...... ঋষি
===========================================
ছেলেটা প্রথমে এগিয়ে গেলো মেয়েটার দিকে
মেয়েটা ভ্রুক্ষেপ করে নি কিংবা সাধারণ দৃশ্য চোখে পরে নি
তারপর চোখে পড়লো একদিন ,
ছেলেটা অনেকটা মেয়েটার মৃত বাবার মতো ,মেয়েটা মুচকি হাসলো।
আসলে মেয়েটা ছেলেটার মধ্যে বাবাকে খুঁজছিল
খুঁজছিল আশ্রয় আর বেঁচে থাকা
আর শেষ না হওয়া এক সাথে থাকা ।
.
তারপর ফুটপাথ ,ফুচকা ,তাদের শহর,
এগিয়ে যাওয়া ঠোঁট
পড়ন্ত বিকেল ,গঙ্গার পার বেশ কাটছিল।
সম্পর্কের এক বছরের মাথায় বিয়ে করে ফেললো ছেলে মেয়ে দুটো
জড়িয়ে ফেললো নিজেদের সমাজের মন্ত্রে।
বিয়ের দু বছরের মাথায় মেয়েটা আবিষ্কার করলো নতুন করে সেই ছেলেটাকে
ছেলেটার চোখে সব আছে সেখানে শুধু সেই ভালোবাসাটুকু নেই।
ক্রমশ মেয়েটা নিজেকে বোঝালো
ছেলেটার মতো করে নিজেকে পরিবর্তন করতে লাগলো,
কিন্তু খুঁজে পেলো একটা অন্ধকার ঘর ,
একটা বুক পোড়া প্রদীপের আলো।
যে আলোতে তার চারপাশ আলোকিত ,সুন্দর সাজানো
শুধু সে নিজে ছাড়া।
.
আরো কিছু বছর পর
মেয়েটা এগিয়ে যাচ্ছিল ছেলেটার দিকে
ছেলেটা ফিরেও তাকালো না বরং পিছোতে থাকলো অন্ধকারে ।
মেয়েটা ছেলেটার ভিতর বাবাকে খুঁজেছিল ,খুঁজেছিল আশ্রয়
কিন্তু হঠাৎ আবিষ্কার করলো আশ্রয় তার কোনোদিন ছিল না সেখানে।
আজও সেই মেয়েটা অন্ধকার ঘরে একলা বুক পোড়ায়
তার চারপাশে অসংখ্য ছায়া ,
সেই ছেলেটাকে মেয়েটা অন্ধকারে খুঁজে পেতে চায় বাবার মতো
কিন্তু মেয়েটা ভুলে এই সমাজে মেয়েদের তো আশ্রয় থাকে না কোথাও।
.
এই গল্পটা হয়তো নিয়মিত
তবু একটা প্রশ্ন ছিল
সত্যি কি মেয়েটার এমন হওয়ার কথা ছিল ?
সত্যি কি মেয়েদের ঘর মানে আশ্রয় ?
আর বাঁচা মানে নিজেকে পোড়ানো ?
উত্তরটা জানা থাকলে দয়া করে পাঠাবেন মানুষের গভীর ঠিকানায়
আগামীতে হয়তো হিসাবটা বদলাতে পারে।
No comments:
Post a Comment