ত্রিশূলের তিন মুখ
... ঋষি
.
আহত আমি
ত্রিশূলের তিন ডগা আমার বুকে তমঃ, রজঃ ও সত্ত্ব ।
প্রশস্তিতে লেখা পৌরাণিক সত্ব
জীবন আর জীবিকার মধ্যে বাস করা মানুষ
ঈশ্বর জাত হলেও
যক্ষ কন্যা অদিতির সন্তান অসুরদের সহযোগ থেকেই যায়
সময়ের জীবিকায়।
.
আহত আমি
আমার শহরে ঝুলতে থাকা সিলেবাসে শুধু আজ হিসাবের ভীত ,
কোলেস্টলে ভেজা মানুষ
শুধু অদ্ভুত আঁধারে দাঁড়িয়ে খুঁজে ফেরে আলো ,
অথচ মনের কোনে অসুর
স্বত্বায় অসুর।
.
আহত আমি
অবাক আমি ,মানুষের ম্যানিকুইন থেকে খুলে নেওয়া ঈশ্বরের স্তন
মানুষের শৈশবে দেখতে চাওয়া ঐশ্বরিক যোনি যত্নে।
কি খুলছে ,কেন খুলছে ?
অন্ধকার থেকে শতহস্ত দূর কিছু প্রহেলিকা
মানুষকে বোকা করছে রোজকার পথ চলায়
শিক্ষা থেকে শিক্ষিতের দূরত্ব
মানুষের দুর্বলতায় সব মিশে লোভ হয়ে গেছে ।
.
আহত আমি
মানুষের অন্ধকারে সুখ
ফুটপাথে চান করা সেই অজানা শৈশব জুলু জুলু চোখে দেখা
মাংসের পৃথিবী ,
সময়ের অভিসারে উঠে আসা আগামী দেখে
নিজেদের মৃত সন্তানের মুখ.
অদ্ভুত প্রহেলিকা
বদলানো শহরে ঝলমলে চেহারায় মানুষগুলো সব অসুরের মতো
শুধু অন্ধকারে রপ্ত ,
অথচ মহাদেবের ত্রিশূলের তিন মুখ চিরকাল অন্য কথা বলে
তমঃ, রজঃ ও সত্ত্ব ।
No comments:
Post a Comment