বাঁচার সেলফি
.... ঋষি
প্রতিদিন গা ঝাড়া দিয়ে উঠি সকাল সকাল
ভাবতে চেষ্টা করি
সমুদ্রের পার ধরে আছড়ে পড়া সময়ের হিসেবে
আমরা বোধহয় ভালোই আছি।
মেরিলিন মনরোর মতো বিভিন্ন পোজে আমাদের ডেইলি হান্ট
খবরে না বেরোক
অনিয়মিত হলেও বেরোচ্ছে ফেসবুক মিডিয়াতে।
.
একবার ভাবুন তো
আমরা তো অনেক ভালো আছি কারণ আমাদের তো বলার মতো কিছু আছে
আমাদের তো বলার মতো কেউ আছে ,
আমাদের তো পেটে ভাত আছে
আছে মাথার উপর ছাদ।
কিন্তু সেই মেয়েটা যে প্রতিদিন স্বামীর হাতে মার খেয়ে হাসে
কিংবা সেই ছেলেটা জীবনের বাঁচা হারিয়ে তবু বাঁচে
যে গর্ভবতী ভিখারি প্রতিদিন রাস্তায় একলা হাঁটে
প্রকৃতির বিক্ষোপের পর স্বজন হারানো মানুষ যখন কাঁদে
তাদের কি বলবেন ?
.
ভেবে দেখেছি যিশুখ্রিস্ট যাকে আমরা ঈশ্বর মানি
তিনিও নিজের মৃত্যুকে নিজেই বয়েছিলেন নিজের কাঁধে
অনেকটা যন্ত্রনা নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন
ওদের ভালো হোক,
কিন্তু কখনো কি তিনি প্রশ্ন করেছিলেন
কেন ভালো হবে ?
কেন ?
এই প্রশ্নটার গভীরতায় হাজার উত্তর সাজানো।
রাস্তার কুকুরটাও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ছুটে যায় অদৃষ্টের দিকে
সেখানে তো আমরা মানুষ।
আর আমরা তো খুব ভালো করে জানি
আমরা বেঁচে আছি এমন একটা যান্ত্রিক নকল পৃথিবীতে
যেখানে স্পর্শগুলো খুব কম দামে বিক্রি হয়।
.
আসুন তো মশাই এত গভীরে ভেবে কি লাভ
বরং হাসি চলুন
বরং বাঁচবার চেষ্টা করি দিন প্রতিদিন মুহূর্তদের সাথে ,
এখন এমনিতেই একটা বড় সংকট কালীন সময়
চলুন তুলে ফেলুন সেলফি
ফিরে আসুন বেঁচে থাকায় ।
No comments:
Post a Comment