মুক্তি
.... ঋষি
===========================================
নীলাঞ্জনার শরীর দিয়ে হেঁটে চলেছে কিলবিল করা পোকামাকড়
বিয়ের পর থেকে সারা রাত প্রায় একটা বিষাক্ত নিশ্বাস
নীলাঞ্জনাকে গ্রাস করে ,
তবু সে বেঁচে আছে এতগুলো বছর প্রাচীন সভ্যতার মতো
তবু সে বলতে পারলো কই
মুক্তি চাই।
.
রহিম চাঁচা রোজ নিয়ম করে হিসেবে মাফিক মদ খেয়ে এসে
রোজ রাত্রে ফরিদা চাঁচিকে পেটাতেন ,
কারণ চাঁচি কনসিভ করে নি।
চিৎকার শুনতে পেতাম ,যা বাজারে গিয়ে শো এবার ,যদি মা হতে পারিস
কিন্তু চাঁচি বলতে পারেন নি নপুংসক সমাজ
মুক্তি চাই।
.
নলিনী দি আমার ইংলিশ টিচার ভালোবেসে বিয়ে করলেন সমুদাকে
শিক্ষিত প্রেম ,শিক্ষিত সমাজ একদিন নলিনীদিকে ফিরিয়ে দিলো বাপের বাড়ি,
,নলিনীদির স্বভাব চরিত্র ভালো না ,ছেলে চাটা।
বাপ্ বললো ফিরে যা ,মা বললো সমঝে চল
নলিনীদির মৃত শরীরটা পরদিন পাওয়া গেলো একলা ঘরে
নলিনীদি চিৎকার করতে পারে নি
মুক্তি চাই।
.
চার মেয়ে আবার মেয়ে জন্মালো অনুসূয়ার সংসারে ,
শ্বাশুড়ি বললো এইবার তো সমাজে মুখ দেখানো ভার ,
রাতে পতিদেব অনুসূয়ার দুই বুক মুচড়ে ঢুকিয়ে দিলো পুরুষ প্রবল আক্রোশে
দেখি মাগি এইবার কি করে ছেলে না হয়।
অনুসূয়া ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলো ,বলতে পারলো না
মুক্তি চাই।
.
মুক্তি শব্দটা আকাশের মতো গভীর
এরা কেউ বলতে পারে নি ,ভয় পেয়েছে ,কারণ এরা মৃতদেহ।
আপনি জীবিত কিনা একবার নিজের বুকে হাত দিয়ে খুঁজুন
আর যদি সত্যি জীবিত হন
একবার আকাশে ডানা মেলে উড়ে দেখুন।
No comments:
Post a Comment