বেশ্যার কবিতা
.. ঋষি
.
সময়ের শ্রমিকের জন্য বেশ্যার কবিতা
সময়চিত জ্ঞানে উঠে আসে অকথ্য কিছু পঠন
পৃথিবীর সব রাস্তা একমাত্র আমার হৃদয়ের কারখানাতে প্রোডাকশনরত।
ভিজে লিপিষ্টিক
কেন মন খারাপ
একদিন তোমার লাল টকটকে ব্লাউজের ভিতর বিস্ফোরণ ঘটাবো
কারণ বিস্ফোরণের কোনো সমাজ থাকে না।
.
আমার প্রেমিকা নিয়মিত রাত জাগে
রাত জাগার কোনো মজুরি থাকে না ,থাকে বিলাসব্যাসন
প্রতিটা রাতের নামে আমি বন্দি থেকে যায় ভার্চুয়াল কোনো অবস্থানে ,
অবস্থান গণিত শেখায়
শেখায় বালিকারা কেন একটা বয়সের পর মা হতে চায়
আর বালকরা কেন তিলে তিলে লিখতে থাকে জন্মের কবিতা।
.
অনবদ্য কবিতার মতো নারী তোমার ভুরুর উপর নতুন চন্দনের ছাপ
ছাপ সিঁদুর আর তরজায় থাকা হাততালি ,
সংসার আর জেরুজালেম
দুইয়ের তফাতে
শহরে আলোকজ্জ্বল রাস্তায়
দৌড়োতে দৌড়োতে কখন যেন মানুষগুলোর সময় ফুরিয়ে যায়।
সময়ের শ্রমিক সব মানুষ
সময়ের বুকের পর্দায় উঁচু ,নিচু ,ঘরবাড়ি ,পাহাড়ি রং ,স্বপ্নরা
তাতে কি জীবন কাটে ?
কাটে একাকী ?
হাত ফসকে বারংবার ফিরে আসে জীবন বেশ্যাখানা থেকে
মুখে পান জর্দা ,অকথ্য কিছু শব্দ
পা ছড়িয়ে কাঁদে।
.
সময় যেন সুদূর কালাহান্ডির তৃষ্ণা , বিচ্ছেদের বেতার,
সূর্যের আসাযাওয়া কোনো সময় উল্লেখ করে না
উল্লেখযোগ্য এটাই
আমার মৃত্যুতে আমার শব্দরা তোমার ঠোঁটে কবিতা হয়ে থাকবে
আর তোমার মনখারাপের লাল ব্লাউজে শুয়ে থাকবে
হঠাৎ স্পর্শের বরফ।
.
পুনশ্চ বেশ্যা সবটা নির্ভরশীল
কারণ সত্যি আমি জানি না সময় কোন প্রজাতির ইঙ্গিত।
No comments:
Post a Comment