ঈশ্বরের জন্ম
... ঋষি
তোমাকে ছেড়ে প্রেম চলে গেল
তুমি দুঃখ পেলে,তোমরা হয়তো পেলে ।
তুমি ছেলে বলে দুঃখ পেয়ে চলে গেলে বনে, পাহাড়ে,নদী সমুদ্রে
কিংবা ছুটে গেলে বেশ্যা খানায়,
আর তুমি যদি মেয়ে হও বালিশ জড়িয়ে কাঁদলে,ফোন করে বন্ধুদের বললে
কিংবা বসে পড়লে বাবার দেখা ছেলের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে।
.
সব সম্ভব
সম্ভব এটাও তুমি দু একদিন একলা থাকার পর
তোমার প্রাক্তনকে খুব করে দোষ দিলে
হয়তো তোমরা ঠিক করলে প্রাক্তনকে ধ্বংস করাই তোমাদের জীবনের উদ্দেশ্য।
কিংবা তুমি তোমার প্রেমিকার মুখে ছুঁড়ে মারলে বিষ
তোমরা হয়তো তোমার নতুন প্রেমিককে দিয়ে উদোম পেটালে প্রাক্তনকে।
.
এটাও হতে পারে
তুমি হয়তো বারান্দার রেলিং ধরে,তোমরা হয়তো একলা ছাদে
মোমবাতি জ্বালিয়ে অপেক্ষা করছো ।
কেউ কেউ আবার প্রাক্তনের ছবি বুকে কাটিয়ে ফেলছো জীবন
কিংবা কাটাচ্ছো না,
দশ তলার ছাদ থেকে মারছো লাফ,গলায় দড়ি দিচ্ছো, হাতের শিরা কাটছো
কিংবা ভালবাসছো অন্য কোন আত্মহত্যার পদ্ধতি।
অথচ কেউ ভাবছো না আকাশ
তোমরা কেউ জানতে বা বুঝতে চাইছো না গভীরতার মানে
জীবনের মানে
মাটির মানে।
.
মাটি দিয়ে ঈশ্বরের আকৃতি হয়তো দেওয়া যায়
কিন্তু ঈশ্বরকে পাওয়া সহজ নয়
প্রতীক্ষা করতে হয়।
আসলে প্রতীক্ষার দিন যাপনের নাম হলো জীবন
আকাশের গভীরতার নাম হলো ঈশ্বর,
শুধু মাটি দিয়ে ঈশ্বরের জন্ম সম্ভব নয়
সম্ভব নয় প্রেমকে ছোঁয়া।
No comments:
Post a Comment