নিমতলার চিতার আগুনে মানুষের বডি পোড়ে
অথচ কিছুতেই পোড়ে না নাভি,
শুনেছি নাভির ভিতর মানুষের অভিমান লোকানো থাকে
আর একরোখা অভিমান কিছুতেই পুড়তে চায় না।
আরো অবাক কি জানো চলন্তিকা
যে মানুষগুলোর আজ
নাম আছে মৃত্যুর পর সেগুলো সব বডি।
.
চৌরাস্তার মোড়ে ভিখিরি মা তার চোদ্দ মাসের সন্তানকে চুমু খাচ্ছে
সেই সন্তানের বাবা অজানা,
সেই চোদ্দ বছরের শিশুটার বুকে, পিঠে ঘা পাঁচড়া
তার সারা শরীরে মাছি ঘুরছে
তবু ভিখারি মা তার সন্তানকে চুমু খাচ্ছে।
পথচলতি মানুষগুলো ভাবছে এর থেকে সুন্দর দৃশ্য কি হতে পারে
অথচ জানো চলন্তিকা
খিদের থেকে সত্যি কিছু হয় না।
.
অভিমান, সুখ, কষ্ট সব স্পর্শগুলো আজকাল আবছা লাগে বড়
মাকে দেখেছি আমাদের দুই, ভাইকে গলা অবধি গিলিয়ে
নিজে উচ্ছিষ্ট খেতে
তারপর বাসন মাজতে মাজতে চোখের জল ফেলতে,
আর জানো চলন্তিকা আমার চোখের জল অসহ্য লাগে ।
আর সত্যি কি জানো চলন্তিকা কোন জাতি উঠে দাঁড়াতে
মাথা, মন কিংবা গায়ের জোর ছাড়াও দরকার বাঁচার ইচ্ছা।
.
আমার খুব ইচ্ছে মৃত্যুর পর আমার নাভিটা তোমায় দেওয়া হোক
কারণ আমি জানি তুমি ছাড়া কেউ বুঝবে না আমার অভিমানের মানে,
কি লাভ বলোতো শ্রাদ্ধ, শান্তি করে আমাকে শান্তি দেওয়ার
বরং আমার অভিমানগুলো নাম বদলে শান্তি রাখা হোক।
আসলে কি জানো চলন্তিকা শান্তির থেকে মিথ্যে কিছু হয় না
শুধু আমরা ছুটি মিথ্যে শান্তির পিছনে
সারাজীবন ছুটি,
শান্তি আগে আমরা আমাদের জীবন নিয়ে পরে থাকি অনেক পিছনে
হাঁপিয়ে যায় তবুও ছুটি
কিন্তু দূরত্ব কিছুতেই কমে না আমাদের শান্তি আর জীবনের।
No comments:
Post a Comment