৃষ্টিতে ভেজা ,শুধুই  পরম্পরা 
মিথ্যের স্বর্গে আমাদের কবিতা লেখাগুলোও তাই অসম্পূর্ণ ,
কারণ আমরা বৃষ্টিতে ভিজি 
কিন্তু বৃষ্টির শব্দদের বুঝি না 
আমরা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে দেখি আনমনে 
কিন্তু বৃষ্টির দেওয়া ইমেইল কিংবা চিঠিটা পড়ি না 
যেখানে শুরুতেই লেখা  প্রিয়তমেষু আকাশ।  
.
আমরা বৃষ্টিতে ভিজি
,,, ঋষি 


.

Saturday, May 25, 2024

হাড় কাটা গলি

একটা অস্থায়ী ঠিকানার ঘর করছি আজ আমরা 
শুধুই যাওয়া আসা দরজার এপাশে ওপাশে দুপাশেই আছি 
দুপাশেই অসংখ্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট ,কিছু ঠোঁটে জোড়া মুহূর্ত 
কাগজের ন্যাপকিন, জং ধরা নেলকাটার,হাঁড়ি ,কড়া ,দেয়ালে ক্যালেন্ডার 
তাকের ওপর হলদে হয়ে যাওয়া খবরের কাগজ, পুরোনো নিমন্ত্রনের কার্ড 
আর কিছু আঁকিবুকি করা এলোমেলো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
যেখানে আমাদের নির্ধারিত থেকে যাওয়া। 
.
জানি প্রতিশ্রুতি একটা স্বপ্নের নাম
আর মানুষের দায়িত্ব একটা দুর্বলতা 
তবুও রাজভোগে সাজানো প্রতিটা মানুষের ঘরে মিষ্টির দোকান ,
অথচ সকলের চোখে চেরাপুঞ্জী  থাকলেও
ভিতরের বৃষ্টিতে বাইরে সাজানো উপত্যকায় পর্যটন শিল্প ,
কারোর কারোর বিছানা ,বালিশে লোকানো বান্ডিল বান্ডিল টাকা কিংবা ভবিষ্যৎ
অথচ গভীরে সবকিছু এলোমেলো, ছন্নছাড়া। 
.
ইদানীং তো অমুকের বালিশে লেগে তমুকের সিঁদুরের দাগ
আর বুকের দেয়ালে মোটামুটি সকলেরই ঝোলানো জাল সার্টিফিকেট,
জানি আমার কলমটা এই মুহূর্তে বিদ্রোহ লিখছে 
তাও জানি এটা বড্ড বেশি বাড়াবাড়ি, 
হাতপা ছুঁড়ে অযথা এই কথোপকথন ,ভুতুড়ে আলাপ 
কবিতার মাটিতে হাড় কাটা গলি।
ইদানিং আর জানতে ইচ্ছে করে না হাড় কাটা শব্দটা কেন সকলের জীবনে
কেন সকলের থ্যাতলানো যাপনের বিছানায় লুকোনো  বিষন্নতা
বারংবার কারণে, অকারণে এই ধর্ষিত বোধ
কেন সকলে বোঝে না প্রতিশ্রুতি নিয়ে জীবন একান্ন, বাহান্ন, বাবুঘাট ,ধর্মতলা  
গলি থেকে রাজপথ তারপর রাজ ভবন
শুধুই সর্বত্র শুধুই ক্ষুধার্ততা
এটাই আসলে সত্যি
জীবন আসলে হাড় কাটা গলি। 
.
হাড় কাটা গলি
.... ঋষি

Friday, May 24, 2024

শরীরের কবিতা

আমি দু:খ পাই নি
না না ভয়ও না
শুধু আকাশের ছাউনির তলায় প্রচুর কবিতা লিখেছি
সত্যি তো নিজেকে ভোলাতে ন্যুনতম চাতুরি দরকার
দরকার দড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে 
নিজেকে একলা রাখার।
.
একটা ম্যজিক ছায়াকে পাশে নিয়ে কাল রাতে ঘুমিয়েছি
সারারাত কত কথা, প্রজাপতিদের ওড়াউড়ি
অজস্র মন্ত্র, ঠোঁটে ঠোঁট রাখা
বুকে বুক 
চুপ, 
সে বলছিল একটা হ্রদের গল্প বলবে আমায়।
.
আমি মায়ের কোলে মাথা রেখেছি
আকাশ সমান ঝড়
কপাল জুড়ে শ্রাবণের জল 
পায়ের পাতা জুড়ে শুধু নির্ভরতা 
থমকে গেলাম 
একটা ভুল।
.
কি অদ্ভুত
একটা শূন্য ভারতবর্ষের গল্পে আমার চাষ
গল্পটা লিখছে কে? 
একটা ভয়ংকর স্বপ্ন এলো বৃষ্টি মাথায়
আকাশও এত মিথ্যে
তবে কি সত্যি এ কবিতা এতক্ষন শরীর খুঁজছিল।
.
শরীরের কবিতা
.. ঋষি 

