Friday, October 4, 2019

জলাশয়

জলাশয়
.... ঋষি
=================================
চলন্তিকা হয়তো সময়ের সাথে দরজা ঝুঁকবে
ঝুঁকে পরে যেমন নরম আলো তোমার সভ্যতায়।
তোমার চোখের গভীরে একটা শান্ত জলাশয় আছে
গভীর তার নীল জল।
সেই জলাশয়ের পাশে একটা অবিন্যস্ত পোড়োবাড়ী
ছায়া ফেলে চলেছে আজ অযুত নিযুত বছর ।

দুপুরের রোদ ফুরিয়ে তোমার খোলা চুলে ঢেউ
যেন অবিন্যস্ত সময় ভেঙে পড়ছে।
পথ থেমে গেছে
তোমার চোখের কাছে ঘন নিবিড় কোনো চাওয়া।
তবু এটা তোমার চোখের কবিতা নয় ,
সময়ের।

চলন্তিকা সেদিন প্রশ্ন করেছি
বাঁচা কী?
উত্তর এসেছে ফুরিয়ে চলা সময়ে  ভেজা পথ, ভেজা ত্বক
হামাগুড়ি দেয়া অনুভবে।
ক্ষত ফুরিয়ে ক্রমশ কোনো গভীর জলাশয়ের জলে প্রশান্তি
রাত্রি নামছে নিজের মতো করে।

চলন্তিকা সময়ের সাথে দরজা খুলবে আগামী আলোতে
চোখের জলাশয়ে  ডুব সাঁতার দিয়ে ভেসে উঠবে চিকচিকে ইচ্ছা। 
খরকুটোর মতো ভেসে যাওয়া আকাঙ্খারা 
ক্রমশ কোনো অন্ধকার রাতে আকাশের চাঁদ হবে।
চোখের জলাশয়ে ঝলসে উঠবে সেই অবিন্যস্ত পোড়োবাড়ী
যে আজও লিখে চলে ইতিহাস সময়ের খাতায়। 

No comments:

Post a Comment

সত্যি তো এমন করে ভাবা হয় নি

সত্যি তো এমন করে ভাবা হয় নি জীবনটাকে শুধু কুড়িয়ে চলেছি আজ বহুযুগ ভিখারির সাজে সত্যি তো বহুদিন তোমার দিকে তাকিয়ে দেখা হয় নি, শুধু টস করা জীবন...