জানলার ওপাশে
... ঋষি
জানালাটা খোলা হয়নি অনেককাল,
জং ধরেছে আংটায়, কবজায়,হাড়ে ,পাঁজরে ,
বুকের গলিতে জমেছে কাদা ,
জানলাটা খুলতে যেতেই সম্মোহিত চল্লিশের পাঁচিলে দাঁড়ানো লোকটা
থমকে যায়
পোড়খাওয়া মুখে গভীর বলিরেখা,
কোটরে ঢুকে যাওয়া চোখে আজকাল বীভৎস্যতা খেলা করে।
.
একটু জোরে জানলাটা হ্যাঁচকা টান দিতেই একটা আওয়াজ
দুটো মায়াময় চোখ ,গায়ের গন্ধ, হলুদ নতুন শাড়ি
আমি ঢুকে পড়ি সময়ের খাঁচায়।
বুকে জ্বলছে আগুন ,সেই আগুনে শ্মশান
চোখে দেখি মরুভূমি ,সেই মরুভূমিতে তৃষ্ণা
ধোঁয়া হয়ে যাচ্ছে চারদিক
অথচ সময়ের পেন্ডুলাম দুলছে ক্রমাগত।
.
তোমাকে বলা হয়নি,
কালরাতে সেই বাঁশিওয়ালার বাঁশিতে ছিল মোহন সুর
বিছানার পাশে বালিশের স্তব্ধতায়
ঘুম ছিল না চোখে।
সারারাত আমি তাকিয়ে ছিলাম সিলিঙে
এক আরবী ঘোড়া ছুটে যাচ্ছিল মরুভূমি দিয়ে
আর একই সাথে আমি শুনতে পারছিলাম বাঁশির শব্দ
বুঝতে পারছিলাম এটাই আমার অসুখ
আমি একদিকে বাঁচতে চাই
আবার মরতেও যে চাই।
No comments:
Post a Comment