Wednesday, May 22, 2024

ম্যাজিক চলছে

এখনো কিছুটা সময়ের মতো নিস্তব্দতা বাকি 
বাকি কিছু কথোপকথন আর  ঠোঁটে লেগে থাকা কুমিরডাঙা 
অবিন্যস্ত কিছু আশা বেড়ালের মতো ঋতু গুনছে সময়ে 
যদিও একটাই  বাসস্থান 
যদিও ঝুলন্ত সময়ের অসংখ্য ফটোফ্রেম ,অসংখ্য দলিল 
প্রমান করছে অন্যকিছু। 
.
সাজানো মঞ্চের উপর জাদুকর ম্যানড্রেক আমরা 
তবুও হাততালি 
লোকে কোনোদিন ভুলে ওই প্লাইউডের নকল দেওয়ালে 
অজস্র প্রেমগাঁথা শুধু শরীর হয়ে যাবে। 
কে যেন আসছে ক্রমশ সময়ের পরে ,পিছনে অন্ধকার 
সুতীব্র আলো লাগছে চোখে 
তবুও মুখোশগুলো ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। 
.
স্পষ্ট অভিনয়ে জাদুকর ম্যানড্রেকের একের পর এক অদ্ভুত ম্যাজিক 
হাসছে ,কাঁদছে ,ক্রমশ পাগলামি সময়ের আঁকাবাঁকা পথে 
এক কোনায় গোছানো সংসারের সেলফোনে চোখ লাগানো পাখি 
আকাশে উড়ছে ,
লাল নীল আলো জমকালো ধন্দ
এখনো মুখে কত রং মাখা বাকি, পরা বাকি কত সস্তা প্লাস্টিকের মুকুট 
এখনো পর্দা পড়া বাকি মঞ্চের 
লাইট ,ক্যামেরা ,একশন 
                         ম্যাজিক চলছে। 
.
ম্যাজিক চলছে 
.. ঋষি

Tuesday, May 21, 2024

প্রশ্নোত্তর

এখনো প্রশ্নগুলোই বুঝতেই  পারি নি 
উত্তর কি দেব খুঁজে পাই নি ,
একটা অতৃপ্তি আটকে বিয়াল্লিশ ডিগ্রি থেকে কয়েক ঘটি ঘাম চুবিয়ে 
শহরের খুব সাধারণ নাগরিক আমি  ,
আমার কাছে যে এখনো  পোলার বেয়ার একটা স্বপ্ন 
অথছ গুণিতকে একটা মৃতপ্রায় অর্থনীতি আহ্নিক করে স্বপ্ন ডুবিয়ে। 
.
এদিকে বৈশাখ পেরিয়ে জৈষ্ঠ্যের তরমুজে কেমন যে কৃত্রিমতা 
তথ্যচিত্র ভিত্তিক ছবিতে নির্বাচন বিভাগের আঙুলের ছাপ প্রায় শেষ 
এখনো উত্তর পাই নি সত্যি কি জিতে যাওয়া ছাপের জোর 
না ছাপানোর ,
নাকি তরমুজের লাল রঙের ভয় ? 
সত্যি তো ভয় এখন জ্বলন্ত একটা প্রশ্ন 
থার্মোমিটারের পারদে প্রতিদিনটা আসলে একটা বাঁচতে চাওয়া। 
.
তবুও বেপরোয়া ঘাসগুলো মাথা তুলেছে এ শহরে ট্রামলাইন বরাবর
তবুও ওদের চকচকে সবুজ শরীরে লাগে কাদার ছিটে, পোড়া মবিল
ছুটন্ত গাড়ি থেকে ভেসে আসা কার্বন মনোক্সাইড সারা গায়ে মাখে ওরা
তবুও এ শহরে এখনো সবুজগুলো মরে নি 
আসলে মারতে পারে নি শাসন। 
শাসন আর শোষণের মাঝখানে একটা ক্লান্ত রাস্তা 
গণতন্ত্র ,প্রজাতন্ত্র ,লোকতন্ত্র ,কমিউনিজম ,নারীবাদ ,নারীতন্ত্র 
সব কেমন ঘাড়  ধাক্কা খাচ্ছে ,মুখ থুবড়ে পড়ছে 
প্রেমিক,পুরুষ ,নাগরিকত্বের  গালে সজোরে  এক থাপ্পড় 
প্রশ্নগুলো তবু বুঝতে পারছি কই 
তাই উত্তরগুলো কেমন যেন ঠোঁটে এসেও আটকে যাচ্ছে
ছাপাখানার সাংস্কৃতিক সংস্কার আটকানো যাচ্ছে কই । 
.
প্রশ্নোত্তর 
... ঋষি

