এরেষ্ট ওয়ারেন্ট
.. ঋষি
আমার আমার করতে গিয়ে সকাল থেকে আলো চলে গেল
এখন বাঁচা মরা আলাদা করে ভাবা যাবে না,
বসে আছি জীবনের সাথে মুখোমুখি
দোকান খোলা নেই, সিগারেট নেই, বিড়ি আছে প্রেসেন্টে
ফস করে পুড়িয়ে ফেলি,
তারপর একরাশ ধোঁয়া ছেড়ে বলি
কবি আর মাতাল দুজনেই প্রেমিক হতে পারে
তবে কবির নেশায় থাকে যন্ত্রনা,
আর প্রেমিকার ঠোঁটে কবির কবিতা।
.
চলন্তিকা বলছে ঈশ তুই বিড়ি খাচ্ছিস
আমি একশো তলা জীবনের উপর দাঁড়িয়ে ভাবছি লাফ মারবো কিনা,
একাই এসেছি এতদুর
করেই ফেলি প্রশ্নটা চলন্তিকাকে, তুমি আমাকে ভালোবাসো?
তারপরই দূরন্ত হিসেবের মধ্যে ঢুকে পড়লাম
দুদলে আমার ভাবনারা এখন,
হৃদয়ে বারুদ রেখে এরেষ্ট ওয়ারেন্ট
হৃদয়ে হিসেব লেখানো, সত্যি বলা
এই ভাবে চলছে না ।
.
এই ভাবে চলছে না
চলন্তিকা বলছে স্বর্ণদীপ বানান ঠিক কর আর আজ ৩১ শে অক্টোবর।
খেতে না পাওয়া মানুষগুলোর জন্য সুখবর
চাঁদের দিকে তাকালে রুটির গন্ধ আসে,
সকাল সকাল মেয়েটা না বলছে বলে বন্দুকের নলে বদলা,
মেয়ে তো
কচুরিপানায় চাপা থাকা শায়া সংবাদরা, রক্ত মতীরা
সুন্দরী বলে কথা।
প্লিজ ওদিকে যাবেন না
আজকাল বুড়ো ঢ্যামনাগুলোও ভালোবাসি বলে বগল চুলকোয়,
প্লিজ ছুঁয়ে আসুন অশোকের হাতের ছাপ
আপনি ভালোবাসতে পারেন
আপনি মাতাল হতে পারেন
কিন্তু কবি না
কারণ কবি হতে গেলে যন্ত্রনা লাগে।
.
পুনশ্চ চলন্তিকা তুমি এখনো বল্লে না
তোমার বুকে আমার দাঁতের দাগটা কি একি রকম আছে?
বল্লে না ভালোবাসি শব্দটা কি আমার মত পাগল
নাকি শুধুই কবিতা।
No comments:
Post a Comment