সারেঙ্গির বিষন্নতা
... ঋষি
.
সারেঙ্গিতে একটানা বাজতে থাকা বিষন্নতা
আমি ভালো আছি চলন্তিকা
সকালে সূর্য ওঠে আগের মতো ,অস্ত যায় নিয়মিত ,
একটা চাকরি পেয়েছি চলন্তিকা
এখন আমার হাতে মুঠোফোন ,দু চাকার একটা গাড়িও আছে
শুধু দক্ষিণের তোদের বাড়ির বারন্দায় সেই মেয়েটি আর দাঁড়ায় না ।
.
সেই মেয়েটা
যে আমাকে বলতো আর কতদিন ফোনবুথ
আর কতদিন পায়ে হেঁটে বাদাম ভাজা খাইয়ে হাঁটবি ,
জানি তুই ভালো আছিস
তোর বিলেত ফেরত স্বামী ,যার শরীরে বিদেশী সেন্টের গন্ধ
আর আমারতো শুধু ঘামের
তবে জানিস আজকাল তোর জন্য কখনো কখনো দুএকফোঁটা সস্তা সেন্ট আমিও ব্যবহার করি।
.
না দোষ দি না তোকে
শুধু মনখারাপ হলে আগের মতো তোর বাড়ির চক্কর কাটি
একলা গিয়ে বসে ফাঁকা সেই পার্কটায়
তোকে খুঁজি না তা না ,কিন্তু জানি তো
তুই এখন সিঁদুরের ঘর করিস।
আমি জানি আমার স্বপ্নের ঘরের থেকে ,আমার ভালোবাসার থেকে
এই সময়ের ,এই নিয়মের দাম অনেক বেশি ,
জানিস আমি আজকাল কবিতা লিখি
কিন্তু বুঝতে পারি না এগুলো আদৌ কবিতা কিনা
আসলে কবিতা গুলো আমার চিৎকার
আসলে কবিতাগুলো আমার প্রতিবাদ
আসলে কবিতাগুলো তোকে নিয়ে আমার সংসার
যে কথাগুলো আমি কাউকে বলিনি কখনো
সেগুলো আমি লিখে ফেলি সাদা পাতায়।
.
সারেঙ্গিতে আমার একটানা বাজতে থাকা বিষন্নতা
আমি ভালো আছি চলন্তিকা ,
জানি এই কবিতা তুই পড়বি না কখনো
তোর এখন সময় কোথায় ,ভরা সংসার ,স্বামী ,পুত্র।
আমি জানি চলন্তিকা আমি যাকে ভালোবাসি সে আসলে তুই নোস্
কারণ আমাকে ছাড়া চলন্তিকা ভালো থাকতে পারে না।
No comments:
Post a Comment