আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে
.... ঋষি
কিছুই ভালো লাগছে না
কিচ্ছু না ,
বিপর্যস্ত বিকেলে কবিতার মেয়েটি সোনালি আলোর হাতছানি ,
স্বচ্ছ রোদে একটু একটু করে খুলতে লাগলো পুরানো স্যাঁতসেঁতে ভেজা বিকেল
মেঘরাত,বৃষ্টিগল্প
জানো তো চলন্তিকা আমি ঘুমোয় নি আজ বহুদিন
.
সদ্য লিখে ফেলা গল্পের মতো
আমি ধীরে ধীরে পান করে ফেললাম তোমার ঠোঁটে লেগে থাকা জলের বিন্দু ,
তোমার নাভির গভীর মই নামিয়ে লেগে
আমার শব্দের অসামাজিকতায় আমি ছুঁয়ে ফেললাম আগুন।
পুড়ে যাচ্চে চলন্তিকা
মাথার ভিতর লেগে থাকা ঘুম চোখে একটা স্বপ্ন বারংবার
আমি অন্ধকারে হারিয়ে যাই যদি।
.
কিছুই ভালো লাগছে না
মাঝে মাঝে আমি আমার চারপাশে আমি খুঁজে পাই বাসি মড়ার গন্ধ।
ধ্বংসস্তূপ থেকে মুখ লুকিয়ে আমি খুঁজে পাই বুকের পাহাড়ি ঢালে
ব্যক্তিগত বিকেল
যেখানে বন মুরগি রোস্ট করে নেশার চোখে কিছু পাহাড়ী যুবক ধর্ষণ করে
আমার কবিতার নারীকে ,
শীৎকার না চিৎকার বোঝার আগে চোখের সামনে অন্ধকার
আমি নিজের মৃত্যু কামনা করি।
অনাবিষ্কৃত আমি
আমার কবিতার মেয়ে স্বপ্ন আঁকছে আগামী শ্রাবনের কোনো দিনে
চারিপাশে ঝিরিঝিরি ,রূমঝুম
আর আমি মেঘ তাড়াচ্ছি- জোগান দিচ্ছি উড়ানি হাওয়ার।
আমি শুনতে পারছি চলন্তিকা তুমি গাইছো
"আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে
বসন্তের বাতাসটুকুর মতো " ।
No comments:
Post a Comment