অশ্রাব্য নগ্নতা
... ঋষি
কাগজ কুঁড়িয়ে একটা সভ্যতা চলছে
কবির শেষ যাত্রায় নাকের তুলো ,চোখের তুলসীপাতা ছাড়া
বুকে চন্দনের গন্ধ ,
তোমরা কি করছো
গন্ধ শুকছো কুকুরের মতো
কিংবা কেক কাটিয়া সেলফি পোস্ট করছো খোলা মিডিয়ায়।
.
রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেলো
পদ্মাপাড়ের সেই মাগীটা কারণ সে পুরুষ নিয়ে ছেলে খেলা করে
দিনদুপুরে খুন হয়ে গেলো
পথচলতি বর্ধমান মাস্টারমশাই যে আর্জেন্টিনা মেক্সিকোর চে কে বিশ্বাস করে
কিংবা বিশ্বাস রাখে শ্রমিকের রক্তে
অথচ তোমরা ছোটজাত বলে শ্রমিকদের মৃত প্রায় গণিতের সংখ্যার মতো
মুছে ফেলছো অংকের খাতা থেকে।
.
চিৎকার আর চিৎকার
ধর্ষণের খবরের সাথে মধু বিক্রি করছে রাষ্ট্র খবরের ভূমিকায় ,
মেয়েদের শরীরের নামে বিজ্ঞাপনে পর্ন
বুকের ব্রেসিয়ার থেকে ,প্রেগনেন্সি চেক ,আন্টি প্রেগনেন্সি ডোস
ফুটো কন্ডোম ,মেয়েদের ঋতুর ন্যাতা
সব শালা ভাদ্রমাসের কুত্তার মতো ছড়িয়ে দিচ্ছে সময় সভ্যতায়।
সভ্যতা তাই আজ সাত বছরের ছেলের কাছেও এতো খোলামেলা
ন্যংটো শরীর ,
যে সে খুব সহজে তফাৎ করে আগামীর অন্ধকারের।
আর বিরুদ্ধতা
পোশাকি ব্যাঙের প্রতিবাদ
পুরুষ ব্যাঙের বৃষ্টি নারীর সাথে সঙ্গম
সব কেমন জানি কাগজে কলমে সাজানো সভ্যতা।
.
তাই তো বলা কাগজে কলমে সভ্যতা আজ আধুনিক
আর সময়ের চাদরে লেগে আছে খেটে খাওয়া মানুষের বুকের রক্ত ,
সেখানে কবি নেহাত কুত্তার মতো চিৎকার করা একটা লোক
যে ভাদ্রের কুকুরের সঙ্গমে ভালোবাসা দেখে আজকের সভ্যতার ,
যে সময়ের ধর্ষণের খবরে হাসতে থাকে পাগলের মতো
প্রায় মৃতপ্রায় মানুষের মতো জড়িয়ে ধরে নিজের নারীকে
তারপর কাঁদে।
যে নিজের মৃতদেহ পরে থাকতে নোংরা সভ্যতার কোনো এক নর্দমায়
যেখানে সদ্য খালাস করলো নারী তার অবাঞ্চিত সন্তানকে।
সেখানে প্রতিদিন বেঁচে থাকা কবির কাছে মৃত্যু যাত্রা
আর কলমের রক্তক্ষরণ
সভ্যতার অশ্রাব্য নগ্নতা।
No comments:
Post a Comment