ইদানিং কবিতা
.... ঋষি
.
মনে করতে পারছি না -শেষ কবে কবিতা লিখেছি
ইদানিং আর লিখতে ইচ্ছে করে না
শেষ কবে অসন্তোষ জানিয়েছি প্রকাশ্য-চিৎকারে?
চিৎকার ফুরিয়ে যাচ্ছে
গলার আওয়াজে আজকাল বিগাড়নো রেডিওর চিৎকার
আমি কি তবে সুখী খুব ?
কেন তবে আজকাল চিৎকার করতে ইচ্ছে করে না আর ?
.
আনাচেকানাচে ঘোরে হাওয়ায় কিছু প্রশ্ন
চলন্তিকা তোমার মৃত্যুর আশংকায় আজকাল সবুজ পাতারা শুকিয়ে যায়
ক্রমাগত কবিতা বদল হয়।
ক্রমাগত
অন্ধকার হয়ে আসে, হাওয়া হয়ে সরে যায় প্রতিবাদ মানুষের ।
অথচ, বলার ছিল,প্রতিবাদ সময়ের অঙ্গীকার
মানুষের বাঁচা
শহরে-নগরে-গ্রামে, মাঠে ও নদীতে।
.
মনে করতে পারছি না -শেষ কবে কবিতা লিখেছি
ইদানিং যা লিখি তা কবিতা হয় না ,হয় ঘোরের মতো কিছু
এখন বেইনটিংস্ট্রিটের সেই রেস্তোরায় অঞ্জনদত্ত থাকেন না
কারণ মানুষ জানে
মানুষের বেঁচে থাকায় লকডাউন লেগেছে।
তবুও কেন বলতে ইচ্ছে হয়
‘ভালো আছি, ভালো থেকো’
রাজ্য থেকে দেশ থেকে, পৃথিবীর থেকে পথে ও প্রান্তরে
সকলের ভালো হোক।
.
আর কবিদের জন্য বলা
কবিতা গ্রীস ,লন্ডন ,ভেনিস ,গড়ের মাঠ ,বাড়ির ছাদে যেখানেই হোক
তার কারণ একটাই
মানুষের চোখের জল
.
হয়তো-বা সিন্ধান্ত এই—কবিতার থাবার তলায়
কিছু মানুষ বাঁচে ,কিছু মরে।
No comments:
Post a Comment