একটি মেয়ের তৃতীয় উত্তর
.... ঋষি
প্রথম :
কি যেন ছিল বুঝলেন
শিরশিরে বেলার মতো ঝরে পড়েছিল কোনো এক মুহূর্ত
আমি চমকিত
কিশোরী আত্মায় লেখা হচ্ছিল খোদাই করে আগামী ভালো থাকা।
মুহূর্তরা মনে হয় খোলা চিঠি
তারপর দৃশ্যের ভিতর ফুটে ওঠা ছলছল চোখ
বালিশ জড়িয়ে সারাবেলা।
.
দ্বিতীয় :
উত্তর ছিল না ,তবু এই সমাজের হ্যা আমি
বিলাস ব্যাসন ,ফুলসজ্জার খাটের মাস্তুল বেয়ে গড়িয়ে নামছিল খিদে
একটা সাপ সারা শরীর বেয়ে ,
অথচ কি জানেন সাপেরা এমনি হয় মুহূর্তের
তারপর একটা নিয়ম আর মেনে চলা অনিয়ম ,
দৃশ্যগুলো সাজিয়ে দেশলাই দিয়ে জ্বালিয়ে দি
চিৎকার ফুরোয় না
আসলে কি জানে গায়ে কেরোসিন তেল দিলেই মানুষ পোড়ে না।
.
তৃতীয় :
যে মুখোশটা পরে আছি, সেটা আলগা হয়ে গেছে মুখোশের রং বিবর্ণ
আঁট করে রাখি
আসলে কি জানেন সব প্রশ্নের উত্তর অপেক্ষা করে না
সময় সাজিয়ে নেয় নিজের মতো করে।
জীবনকে 'না' বলে দিলে কত যে সুবিধা হতো
সুখ দিয়ে
দু:খ দিয়ে
যে খেলা খেলতে হয়
সেটা অজস্র মুহূর্ত ,
তবুও মাঝে মাঝে আলোর খোঁজে আমারও না বলতে ইচ্ছে হয়।
No comments:
Post a Comment