ঈশ্বর
... ঋষি
একটু একটু করে নিজের মতো ভাবনা দিয়ে গড়েছি তোমায়
রোজ প্রতিদিন শব্দের অছিলায় আমি গড়েছি তোমাকে
সবাই আমাকে বোকা বলেছে ,বলেছে পাগল
আমি হেসেছি দেওয়ালের ওপাশ থেকে
মনের মাঝে বলেছি কিছু ভাস্কর্য মানুষ এখনো আবিষ্কার করে নি
যেমন তোমাকে কেউ আবিষ্কার করতে পারে নি এতদিনেও।
.
আমি বৃষ্টির কাছ থেকে ধার নিয়েছি তোমার চোখের জল
আমি মেঘের কাছ দিয়ে চেয়ে নিয়েছি তোমার কেশদাম
আমি দুরন্ত রৌদ্র ছুঁয়ে বানিয়েছি তোমার চোখ
আমি হরপ্পার সমাধি ছুঁয়ে তোমায় দিয়েছি ঈশ্বরের ধাঁচ
আমি মিশরের পিরামিড ছুঁয়ে তোমাকে দিয়েছি উন্নত বুক
সবশেষে বলেছি তথাস্তু
এইসবটুকুই আমার।
.
এখন আমি উদ্ধত সৃষ্টিকর্তার মতো এই পৃথিবীর ঈশ্বর
এখন ভিসুভিয়াসের আগ্নেয়গিরির মতো তোমার খিদেতে বাঁচি
এখন আমি শীতের বাতাসে তোমাকে জড়ায় আমার হাড়ে পাঁজরে
এখন আমি বসন্তের কোকিলের মতো তোমার নাম ধরে ডাকি,
জানি ইতিহাস বদলাবে না তাতে
হয়তো আরো মানুষ হাসবে
কেউ হয়তো আমার গায়ে বমি করে বলবে আমি ইতর
তাতে কি
আমি এখন ঈশ্বর
যে ঈশ্বরের প্রাণভোমরায় বাস করে রাক্ষসপুরী
সে শুধু অপেক্ষায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার
আর কিছুদিন তারপরে সকলেই চিনবে তোমাকে।
No comments:
Post a Comment