আবোলতাবোল
... ঋষি
ভাবনার কোলে শুয়ে শুয়ে পা দোলাই
ঝুপ করে নেমে আসে পাহাড়ের উপর অন্ধকার
সেই যেবার তুমি হায়দ্রাবাদ গেলে, আমি কলকাতায়
সেইবার অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ওখানকার নবাবদের আমি ফেন্সিং করতে দেখেছি
দেখেছি তাদের শরীর দিয়েও রক্ত ঝরে
রক্ত ঝরে বুকের ভিতর আমার মতো।
.
সেই সময় আমার চারপাশে বিষণ্ণ রোদ
তুমি বোধহয় হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছো নবাবের প্যালেস
আর আমি সারা শহরে তখন বাষ্প জমিয়ে পাহাড়ি রেল চালাচ্ছি
পাইন ,ফার সব সবুজগুলো দেখতে পাচ্ছি না ঝাপসা কাঁচে ,
হায়দ্রাবাদের বিরিয়ানির সাথে আসলে কলকাতার কোনো মিল নেই
মিল নেই তোমার প্রথম চুমুর সাথে জীবনের।
.
এইসব ভাবতে ভাবতে তোমার কন্ঠস্বর জেগে ওঠে
আমি গন্ধ পাই শরৎ এসেছে
পার্লারে গিয়ে তুমি চুল কাটছো আরও কত কি
চিনতে পারছি না তোমায়।
নৈবেদ্য সেজে ওঠে চারপাশে
কে জানে কাহার তরে.... মন কেমন করে
ঝুপ করে নেমে আসে পাহাড়ের উপর অন্ধকার
সেই যেবার তুমি হায়দ্রাবাদ গেলে, আমি কলকাতায়
কোন সওগতে ভোরে উঠেছিল পাহাড়ের সন্ধেগুলো
ফিরে যাচ্চি আমি একলা সেই বিকেলবেলা ।
.
কি আবোলতাবোল বলতো ,এই সব কবিত্ব আমার ভালো লাগে না
চলন্তিকা বলে উঠলো
চলন্তিকার আঙুলগুলো আমার সারা মাথায় হাত বোলাচ্ছিল
আমি দেখতে পাচ্ছিলাম সেই পাহাড়ের উপর অন্ধকার
সেই অন্ধকারে শুয়ে আছে পাশাপাশি দুটি দেহ
আমি বললাম চলন্তিকা আমার ঘুম পাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment