বাঁচার সুর
......... ঋষি
=========================================
অজস্র চিৎকার একসাথে হলে সুর হয়ে যায়
এই শহরের বুকে তেমন অজস্র লুকোনো সুর ।
মানুষের খালি পায়ে ক্ষতবিক্ষত হাঁটাগুলো
কখন যেন খোঁজ হয়ে যায় ,
নিঃশ্বাসে সুর বিশ্বাসে
হয়তোবা বাঁচা।
আমার কোনো বিশ্বাস ছিল না
আমি হয়তো মানুষ ছিলাম না কোনোদিন ।
শুধু শহরের বুকে
শাবল, বাটালি দিয়ে সময়ের প্রাগৈতিহাসিক ফসিলে
জাদুঘর খঁজছিলাম।
তারপর এক দুপুরের বৃষ্টিতে কীভাবে ধুয়ে গেল আমার সময়ের জাদুঘর
সময়ের বিশাল পাথরের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো
হার্মাদের মত এক খ্যাপা নদী,
তারপর
আমার চিৎকারগুলো পাহাড়ি নদী থেকে সমতলে
ক্রমশ কখন সমুদ্রে মিশে গেলো।
এখন আমি সারাদিন সারারাত শুধুই ভাসছি
আবরণহীন ভাসতে ভাসতে
গভীর কোনো কাজল চোখে খুঁজে পাচ্ছি বাঁচার ভাষা।
আমি শুনতে পাচ্ছি সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসা
মারমেইডস-এর গলায় বাঁচার সুর
দিশেহারা, ওলোট-পালোট ঢেউয়ে আমি এখন গার্হস্থ্য-সন্ন্যাসী।
No comments:
Post a Comment