সেই লোকটা
... ঋষি
মানুষটা দ্রাঘিমাংশ ছুঁতে চেয়েছিলো
ভেবেছিল পৃথিবীর মাপঝোঁকে এই শহরের কোনো কোনায় একটা ঘর
তারপর যা হয়
হাজারো মানুষের ভিড়ে সময়ের সমুদ্রে আজ সে নিতান্ত পরিণত
অথচ বোকা
শেষ সূর্যাস্তের আলো এখন হাওরাব্রিজে শহর খুঁজতে থাকে তার।
.
মানুষটা একটা কলম হতে চেয়েছিল
চেয়েছিল আগুনের শব্দে লিখে দেবে সত্যিগুলো সাদাপাতায়
তারপর হাজারো বসন্ত কেটে গেলে
পান ,বালি ,ইট আর লবঙ্গ ,জিলিপি মিশিয়ে
আজ কেমন মাথায় গোলমাল
লিখতে গেলেই শব্দরা কলমের নিবে বিষ বৃষ্টি করে।
.
মানুষটা কোনো অফিসের টেবিলে পেপার ওয়েট হতে চেয়েছিল
ভেবেছিল, যে মানুষেরা সারা জীবন সাধারণকে দাবিয়ে রেখেছে,
তাদের নাম লেখা কাগজগুলোর বুকে চড়ে বসবে
তারপর খুব গভীর করে গর্ব করে বলবে
এই তো আমি সময় ,আমাকে সরাও দেখি
হয় নি তার মনোস্কামনা পূরণ।
.
মানুষটা কোনো লাশকাটা টেবিলের কাঠ হতে চেয়েছিল
ভেবেছিল হাজারো যকৃৎ, হৃদয়, পাকস্থলীর ভিড়ে
খুঁজে নেবে সে ভালোবাসার বাসা শরীরের কোন কোনায়
কিন্তু সে বোঝে নি এই পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশে সবটাই হিসেবের
তাই সেই লোকটা আজ সময় ছাড়িয়ে লাশকাটা ঘরে
চুপ করে শুয়ে নতুন সূর্যোদয়ের আশায়।
No comments:
Post a Comment