অন্ধকার শহরের কবিতা

ঘুম আসে না 
অন্ধকারে তোমার মুখটা ঘরের ডিমলাইটের মতো জ্বলে 
পাশে পরে থাকে জীবনের ঘোলাটে হয়ে যাওয়া চশমা, 
সূর্যাস্তের পরে প্রতিদিন ওষুধের ঘর ,বয়স মাপার যন্ত্র 
ক্ষয়িষ্ণু কিছু সম্পর্কের তিক্ত নিশ্বাস 
বহুতলের খোপে খোপে একঘেয়ে গুঞ্জন করে চলে এ সি
বিপরীত উত্তপ্ত হাওয়ায় ভরে ওঠে শহুরে রাত। 
.
পাশের বাড়ি থেকে শোনা যায় টিভিতে হিন্দি গানের লিরিক্স 
জব কোয়ি বাত বিগর যায়ে ,
অদ্ভুত একটা ছায়ার মধ্যে দিয়ে হাঁটে এ শহর প্রতিশ্রুতিহীন অন্ধকারে 
রাস্তার আলোর পাশে দাঁড়ালে ক্রমশ দূরে অশরীরী হয়ে ওঠে ছায়ারা ,
আলোর গল্প লিখতে চেয়ে শহর 
কখন যেন ক্রমশ বাড়তে থাকা অন্ধকারে হারিয়ে যায় 
ফুরিয়ে যায় দৃশ্যগুলো মুহূর্তের ফাঁকে। 
.
অন্ধকারে কখনো কখনো আনমনে শুনতে পাই 
কোনো এক সম্পর্কের দেওয়াল গড়া কিংবা ভাঙার আলাপ 
ঢেউ তোলে জনহীন অন্ধকার শহরের সুইমিংপুলে উদম বুক
কোনো এক ব্যালকনি থেকে শোনা যায় কারুর মত্ত, জড়ানো কথা
                            … প্রেম নিবেদন, বা কনফেশন, বা দুটোই,
অদ্ভুত রাতজাগা কথাগুলো কোথাও কোথাও ভীষণ উত্তপ্ত 
কারোর কারোর উত্তপ্ত বিছানায় তখন শুধু শরীরের গন্ধ। 
.
রাতজাগা পাখিগুলো আসেনা আজ বহু বছর হলো এ-শহরে
তাদের বুকচেরা ডাক আর ধাক্কা খায়না কংক্রিটের দেওয়ালে দেওয়ালে
সময়ের আবিষ্কার থেকে শুনতে পাওয়া যায় স্মৃতি-ন্যাপথালিনের চাপা গন্ধ
কারুকাজ করা মেহগনি খাটে হেলান দিয়ে কিছু মানুষের অথর্ব মন
রিসাইকেল বিন থেকে তুলে আনে তখন বিবর্ণ কিছু মুহূর্তের ছেঁড়া টুকরো 
কোলাজ বানিয়ে চলে,কাঁদে কিংবা হাসে 
বুঝতে পারি অন্ধকার শহরের কবিতায় এ শহরের মানুষগুলো ঘুমোয় না । 
.
অন্ধকার শহরের কবিতা
ঋষি

তথাপি

অন্ধকার খুঁড়তে খুঁড়তে মশা, মাছি সব পেলাম তবুও কই জীবন পেলাম না সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভালোবাসা খুঁজতে গেছিলাম শরীর, মাংস সব পেলাম  তবুও সেই ম...