ফুরিয়ে যাওয়া সময়
... ঋষি
যন্ত্রনা আগুন হয়ে পুড়ে যাচ্ছে
পাশে যে দাঁড়িয়ে প্লাটফর্মে স্তন ছুঁয়ে মৃত্যুর আগুনে বাঁচা ভারতবর্ষ ,
মা ডাকার আগেই ফুরিয়ে চলেছে দেশ
অন্তরা শুধু বড় হচেছ শরীর নিয়ে
তার ফিরোজা রঙের হৃদয় খুবলে খাচ্ছে সীমানায় সন্ত্রাস
আমি হাসছি
অথচ ছোট হতে গোটা শৈশব আজ এন্ড্রয়েড স্ক্রিনে ব্ল্যাকবোর্ড।
.
রক্তের সাথে সন্ধি করে
রক্তের সাথে নতুন নিয়মে নমস্তে আমার কবিতায় ,
বেশ্যা আর ধর্মগ্রন্থের সহাবস্থানে মানুষ শুধু ঈশ্বর ব্যঙ্গ করে
আসলে নারী শব্দটার জন্ম পুরুষ সাম্রাজ্যে
মাগীর সমার্থক ,
ঈশ্বর সেখানে জব্দ।
.
কবি তাই ঈশ্বর মানেন না ,হাতজোড় করেন না মোটেও
কবি তাই বেশ্যার কাছে যায়
কবি হাঁটু মুড়ে বসে না রাষ্ট্রের কাছে
কবি বেশ্যার শরীরে খোঁজে জনগণ আর রাষ্ট্র বিপ্লব।
এ কোন প্রেম নয়
কবি সময়ে বসে ,সময়কে জাগিয়ে রাখেন
আর ঘুম থেকে ডেকে তোলেন গোটা ভারতবর্ষকে।
.
একদিন ঠিক অন্ধকারকে হত্যা করা হবে
একদিন ঠিক হত্যা করা হবে হবে বর্ণবিদ্বেষ
আর মানুষের পয়সার জাতকে।
সময় বদলে সময়ের প্রেমিকাদের বলা হবে গর্ভবতী হতে
সিঁদুর নয় সম্মানে
তাদের স্তনে ঠোঁট রাখবে সময়ের পুরুষ।
.
যন্ত্রনা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে
পথচলতি ছড়িয়ে পড়ছে পরিযায়ী পাখিরা আকাশ থেকে ,
সময়ের রুটি
আর জীবনানন্দের খিদের মেলবন্ধনে ঠোঁটে রক্ত
মানুষ এখনো ফিরছে
মানুষ এখনো হাঁটছে
পথের পাশে একলা দাঁড়িয়ে পথ আর খিদে
পাখিরা আর ফিরবে না ঘরে।
No comments:
Post a Comment