ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা
... ঋষি
.
একাধিক হত্যার পর বসন্ত বিছানায় পড়ে আছে যন্ত্রনা
চোখ খুলে দেও
খুলে দেও বিপন্ন ভারতবর্ষ,
তোমার গর্ভ স্থাপন করো জলে, স্থলে অন্তরীক্ষে
জন্ম হোক মানুষের চরিত্র
জন্ম হোক চোখের পাথরে তফাৎ রাখা দর্শন,
পাথুরে আদমের বুকে নারী কোন ক্রিয়ার ঘটক নয়
হোক গর্বিত ভারতবর্ষের সন্তানের মা।
.
ওরা তুলে নিয়ে গেলো তোমাকে
আমি দেখলাম, আপনারা দেখলেন গ্রাউন্ড লেভেলে নেমে
একটা মেয়েকে, একাধিক ভারতবর্ষকে কিভাবে চুষে খায় নৃশংসতা।
আপনার একহাতে ভারতবর্ষের স্তন
আপনার অন্যহাতে ভারতবর্ষের গলার নলি
জানি আপনি সাধু
কিন্তু আপনার সাধের ভারতবর্ষ আজ বিকৃত বসন্তে মৃতপ্রায়।
.
নমস্কার আমি ভারতবর্ষের সাধু নাগরিক
নমস্কার আমি আজকের সময়ের সময়ের ভারতবর্ষের খবর
যে দেশে নারী শরীর বাজারী মাংসের থেকে সহজলভ্য
যে দেশে নারী সম্মান বাড়ির পোশা কুকুরের সমান
সে দেশে যা হোক
আমাদের সন্তান মায়ের গর্ভ পেলেও
মানুষ হবে না।
.
সব সত্যি মানুষের গা সওয়া
কিছু মিথ্যে রাষ্ট্রে কাছ দিয়ে শোনা
তবু কিছু সত্যি বুকের পাঁজরে জমে থাকা পাথুরে যন্ত্রনা
কিছু পাথরে নিজেদের চোখে আমরা নিজেরাই দোষী
ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা আজ বড় কাঁদছে
চিৎকার করছে
সম্মান চাইছে...... সম্মান।
আর আমরা সাধু ভারতবাসী যন্ত্রনায় জর্জরিত হয়ে
নিহত, নির্লজ্জ সাজে আজও ফুপিয়ে কাঁদছি পাশ ফিরে
সামনে শুয়ে আমার নগ্ন থেঁতলানো স্ত্রী, কন্যাসন্তান
যারা আমার ভারতবর্ষ।
.
তাই বলা
জাগুক ভারতবর্ষ
জাগুক যন্ত্রনা
জাগুক নির্ভয়া, জাগুক প্রিয়াংকা
জাগুক সাঁওতাল পরগনায় পাওয়া সেই থেঁতলানো শরীর
জাগুক উত্তরপ্রদেশের পুড়িয়ে দেওয়া সেই বছর চৌদ্দের মেয়েটা
জাগুক বিহারে সেই বস্তা বন্দী পাঁচ বছরের মেয়েটা
জাগুক আমার শহরের অলিতে গলিতে ঘুমিয়ে থাকুক আগামীর পিতারা
এবার প্রতিবাদ দরকার
এবার দরকার আমার বিপন্ন ভারতবর্ষ বলে মেয়েটা রনচন্ডালী রুপ।
আসুন সময় হলো,ঘুম থেকে জাগুন
চলুন আগুনে পুড়িয়ে দি
কিংবা কেটে নি সেইসব পাপিষ্ট পুরুষাঙ্গকে
যারা আমার ভারতবর্ষকে
আমাদের নিজের আয়নায় মুখ দেখতে লজ্জা দেয়।
No comments:
Post a Comment