Friday, August 16, 2019

বেজন্মা


বেজন্মা
..................... ঋষি
==========================================
ক্রমশ অন্ধকারে এগিয়ে চলেছে ছেলেটা
পিছন দিয়ে ডাকছে কিছু মুখোশ।
মুখোশের শহরে ভিড় ভাঙছে আর চিৎকার করছে ছেলেটা
প্লিজ আর না ,আর না ,
নাটকের পৃথিবীর অভিনেতারা হাসছে
যেমন হেসেছে চিরকাল।

ছেলেটা ফিরে যেতে চাইছে নিজের শৈশবে
খুঁজে পেতে চাইছে মায়ের বুক।
ছেলে হেঁটে যেতে চাইছে তার বাবার হাত ধরে গুঁটি গুঁটি পায়ে
কিন্তু সে এগিয়ে চলেছে মৃত্যুর দিকে।
চলতে খুঁজে পেতে চাইছে তার প্রথম প্রেমিকাকে
যার বুকে মাথা রেখে সে খুঁজেছিল আশ্রয়।
সে খুঁজে পেতে চাইছে তার হয়েও না গড়ে ওঠা পৃথিবীটাকে
যাকে সে নিতান্ত আপন করে হাসতে চেয়েছিল।
বাঁচতে চেয়েছিল একটা স্বাভাবিক জীবন
যেখানে মুখোশ নেই
নেই কোনো সামাজিকতা ,
নেই আটক
শুধু একটু বাঁচতে চেয়েছিল সে।

এই কবিতা কোনো একার কবিতা না
এই কবিতা এমন অজস্র বেঁচে থাকার যাকে সময়
বেওয়ারিশ বলে চেনে।
যাকে সময় বুঝতেই সুযোগ দেয় না কোনটা ভালো আর খারাপ।
শুধু সমাজ তাকে গালাগাল দেয় আর কিছু মুখোশ তাড়া করে
যারা বুঝিয়ে দেয় ছেলেটা বেজন্মা।  

No comments:

Post a Comment

সময়ের বুক

নিঃসঙ্গতার কাছে আছে প্রত্যুত্তর  সত্যি তো ফিরে আসা যায় না  প্রেমিকা লিখলেই আমি নদীর কাছে দাঁড়াই , কাল্পনিক সংলাপে নদীর জল কখন যেন হৃদয় ভাষায়...