একটি সাধারণ কবিতা
... ঋষি
চুল ঝেড়ে উঠে দাঁড়ায় সেই মেয়ে
তার শরীরের উজ্জ্বল জলের বিন্দুগুলো ছড়ায় দীপ্তি
তার ছড়িয়ে পড়া চুলের শাসনে ,তার অবাধ্য স্তনের অবিচল শৈশবী হাওয়া
তার উরুর সাথে তার সেঁটে থাকে আলোকভেদ্য একটি কাপড়
সামান্য আনত হয়ে, চকিতে দৃষ্টি দেয় সে নদীর জলে
জল থেকে উঠে আসে মেয়ে ।
.
আমি অবাক হয়ে ভাবি
এ এক বর্ণনা কোনো বৌদ্ধ ভিক্ষুকের কলমে উঠে আসা নারী
সৌন্দর্য সেটা নয় শব্দে যা প্রকাশিত
বরং না বলে যে বলা, সৌন্দর্য সেখানে,
উন্মোচিত নয় বরং অবগুণ্ঠনের ভিতর দিয়ে ফুটে ওঠা ঈশ্বর
লোভনীয় করে তোলে কল্পিত নারীর স্তনদ্বয় ।
.
তুমি হাসছো
আমাকে বলছো এ সব কি ভাবা হচ্ছে কবি ?
আমি বললাম সংস্কৃত কবি বিদ্যাকরের কবিতা
তার ভাবনা
নারী
শরীর
আর মুগ্ধতা।
তুমি বললে এতো মুগ্ধ হলে আমার কি হবে কবি ?
কে দেখবে আমাকে ?
আমি বললাম ঈশ্বর যে ধ্যান দিয়ে তোমাকে তৈরী করেছে
আমি সেই ঈশ্বরের ধ্যানের পূজারী
তুমি আর তোমার ভাবনারা সে তো এক ঈশ্বর
আর আমি খুব সাধারণ ,তাই আমি তোমাকে কবিতায় লিখি।
No comments:
Post a Comment