কবিতার শরীর
... ঋষি
কবিতাকে আমার কোনো সুন্দরী মহিলা মনে হয়
যাকে দেখলে শ্রদ্ধা হয়
কিন্তু কাম জাগে না মনে।
অথচ আজকাল কিছু কামার্ত নারী কবিতা হওয়ার চেষ্টা করে
জ্যালজ্যালে শাড়ির আড়ালে কবিতা লিখতে চায়
আমার রাগ হয়
আমি ভাবি বেশ্যার কবিতা লেখার জন্যও শরীর দরকার হয় না।
.
সত্যি যদি স্তনের কবিতা লিখতে হয়
তবে কান পেতে শুনতে হবে বীণার তাল
দৈপায়ন হ্রদের কাছে মৃতপ্রায় দুর্যোধন সেদিন খুঁজেছিল কবিতা
হয়তো বুঝেছিল নারী শরীরের কবিতা হয় না
কবিতা হয় ভাবনায়
যেখান শরীর ছুঁয়ে থাকে ঈশ্বরের চোখে।
.
এই যে তুমি বললে বয়স হচ্ছে ,জিনিসপত্র বদলাচ্ছে
চর্বি উঁকি মারছে
আমি ভাবলাম আমার প্রেমের বয়স কমে গেছে
কারণ শরীর থেকে বার্ধক্য
বার্ধক্য ছুঁয়ে তুমি ,সোনালী ফ্রেমের চশমা ,জুলফির পাকা চুল
কেমন মোহময়
ঠিক আমার কবিতা যেন আমার আগামীতে শুয়ে।
এপিটাফে লেখা আছে কবিতাকে মৃত্যুর দূত করে রেখো
কবিতাকে ভালোবাসার চিঠি করে রেখো
কবিতাকে জন্মান্ধ তৃষ্ণার মতো লেখো
কবিতাতে শরীর লেখো
কিন্তু শরীরের কবিতা ,ছিঃ
সে যেন খুব সস্তায় একটা নর্দমার যোনি এই শহরে।
.
যারা কবিতা দিয়ে শরীর খোঁজে
আর যারা শরীরের খোঁজে কবিতা খোঁজে
দুজনকেই আমার ঘৃনা হয়
কারণ কবিতার শরীরে ঈশ্বরের বাস।
No comments:
Post a Comment