Saturday, September 13, 2014

RISHI026@GMAIL.COM

জন্মাবার শরীর
........... ঋষি

অজস্র কথনে লেখা সেই সব অনিদ্রা
মন্দির ,মসজিদ ,গীর্জার বাইরে দাঁড়িয়ে মাথা নত।
ঈশ্বর তুমি সমাজের দূত নহ , বিশ্বাসের
আর নিশ্বাসের বাসি বিছানায় শুয়ে।
গ্রামেগঞ্জে ,শহরে,মহলে ,গলি খুপচিতে
অসংখ্য নগ্ন শরীর ,নারী।
পিকাসোর ছবির থেকে জীবন্ত মুর্তিগুলো অসংলগ্ন বেদনায়
মার ছেঁড়া ব্লাউজ,বোনের বাড়ন্ত যৌবন ,নারীর লুকোনো বেদনা
সবকিছু মিশে গিয়ে শুধু শরীর।

অসংখ্য হিংস্র সাপ
চেন খুললেই ঝুলে পরে শরীরে বাইরে ,,,, সাপ।
হিসেবের বাইরে সাপ ছোটে পুতুল গড়তে
পুতুল থেকে পুতুল তারপর পুতুল তারপর অসংখ্য।
তারপর খেলা নগ্নতা ,বিষন্নতা ,জড়িয়ে থাকা দৈনন্দিন
রান্নাঘরের হলুদ ,সদ্যজাত কান্না ,রাত্রের বিছানা।
পৃথিবীর আবর্তন ,সংখ্যার বিবর্তন কিন্তু নারীর সমবস্থান সামাজিক
হরপ্পার উত্স থেকে ,ইলোরার গুহা থেকে আজকের স্যাটালাইট
শুধু এগিয়ে যাওয়া সাপেদের ভিড়ে।

অজস্র কথনের মাঝখানে সেই দেশভাগ থেকে শুনছি
সাপ ছুটছে খবরের কাগজে , স্কুলের রুমে ,কলেজে ,অফিসে ,পথেঘাটে।
আর সাপেদের মালিক কখনো আইনি ,কখনো বেআইনি
শরীর চুষছে ,চুষছে অস্তিত্ব নারী,
চুষছে অস্তিত্ব একটু শরীর আর শরীর।
ঈশ্বর তোমাকেও কি সাপে কামড়ায়,তোমার শরীরে সাপেদের বিষ
কোথায় তোমার তো সংখ্যা বাড়ে না আমাদের মতো।
তুমি কি মহাপুরুষ না কি নারীদের মত অসহায়
কোনো শরীর মাত্র ,শুধু জন্মাবার শরীর কামের।


  

No comments:

Post a Comment

.বৃষ্টির ওপারে

সুতরাং, আমি একটি চুক্তি করেছি বৃষ্টির সাথে যেহেতু আমি অনন্ততায় বিশ্বাস করি না সেহেতু এখনই ভিজবো,  প্রকৃতির চিরস্থায়ী নির্দোষতা এবং আধ্যাত্ম...